রমনার রাতের স্টার বনাম লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার

সেই মেয়েটার কথা বলি।

বিশাল একটা ট্যুর দিয়ে বান্দরবন থেকে ফিরছি। চিটাগাং শহরে খুব দুঃসম্পর্কের এক রিলেটিভ আছে। তার বাসায় গেলাম।

তার একটাই মেয়ে- ভাল একটা কলেজে পড়ে- ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারে। শ্যামলা গায়ের বর্ণ- কিন্তু বড় বড় মায়া কাড়া চোখ- মেয়েটাকে অনিন্দ্য সুন্দরী বলা যাবে না হয়তো কিন্তু বেশ আকর্ষণীয়।

বাড়িতে বুয়েটের ভাইয়া এসেছে- আশা করলাম সে তার ক্লাসের কোন প্রবলেম দেখাবে, লেখাপড়া সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন করবে।

আমাকে দেখে তার প্রথম অভিব্যক্তি হলো- ইসস! বাইরে ঘুরে ঘুরে ভাইয়া কি কালো হয়ে গেছেন!

তার মনে অনেক দুঃখ- সেই সব দুঃখ সে আমার সাথে শেয়ার করলো! কি সেই সব দুঃখ- পরীক্ষায় নাম্বার কম পেয়েছে? ফার্স্ট হতে পারে নি? স্যার বকেছে?

না, তার দুঃখ হলো- বাসার সবাই এত ফর্সা, সে কেন শ্যামলা হলো!

আমার ইন্টারে পড়ার সময় একটাই টার্গেট ছিলো কি করে বুয়েটে চান্স পাওয়া যাবে, যারা আরো উন্নত শ্রেণীর তারা হয়তো তখন স্বপ্ন দেখত এম আই টি হাভার্ডে পড়ার।

তার জীবনের একটা টার্নিং পয়েন্টে, যে সময়ের উপর তার সমগ্র ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে- সেই সময়ে সে ভাবছে কি করে তার চামড়াটা আরো সাদা করে ফেলা যায়! সে ভাবছে না কি করে আরো ভাল রেজাল্ট করা যায়, কি করে একজন বড় বিজ্ঞানী হওয়া যায়, ডাক্তার হওয়া যায়, লেখক কিংবা প্রকৌশলী হওয়া যায়!

সে ভাবছে কি করে আরো সুন্দর হওয়া যায়! চামড়াটা আরো ফর্সা করা যায়।

কি ভাবছেন?  অবাক হলেন? দাড়ান দাড়ান- আপনার জন্যে আরো বড় বিস্ময় অপেক্ষা করছে!

এ বছর লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে আই বি এর ছাত্রত্ব হারিয়েছেন সোমা নামের এক মেয়ে। আই বি এ থেকে বহিষ্কারের বিনিময়ে তিনি নিঝের ঝুলিতে ভরতে পেরেছেন প্রথম পাচজনের মধ্যে অবস্থান, পেয়েছেন লাক্সের একটা বিজ্ঞাপনের কাজ করার সুযোগ।

বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাদিয়া আর্জুমান্দ বানু সোমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) ১৮ ব্যাচের বিবিএর ছাত্রী। সোমার গ্রামের বাড়ি খুলনা সদরের মুন্সীপাড়ায়। ঢাকার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০০৭ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি এবং ২০০৯ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে এইচএসসি পাস করেন। ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্যতার প্রমাণ রেখে পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে ভর্তি হন।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে এসে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় টিকে গেলে তার নিয়মিত লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটতে থাকে। আইবিএর নিয়ম ভঙ্গ করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তাকে ড্রপ আউট হিসেবে চিহ্নিত করে নোটিশ দেয়। সোমা পুনরায় আইবিএতে ছাত্রত্ব রক্ষার আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ তার আবেদন নাকচ করে। ফলে তার আইবিএ‘র বিবিএর ছাত্রত্ব হারায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রেস্টিজিয়াস শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সোমার এই মাঝপথে ঝড়ে পড়ার পেছনে দায়ী ওই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা।

সেই খবর নিয়ে ব্লগে আধখানা চাঁদ নামে একজনের কমেন্ট পড়ুনঃ

যে ইউনিলিভারের সামান্য একটা রিয়েলিটি শো এর জন্য এত বড় ত্যাগ স্বীকার করল সোমা, আই বি এ থেকে পাস করলে এই ইউনিলিভার তাকে সালাম করে নিত এবং চাকরি দিত। আর সে হয়ত তখন নিজেই ইউনিলিভার থেকে এমন ফালতু রিয়েলিটি শো এরেঞ্জ করতে পারত। সোমা অনেক বড় বোকামি করল।

হায়রে বাংলাদেশের অন্যতম সম্মানিত প্রতিষ্ঠান, লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী যেখানে পড়ার স্বপ্নে বিভোর- সম্মান ও নিশ্চিত ভবিষ্যত ছেড়ে দিয়ে আসতে কি পরিমান ব্রেন ওয়াশের দরকার- কল্পনা করা যায়?

এরকমই হবে।


যতদিন ফেয়ার এন্ড লাভলী আপনাকে সাতদিনে আরো ফরসা কর তোলার গ্যারান্টি দিয়ে ব্যবসা করে যাবে, যতদিন লাক্স ঘষলেই আপনি স্টার হয়ে যেতে পারবেন, যতদিন টিভিতে বিজ্ঞাপন আসবে অসুন্দর মেয়ের বিয়ে হয় না, তারা চাকরী পায় না, তারা অবলম্বন হতে পারে না- ততদিন এ ধারা চলতেই থাকবে।

তাই কিনে আনুন লাক্স, গায়ে মাখুন পন্ডস- হয়ে যাবেন সাদার চেয়েও বেশি সাদা। শর্টস পড়ে সাদা চামড়া দেখিয়ে হেটে আসুন মঞ্চে- আধবুড়ো কিছু পারভার্টদের সামনে। তারা আপনাকে ঘুরে ঘুরে দেখবে। মঞ্চের সামনে দেখবে- পেছনে দেখবে, দিনে এবং রাতের অন্ধকারে দেখবে। এই রকম অনেককে অনেক ভাবে আপনার ফর্সা শরীর দেখিয়ে আপনি হবেন স্টার। চোখ সামনে রেখে, বুক ফুলিয়ে, কোমর দুলিয়ে আপনি হেটে যাবেন- দর্শকরা আপনাকে কামনা করবে, সিটি বাজিয়ে উৎসাহ দেবে!- আপনি জানেন না দেশের জাতীয় পাখির নাম। আপনি দেখলে চিনতে পারেন না জাতীয় ফুল- কিন্তু তবুও আপনি স্টার। আপনি শোনেন নি লালনের নাম, পড়েন নি রবিঠাকুরের কোন কবিতা- তবু আপনি স্টার।

রমনার প্রস্টিটিউটদের খদ্দের রিকশাওয়ালারা, তাদের রেট বিশ টাকা- তাদের কেউ স্টার বলে না। কারন তাদের এই পেশায় নামতে একের পর এক চামড়া দেখিয়ে প্রতিযোগিতা করে বেড়াতে হয় নি। তাদের জোর করে এই পেশায় নামানো হয়েছে। তারা কেউ স্বেচ্ছায় আসে নি।

কিন্তু আপনি স্বেচ্ছায় এসেছেন, এ জন্যে বছরের পর বছর ধরে আয়নায় দাঁড়িয়ে প্রাকটিস করেছেন, একের পর এক লাক্স ঘষেছেন, এই মেখেছেন, সেই মেখেছেন- তারপরে কত রাউন্ড পরীক্ষা দিয়ে আজ এখানে এসে দাঁড়িয়েছেন- আপনি তাই স্টার। প্রকাশ্যে হয়তো আপনি বছরে গোটা কয়েক বিজ্ঞাপন আর নাটক করবেন। পেছনে হয়তো আপনি বড় বড় ব্যবসায়ীদের শয্যাসঙ্গিনী হবেন, তাদের সাথে ঘুরতে যাবেন থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া কিংবা সিংগাপুর। বি জি  এম ই এর অনুষ্ঠানে অর্ধ নগ্ন  হয়ে খেমটা নাচবেন। শেরাটনে অর্ধ-লক্ষ টাকা রেটে দেহ বিক্রি করবেন।

এ জন্যেই হয়তো আপনি স্টার!

আপনি আরো এগিয়ে যান, কর্পোরেট বেনিয়াদের কাছে নিজেকে তুলে দিন, পণ্যের মত বিক্রি করে দিন আপনার শরীরটাকে। আখের মত করে নিংড়ে তারা রস উপভোগ করুক, বিনিময়ে ছুড়ে দিক কিছু ডলার, যেমন মানুষ পোষা কুকুরের দিকে রুটি ছুড়ে দেয়- সেই ডলার কুড়িয়ে আপনি দামী পোশাক, গাড়ি আর ফ্লাট কিনুন! মেধা আর বুদ্ধি দিয়ে নয়, শিক্ষা আর প্রজ্ঞা দিয়ে নয়- শরীর দিয়ে হয়ে উঠুন অবলম্বন!

আপনি হয়ে উঠুন স্টার, হয়ে উঠুন রোল মডেল- অল্প বয়েসী মেয়েরা আপনাদের ফলো করুক, বই দূরে ঠেলে টেনে নিক প্রসাধনের বক্স, সারাদেশ ভরে যাক নর্তকী আর উচ্চবিত্ত প্রস্টিটিউটে, আর  অসুন্দর মেয়েগুলো জীবনটা কাটিয়ে দিক অবহেলায়! আমরা অশিক্ষিত থাকি, আমরা নির্বোধ থাকি- তাও আমাদের হট হতে হবে, সেক্সি হতে হবে। যেদিন এই দেশের প্রত্যেকের চামড়া সাদা, প্রতিটা মেয়ে হট, সেক্সি এবং হর্নি, প্রতিটা ছেলে সিক্সপ্যাক-ম্যাচো হবে সেদিন আমরা সবাই না খেয়ে মরে গেলেও নিজেদেরকে আধুনিক এবং উন্নত বলে দাবি করতে পারবো! আমরা আপনাদের দিকে তাকিয়ে সেই দিনের প্রত্যাশায় আছি!

স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় অনেক কালো নিগ্রো মার্সিডিজে চড়ে, আর অনেক সাদা চামড়া ভিক্ষা করে। করুক- তাও আমরা মার্সিডিজে চড়া কালো না  হয়ে পথের পাশের সাদা ভিকিরি হতেই চাই। আমরা জাতি গত ভাবে কালোফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আছি, আমাদের চিকিৎসা করবে কে?

যতদিন আমরা মানুষের বাইরের সৌন্দর্যকে তার ভেতরের সৌন্দর্য থেকে বড় করে দেখবো, যতদিন উচ্চ শিক্ষিত এবং মেধাবী একটা ছেলে বা মেয়ের তুলনায় ৩৬-২৪-৩৬ ফিগারের কোন নির্বোধ সুন্দরী কিংবা কোন এক উচ্ছৃঙ্খল ম্যাচো সিক্স প্যাকের ছেলে আমাদের কাছে বেশি আদরণীয় হবে যতদিন- ততদিন আমরা নিজেদের সভ্য বলে দাবি করতে পারব না। আমরা মধ্যযুগীয় বর্বরই থেকে যাবো! আর ততদিন এইসব কর্পোরেট বেনিয়াগুলো আমাদের সাদা চামড়ার লোভ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা ব্যবসা করে যাবে। তাদের এই রেসিজমের কোন সাজা হবে না, কেউ প্রশ্ন তুলবে না গায়ের রঙ কালো হলে তাকে নিন্দে করা রেসিজম জেনেও তারা বছরের পর বছর কেন এই সব বিজ্ঞাপন দেখিয়েছে, সরকার কেনই বা তাদের বাধা দেয় নি!

এইভাবে এইসব নষ্টরা দখল করে নিচ্ছে সব কিছু-

আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
সবচে সুন্দর মেয়ে দুইহাতে টেনে সারারাত
চুষবে নষ্টের লিঙ্গ; লম্পটের অশ্লীল উরুতে
গাঁথা থাকবে অপার্থিব সৌন্দর্যের দেবী। চ’লে যাবে,
কিশোরীরা চ’লে যাবে, আমাদের তীব্র প্রেমিকারা
ওষ্ঠ আর আলিঙ্গন ঘৃণা ক’রে চ’লে যাবে, নষ্টদের
উপপত্নী হবে। এই সব গ্রন্থ শ্লোক মুদ্রাযন্ত্র
শিশির বেহালা ধান রাজনীতি দোয়েলের স্বর
গদ্য পদ্য আমার সমস্ত ছাত্রী মার্ক্স-লেনিন,
আর বাঙলার বনের মত আমার শ্যামল কন্যা-
রাহুগ্রস্থ সভ্যতার অবশিষ্ট সামান্য আলোক-
আমি জানি তারা সব নষ্টদের অধিকারে যাবে।

(হুমায়ুন আজাদ)

একটা মানুষের সৌন্দর্য কখনো শুধুমাত্র তার গায়ের বর্ণে নির্ধারিত হতে পারে না। আর তেমনি একটা মানুষের যোগ্যতা পারেনা তার সৌন্দর্য দিয়ে নির্ধারিত হতে। সৌন্দর্য নশ্বর, একটু বয়স হলেই চলে যায়। কিন্তু তার অর্জিত জ্ঞান, তার বিচার বিবেচনা, তার  যুক্তিবোধ, তার প্রাজ্ঞতা- বিচক্ষণতা, তার মূল্যবোধ এগুলো নশ্বর নয়, এগুলো বয়সের সাথে সাথে বাড়ে। এগুলোই তাকে মানুষ করে তোলে।

যে ছেলেগুলো বা মেয়েগুলো নিজেদের রূপ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগে তাদের জন্যে করুনা অনুভব করা ছাড়া আর কিইবা করার আছে?

এ দেশে সবচেয়ে সস্তা হচ্ছে নারীর শরীর, দু বেলা খাওয়ার টাকা দিয়েই সারারাতের জন্যে একটা সুন্দর শরীরের জোগাড় হয়ে যায়।

কিন্তু মেয়েগুলো কি বোঝে? স্বয়ং ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েদের মাঝেই রূপ নিয়ে যে ধরনের অহংকার, সুপিরিয়রটি/ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্স দেখি তাতে অবাক হই। সে কি জানে তার চেয়ে অনেক সুন্দর একটা শরীর সামান্য কয়েক হাজার টাকায় পাওয়া যায়। সে যদি শরীর সর্বস্ব হয়, তার চিন্তা যদি শুধু নিজের শারীরিক সৌন্দর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে তাহলে সে খুবই সস্তা। কিন্তু তার যোগ্যতা, গুণাবলী, মনুষ্যত্ব, রুচি-বোধ এগুলো অমূল্য- টাকা দিয়ে কেউ কেনার দুঃসাহস করবে না। তার উচিত নিজেকে উন্নত করা, বিকশিত করা- শুধু শরীরটাকে নয়।

মানুষ অমূল্য- শরীরের মূল্য খুবই সামান্য!

যদি কেউ সুন্দর শরীরের অধিকারী হয়ে জন্মায় সেটা একটা বোনাস- কিন্তু তাকে সেটা পূঁজি করেই বসে থাকলে চলবে না। শিক্ষা-জ্ঞান ও গরিমায় অপরকে ছাড়িয়ে যাবার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

যদি অনন্ত জনম থাকতো প্রতিবারই আমি বুদ্ধিমান- মেধাবী- জ্ঞানী হয়ে জন্মাতে চাইতাম-হোক কুদর্শন তাও নির্বোধ সুন্দর হয়ে নয়!

মিজানুর রহমান পলাশ
গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট, ইসিই, সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটি,  

লিনয়, ইউএসএ
https://www.facebook.com/logical.palash

 

মিজানুর রহমান পলাশ সম্পর্কে

এখানে রাত্রি নামে, উড়ে যায় সাদা বক/ জোনাক পোকায় চড়ে স্বপ্ন আলো/ দেখেনা সে মালতী লতা, পলাশ ফুলের শোভা/ কিশোরীর কালো চোখ, আধার কালো !/
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে ইতিবাচক, চিন্তাভাবনা-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

83 Responses to রমনার রাতের স্টার বনাম লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার

  1. সজীব বলেছেনঃ

    পড়লুম , কমেন্ট করার জন্য লগ ইন করলুম । কষে একটা ধন্যবাদ দিলুম ।

    “যদি কেউ সুন্দর শরীরের অধিকারী হয়ে জন্মায় সেটা একটা বোনাস- কিন্তু তাকে সেটা পূঁজি করেই বসে থাকলে চলবে না। শিক্ষা-জ্ঞান ও গরিমায় অপরকে ছাড়িয়ে যাবার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”

  2. মিজানুর রহমান পলাশ বলেছেনঃ

    তোমাকে অনেক ধনবাদ সজীব!

  3. নেমেসিস বলেছেনঃ

    খুবই সময়োপযোগী ও প্রাসংগিক লেখা। গঠন মূলক সমালোচোনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

  4. শিবলী বলেছেনঃ

    লেখাটা চমৎকার হয়েছে এমন মন্তব্য করে আমি বিষয়টির ভয়াবহতার গুরুত্ব কমিয়ে দেবো না। বিষয়টি নিয়ে আমিও চিন্তা করি আর আমার দুই মেয়ে বিধায় আমার চিন্তা না করে উপায় নেই। বাচ্চাদের নিয়ে কক্সবাজার থেকে বেড়িয়ে আসলে নানু, দাদু, দীদা, খালা, চাচা সবার সর্ব প্রথম প্রকাশ “হায় হায় রোদে পুরে কালো হয়ে গেছো!” অথচ আমি মনে করি সর্ব প্রথম প্রকাশ হতে পারতো, “পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত দেখতে তোমার কেমন লাগলো? সেখানে কি কি করেছো? আবার যেতে চাও ওখানে?” ইত্যাদি ইত্যাদি…

    যাই হোক, যে ১০-২০ জন স্টার এই লেখাটা পড়লে হয়তো কিছুক্ষনের জন্যও বিষয়টি নিয়ে ভাবতো, তারাতো পড়বে না কখনই। কেনই বা পড়বে? একটু দেখালেই যদি অনেক পাওয়া যায়, কেন আপনার আমার আমাদের কথা শুনবে স্টাররা।

    আল্লাহ্‌, তুমি আমাদের সন্তানদের এই সব থেকে বাঁচিয়ে রাখো।

    • মিজানুর রহমান পলাশ বলেছেনঃ

      “অথচ আমি মনে করি সর্ব প্রথম প্রকাশ হতে পারতো, “পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত দেখতে তোমার কেমন লাগলো? সেখানে কি কি করেছো? আবার যেতে চাও ওখানে?” ইত্যাদি ইত্যাদি…”

      যদি সত্যিই তাই করতো তাহলে এই বাচ্চাদের চিন্তার জগত কিভাবে বদলে যেতো, তাদের পৃথিবীটা কি রকম অন্য ধরনের সুন্দর হয়ে উঠতো কল্পনা করতেই ভাল লাগছে!

      অন্যেরা না করুক আপনি অন্তত নিজের মত করে চেষ্টা করুন- যতটুকু সম্ভব লাভ হয় সেই চেষ্টা করুন!

      ধন্যবাদ ভাই!

    • আনোয়ার বলেছেনঃ

      আপনার সংগে একাত্বতা প্রকাশ করছি। বিষয়টা আমাকেও প্রচন্ড চিন্তায় ফেলে দেয়।

      ভাই-বোনদের মধ্যে সবার বড়। আমি দেখেছি কি ভয়াবহ এই অবস্থা। সাধ্যমত চেষ্টা করেছি এটার সমাধানে। কিন্তু কোনটাই খুব কাজ দেয়নি।

      এ অবস্থার পেছনে আমি দুঃখজনকভাবে হলেও মা-খালাদের ভুমিকা অস্বীকার করতে পারছি না। বরং আমার মতে তারাই এই চিন্তাটা মেয়েদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন।

      শুধু একটা ঘটনা বলি, আমার ছোটবোন সবে ক্লাস ফোরে উঠেছে। এই সময়কার ঘটনা। একদিন খালা বাড়িতে বেড়াতে আসলেন। ছোটবোনকে প্রথম দেখাতেই বললেন, ‘কি তুই ত সুন্দর হয়ে গেছিস। কোন ক্রিম ব্যবহার করিস’। ???? এটা শুনে আমি যে দুঃখ পেয়েছি তা যাদের এই অনুভুতি হয়েছে তারাই জানবেন।

      উনাদের সব আলোচনা এগুলো ঘিরেই।

  5. হাসান বলেছেনঃ

    ক্ষোভগুলো খুবই ঠিক, আর তার কারণ ও ফলগুলো বেদনাদায়ক।
    ধন্যবাদ চমৎকার লিখাটার জন্য।

    কিন্তু কয়েকটা কথা না বলেই পারছি না-
    আপনি মুর্খ স্টারদের শুধু দোষ দিচ্ছেন, শিক্ষিত স্টার কি কম আছে? :thinking:

    মূল কথা প্রচলিত শিক্ষা কখনোই এই অবস্থার পরিবর্তনের যোগ্যতা রাখেনা, নয়ত শিক্ষিতের হার যেভাবে বাড়ছে আমাদের নৈতিকতা তার উল্টোপথে দৌড়াতো না…।
    সমস্যা রয়ে গেছে আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিশ্বাস সব জায়গায়, সমাধান সেই সবগুলো জায়গা থেকেই করতে হবে…।

    • মিজানুর রহমান পলাশ বলেছেনঃ

      স্টার নিয়ে তো আপত্তি নেই! তা বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি আছে।

      আপনি খেয়াল করবেন থিয়েটার বা মঞ্চনাটক থেকে যারা লাইম লাইটে আসে এদের সাথে তাদের বিশাল একটা গুনগত পার্থক্য আছে।

      কারন থিয়েটারে টিকে থাকতে হলে শুধু সৌন্দর্য্য দিয়ে হয় না- অভিনয়ের যোগ্যতা খুবই দরকার। আর এদের ক্ষেত্রে শুধু সাদা চামড়ার শরীর প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়!

  6. জনাব স্থিতিশীল বলেছেনঃ

    পলাশ ভাই, ঠিক এই জিনিসটা নিয়েই অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম লিখব, কিন্তু আর লেখা হয়ে ওঠেনি। ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি ও কসমেটিক্স কোম্পানিগুলো কি ধূর্ততার সাথে আমাদের দেশের মেয়েগুলোর ব্রেইনওয়াশ করে দিচ্ছে , অথচ আমাদের দেশের নারীবাদীরা কেন যেন এগুলো দেখেও দেখে না, তারা পড়ে আছে কোন মেয়ে বোরকা পরল, তার পেছনে লেগে থাকা নিয়ে। আফসোস

  7. শাহিন বলেছেনঃ

    আর ততদিন এইসব কর্পোরেট বেনিয়াগুলো আমাদের সাদা চামড়ার লোভ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা ব্যবসা করে যাবে

    সম্পূর্ণ লেখাটাই অনেক ভালো হয়েছে এবং সময় উপযোগী । মিজান ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

  8. জ্ঞানচোর বলেছেনঃ

    ভুল করে চ্যানেল আই-য়ে বসে পড়েছিলাম। দারুচিনি দ্বীপ দেখার ফাঁকে ফাঁকে চলছে বিজ্ঞাপন। আছে, হেয়ারফল সমাধান, আছে ছেলেদের চেহারা ফর্সা করার ক্রীম। মেয়েদের স্কিন ট্রিটম্যান্ট, বাংলাদেশ ডার্মাটোলজিক্যাল সোসাইটির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। আরও কত কি?

    কবি পলাশের লেখার ভাষাটা রুক্ষ হয়েছে। নগ্নভাবে সমাজের লুকনো একটা ক্ষতচিহ্ণ দেখিয়ে দিয়েছেন প্রচন্ড দুর্বিনীত ভাষায়। তারপরও, এ লেখাকে আমি স্যালুট দিতে চাই, প্রয়োজনে।

    এই কর্পোরেট বিজ্ঞাপনের যুগে যখন দেখি আইবিএর ছাত্রী পড়াশুনা বাদ দিয়ে চামড়ার প্রতিযোগীতায় মত্ত। তার উপর, সহজ সহজ বিচারকীয় প্রশ্ন না পারায় অন্য যাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সচলতা প্রশ্নবিদ্ধ, সেই সব সুন্দর (প্রচলিত অর্থে) মানুষগুলোকে নিজেদের মিডিয়া রাণী হিসেবে মেনে নিতে কষ্ট হয়।

    আমার পরিচিতার বিয়ের কথা চলছিলো, যার চামড়ার রং ফর্সা নয়। পড়াশুনা করতে গিয়ে রূপ লাবণ্যের প্রতি একটু কম নজর দেবার ফলে তার হাবভাবে তথাকথিত মেয়েলী ন্যাকামীর স্থান নেই। এইসব দেখে প্রস্তাবিত-শ্বশুড়গোত্রীয় লোকজন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেয়েকে অনেক বয়স্ক দেখায়. এই মেয়ে তাদের গুণধর ছেলের যোগ্য নন। এরকম পড়াশুনা জানা বুদ্ধিমতি একজন মেয়েকে এই ধরনের কথা যখন শুনতে হয়, তখন তার সারা জীবনের জ্ঞানার্জনের সম্মান বিশ্রীভাবে ভেঙ্গে। এই ভাঙ্গন রুখা যেত, যদি আমাদের প্রচারযন্ত্র গুলো তাদের প্রতিভাবে পদদলিত করে, তাদের সদাদৃশ্যমান ফোটনিক সার্ফেসকে (নির্বুদ্ধি আর নির্জীব) গুরুত্ব দিতে না শেখাতো। এই ভেঙ্গে পড়াটা কিন্তু, আমাদের ভবিষ্যতের জন্য ভাল নয়।

  9. মিজানুর রহমান পলাশ বলেছেনঃ

    ভাই, এই লিংকটা যদি আরো আগে দিতেন!!!!!!!!!!
    লেখার চেহারাই বদলে যেতো 🙁

    কিভাবে কল্পনা করবেন এই ঘটনা যে একটা মেয়ে আই বি এ এর পড়াশোনা রেখে লাক্স চ্যানেল আই এ সুন্দরী প্রতিযোগীতায় নাম লেখায়?? প্রতিযোগীতার জন্যে আই বি এ থেকে বহিষ্কৃত পর্যন্ত হয়!

    আমার স্বাভাবিক বুদ্ধি বিবেচনায় বুঝতে পারছি না!

  10. সামিরা বলেছেনঃ

    সরবে সাধারণত কোন পোস্ট আসার পর পরই পড়ে ফেলি। কোন পোস্টে প্রথমবার ক্লিক করেই ১৮০০+ ভিউ এই প্রথম দেখলাম মনে হয়।

    সমাধান কী সেটা নিয়ে ভাবছিলাম। আমরাও একই তালে ব্রেইনওয়াশিং-এ নেমে পড়বো?
    আপনি কী বলেন ভাইয়া?

    • মিজানুর রহমান পলাশ বলেছেনঃ

      সমাধান কি সে প্রশ্ন অনেক আলোচনা দাবি করে।

      ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রের এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেকের নিজেকে সচেতন হতে হবে, পরিবার গুলোতে সন্তানদের এ ব্যাপারে প্রকৃত ধারনা দিতে হবে, নেতিবাচক প্রচারনা এবং বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইন জারি এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।

      আর ব্রেইন ওয়াশিং তো অবশ্যই, প্রত্যেক সচেতন মানুষকে কথা বলতে হবে- অন্যকে বুঝাতে হবে।

      তবেই না দিন বদলে যাবে। ধন্যবাদ সামিরা!

  11. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    ‘যদি অনন্ত জনম থাকতো প্রতিবারই আমি বুদ্ধিমান- মেধাবী- জ্ঞানী হয়ে জন্মাতে চাইতাম-হোক কুদর্শন তাও নির্বোধ সুন্দর হয়ে নয়!’ >> একেবারে আমার মনের কথা!

    এই ব্যাপারটা নিয়ে অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম, সেই প্রতিফলনে আগেও একটা লেখা লিখেছি। আমার কাছে মনে হয়, ব্যাপারটা অনেকটা এমন যেমন নেশার ঘোরে মানুষ আচ্ছন্ন থাকে, যেমন ডাক্তার হলেও চেইন স্মোকার হয়!

    সরবে এইরকম লেখা পরপর তিনবার এসেছে। প্রতিটা লেখাই মোটামুটি পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে কিন্তু লাভের খাতায় কতটা যোগ হয়েছে তা জানি না। তবু এইরকম লেখা আমাদের লিখে যেতে হবে, এইরকম কথা বলে যেতে হবে। আমাদের দিক থেকে যেভাবে চেষ্টা করা যায়, যতটুকু করা যায়- সেটাই করতে হবে।

    নগ্ন সত্যিটাকে যেভাবে আপনি প্রকাশ করেছেন সেটা সাহসী মনে হয়েছে।
    এমন সাহসী প্রচেষ্টা অটুট থাকুক- সেই কামনা করি।

  12. সেজান বলেছেনঃ

    অনেক সুন্দর লিখলেন ভাই , তবে এর সমাধান কি বলতে পারবেন ??
    আমি মিডিয়ার এরকম মেয়েদের পণ্য বানানোটাকে সহ্য করতে পারি না,
    বুয়েটের আন্দোলনেও তো দেখলেন সাংবাদিকরা ছবি তুলে অনেক , কিন্তু সেগুলোই প্রকাশ করে যেগুলাতে মেয়ে বেশি … স্বেচ্ছায় রক্তপাত কর্মসূচির দিন দেখেছিলেন ?? সব ছেলেরা রক্তের বোতল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল , হঠাত করে সব সাংবাদিকরা বলে উঠে , “মেয়ে দের কে সামনে পাঠান মেয়ে দের কে সামনে পাঠান” … কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য সেদিন সফল হয় নি তেমন , কারণ একজন ছাড়া সব আপুই ছিলেন বোরখা পরা
    :পি :পি

    • মিজানুর রহমান পলাশ বলেছেনঃ

      এইচ এস সি পরীক্ষার রেজাল্টের পরের দিন এক ছেলে স্টাটাস দিয়েছিল- এবার কি শুধু মেয়েরাই এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়েছে?

  13. নিলয় বলেছেনঃ

    চমৎকার লেখা!
    এই রকম লেখা ছড়িয়ে দেওয়া উচিত সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোয়- তবুও যদি কিছু মানুষের বোধোদয় হয়!

  14. শব্দপুঞ্জ বলেছেনঃ

    একটা উপায় কিন্তু আছে, “রেসিজম” এর অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে রিট করা যায় – না, হাইকোর্ট থেকে কিছু আশা করি না। ওখানে টাকার খেলার তোড়ে এই রিট ধোপে টিকবে না, কিন্তু এতে করে দেশজুড়ে ভাল একটা ধাক্কা দেয়া যায়, ব্লগের মধ্যে সীমাবদ্ধ এই বিষয়টা দেশজুড়ে একটা বিতর্কের আকারে হলেও ছড়িয়ে দেয়া যায় – আখেরে লাভ হবে, অন্তত হাজারখানেক, কিম্বা লাখখানেক মানুষ এইসব বর্ণান্ধ অনুষ্ঠানকে ঘৃণা করতে এবং সেই ঘৃণা প্রকাশ করতে শিখবে।

  15. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    সবাই সবকিছু বলেই ফেলেছে, খুব বেশি নতুন কিছু বলার আর নেই। তবে একটা কথা বলতে চাই, এতদিন আমরা সরবে কেবল মেয়েদের পক্ষ থেকে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে দেখেছি। ছেলেদের কাছ থেকে এমন একটা লেখা মনে মনে আশা করছিলাম। সেইজন্য পলাশকে বিশেষভাবে সাধুবাদ জানাই। 🙂

    মাঝখানের ঝাঁঝালো কবিতাটা কি তোমার লেখা? অসাধারণ হয়েছে।

  16. সুহৃদ বলেছেনঃ

    অসাধারণ লিখেছেন , ভাই ।
    সুস্থ ও সুন্দর বোধ গুলো জাগ্রত হোক, অসুস্থ প্রতিযোগিতার হোক অবসান ।

  17. পাহাড়ি কন্যা বলেছেনঃ

    তার জীবনের একটা টার্নিং পয়েন্টে, যে সময়ের উপর তার সমগ্র ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে- সেই সময়ে সে ভাবছে কি করে তার চামড়াটা আরো সাদা করে ফেলা যায়! সে ভাবছে না কি করে আরো ভাল রেজাল্ট করা যায়, কি করে একজন বড় বিজ্ঞানী হওয়া যায়, ডাক্তার হওয়া যায়, লেখক কিংবা প্রকৌশলী হওয়া যায়!
    সে ভাবছে কি করে আরো সুন্দর হওয়া যায়! চামড়াটা আরো ফর্সা করা যায়।—ভালো বলেছেন! এদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে প্রচুর!
    লাক্স সুপারস্টার আয়োজন করা হয় কিন্তু আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সাথে যেন এরা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র গড়ে তুলতে পারে| বাস্তবে কি তাই হচ্ছে? এদের তো কাউকে বাংলা মিডিয়ার গন্ডি পেরোতে দেখলাম না|
    আর এখনকার কিশোরী বা তরুনীরা একটা রোমাঞ্চ জগতে বাস করে, তারা চোখে রঙিন চশমা পড়ে রুক্ষ পৃথিবীকে জয় করতে চায়- এর জন্য অনেকাংশে দায়ী আমাদের পরিবার, বন্ধুমহল| মায়েদের অতিরিক্ত সৌন্দর্য সচেতনতা আর বন্ধুদের মন্তব্য ও প্রশংসা পাওয়ার লোভেই কিন্তু এদের এই করুন অবস্থা|
    আর মিডিয়াতে যারা কাজ করে তারা সবাই খারাপ নয়, কিন্তু এখানে সহজেই বিপথগামী হতে পারে সহজ-সরল-বোকা-স্বপ্নচারী মানুষেরা| সোমা’র ব্যাপারটা আসলেই বোকামি| আবার অপি করিমের দিকে তাকান| গুণী অভিনেত্রী| একই সাথে বুয়েট থেকে পড়াশুনা শেষ করেছেন, এখন জার্মানিতে পি. এইচ. ডি. করছেন| আসলে সবই নির্ভর করে নিজের বুদ্ধি-বিবেচনার উপর| সেটাই বা কয়জনের থাকে?
    গ্রাম থেকে অনেক তরুণ-তরুণী শহরে আসে নায়ক-নায়িকা হবার স্বপ্ন নিয়ে| এটা খুবই পুরনো কাহিনী| সবাইকে দিয়ে সবকিছু হয় না| মিডিয়ার ভেতরের কথাবার্তা খুব একটা বাইরে আসে না, কিন্তু যতটুকুই বা শোনা যায় তা ভদ্রঘরের মানুষদের জন্য সম্মানজনক নয়| যারা অভিনয়-ভিত্তিক পরিবার থেকে আসে তাদের হয়ত ওসব ফেস করতে হয় না, অন্যদের অভিজ্ঞতা কিন্তু খুব একটা সুখকর হয়না|

  18. Tanvir বলেছেনঃ

    I generally cosidered this post to be hypocritical. Let me as you:

    1. Why is it wrong for a girl to want to be fairer in skin? I mean who decides what is the right or the wrong thing to want in life? If wishing a fairer skin enables her self actualization process then who are we to say anything about it? for many people, their self actualization is reached through achievement of education or knowledge (which comes in the form of a University Degree). but we should also accept that for some people physical beauty can be also important.

    2. I dont much about Shoma, but i would like to point out that (having known at least one of the top 10 finalists well enough) contestants were not put in a jail that they cannot participate in the other spheres of their life. If this girl suffered a setback in her education, it was her choice. I did not read any article or find any source where she complained of her loss. If she is happy to have lost IBA studentship at the cost of being top 5, maybe that is how she sees her future. i mean she got a scholarship and some money,. She can always get a degree, but the opportunity to fullfll your dreams of being an actress or is something that comes once in a lifetime.

    3. are beauty contests bad? i dont see why? we seem to go gaga over miss world, miss india, hollywood bollywood actresses. they are essentially showing their body (depends on your point of view, body or talent) too. As far as lux contest is concerned, i found most of their dresses clothes to be tasteful. Girls inn our society wears these kinds of clothes. if we like to call them prostitutes, then we are also calling our sisters and friends prostitutes.

    4. it is gross and shows lewd mentality when we automatically assume these girls are going to bed with old perverts. what is the basis? do you know all of them? have you been able to purchase service of any one of them? if now, then please stop insulting them. in case you didnt know, they too belong to a family, have friends, and well wishers?

    • Fahima বলেছেনঃ

      I have to agree with your 2nd & 4th points. The writer’s assumption that these girls sell their bodies to the highest bidder is an unfair one (i.e. it is not backed up by any proof he has presented) as is the notion that Unilever actively prevented Shoma from maintaining a position at IBA. She shouldn’t have gotten caught up in the hype; but in her defence, she’s young — we all make terrible mistakes when we’re young. Having said that, in the future the contest arrangers could perhaps put in a CGPA requirement, ensuring the spirit of Miss World’s tagline “Beauty with BRAINS” is promoted in Bangladesh.

      But your 1st point that it is okay to want to be fairer for the sake of self actualization goes against the very grain of healthy environment in a society. What right does a company have (or individuals have) to make women feel inadequate about their God-given body?? The harms of this mindset are manifold, but let me share two:

      1) In the western world, a parallel view point is promoted — skin colour is not the criteria there, but body weight is. Consequently, bulimia, anorexia and associated mental illnesses related to body image soared after companies decided to make rapier thin, underweight, unhealthy models the ideal image for women. Why create a parallel situation in Bangladeshi society by making only ONE type of body image the ideal for women here?

      2) In reality, majority of women do not look like those Fair & Beautiful models. However, by making this minority of women “stars” based on those criteria of beauty, we create unfair expectations in households across the country. For example, dark skinned women have problem getting married because kalo is not bhalo in the minds of society. Granted there are many social factors associated with this twisted mentality (colonialism being one), but these ridiculous beauty contests go a long way in promoting misogyny instead of countering it. Just as these “stars” can be our family members (as you’ve stated), so could a kalo girl be your sister. Wouldn’t you prefer a society where her progress in life was not held back by something she has no power to change?

      As for 3rd third point, your assumption that those condemning these local beauty pageants don’t also condemn the int’l beauty pageants is wrong. Beauty pageants objectify and sexualise women whether they are aired over Channel i or Star World. Women’s lib advocates have said it better than me, so I’ll quote:

      Beth Meredith: “The idea of a plastic girl walking across the stage representing the way I supposedly want to look is ridiculous… The major emphasis is on appearance and physical attributes, and beauty contests end up like cattle shows…” as if women are like animals to be displayed and judged.

      • মিজানুর রহমান পলাশ বলেছেনঃ

        আপু আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো বলে বুঝাতে পারছি না। এক কথায় অসাধারন বলেছেন।

        নিচে আমি জবাব দিয়েছি- তাও আপনারটা অনেক গোছানো হয়েছে!

        হ্যাটস অফ টু ফাহিমা আপু (Y)

        • মিজানুর রহমান পলাশ বলেছেনঃ

          সোমার ব্যাপারটা একটা উদাহরন হিসেবে ছিলো।
          ২ নাম্বার পয়েন্ট যে ঠিক নেই সেটা আমি আমার কমেন্টে নিচে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি।

          ৪ নাম্বারের জবাবও দেয়া হবে!

      • ফিনিক্স বলেছেনঃ

        ফাহিমা আপুর সাথে সহমত!

    • মিজানুর রহমান পলাশ বলেছেনঃ

      ধন্যবাদ আপনাকে, শীঘ্রই আপনার মন্তব্যের জবাব দেয়া হবে!

  19. abrar faisal বলেছেনঃ

    vai sotti akebare moner kotha ta liksen, ami onek din jabot ata bolar chesta korsi but apnar moto ato sundor kore bolte pari ni. onek dhonobad apnake

  20. আসিফ বলেছেনঃ

    অসাধারণ লেখা…নির্মম বাস্তবতার কষাঘাত…আফসোস একটাই,যাদের নিয়ে লেখা তারাই হয়তো পরবে না…

  21. মিজানুর রহমান পলাশ বলেছেনঃ

    1. Why is it wrong for a girl to want to be fairer in skin? I mean who decides what is the right or the wrong thing to want in life? If wishing a fairer skin enables her self actualization process then who are we to say anything about it? for many people, their self actualization is reached through achievement of education or knowledge (which comes in the form of a University Degree). but we should also accept that for some people physical beauty can be also important.

    একটা মেয়ে ফর্সা হতে চাইলে সেটা দোষের কি না সেটা যাচাই করার আগে দেখতে হবে সে কেন ফর্সা হতে চাইছে। কার দ্বারা, কোন কারনে, কিভাবে সে ফর্সা হবার জন্যে আগ্রহী হচ্ছে! জে এম বি এর সদস্য হবার আগে কোন তরুনই বুকে বোমা বেধে আত্মাহুতি দেবার জন্যে মুখিয়ে থাকে না। ক্রমাগত ব্রেন ওয়াশ করিয়ে সেই যুবককে দিয়েই এ ধরনের কাজ করিয়ে নেয়া হয়। তেমনি ভাবে একটা মেয়ে ফর্সা হতে চাওয়ার পেছনে অবশ্যই কারন আছে! কি সেই কারন?
    কারন হচ্ছে ইউনিলিভার সহ এ জাতীয় কোম্পানিদের অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ এবং আপত্তিকর বর্নবাদী এডভার্টাইজ। যেখানে শুধুমাত্র কালো(অসুন্দর বলি নি) মেয়েদেরকে খুবই নেগেটিভ ভাবে দেখানো হয়, তাদেরকে কথা এবং কাহিনীর মাধ্যমে প্রচন্ড ছোট করা হয়। আমাদের সমাজে এমনিতেই মেয়েদের সামাজিক অবস্থান নাজুক। আর সাদা বর্নের প্রতি আকর্ষন সমাজে আগে থেকেই কিছুটা ছিল। কিন্তু এই সব নেগেটিভ প্রচারনা তাতে অত্যন্ত উগ্র প্ররোচনা দিয়েছে, যাতে মেয়েদের নাজুক সামাজিক অবস্থান আরো নাজুক হয়ে যাচ্ছে।

    আপনাদের ক্লিয়ারলি নাজুক ভাবে বুঝতে হবে মেয়েরা ফার্নিচার নয়, দামী ছবির মত বিলাশিতার সামগ্রী নয় যে তাকে সব সময় সৌন্দর্য্যের মাপ কাঠিতে উত্তীর্ণ হতে হবে। পুরুষের জন্যে সৌন্দর্য্য মুখ্য না হলে একটা নারীর জন্যে কেন এত প্রকটভাবে মুখ্য হয়ে উঠবে- জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশনের এই পালে যারা নগ্নভাবে হাওয়া যুগিয়ে যাচ্ছে, আমরা কেন তার প্রতিবাদ করবো না?

    এডগুলিতে দেখানো হচ্ছে যে কালো মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না দেখে ফেয়ার এন্ড লাভলি মেখে বিশাল ফর্সা হয়ে যাচ্ছে, একটা প্রশ্নের উত্তর দিন- বাংলাদেশের কয়টা কালো মেয়ে অবিবাহিত আছে? কালো মেয়েদের এই দেশে কি বিয়ে হয় না?
    কালো মেয়ে জব পাচ্ছে না- কোন চাকরির জন্যে ফর্সা হওয়া একটা শর্ত? যদি কেউ দিয়েও দেয়, তার এই অন্যায় আচরনের, যেখানে মেধাকে সে গুরুত্ব দিচ্ছে না, জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন করছে- আপনারা তার প্রতিবাদ না করে- মেয়েদেরকে সাদা হবার জ্ঞান দিয়ে সমস্যাকে আরো উসকে দিয়ে চলেছেন।

    বাংলাদেশ সহ বিশের অধিকাংশ দেশের মানুষ পড়তে আগ্রহী। তারা টেলিভিশনে যা দেখানো হয়- তাকেই বিশ্বাস করে। সত্য বলে মানে। টেলিভিশনের মাধ্যমে তাদের কে খুব সহজেই প্রতারিত করা যায়। আর সে সুযোগটাই এ কোম্পানি গুলো নিচ্ছে। অত্যন্ত নোংরা এবং আপত্তিকর সব এড এরা ক্রমাগত দেখিয়ে দেখিয়ে গোয়েবলসীয় কায়দায় সাধারন মানুষের মনোজগতকে বিকৃত করে চলছে!
    আর সাথে রয়েছে এই ধরনের প্রতিযোগীতা- মানুষের বিখ্যাত হবার লোভকে কাজে লাগানোর কুটিল মনোবৃত্তি!

    ফর্সা মানেই সুন্দর- এই লজিক কোথায় পেলেন?

    আমেরিকার ৩০০ পাউন্ড ওজনের ধবধবে এক অতিকায় স্থুলকায় রমনী সৌন্দর্য্য কি আমাদের জয়া আহসানের চেয়ে বেশি? সে তো অনেক বেশি সাদা!

    আপনার কি ধারনা সমগ্র আফ্রিকার সব মানুষ অসুন্দর?? যদি তা হয় তাহলে আপনি একজন রেসিস্ট- একজন রেসিস্টের সাথে কোন কথা নয়!

    কবিরা মেয়েদের যে সৌন্দর্য্যের বর্ণনা দেন তাতে পটলচেরা চোখ থাকে, মেঘের মত কেশ থাকে, ভীত হরিনীর মত লাজুকতার কথা থাকে- শুধু ধবধবে সাদা গায়ের রঙের বর্ণনা থাকে না!

    সুতরাং আপনার কমেন্টের প্রথম পয়েন্ট যুক্তির বিচারে গ্রহনযোগ্য নয়।

  22. বৈরাগী বলেছেনঃ

    শিবলী ভাইয়ার মতই বলছি- এ লেখাকে কন উপমা দিতে পারছি না। শুধু ধন্যবাদ এমন লেখা লিখে আমাদের সচেতন এবং শেয়ার করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য

  23. মিজানুর রহমান পলাশ বলেছেনঃ

    @ TANVIR:
    2. I dont much about Shoma, but i would like to point out that (having known at least one of the top 10 finalists well enough) contestants were not put in a jail that they cannot participate in the other spheres of their life. If this girl suffered a setback in her education, it was her choice. I did not read any article or find any source where she complained of her loss. If she is happy to have lost IBA studentship at the cost of being top 5, maybe that is how she sees her future.

    সোমার ব্যাপারে আমি ইউনিলিভারকে এই জন্যে দোষ দিচ্ছি না যে তাকে আসতে দেয় নি বাইরে! কোন মেয়ে যদি প্রতিযোগীতার জন্যে নিজের শিক্ষা জীবনকে ব্যাহত করে তাহলে তার দায় কি ইউনিলিভারের নয়?

    স্থুল ভাবে দেখলে নয়- সুক্ষভাবে দেখলে অবশ্যই!

    “লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার”- এই নামটাই একটা প্রশ্নসাপেক্ষ!
    সুপারস্টার হবার আগে আসে স্টারের ব্যাপার। কোন ধরনের স্টার? নাচে? গানে? লেখায়?
    উত্তর -অভিনয়ে।

    অভিনেত্রী হবার জন্যে কি সুন্দরী হওয়া একমাত্র শর্ত?
    তাহলে রোকেয়া প্রাচী প্রথমেই বাদ- আর আন্তর্জাতিক ভাবে বাদ সকল বিখ্যাত নিগ্রো স্টাররা( আমার প্রিয় ডেনজেল ওয়াশিংটন,স্মিথ, ফ্রিম্যান,Dorothy Dandridge, Angela Bassett) সবাই বাদ!

    আর সব মিস ওয়ার্ল্ডরা হতেন অস্কার জয়ী সব বড় বড় অভিনেত্রী। কয়জন অস্কার জয়ী অভিনেত্রী মিস ওয়ারল্ড ছিলেন- বলেন তো দেখি?
    কিংবা গত কয়েকবছরে এত মেয়ে লাক্স চ্যানেল আইতে সেরা দশে এলো তাদের কয়জন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হতে পেরেছে- স্টার, সুপারস্টার হওয়া তো অনেক পরের ব্যাপার!

    অভিনয় একটা শিল্প, আর যে কোন শিল্পের মত এখানে সফল হতে হলে লাগে জন্মগত প্রতিভা, সে প্রতিভা বিকাশের জন্যে প্রয়োজন চর্চা।

    একজন অভিনেত্রীকে নাচ জানতে হয়, শুদ্ধ উচ্চারনে সুন্দরভাবেকথা বলতে জানতে হয়, সাহিত্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হয়। অভিনয়ের টুকটাক অনেক ব্যাপার থাকে সেগুলো জানতে হয়।

    কেউ যদি অভিনয়ে আগ্রহী হয় তাহলে তার জন্যে থিয়েটার আছে, নাট্যদল গুলো আছে- যেখানে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে সে ছোটবেলা থেকেই নিজের অভিনয় প্রতিভা বাড়িয়ে নিতে পারে।

    থিয়েটার বা মঞ্চ থেকে যারা আসে তাদের সাথে অন্যদের দৃষ্টিগ্রাহ্য একটা পার্থক্য সহজেই আলাদা করা যায়!

    লাক্স চ্যানেল আই প্রতিযোগীতা অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধভাবে সুন্দরী(তথাকথিত) বাছাই করে। ভাল অভিনেত্রী হবার জন্যে এটা একটা গৌন প্রয়োজনীয়তা। ক্লোজয়াপ ওয়ানে তবু গান শোনা হয়- ওরা হয়তো দাবি করতে পারে যে এর মাধ্যমে শিল্পী বের হবে। কিন্তু এরা বাছাই করলো সুন্দরী, সুপার স্টার অভিনেত্রী কিভাবে নিশ্চয়তা দিলো?

    একটা মেয়ে সুন্দরী প্রতিযোগীতায় জিতেই কি একদিনে অভিনয়ের সব কিছু শিখে ফেললো- প্রতিভা না থাকলেও?

    এই সব প্রতিষ্ঠান গুলো সোমা এবং তার মত মেয়েদের কে এই বার্তা দিচ্ছে যে এই প্রতিযোগিতা তাকে স্টার করে দেবে- যেটা একটা ভুল ধারনা এবং অবশ্যই ভুল দিকে ব্রেন ওয়াশ। সেই মিথ্যার শিকার হয়ে এরা এই প্রতিযোগীতায় আসে এবং এর জন্যে নিজের সাজানো জীবনকে এলোমেলো করে দিতেও পিছপা হয় না। তার মনোজগত কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার দায় এরা কোনভাবেই এড়াতে পারে না।

    i mean she got a scholarship and some money,. She can always get a degree, but the opportunity to fullfll your dreams of being an actress or is something that comes once in a lifetime.

    মাত্র একলাখ টাকাকে কি আপনার আই বি এ এর ডিগ্রীর সমান মনে হলো? এই টাকা দিয়ে তো সে কোন প্রাইভেট ভার্সিটিতেও বিবিএ করতে পারবে না- ডিগ্রীর গুরুত্ব পরের ব্যাপার। তার জীবনের মুল্যবান ৩ বছর কি টাকায় ফিরে আসবে?

    স্টার হবার সুযোগ জীবনে একবারই আসে মানে কি? আপনার কি ধারনা যে লাক্স চ্যানেল আইতে পার্টিসিপেট না করলে আর স্টার হওয়া যাবে না। ওরা কি স্টার তৈরির ডিলারশিপ নিয়ে নিয়েছে নাকি?

    বরং আমি বলবো স্টার হবার জন্যে তার সারাজীবন পরে ছিল- আই বি এ তে পড়ার সুযোগ তার জীবনে একবারই এসেছিল।

    সোমার ব্যাপারটা প্রথম মেয়ের মত উদাহরন। এরকম হাজারো সোমা আছে- আমি প্রত্যেককে ধরে ধরে কথা বলতে চাই নি, তাও অনেক কথা বলতে হলো। সোমাদের ডিসিশন তারা নেবে তাতে আমার কি?
    কিন্তু আমার আপত্তি ভুল তথ্য দিয়ে তাদের স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত বাধাগ্রস্থ করার বিরুদ্ধে!

    • বিজন শাহরিয়ার বলেছেনঃ

      আপনার এই ব্যাখ্যাটায় কিছু ত্রুটি আছে, আমার কাছে মনে হয়েছে,
      ১। আপনি আপনার পয়েন্ট স্থাপন করতে গিয়ে আফ্রিকান বংশ উদ্ভুত লোকদের নিগ্রো বলে ফেললেন। নিগ্রো শব্দটা এসেছে নিগার থেকে যা দাসদের জন্য ব্যাবহার করা একটি স্ল্যাং। এটা কিন্তু তাদের জন্য মিডিয়ার কালো বলার চাইতে কয়েকশ গুন অপমান জনক।
      ২। আপনার এজাম্পশান ভুল। শুধু অভিনয়ের জন্য বিউটি পেজেন্টস গুলো হয় না। মডেল হান্টের জন্য হয়। আর অভিনয়ের জন্য গায়ের রঙ হয়তো ফর্সা লাগে না। কিন্তু চেহারা কিন্তু বেশ ভালোই থাকতে হয়। ডেনযেল ওয়াশিংটন ওয়ান অফ দ্যা আলফা মেল অফ হিস টাইম। ভাই এমন কিছু উদাহরণ দেন যারা দেখতে অসুন্দর।
      ৩। শুধু মঞ্চ নাটককেই কেনো আপনি অভিনয় বলছেন? আর্ট ফিল্ম ছাড়া কি অন্য কোন মুভিতে অভিনয় করতে হয় না? আর আপনি কিভাবে একজনের অভিনয় ক্যারিয়ারের কতটুকু আগালো তা এক বছরের মধ্যে জানতে চাইলেন?
      ৪। আচ্ছা, আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, আই,বি,এ কেনো তাকে পরের বছর পড়া কন্টিনিউ করার সুযোগ দিলো না? তারমানে আই,বি,এ তে পড়া অবস্থায় কেউ কোন ব্রেক নিতে পারবে না? এটা কোন ধরণের নিয়ম একটু বলবেন? পৃথিবীর কোথাও স্টুডেন্টশীপ বাতিল করার এহেন নজির আছে কিনা আমার জানা নাই। তারমানে এই প্রতিষ্ঠানটও প্রেজিডিউসড। ইউনিলিভারের যাদের মাথা থেকে এই আইডিয়াটা আসছে তাদের দুই একজন হয়তো ওই প্রতিষ্ঠানের। তো সমস্যাটা কোথায়? একজন মেধা বিক্রি করছেন, আরেকজন সৌন্দর্য বিক্রি করছেন। পার্থক্যটা কোথায়?
      ৫। সোমার সমালোচনা না করে তার সিদ্ধান্তেরপ্রতি সম্মান দেখানো উচিৎ ছিলো।
      ৬। “বরং আমি বলবো স্টার হবার জন্যে তার সারাজীবন পরে ছিল- আই বি এ তে পড়ার সুযোগ তার জীবনে একবারই এসেছিল।” — এই কথাটা সত্যি হলে পৃথিবীতে ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট, এপল, ভার্জিন এর কোন অস্তিত্ব থাকত না।
      ৭। শুধু মাত্র ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সায়েন্টিস্ট হলেই লাইফে শাইন করা যায় বা জীবন গড়া যায় এটা কেমন ধরণের বারডেন?

  24. abrar faisal বলেছেনঃ

    vai akta meya apnar ai post ta pore ai montobbo korse fb a,

    Tanzina Shormee: ai mizanur rahman polash mone hoy onek shostay sundor shundor prostituteder sathe raat kataice,ty lux sundorider k jelous kortece,bcoz ordho lakh taka dea oi sundor prostitute der sathe raat katanor ability tar nai;-)
    graps are sour……hahahaha……. 😛
    R akta kotha mathay ashce,ai cheletar gf mone hoy ai beauty contest er jonno taky chere chole geche…….ty ai program nea taar ato ovijog;-)

    apnar reply din ami post kore debo

    • মিজানুর রহমান পলাশ বলেছেনঃ

      ভাই উনাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবো- লিঙ্ক মেসেজ করেন।

      হাসতে হাসতে শেষ হয়ে গেলাম। :happy: :happy: :happy: :happy: :happy: :happy: :happy:

      উনাকে বলবেন আমার নামের বানানে উনি সর্বমোট তিনটি ভুল করেছেন। আপাতত এই টুকুই বলবো- আর বাকিটা তোলা থাক!

  25. Nure Alam বলেছেনঃ

    বেশ। আপনার লেখা পড়েছি। ভালো লিখেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো তুলে ধরেছেন।
    তবে শুধু ধন্যবাদ দেবার জন্য কমেন্ট করছি না।

    সমাধান নিয়েও কিছুটা লেখা উচিত ছিলো।
    এক ব্যক্তি দেখলাম (মোস্ট প্রোব্যাবলি বিজনেস পড়েছেন উনি) সেলফ অ্যাকচুয়ালাইজেশানের কথা বলেছেন।
    উত্তরের ব্যাপারে শতভাগ ডিরেক্ট হওয়া উচিত। আমি জানি না আপনার (লেখক) কাছে এই সমস্যাগুলোর সমাধান কী, এবং সত্য বলতে আপনার কোট করা হুমায়ুন আজাদ (যে নিজেই নষ্ট) এর কবিতা পড়ে আমি বিরক্ত হয়েছি, তবুও, এইসব সমস্যার সমাধান বলতে গিয়ে সুশীলতা না করে ইসলামের দিকে পয়েন্ট করা উচিত।
    — : সুন্দরী প্রতিযোগীতা কি খারাপ ?
    — : হ্যাঁ।
    — : কেনো ?
    — : কারণ ইসলাম এজাতীয় জিনিষকে নিষেধ করে।
    এরপর আলোচনা / তর্ক বিতর্ক হতে পারে ইসলামের স্ট্যান্স নিয়ে, কিংবা ইসলাম নিয়ে (এবং সেখানে সদুত্তর আছে)।

    এখানে যে সমস্যাগুলোর উল্লেখ হয়েছে, তার গোড়া হলো ইসলাম থেকে সরে আসা। এদেশের মানুষজন ইসলাম থেকে সরে আসছে। এবং মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের লজিককে নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে, যেনো ইসলামের লজিকাল রেপ্রিজেন্টেশানকে তারা সহজে প্রত্যাখ্যান করে।
    একারণেই মদ খাওয়া ছেলে বাপের প্রেশারে পড়ে তিন-চিল্লা দিয়ে আসে !

    লেখক, আপনার মতে এই সমস্যার সমাধান কী ?

  26. abrar faisal বলেছেনঃ

    vai ohonkar akto beshi kore, ami joto dur jani mone hoy lux a participant korar issa ase tai arokom boltase.

    http://www.facebook.com/t***

    [মডারেটর নোট: ব্যক্তিগত ফেসবুক লিঙ্ক প্রদান অনুৎসাহিত করা হচ্ছে। ব্যাপারটি সরব ও অতিথী সবার বোধগম্য করবার জন্যই কমেন্টটির অনুমোদন শেষে লিঙ্কটিতে মূল লেখার পরিবর্তে অ্যাস্টেরিক্স দেয়া হলো]

  27. জ্ঞানচোর বলেছেনঃ

    কারো ফেবু লিংক দিয়ে কমেন্ট করাটা ব্লগের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

  28. নোঙ্গর ছেঁড়া বলেছেনঃ

    প্রচন্ড স্ট্রাইকিং লেখা। বেশ কিছু গভীর সত্যকথা উঠে এসেছে। যদি এ থেকে কেউ উপকৃত হতো! যদি এই চিন্তা থেকে রূপসর্বস্ব হবার কিম্ভূত আগ্রহ থেকে দূরে সরে এসে নিজেকে মাল্টিন্যাশনলাও কোম্পানীর দাসত্ব থেকে মুক্তি করতে পারতো, তবে আরো ভালো হত।

    আশা করি একদিন কমবে এইসব মুর্খতা। সেই আশার জাল বুনি…

  29. বাংলামায়ের ছেলে বলেছেনঃ

    এই লেখা আমি এত্তো পড়ে পড়লুম!

    পুরাই সিরাম।

  30. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    সুন্দর হোক শুধু মানুষের মন……গায়ের রঙ নিয়ে ভাবা যেন ভুলে যায় সে……

  31. Aiman Hamid বলেছেনঃ

    পলাশ ভাই কি বলে যে ধন্যবাদ জানাবো বুঝতে পারছি না।
    ২ বছর যাবত ইউ এস এ তে আছি।তাই আপনার সাদা কালোর উদাহরণ নিজের চোখে দেখা। তবে আমাদের সাদা চামড়া প্রীতিতা বোধহয় উপনিবেশিক কাল থেকেই সৃষ্ট

  32. নামহীন বলেছেনঃ

    “যদি অনন্ত জনম থাকতো প্রতিবারই আমি বুদ্ধিমান- মেধাবী- জ্ঞানী হয়ে জন্মাতে চাইতাম-হোক কুদর্শন তাও নির্বোধ সুন্দর হয়ে নয়!”

    অসাধারণ সুন্দর একটা লাইন… :love:

  33. asad বলেছেনঃ

    you are doing well bro.keep ahead.

  34. antara mitu বলেছেনঃ

    “যদি অনন্ত জনম থাকতো প্রতিবারই আমি বুদ্ধিমান- মেধাবী- জ্ঞানী হয়ে জন্মাতে চাইতাম-হোক কুদর্শন তাও নির্বোধ সুন্দর হয়ে নয়!” ——— সহমত

    আমি ৩৬বছরের এক নারীর কথা জানি, দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে দেখা হলে, পরিচিতজনেরা যাকে প্রথমেই বলে-“আরে তুমি তো আরো ফর্সা… সুন্দর হইসো, বয়স তো দিনদিন কমতেসে” ………. কেউ তার মেধা, লেখা, সাফল্য নিয়ে বলে না….. তার খুব মন খারাপ হয়……

  35. অসম্ভব ভাল লাগা একটি লেখা। ধন্যবাদ।

  36. mohammed_karim বলেছেনঃ

    প্রায় এক বছর আগের পোষ্ট।
    পড়ে ভালো লেগেছে, অনেক কিছুই উঠে এসেছে পোষ্টে।

  37. আলাউদ্দিন বলেছেনঃ

    ভাল লাগল। আশা করি এই রকম অ সংগতি গুলু তুলে ধরবেন

  38. saif বলেছেনঃ

    vaiya apna k onek thnx aerokom akta lekha lekhar jonno…ami apnar potiti lekha porvo

  39. tanjil বলেছেনঃ

    Deshta akhon mogermulluk ……….je jemne jake thake bebohar Kore upore utcay…. Thaito dekhteci….!!!!!!

  40. Najma Akhter বলেছেনঃ

    Ami MA pass korar por, chakure korar por o bea hochchilona karon amar gaer rong kalo. Koto rokom manoshik nirjaton je sojjo korte hoeche bolar baire. 30 te bea holo, 31 e jonmo dilam ekta Down Syndrome baby (Mayer age kichuta holeo er jonno daie). Tarpor r ekta mea, gaer rong kalo. medhabi, valo school e pore. Sarakhon ok lekhaporar gurutto bujai, swapna bune dei Herbert e porar. Tobu mone sonka ei kalo ronger jonno amar meata na jani koto kosto pabe. Matro 3 te pore, or friend bole “ei hair cut ta toke manai ni, karon tui kalo, forsha hole valo lagto”.

  41. Ummah Kulsum Eli বলেছেনঃ

    “যদি অনন্ত জনম থাকতো প্রতিবারই আমি বুদ্ধিমান- মেধাবী- জ্ঞানী হয়ে জন্মাতে চাইতাম-হোক কুদর্শন তাও নির্বোধ সুন্দর হয়ে নয়!” Amazing……Amazing

  42. T.Hasan বলেছেনঃ

    This is the actual reality of present modern Bangladesh. All electronic TV channels and corporate houses are opened legalized prostitution for elite classes of the society. Our Government , our society is supporting it for woman empowerment . Most of the so called “Media persons” have same the manner and attitude.

  43. রেজা বলেছেনঃ

    অসাধারণ গল্প। ধন্যবাদ। :balancin:

  44. Upal বলেছেনঃ

    What a sexist article. You are implying that any girl who is conscious about her looks is comparable to prostitutes. I haven’t read something this ridiculous and sexist article in a long time. It is people like you who are poisoning great institutes like BUET with their Wahabi style attitudes and outlooks. The desire to look good is inherent in our DNA, it is part of the millions of years of evolution. Denying that is stupidity. If you represent the current attitude of BUET students, then it is a very different BUET from the one I graduated 26 years back. It was a much more forward thinking BUET in my time.

  45. sabbir বলেছেনঃ

    I appreciate one side of this writing -we are being product by the consumer products. But another view annoyed me. The education system we are praising here, is it really that much desirable? You are praising BBA studies- from where students learn how to make a brand like Unilever, how to sell a product like fare and lovely. In your writings I found that getting admitted in BUET or MIT is very prestigious. I also agree on that, but why not any other subject like philosophy, Pali or even Bangla are considered prestigious in our country? Isn’t it wrong to justify everything with cost-benefit analysis? I think, the problem belongs to our value judgement, without considering the core values. We love to follow what others are following. This is applicable for those who try to be white skinned, those who want their child to go university ensuring higher earnings in future, but unfortunately not for those corporate business groups who actually understand this nature of us and use it for making profit.

  46. shoman Aniriddha বলেছেনঃ

    তুমি যাকে সৌন্দর্য বলো,আমি বলি সময়।

    সাফল্য তো সবাই চায় কিন্তু তার চাষ কষ্ট করতে পারে কয়জন?
    পুঁজিবাদের বাজারে সব বিক্রি হয়,শরীর, সম্পর্ক সব। আর সো কলড মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তাদের স্বার্থেই ব্লাইণ্ড গেইম খেলে যায় কিন্তু যে মানুষ গুটি হয় সে নিজেই যদি ব্লাইণ্ড হয় তবে তাকে রক্ষা করবে কে?

    সুন্দর পোষ্ট।

  47. MOHAMMAD AL MAMUN বলেছেনঃ

    1000 salute to you for the article

  48. mostafa kamal বলেছেনঃ

    thanks mr polash for your article.also thanks anti comments of this article, question of mine if we use fare&lovely and other uni liver or others lovely goods we become so fairer and good shape ?

  49. Abdur Rahman Khan Jehad বলেছেনঃ

    Awesome ………..

  50. Asif বলেছেনঃ

    Apnar logic thik ase…but logic oppositeo chole….ei meye ra emn kore …bt amra chelera jodi eder sathe sex or unorthodox relation na rakhi tahlei to hoi……amra chelera nijeder dosh je din sikar korte parbo oi din agabo…of course meyeder side dekhailen…bt chelepele gula jodi akam e na jorai tobei puno society hbe…vai ek haat e tali baje na…meyeder dosh dia ar koto din dhan vangben nijeder tao shikar koren akhn..

  51. মুমতাহিনা বলেছেনঃ

    যে দেশে একটা মেয়ের জন্মের পর থেকেই তার চোখ,নাক,মুখ,ত্বক, চুল আর গায়ের রঙ নিয়ে দরকষাকষি শুরু হয়ে যায়, যে দেশে একটা মেয়ের মাথার ভেতরের থেকে মাথার বাইরেটার মুল্য অনেক অনেক অনেক গুন বেশি, মাথার বাইরেটা নিয়েই যেখানে সকলের ভাবনা সেই দেশে একটা মেয়ে যদি তার জীবনের টারনিং পয়েন্টে কি করে আরো ভাল রেজাল্ট করা যায়, কি করে একজন বড় বিজ্ঞানী হওয়া যায়, ডাক্তার হওয়া যায়, লেখক কিংবা প্রকৌশলী হওয়া যায় সেটা না ভেবে কি করে চামড়াটা আরও ফর্সা করা যায় ভাবে তাতে ক্ষতি কি?
    চামড়াটা যে আরও ফর্সা না করলেই নয় তাতো মেয়েটার মগজে এমনি এমনি ঢুকেনি, তার মাথায় ঢুকানো হয়েছে , যে ফেয়ার সেই যে লাভলি ,এই কথাটা মেয়েটার মাথায় ঢুকানো হয়েছে ,এই মেয়েটা জানে সে যত বড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী হোক না কেন দিনশেষে সে কতটুকু ফেয়ার এবং কতটুকু লাভলি সেটাই শেষ কথা হবে।
    সে যদি ফেয়ার এন্ড লাভলি মেখে চামড়াটা আরেকটু ফর্সা করতে চায় তাতে ক্ষতি কি?
    আপনার আমার কালোফোবিয়াকে পুঁজি করেই ফেয়ার এন্ড লাভলি ব্যবসা করছে। আর এই কালোফোবিয়া কিন্তু ফেয়ার এন্ড লাভলি দেশে আসার বহু আগে থেকেই ছিল। ফেয়ার এন্ড লাভলি সেটার সদব্যবহার করেছে মাত্র ।
    যতদিন পর্যন্ত কালোফোবিয়া, মোটাফোবিয়া, বেঁটেফোবিয়ায় আমরা আক্রান্ত থাকবো ততোদিন ফেয়ার এন্ড লাভলির মতো কোম্পানিগুলো আমাদের দেশে ব্যবসা করেই যাবে আর মেয়েটাও ফেয়ার এন্ড লাভলি মেখেই যাবে… শুধু শুধু ফেয়ার এন্ড লাভলি আর মেয়েটাকে দোষ দিয়ে কি লাভ বলেন?
    আমি বুয়েটে চান্স পাওয়ার পর আমার গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যাই, আমি শুধু আমার ফ্যামিলিতে না আমার পুরো উপজেলায় প্রথম মেয়ে যে বুয়েটে চান্স পেয়েছে, কিন্তু এতদিন পর বাড়িতে যাবার পরও সেটা নিয়ে কোন কথা হয়নি , কথা হয়েছে আমি আগের থেকে কতটুকু ফর্সা হয়েছি ,আগে ঠিক কেমন কালো ছিলাম সেটা নিয়ে।
    বাংলাদেশে একটা ছেলে কালো, মোটা, বেঁটে হলে কোন সমস্যা নাই, হাজার হোক ছেলেতো? কিন্তু একটা মেয়ে ডাক্তার ,ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী যাই হোক না কেন দিনশেষে কালো ফর্সা ব্যাপারটাই গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।