অনেক অনেক কাল আগে খুব অদ্ভুতুড়ে একটা দেশ ছিল। দেশটার নাম ছিল ‘সব ফেলেছি’র দেশ! সেখানকার মানুষজন কোন কিছু ব্যবহারের পর সবকিছু ফেলে দিত। হাত থেকে পড়ে গ্লাস ভেঙে গেছে? ফেলে দাও! বাড়ি রঙ করা শেষ? বাকি থেকে যাওয়া অল্প রঙটুকু ফেলে দাও! রান্না করার কাঠের চামচটা পুরনো হয়ে গেছে? ফেলে দাও! আইসক্রিম খাওয়া শেষ? কাঠিটা ফেলে দাও! জামা থেকে মুক্তোর পুঁতিগুলো খুলে পড়েছে? ফেলে দাও! কাচের চুড়ি ভেঙে গেছে? ফেলে দাও! স্কুলের বই পড়া শেষ করে ভার্সিটিতে উঠেছ? পুরনো বইগুলো ফেলে দাও!
অনেক কষ্টে একদিন আমি সেই ‘সব ফেলেছি’র দেশে কীভাবে যেন ঢুকে পড়লাম। দেশটাতে সুন্দর কিচ্ছু নেই। সুন্দর কিছু ব্যবহারের পরে যখন সবকিছু পুরনো হয়ে যায় তখন তারা সেগুলো পথের মোড়ে ফেলে দেয়। সেই মোড়ের ধারে আবার বিলবোর্ডে বড় করে বিজ্ঞাপন দেয়া থাকে- ‘বদলে যাও, বদলে দাও’। এত অসুন্দরের ভিড়ে নতুন যা কিছু সুন্দর আসে, তাও ব্যবহারের পর একসময় আবার অসুন্দরের তালিকায় জমতে থাকে। দেশের মানুষগুলোও ভীষণ অদ্ভুত! সবাই বলে, ‘বদলে যাও, বদলে দাও’। সবাই বলে, ‘যেখানে সেখানে ময়লা ফেলো না’। কিন্তু কেউ বলে না- যেটা তুমি আবর্জনা ভেবে ফেলে দিচ্ছ দেখ তো, সেটা আসলেই আবর্জনা কিনা, সেটা আসলেই অসুন্দর কিনা, সেটা আসলেই ফেলে দেবার মত কিনা।
তো আমি এই ‘সব ফেলেছি’র দেশে বসবাস করার জন্য একদিন একটা অস্ত্র বের করলাম, গোপন অস্ত্র- আমার জাদুর তুলি! ছেলেবেলায় গল্প পড়তে পড়তে একদিন এই জাদুর তুলিটা খুঁজে পাই আমি। তুলিটা অসুন্দর, সাধারণের দৃষ্টিতে অব্যবহার্য কোন কিছুর গায়ে বুলিয়ে দিলেই তা ম্যাজিকের মত নিমিষেই নতুন কিছু হয়ে যায়!
আমি সেই তুলিটা হাত থেকে পড়ে ভেঙে যাওয়া গ্লাসের টুকরোর গায়ে বোলালাম, অমনি ওগুলো গ্লাস পেইন্টিং হয়ে গেল!
বাড়ি রঙ করা শেষে বেঁচে যাওয়া রঙটুকুর গায়ে বোলালাম, অমনি তা ওয়াল আর্ট হয়ে গেল!
রান্নার পুরনো কাঠের চামচগুলোর গায়ে বোলালাম, সেগুলো পেন্ডেন্ট ল্যাম্প হয়ে গেল!
আইসক্রিমের কাঠিগুলোর গায়ে বোলালাম, সাথে সাথে তা রামধনুমোড়া বাক্স হয়ে গেল!
জামা থেকে খুলে পড়া মুক্তোর পুঁতিগুলো তুলির একটুখানি স্পর্শে হাতের ব্রেসলেট হয়ে গেল!
ভেঙে যাওয়া কাচের চুড়ির টুকরোগুলো হয়ে গেল গিফট কার্ডের মেঘ, যা থেকে আবার টুং টাং শব্দে বৃষ্টি ঝরে পড়ে!
আর স্কুলের পুরনো বইয়ের পাতাগুলো হয়ে গেল জানালা ঘিরে থাকা ফুলেল প্রতিকৃতি!
আমার গ্লাস পেইন্টিং কেনার টাকা লাগল না, দেয়াল সাজাতে নতুন কোন ওয়াল হ্যাং কিনতে হল না, ঝুলন্ত বাতি কেনার খরচটাও পকেটেই রয়ে গেল! এটা ওটা রাখার বাক্স, হাতের ব্রেসলেট, মিউজিকাল কার্ড সবই ফ্রিতে পেয়ে গেলাম! যেগুলো আর কোত্থাও নেই, ‘সব ফেলেছি’র দেশের কোন দোকানেও না! এমনকি বিশাল বড় জানালার অনেকগুলো পর্দা কেনার বিপুল পরিমাণ অর্থটাও বেঁচে গেল আমার!
তারপর একে একে আমি ফেলে দেয়া বাঁশ দিয়ে একটা ফুলদানি বানিয়ে ফেললাম, কারও ফেলে যাওয়া পানির বোতল থেকে বানিয়ে ফেললাম একটা পেন হোল্ডার, আর আবর্জনার প্লাস্টিক দিয়ে আরও বানালাম ফুল, প্রজাপতিওয়ালা আয়না, মানিপ্ল্যান্ট রাখার পাত্র, এমনকি শাড়ি-ওড়নার ছোট্ট পিনগুলোও! আর তারপর সেগুলো উপহার দিলাম ‘সব ফেলেছি’র দেশের বন্ধুদের।
আমার যে অনেক বড় স্বপ্ন- একদিন ‘সব ফেলেছি’র দেশের গরিব মানুষগুলো আর ঘর সাজাতে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করবে না, প্রিয় মানুষগুলোকে উপহার দিতে বিদেশ থেকে আমদানি করা দামি ঘড়ি আর পেইন্টিং কিনবে না। নিজেরা কষ্ট করে পচা একটা জিনিস থেকে খুব ভালো কিছু, একেবারে নতুন কিছু বানাবে। যাতে মিশে থাকবে তাদের ভালোবাসা আর আবেগের স্পর্শ। তাদের থাকার ছোট্ট জায়গাটা খুব সাধারণের মাঝেও অসাধারণ হবে আর সাথের প্রিয় মানুষগুলো একসময় বুড়ো হয়েও বেঁচে থাকবে সেই ভালোবাসার অমূল্য জিনিসটির স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে। আর তারা বেঁচে যাওয়া অর্থ খরচ করবে অন্য কোন ভালো কাজে, কোন বিপদের মুহূর্তে কিংবা কোন প্রয়োজন মেটাতে।
আমার জাদুর তুলিটার মত আরও এমন অনেক লুকিয়ে থাকা তুলির খোঁজ কেউ কি পেতে চাও? তাহলে চোখ রাখ এখানে ! একদিন না একদিন তুমি ঠিক খুঁজে পাবে তুলিটা, আমি নিশ্চিত!
আগের সরব আইডিয়া:
[সরব আইডিয়া]: আপনার জন্মদিন পালটে দিতে পারে আরেকটি মানুষের জীবন
আহা! কী আইডিয়ারে ভাই! মনটা ফুলেল হয়ে গেলো।
ইন্সপিরেশন পাইলাম। দেখি আমি কাটাকুটি আর আঠা লাগালাগি করে ফুলেল কিছু বানাতে পারি কিনা 😀
খুব সুন্দর সব আইডিয়া। :huzur:
ইন্সপিরেশন পাইছেন ভাইয়া!
উফ আমার কী সৌভাগ্য! :happy:
অনেক সুন্দর লিখা, এভাবে তো আগে কখনো ভাবি নি। 🙂
তাই তাই?
তাহলে এখন থেকে ভাববেন। 🙂
আপি, আইডিয়াটা খুবই ভালো লাগল। :love:
সিস্টার শিখা আমাদের সবসময় inspired করতেন ,জন্মদিনের কার্ডগুলো যেন নিজের হাতে বানিয়ে দেই। আর তাতে যেমন আদর আর ভালবাসার ছোঁয়া থাকে তেমন টা কেনা কার্ডে থাকে না।
তবে ফেলে দেয়া জিনিস দিয়ে তুমি যেভাবে জিনিস বানালে অমন বানাতে আমার আরেকবার জন্ম নেয়া লাগবে। :huzur:
মোটেও আরেকবার জন্ম নেয়া লাগবে না।
আমার যা আছে তোরও তাই আছে- দুইটা হাত, দুইটা পা, দুইটা চোখ আর একটা মাথা।
এবার মাথা খাটিয়ে হাত-পা-চোখ কাজে লাগিয়ে চেষ্টা করে ফেললেই হয়ে গেল!
মোটেই কঠিন কোন ব্যাপার না! :beshikhushi:
শুধু আইডিয়া দিলেই হবে? হাতে কলমে শেখাতে হবে না? সরবের ইয়ে ত জানি না, এখানে কি আইডিয়া সেকশনে আইডিয়া দিলে তারপর সেটা এক্সিকিউট করার ব্যবস্থা নেয়া হয়? পরের ধাপ কী?
কাছের মানুষদেরকে হাতে-কলমে শেখাই তো আপু। 😀
আইডিয়া সেকশনে যতদূর জানি যে ভালো ভালো নতুন আইডিয়া দেয়া হয় যেটা মানুষ চাইলে সহজেই গ্রহণ করতে বা কাজে লাগাতে পারবে।
এক্সিকিউট করার ব্যবস্থা আসলে নিজেদের থেকেই শুরু হয়। যে আইডিয়া দেয় সে নিজে কিছু এমন চেষ্টা করেছে বলেই দেয় কিন্তু গণ আকারে এক্সিকিউট করার ব্যবস্থা তো এখনো তৈরি হয় নি আপু! 🙁
অসাধারণ একটা লেখা, আসলেই! পড়লে মন ভাল হয়ে যায় এমন। :love:
তৃতীয় ছবির জিনিসটা আমি উপহার পেয়েছি, সেটা এখানে বলে গেলাম। :happy: যাতে ‘সব ফেলেছি’র দেশের অন্য বন্ধুরাও এখন থেকে তোমাকে উপহারের জন্য জ্বালাতন করে!
বানান ভুল ধরছি রে! :babymonkey:
বিজ্ঞাপণ>বিজ্ঞাপন হবে না?
ওহ্ আর আমি যে তোমার দেখাদেখি নিজেও দুইটা ওরিগামি বুকমার্ক বানিয়েছি সেটাও বলে গেলাম। 😀 যদিও তোমারগুলির তুলনায় কিছুই না, তারপরেও নিজে কিছু বানাতে পারলে যে কত ভাল লাগে সেটা একটু হলেও বুঝেছি।
তুই আমাকে ভোগাবি বুঝতে পারছি!
এইভাবে জনগণের সামনে ফাঁসিয়ে দিয়ে গেলি! 😯
আমার টাইপো কবে যাবে? :wallbash:
ইনবক্সে পচানি খাইতে খাইতে আমি আর নাই! :crying:
পচানি আবার কেন খাইছো? 😳
এইখানে আর মনে করাইস না রে।
তোর পায়ে পড়ি!
তুই তো জানিস কেন খাইছিলাম!
অভ্র অন করে লিখে ফেলছিলাম যে! ঐটা! :crying:
চমৎকার সব আইডিয়া!
এই ব্লগের সদস্য নই আমি, নতুবা, এই পোস্ট আমার প্রিয় লেখার সিন্ধুকে তুলে রাখতাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
তবে ইচ্ছা থাকলে এই ব্লগের সদস্য হওয়া কিন্তু কঠিন কিছু নয়। 🙂
ফিনিক্স,
পুরাই জোস আইডিয়া!! কিভাবে কি করসো, ঐটা বলবা না?? তাহলে তো সবাই বানাইতে পারতো। এখন তো দেখে দেখে খালি আফসুস করা লাগবে!! :wallbash:
কীভাবে কী করছি এইটা বলা শুরু করলে পোস্ট নীল নদের সমান লম্বা হয়ে যাবে! 😛
তাছাড়া সবকিছু বানানোর নিয়ম লেখেও বোঝানো দায়।
কাজের সময় ভিডিও করা গেলে সবচেয়ে জোস হইত!
কিন্তু কে করবে? মানুষ তো নাই! 🙁
অসাধারণ! অসাধারণ!
কোন জিনিসই যে আসলে ফেলে দেয়ার না, এই চিন্তাটা দারুণ লাগে। আমাদের বাসার ফেলে দেয়া জিনিস তুলে রাখার কাজটা আমার ছোটবোন করে থাকে। ডিমের খোসা থেকে শুরু করে কালি শেষ হয়ে যাওয়া কলম, রঙ্গিন কাচ, কাগজ, পেইন্ট যব সে সযত্নে তুলে রাখে। যদিও আমি খুব একটা ক্রিয়েটিভ না এ ব্যাপারে আমার কিন্তু দারুণ লাগে আইডিয়াটা। তবে মাঝে মাঝে দুই বোন মিলে যে কিছু বানিয়ে ফেলি নি তাও না। :happy:
এই প্রসঙ্গে আরেকটা খুব সুন্দর স্মৃতি মনে পড়ে গেল। অনেক পিচ্চিকালে একবার নানুবাড়িতে আমার বাবা, মামা আর আমি মিলে আগেকার দিনের কালি ফুরিয়ে যাওয়া ইকোনো কলমগুলো গলিয়ে আর ফিউজ হওয়া বাল্বকে ছাঁচ হিসেবে ব্যবহার করে রঙ্গিন একটা পেপার ওয়েট বানিয়েছিলাম! সেই পেপার ওয়েট নিয়ে উত্তেজনার শেষ ছিল না, বানানোর পর সারাক্ষণ সামনে সামনে রাখতাম। এই চিন্তাগুলোকে সরব আইডিয়া হিসেবে তুলে ধরার জন্য ফিনিক্সকে সাধুবাদ জানাই। 🙂
আরে! এই পেপারওয়েটটা তো আমরাও বানিয়েছিলাম ছোট থাকতে। 😀
সামিরাকেও চিমটি দিলুম!
ছোটবেলায় কেউ পেপারওয়েট বানায় নাই, এমন মানুষ মনে হয় নাই! 😛
ওয়াও!! সবাই যে এই জিনিস বানাইয়া ফেলছে পিচ্চিকালে জেনে বড়ই প্রীত হইলাম! :happy:
আমারও ভালো লাগছে খুব।
অন্তত একটা জিনিস সবাই বানাইছে জীবনে! :happy:
ছোটবেলায় ইকোনো বলপেন গলিয়ে পেপার ওয়েট আর বুদবুদের মালা বানানোর অভিজ্ঞতা বোধহয় কম-বেশি সবার আছে!
আমারও আছে আপু!
চিমটি চিমটি! :happy:
আর তোমার বোনের জন্য আমার তরফ থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা দিয়ে দিও। :love:
নিজে কিছু সৃষ্টির আনন্দ সত্যিই অন্যরকম!
এখন আর চেষ্টা করছ না কেন আপু? 🙁
প্রবাসিনীদের জন্য এই কাজ খুব কঠিন। দৌড়ের উপর জীবন 🙁 আমার বোন অবশ্য এর মধ্যে অনেক কিছু বানিয়ে ফেলছে… 🙂
ওহ, আপু প্রবাসী! 🙁
এইজন্যই আমার প্রবাস জীবন ভালো লাগে না!
বিদেশে যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নাই আমার।
তোমার বোন কী কী বানাইছে আপু?
আমার তো দেখতে ইচ্ছে করছে! 😐
🙂
ফিনিক্স পাখিটা এত্ত জোস কেন ??
:love:
[সরব আইডিয়া] গুলো আসলেই :huzur:
কারণ আমার আশেপাশের মানুষগুলো (যেমন, তুই) নিজেরাই জোস, তাই আমাকেও তারা তাদের মত করেই ভাবে। :love:
তোমার ব্রেনটা থেকে কি কিছু ডাটা নেয়া যাবে??? 😡
এত্ত সুন্দর কেন???? :balancin:
ছবি গুলা দেখে কিঞ্চিত দুঃখিত। 🙁 নিজের আকাম-কুকাম গুলার ছবি তুলে রাখা হয় নাই… 🙁 যাও কিছু ছবি ছিল তাও হারাইয়া ফেলসি :crying: :crying: :crying:
আমার ব্রেনের চেয়ে তোর ব্রেন আরও বেশি উন্নত রে বোকা।
তুই এটা বুঝলি না! আফসোস! 🙁
আবার শুরু কর নতুন করে।
দেখবি একদিন সবকিছু আগের মত হয়ে যাবে, হয়ত আগের চেয়েও ভালো হবে। :love:
প্রথমে ভেবেছিলাম সম্ভবত কড়া একটা রাজনৈতিক পোষ্ট হবে হয়তো। ভাবতেই ধরেই নিয়েছিলাম, আমি মন্তব্য করতে পারবো না এমন কড়া রাজনৈতিক পোষ্টে।
যাই হোক, আমি নিশ্চিত বিষয়টিকে অনেকেই খুব হালকা চোখে দেখবে। কিন্তু আজ আমাদের মাঝে misuse, reuse and recycle এর জ্ঞান ও অভ্যেস না থাকায় আমরা প্রচুর সম্পদ অপচয় করি। আপু, তুমি যেগুলির কথা বলেছো সেগুলি ছাড়াও আজ শুধু no misuse, do reuse and do recycle জ্ঞান না থাকায় আমরা প্রতিদিন প্রচুর পানি, গ্যাস, তেল, বিদ্যুত অপচয় করি। আর এই বদঅভ্যের কারণ স্বরুপ আজ আমরা খাবারও অপচয় করি, অতিরিক্ত পোষাক কিনেও অপচয় করি, প্রতিদিনের লাইফ স্টাইলে নানা ধরনের জিনিষের অপচয়ের তালিকা।
নিজের বদলিয়ে, আমাদের শিশু সন্তানদের একদম ছোট বেলা থাকেই এই সব বিষয়ে জ্ঞান দেয়া দরকার ও অভ্যেস করানো দরকার। কথা প্রসঙ্গে একটু জানাই তোমাকে। যখন আমার বাচ্চার বয়স ৪ কি ৫ হবে। তখন থেকেই ওদেরকে no misuse, do reuse and do recycle এর concept টা ঢুকিয়ে দেই। আমি জানি না বড় হতে হতে ওরা কতুটুকু করবে, কিন্তু এখুনি ওরা reuse & recycle এর নানা বুদ্ধি বের করে। 🙂
ঠিক ভাইয়া।
আমি এই ব্যাপারগুলো নিয়ে খুব ভাবি।
কিন্তু জানেন তো ভাইয়া, শুধু বিধি-নিষেধ-নীতিবাক্য দিয়ে মানুষকে কখনো মোটিভেট করা যায় না।
এইজন্যই আমি আমার মত করে অলটারনেট খুঁজে বের করছি।
একটা-দুটো করেও কেউ যদি শুরু করে, একস্ময় বড় পরিসরে তারা এর উপকারিতা ঠিক বুঝতে পারবে। আর তখন অন্যান্য অপচয়ের ব্যাপারেও সচেতন হবে।
মামণি দুইটার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা আর প্রার্থনা।
ওরা যেন বড় হয়েও নিজেদের মাঝে এই অভ্যাসটা ধরে রাখতে পারে, সেটাই কামনা করছি। 🙂
এজন্যই ফিনিক্স বাঁশ দেখলেই বলে আমাকে যদি এক টুকরা দিতো…… 😛
তোর এই কাজগুলো অনেক অসাধারণ, অনেক প্রশংসনীয়। চালিয়ে যা, আর আমাদের আরও এমন জিনিস বানিয়ে গিফট দিয়ে যাস। :happy:
আহ, আমার বাঁশ!
আমি বাঁশ এত্ত ভালোবাসি! :love:
তোকে দেয়া গিফটটা ভালো হয় নাই।
আরেকটা বানিয়ে দিবোনে ইনশাআল্লাহ। 😀
ভালো হয়েছে-এটা আর না বলি, অনেকবার বলে ফেলেছি 😛
তবে, আরও দিলে আপত্তির কিছু নাই। 😀
তুই বললেই আমি বিশ্বাস করব নাকি?
এখন আমার আছে গ্লু গান, হু হু হা হা হা।
পরেরবার থেকে আর তোর প্রজাপতির পড়ে যাবার ভয় থাকবে না! 8)
দেয়ালের রঙ গুলো কি রঙ দিয়ে করেছো আপু? আমি তোমার এই কাজ গুলো কপি করব আমার রুমে 😀
কোন অসুবিধা নাই আপু।
আমি বরং খুশিই হব। 😀
বাসায় রঙ করার পর প্লাস্টিক পেইন্ট বেঁচে গিয়েছিল অনেকখানি।
ওয়াল আর্ট এই বেঁচে যাওয়া রঙ আর আমার কাছে থাকা অ্যাক্রাইলিক রঙ দিয়ে করা। আমি মিস্ত্রি মানুষ তো, আমার কাছে সবসময়ই ৫-৬ ধরণের রঙ থাকে। একেক রঙ একেক জায়গার জন্য ব্যবহার করতে হয়। মোটামুটি সব ধরণের কাজ করার জন্য এসব রঙ আমার কাছে আছে। 🙂
এই জন্যই এত সুন্দর 🙂 আমি এর ধারে কাছেও নিতে পারব কিনা সন্দেহ। আর রঙ এর ধারনাও নেই তেমন আমার। কিন্তু দেখে খুবই করতে ইচ্ছে করছে 🙂
অবশ্যই করবেন আপু, কেন নয়?
সাহস করে করে ফেলুন।
রঙের ব্যাপারে বা অন্য যে কোন সাজেশনে আমি তো পাশে আছিই, ভয় কী? 🙂
এই পোস্টটা দেখলে কেমন জানি মন খারাপ হয়ে যেত প্রথম প্রথম! মানুষজন কতো অসাধারণ করে ফেলে দেওয়া বাতিল জিনিস ব্যবহার করে অদ্ভুত সুন্দর সব জিনিস তৈরি করে!! বিশাল হিংসিত হতাম!! কিন্তু তারপর মনে হলো, আমাদের মতো কিছু বেকার কাজ না খুঁজে পাওয়া মানুষ না থাকলে এগুলো দেখবে কে!!
তাই মহানন্দে চলে এলাম!! গুড গুড!! চালিয়ে যাও! 😛
আসলেই অসাধারণ!
‘বেকার, কাজ না খুঁজে পাওয়া মানুষ’- হায় আল্লাহ!
আরও কত কী যে শুনব! 😯
রঙ নিয়ে কিছু বলত? কোথায় রঙ পাব দেয়ালের জন্য। ? 🙂 বা কি বলতে হবে? মানে প্রচলিত কি নাম? আর প্লাস্টিক পেইন্টের উপর কোন রঙ দিলে ভাল হবে?
দেয়ালের রঙ কেনার জন্য বার্জারের ডিলার পয়েন্টে বা রঙের দোকানগুলোতে যেতে হবে আপু। মানে যেখানে বাড়ি রঙ করার জন্য রঙ কিনতে পাওয়া যায় সেখানে।
প্লাস্টিক পেইন্টের উপর প্লাস্টিক পেন্টেই রঙ করা ভালো।
আমিও তাই করেছি। তবে অসুবিধা হল, প্লাস্টিক পেইন্ট কম পরিমাণে পাওয়া যায় না। লিটার হিসেবে প্রতিটা রঙের দাম পড়ে প্রায় ৮০০ টাকার মত, যতদূর মনে পড়ে।
তাই বিকল্প হিসেবে এনামেল পেইন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো ৫০ টাকা, এমনকি ১০ টাকার ছোট কৌটাতে অল্প পরিমাণেই পাওয়া যায়। আমি ১০ টাকার পরিমাণে প্রায় ৫-৬টা বেসিক রঙ কিনে রেখে দিয়েছিলাম অনেক আগেই। যে রঙের প্লাস্টিক পেইন্ট ছিল না সেটা এনামেল পেইন্ট দিয়েই চালিয়ে নিতে পেরেছি তাই সহজেই। 😀
জাপানে রিসাইকেলের উপর খুব জোর দেওয়া হয়। খাওয়ার সময় ওরা চপস্টিকই তো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে, চপস্টিক অনেক বেশি রিসাইকেল করা হয়। কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়ার পরে পেট বোতলগুলো আলাদা করে রাখা ট্র্যাশবিনে ফেলে দেওয়া হয়। আমাদের ডর্মের সবাইকে সাপ্তাহিক ক্লিনিং করতে হয়, তখন যে যার মত আমাদের ডর্মের ফেলে দেওয়া পেট বোতলগুলো নিয়ে, লেবেলগুলো ছিঁড়ে ও ধুয়ে আলাদা একটা বক্সে রেখে দেই, পরে ওগুলো রিসাইকেল ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হয়।
আমরা আমাদের সম্পদের অপর্যাপ্ততা নিয়ে অনেক হাহাকার করি, অথচ সবাই যদি এভাবে reuse এবং recycle করতে শুরু করি, তাহলে অনেক অযথা খরচ বেঁচে যায়, মিতব্যয়ী হয়ে অনেক অপচয়ও রোধ করা যায়।
খুবই ভালো লাগলো পোস্টটা, এক কথায় “awesome & aesthitic!” :dhisya:
আমি নিজেও অনেকভাবে করার চেষ্টা করি পুরানো ফেলে দেওয়া জিনিসগুলোকে, তবে ফিনিক্সের মত এত শৈল্পিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত নয় :crying:
*aesthetic*
spelling error :wallbash:
শৈল্পিক সৌন্দর্য তো অনেক পরের বিষয়।
চেতনাটাই মূল।
অনেক ভালো লাগল এই চেতনা তোমার ভেতরে আছে জেনে। 😀
অনেক ভাল লেগেছে 🙂
মন্তব্য পেয়ে আমারও অনেক ভালো লেগেছে। 😀