সে ছিল এক বিশেষ দিন, গত ৪ জুলাই, বিশ্বের বিজ্ঞানপ্রেমীদের মাঝে সাড়া ফেলে দিয়েছিল এই একটি কণা। প্রায় ৫০ বছর আগে, বিজ্ঞানী হিগসের বর্ণিত “হিগস-ফিল্ডের” প্রস্তাবনার মাধ্যমে পদার্থবিজ্ঞানের মাঠে দৌড় শুরু করে এই ঈশ্বর কণা বা হিগস বোসন। (( বিজ্ঞানী হিগস এর ‘হিগস ফিল্ড থিওরী’ আর আমাদের বাংলাদেশের বিজ্ঞানী সত্যেন বোস স্যারের আবিষ্কার ‘বোসন কণা’ তত্ত্বের সম্মিলনে এর নাম হয় হিগস বোসন কণা। পরবর্তীতে কণাটি ঈশ্বর কণা নামে জনপ্রিয়তা লাভ করে। )) পদার্থের ভরের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ধারনায় আসা এই কণা বিশ্বের বাস্তব-অস্তিত্বের জন্য প্রস্তাবিত “স্ট্যান্ডার্ড মডেল” এর পূর্ণতা সাধনকারী শেষ কণায় পরিণত হয় ধীরে ধীরে।
বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রে পরিচালিত বহু পরিক্ষণের শেষে, গত ৪ জুলাই ২০১২, “সার্নের” বৃহৎ-হেড্রন-সংঘর্ষক (লার্জ হেড্রন কোলাইডার) এ প্রাপ্ত পরীক্ষণে ধরা পড়ে এই ঈশ্বর কণার অস্তিত্ব।
বৈজ্ঞানিক গবেষণার নিয়ম মানতে গিয়ে, কণার অস্তিত্ব প্রাপ্তির সাথে সাথে সার্ন নিশ্চিত করে বলে নি যে এটিই হিগস-বোসন কণা। কারণ, এক্সপেরিমেন্টের ফলাফল থেকে, যথাযথ সমালোচনা ও খুঁটিনাটি পরীক্ষা না করে, কোন কিছুই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তার উপর, পরীক্ষণ পদ্ধতির মধ্যেও থাকতে পারে ত্রুটি। উদাহরণমতে, এর কিছুদিন আগেই অন্য এক গবেষণাগারে আলোর চেয়েও বেশী গতির নিউট্রিনো আবিষ্কারের ঘোষনা আসে, যা পরে ভুল প্রমাণিত হয়।
এতদিন পর, সার্নের পরীক্ষণের প্রাপ্ত উপাত্তের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা যে গবেষণাপত্র বের করেছিলেন, তা অন্য বিজ্ঞ গবেষকদের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের পর “ফিজিক্স লেটারস” নামক গবেষণা সংকলনের ‘বি’ (( এটা ‘ফিজিক্স লেটারস’এর নিউক্লিয়ার আর পার্টিক্যাল ফিজিক্সের ক্যাটাগরী। গবেষণাপত্র এই জার্নালে প্রকাশিত হবার আগে উল্লখযোগ্য সংখ্যক বিজ্ঞানীর রিভিউ পার করে আসতে হয়। এজন্য একে এ জাতীয় গবেষণার এক প্রকার স্বীকৃতিপত্র বলা হয়ে থাকে। )) -তে ছাপানোর হয়েছে। এর ফলে মূলত, ঈশ্বর কণার সেই সম্ভাব্য আবিষ্কারের সত্যতা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। :dhisya:
এখন মজার প্রশ্ন হচ্ছে, অধিক কাঠখোট্টা যেসব বিজ্ঞানী ৪ জুলাইকে ঈশ্বর কণার জন্মদিন হিসাবে উৎযাপন করতে গড়িমসি করেছিলেন, তারাও এখন কি এ কণার আবিষ্কারের ব্যাপারে নিঃসন্দেহ হয়ে আনন্দোৎসব করবেন? না কি এখনো সেই গোঁ ধরে বসে থাকবেন? 😛
🙂
মূল পোস্ট: আজ ৪ জুলাই! ঈশ্বর কণা দিবস!
খবরের লিঙ্ক:
ফোরবসের খবর, গিজমোডোর খবর…
স্টিফেন হকিং এইবার খাইছে ধরা! :happy:
পোস্ট কম কেন এত ভাইজান? আপনাকে তো খুঁজেই পাওয়া যায় না!
“বিজ্ঞানী হিগস এর ‘হিগস ফিল্ড থিওরী’ আর আমাদের বাংলাদেশের বিজ্ঞানী সত্যেন বোস স্যারের আবিষ্কার ‘বোসন কণা’ তত্ত্বের সম্মিলনে এর নাম হয় হিগস বোসন কণা। পরবর্তীতে কণাটি ঈশ্বর কণা নামে জনপ্রিয়তা লাভ করে।” – আমাদের গর্ব!” :penguindance:
ঠিক!
আমাদের গর্ব! :penguindance:
হিগস বোসনের অস্তিত্ব তো নিশ্চিত করে প্রমাণিত হয় নাই বলেই জানি । এই পরীক্ষনের ডাটা তখন কেবল পাওয়া গেছিল গত জুলাইএ, কিন্তু, ফেনোমেনাগুলো ব্যাখ্যা করার জন্য হিগস বোসন আবশ্যক এরকম প্রমাণিত হয়নি তখনো। গত মার্চে ট্যানটেটিভলি হিগসের অস্তিত্ব আছে বলে ঘোষণা করা হয় । হিগস বোসনের প্রমাণে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল, এটা ব্যবহার না করেই প্রায় সব কিছুই ব্যাখ্যা করা যায় । তবে, গ্রাভিটিও কোয়ান্টাইজড হচ্ছে এটা নিশ্চিত হলে বেশ কিছু থিওরিতে সম্ভবত আগানো যাবে ।
বিঃদ্রঃ হিগস বোসনের সাথে আসলে বোসের কোন সম্পর্ক নাই; বোসন দুনিয়ার অর্ধেক পার্টিকেলের ক্লাস, আরেকটা ক্লাস হলো ফার্মিওন । বোসনগুলা বোসের স্ট্যাটিসটিকস ফলো করে – আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের তাই অনেকটা অংশই আসলে বোসের থিউরির উপর দাঁড়ায় আছে ।
ডিসক্লেইমারঃ আমি পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র না, তাই যা বললাম তার সবই বন্ধুদের কাছে শোনা বা এখানে সেখানে পড়া । সুতরাং, ভ্রম মার্জনীয়!