এই প্রথমবার একটা পূর্ণ ‘প্রেমময়’ টপিক নিয়ে লিখতে বসলাম। পোস্টের আগা টু গোড়া ভালোবাসার প্রাথমিক ব্যবচ্ছেদ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি জানি এতে করে অনেকেই অনেক রকম ট্যাগ আমায় দিয়ে বসতে পারেন। তাদের জন্য ছোট্টবেলার সেই ছড়ার দুটো লাইন-
আমি কি আর কাউরে ডরাই?
ভাঙতে পারি লোহার কড়াই।
যাই হোক, মূল কথায় আসি।
আজকাল ভালোবাসা প্রকাশের এক আধুনিক মাধ্যম হল ফেসবুক। প্রতিদিন এতে কোন না কোন প্রেমের কাহিনী চোখে পড়বেই।
শুরুটা হয় রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস দিয়ে। হোমপেইজে সপ্তাহে কম করে হলেও বার তিনেক চোখে পড়বে- ‘ইন আ রিলেশনশীপ’ অথবা ‘এনগেজড’! এই দুটোর ভেতরে তফাৎ একসময় ধরতে পারতাম না। মনে হত, এনগেজমেন্ট না হলেও মানুষ ‘এনগেজড’ লেখে কেন? অনেক ভেবে যে উত্তরটা মাথায় এল সেটা হল- জোর বা গুরুত্ব দেয়া। ভার্চুয়াল জগতে আংটি বদল সম্ভব না হবার কারণে একটু বেশি গভীরতা বোঝাতেই যেন এই শব্দটির উল্লেখ করে মানসিক শান্তি লাভ করার চেষ্টা করেন পাত্র-পাত্রী। অবশ্য পাত্র-পাত্রীকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। পৃথিবী থেকে শান্তির বংশধর যখন প্রায় কোমায় চলে যেতে প্রস্তুত তখন মানুষ অনেক খুঁজে পেতে শান্তির চুল কিংবা চুলের গোড়ার খুশকি যা পাবে তাই ধরে ঝাঁকুনি দেয়ার চেষ্টা করবে, এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে প্রেমের ক্ষেত্রে। পাত্র-পাত্রী নিজে যতটা না ভালোবাসবে, তারচেয়ে ১০০ গুণ বেশি দেখানোর চেষ্টা তাদের থাকবেই।
রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস তো পরিবর্তন করা হল। এবারে তার সাথে যোগ হবে আরও বিশেষ কিছু জিনিস।
একদিন এক বন্ধুর কাছ থেকে অভিনব এক ব্যাপার শুনলাম। পাত্রী নাকি পাত্রর ফেবু দেওয়ালে ভালোবাসার চিকা মেরে রেখে এসেছে। লিখেছে- কোলে উঠব! শুনে চোখ আমার, যাকে বলে আদতেই ‘সার্কেল সার্কেল’ (গোল্লা গোল্লা) হয়ে গেল! চট করে মনে এল, বাংলা সিনেমার দুর্ভাগা(!) নায়কদের কথা। নায়িকাকে (অথবা দর্শককে) গাঢ় প্রেমের নমুনা বোঝাতে যার প্রধান কাজ নিজেকে শিশুপার্কের দোলনা (যেখানে শিশুরা চড়ে না) প্রমাণ করা। মনের ভেতরে যাই হোক, আশা করি আমাদের সেই আলোচিত পাত্র বেশ খুশিই হয়েছিলেন। কারণ সেই চিকার নিচে অনেক বন্ধুই নাকি তাদের প্রেমের গভীরতায় মুগ্ধ হয়ে বেশ রসাত্মক মন্তব্য করেছিলেন!
বাহারি চিকার পরের নিদর্শন হল, একের পর এক প্রেমময় স্ট্যাটাস দেয়া এবং এন (N) সংখ্যক প্রেমের পেইজে লাইক দেয়া।
‘আজ ওর সাথে দারুণ সময় কাটিয়েছি’ কিংবা ‘ও আমাকে ওমুক জিনিস গিফট করেছে, আমি ভাবতেই পারি নি’ এইসব ডালভাত স্ট্যাটাস (যা প্রতি বেলাতেই নূন্যতম একটা করে দেয়া হয়) তো আছেই, দেখা গেল ‘আম্মি রোমিও ও ও, তুম্মি জুলিয়েট এট এট’ টাইপ পেইজের অতি রোমান্টিক ছবিও শেয়ার দেয়া শুরু হয়ে গেছে!
ভীষণ অবাক লাগে যখন দেখি খুব পরিচিত কেউ (হয়ত আগের কোন ক্লাসমেট) বেশ অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে ছবি আপলোড করে ফেলেছে। দেখতে না চাইলেও হোম পেইজে ছবি চলে আসায় বিপত্তি ঘটে, চোখ পড়েই যায়। তবে দুসেকেন্ড কী দশ মিনিট, যতক্ষণ ধরেই দেখি না কেন, বাজি ধরে বলতে পারি, মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখলেও এই ধরণের ছবিতে দুজনের মধ্যে কেউ পিকোমিটারের ব্যবধান পর্যন্ত বের করতে পারবে না। আফসোস হয়, গ্রামীণফোনের এত কষ্টের স্লোগান (দূরত্ব যতই হোক, কাছে থাকুন) এভাবে বৃথা গেল!
কয়েকদিন আগে আরেকটা ছবি চোখে পড়ল। পাত্রী শাড়ি পরে হেঁটে যাচ্ছে আর পিছনে পাত্র শাড়ির আঁচল টেনে ধরে হাসি হাসি মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে! এই ছবির মানে কী তা আমি আজও বুঝতে পারি নি! তবে এসব ছবি দেখলে প্রথমেই যেটা মনে হয়, ‘ইশ, সরকার যদি এদের বেডরুম (ফেসবুক) পাহারার দায়িত্ব সত্যিই নিত, যদি ইউটিউব, গুগল বন্ধ না করে এদের প্রি-বেডরুম শো বন্ধ করত তাহলে কতই না ভালো হত!’
এ তো গেল ডুয়েট ছবির কথা। প্রেমের ক্ষেত্রে একাকী (সিঙ্গেল) ছবিও বাদ যায় না, যদি পাত্র নিজে ফটোগ্রাফার হন। তাদের পাত্রী আবার বিশেষ(!) স্তরের মডেল বনে যান ক্যামেরার সামনে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, পাত্র নিজে গোটা এক অ্যালবামই আপলোড করে বসেন ‘আমার জীবনের হুরপরী’ (অ্যাঞ্জেল ইন মাই লাইফ) টাইপ নাম দিয়ে। সেখানে পাত্রীর বিস্তর ছবি থাকে বিভিন্ন স্টাইলে, আঁকাবাঁকা ভঙ্গিতে। দেখলে মনে হয়, রাঙ্গামাটির পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তাও পাত্রীর কাছে ফেল!
এসব গেল ভালোবাসার পরের কথা। কেউ কেউ আবার এক ধাপ এগিয়ে। ভালোবাসার আগেই তারা (সাধারণত পাত্র) স্ট্যাটাস দিয়ে বসে থাকেন যে প্রেম করলে পাত্রীকে সারা দুনিয়ার মানুষকে দেখিয়ে তবেই তার সাথে প্রেম করবেন! প্রেম তারা ঠিকই করেন, মানুষকে দেখিয়েই করেন। তারপর আবার মাস দুয়েক পরে হয়ত দেখা যায়, সেই প্রেম ভেঙ্গে গেছে। স্ট্যাটাসে বিস্তর কান্নাকাটি চলছে। সাথে ফেসবুক চ্যাটে বা ইনবক্সে সমানে চলছে অতীত পাত্র বা পাত্রীর চরিত্র নিয়ে বন্ধুদের কাছে অভিযোগ। যাকে একসময় ভালোবেসেছিল, তাকে লোকসম্মুখে অসম্মান করতে যেন তাদের দুটো মিনিটও আর তর সয় না! যেন সে অসৎ আর দুশ্চরিত্র- এটা প্রমাণ করতে পারলেই মনের মাঝে শান্তির দ্বাদশ বংশধরের খোঁজ কিছুটা হলেও পাওয়া যাবে!
যবনিকাপাত:
উপরোক্ত প্রতিটি ঘটনা সত্যি, তবে এগুলো লেখার উদ্দেশ্য কাউকে আঘাত দেয়া কিংবা ছোট করা নয়। যাদের ঘটনা উল্লেখ করেছি তারা হয়ত তাদের মানুষটিকে সত্যিই ভালোবাসেন। হয়ত তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের ধরন আমার মত পুরনো ধাঁচের মানুষের সাথে মেলে না। কিংবা হয়ত তারা কোন এক সোনার হরিণের পিছনে ছুটেই চলেছেন কিন্তু তার দেখা পাচ্ছেন না।
সে যাই হোক, তাদেরকে আমি একতরফা দোষ কখনোই দেব না। তবু আমার এই ভালোবাসার ব্যবচ্ছেদের সিদ্ধান্তের খাতিরে ঘটনাগুলো বলা প্রয়োজন ছিল। কারণ এই ধরনের ঘটনাগুলো পরপর সাজালে আমার মাথার ভেতর অনেকগুলো প্রশ্ন এসে হানা দেয়। আমার মনে হয়, ভালোবাসা কি কোন দেখাবার বস্তু? ভালোবাসার মানুষটি কি সুন্দর প্যাকেটে মোড়ানো কোন পণ্য যা অজস্র লোকের ভিড়ে বাজারে এনে প্রদর্শন করতে হয়? ভালোবাসা কি সত্যি এতটাই সস্তা?
শুধু তাই না, শ্যামবর্ণ, শিক্ষিত মেয়েদের ফর্সা হবার ব্যর্থ চেষ্টা নিয়ে আমরা কতই না ব্যঙ্গ করি। কিন্তু এর জন্য কি ছেলেরাও সমানভাবে দায়ী নয়? ভালোবাসা যখন লোক দেখানো প্রতিযোগিতার দ্বারপ্রান্তে এসে ঠেকে তখন কোন কৃষ্ণকলি কি তার অস্তিত্ব অটুট রাখতে জেনে-বুঝেও এই হাস্যকর চেষ্টায় মত্ত হয় না? আমি তো নিজের চোখে দেখেছি, প্রিয় মানুষ আর তার বন্ধুদের সামনে ‘সুন্দর’ হবার জন্য কী প্রাণান্তকর চেষ্টাই না তারা করে! ভীষণ কষ্ট হয় তখন আমার বুকের ভেতরটা থেকে। মনে হয়, যদি আজ মনের মানুষটি চাইত যে তার পাশে হেঁটে চলা মানুষটি ‘দেখতে সুন্দর’ হবার চাইতে মূল্যবোধ, শিক্ষা আর প্রজ্ঞার সমন্বয়ে আরও উজ্জ্বল হোক, তবে কি আজকের মেয়েরা এতটা কোণঠাসা অনুভব করত?
অথচ ‘ভালোবাসা’ আমার কাছে প্রতিটি নিঃশ্বাস নেবার মতই সহজ, সুন্দর, সত্য। সাজানো ছবি নয়, লোকদেখানো শান্তি নয়। ‘ভালোবাসা’ আমার কাছে আঁজলা ভরে সমুদ্রের জল তোলার মত। যত বেশি জলই তুলতে চাই না কেন, যেন আঙুলের ফাঁক গলে ঠিক পড়ে যায়। যেন আশা মেটে না, ভালোবাসার পরিধি কমে যায় না। কেউ যদি সেই আঁজলা ভরা জল তুলে সমুদ্রতীরে বসে রোদ পোহানো মানুষগুলোকে দেখাতে ছুটে যায়, মুঠোয় আর শেষ অবধি জল থাকে না, কেবল জলের ছোঁয়ায় ভিজে একটা রেশ থেকে যায়। ভালোবাসার এই বহিঃপ্রকাশটাও আমার কাছে তেমনি, লোকের কাছে কেবলই শূন্য হাতে ছুটে যাওয়া, যেখানে ভিজে জলের রেখা দেখে ভালোবাসার সমুদ্রসম গভীরতা ভেবে ভ্রম হয়। আঙুল গলে জলটুকু কখন পড়ে গেল তা আর টের পাওয়া যায় না।
নির্মলেন্দু গুণের সেই জনপ্রিয় কবিতাটি (তোমার চোখ এত লাল কেন) এখানে না দিয়ে পারছি না।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভিতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক। আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই ইলেক্ট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী-সেবার দায় থেকে।
আমি চাই কেউ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করুক:
আমার জল লাগবে কিনা, নুন লাগবে কিনা।
পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না।
এঁটো বাসন গেজ্ঞি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক। কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক: ‘তোমার চোখ এত লাল কেন?’
আমি চাই, কখনো ভালোবাসার খোঁজ পেলে কেউ যেন আমায় না বলে, ‘বাহ, দুজনকেই পাশাপাশি বেশ মানিয়েছে তো’।
বরং যেন বলে, ‘বাহ, দুজনকেই একসাথে সুখী লাগছে তো খুব’।
অ্যাটেনশান হাঙ্গরীদের কথা আর কি বলবো।
তবে ঘটনার উৎস বোধ করি আরও অনেক গভীরে।
লিখায় রসবোধ শিরোনাম/বিষয়ের স্থূলতাকে হ্রাস করেছে। 🙂
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া পড়ার জন্য আর মন্তব্য করার জন্য। 🙂
শুধু তাই না, শ্যামবর্ণ, শিক্ষিত মেয়েদের ফর্সা হবার ব্যর্থ চেষ্টা নিয়ে আমরা কতই না ব্যঙ্গ করি। কিন্তু এর জন্য কি ছেলেরাও সমানভাবে দায়ী নয়? ভালোবাসা যখন লোক দেখানো প্রতিযোগিতার দ্বারপ্রান্তে এসে ঠেকে তখন কোন কৃষ্ণকলি কি তার অস্তিত্ব অটুট রাখতে জেনে-বুঝেও এই হাস্যকর চেষ্টায় মত্ত হয় না?
ভালোবাসার এই বহিঃপ্রকাশটাও আমার কাছে তেমনি, লোকের কাছে কেবলই শূন্য হাতে ছুটে যাওয়া, যেখানে ভিজে জলের রেখা দেখে ভালোবাসার সমুদ্রসম গভীরতা ভেবে ভ্রম হয়। আঙুল গলে জলটুকু কখন পড়ে গেল তা আর টের পাওয়া যায় না।
আমি চাই, কখনো ভালোবাসার খোঁজ পেলে কেউ যেন আমায় না বলে, ‘বাহ, দুজনকেই পাশাপাশি বেশ মানিয়েছে তো’।
বরং যেন বলে, ‘বাহ, দুজনকেই একসাথে সুখী লাগছে তো খুব’।
পোষ্টের এই লাইনগুলো কোট না করে পারলাম না। চমৎকার বলেছিস। এই পোষ্টের প্রথম অংশটুকু দেখে কিছু কথা মনে হলো, সেই কথাগুলো বলার লোভ সামলাতে পারছি না।
প্রেম ভালোবাসা নিয়ে ছেলে কিংবা মেয়েদের ফেসবুকে কিংবা ব্যক্তিগতভাবে এই ধরণের শো অফ করার ব্যাপারটা আমার একদম পছন্দ না। কারণ-
-সাধারণত মানুষের ফেসবুকে ১৩ বছর থেকে শুরু করে ৬০+ বয়সের মানুষের এড থাকে। প্রাপ্ত বয়স্কদের কথা যদি কোনভাবে আমরা বাদও দেই তবে টিন এজের ছেলে মেয়েদের কথা ভুললে চলবে না। কাজিন, ফ্রেন্ডের ছোট ভাই/বোন, ক্যাম্পাসের জুনিয়র, নিজের আপন ভাই বোন অনেকেই তো এড থাকে। সব সময় নিশ্চয় তাদের কথা মাথায় রেখে প্রেমিক প্রেমিকারা ফেবুতে স্ট্যাটাস দেয় না। ফলস্বরুপ- এই পোষ্ট, অন্তরঙ্গ ছবি বা স্ট্যাটাস অনেকের জন্যেই এই ব্যাপারগুলো উসকানিমূলক কিংবা বিব্রতকর।
-একবার আমার সাথে এমন হয়েছে যে, আমি ফেবুর হোমে এসেই আমার ফ্রেন্ড ও তার প্রেমিকের কিছু ছবি আর স্ট্যাটাস দেখলাম। পেছনে আমার ক্লাস ফোরে পড়া ভাগ্নি যে কখন চলে এসেছে টের পাইনি। ও আমাকে অবাক বলছে- এইটা ওমুক আন্টি না? আন্টির কী বিয়ে হয়ে গিয়েছে? পাশে কে? আমি পড়লাম ভয়ংকর বিব্রতকর অবস্থায়।
– আমার চেনা একজন চমৎকার মানুষ, লেখককে আমি আমার ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে মুছে দিয়েছিলাম। যে মানুষটির স্ট্যাটাস থেকে আমি নানা বইয়ের সূত্র, সমসাময়িক খবর, নতুন মুভির রিভিউ পেতাম, হঠাৎ করেই সেগুলো সব বন্ধ হয়ে গেলো। তার প্রেম এবং বিয়ের পরে, স্ট্যাটাসগুলো হয়ে গেলো তার বৌ আর তার কথোপকথনের জায়গা। দুটো মানুষ একই ঘরে থেকে, স্বামী-স্ত্রী হয়ে ফেসবুকের স্ট্যাটাসে একে অন্যকে ক্রমাগত ট্যাগ করে যাচ্ছে। যেমন- ঘুম থেকে উঠলাম, আমার জামাইয়ের এখনো ঘুম ভাঙ্গেনি @নেমট্যাগ।
আমার মনে হল উনাদের ব্যক্তিগত কথোপকথন এভাবে দেখাটা আমার বা আমার মত মানুষগুলোর জন্যে খুবই দৃষ্টিকটু। আমি বেশ অনেক দিন এমন দেখে এক সময় বিরক্ত হয়ে তাকে রিমুভ করলাম।
-ছোটবেলার এক বিয়েতে গিয়ে নানুকে প্রশ্ন করেছিলাম- বিয়ের আসরে বউকে ঘোমটা দিয়ে বসতে হয় কেন? নানু বলেছিলেন-প্রদীপের দু পাশে আমরা হাত দিতেআগলে রাখলে প্রদীপের আলো যেমন বেড়ে যায় তেমন নব বঁধুর ঘোমটা তার আভ্রু আর সৌন্দর্যকে আরো ফুটিয়ে তোলে।
আমার মনে হয় সম্পর্কের ব্যাপারটাও তাই। দুজন মানুষ সম্পর্ককে আগলে রাখবে। ভালোবাসবে…নিজেরদেরকে সম্মান করবে। এই কী বেশি না? সম্পর্কের প্রতি যাদের সত্যিকারভাবে সম্মান আছে তাদের মধ্যে কখনো শো অফ করার প্রবণতা দেখিনি। বরং এমন কিছু ভালোবাসার জুটিও দেখেছি, যাদের দেখে মন থেকে দোয়া চলে আসে যে, ওরা সুখি হোক, পৃথিবীর সব মানুষ সুখি হোক।
-সম্পর্ক হল গাছের মত শেকড়টা শক্ত থাকলে গাছটা থাকবে মজবুত, পাতাগুলো হবে ভীষণ সবুজ…গাছের ডালপালা চলে যাবে আকাশের দিকে…… আর যদি শেকড়ই ঠিক না থাকলো। তাহলে সেই ঠুনকো সম্পর্ক খুব দ্রুতই মুখ থুবড়ে পড়বে।
যাই হোক অনেক লম্বা মন্তব্য করে ফেললাম। এখন ভাগি— :love:
একদম মনের কথা গুলো বলেছেন আপু। মেজাজ আরো খারাপ হয় যখন ব্রেকাপ এর পর মানুষ নানা রকম যুক্তি দেখায় প্রেমের এবং ভাঙ্গার… নিজের ভুল বোঝার কোন প্রবণতাই নেই, আশ্চর্য!!!!!
কথাগুলো খুব বেশি সত্যি……
ব্রেকআপের পরের যুক্তিগুলো আজকাল আমার কাছে রীতিমত হাস্যকর লাগে আপু। কারণ সেগুলোতে শুধুই অপরপক্ষের চরিত্রে কালিমা লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা থাকে। অথচ যিনি অভিযোগ করেন তিনি যে নিজেই নিজেকে নীচে নামিয়ে ফেলছেন, তা ভুলে যান।
পছন্দ হলো কথাগুলো! 🙂
আপুর কথাগুলি খুব ভাল লাগলো। 🙂
অনাবিল, স্বপ্ন বিলাস, ঈয়াশা ও সামিরাকে সহমত জানানোর জন্যে ধন্যবাদ 🙂
আমি তোমার লম্বা মন্তব্যকে ভালোবেসে ফেললাম আপুনি! :beshikhushi:
বউয়ের ঘোমটার সাথে প্রদীপের উদাহরণটা অসাধারণ!! 😐
পাত্রী নাকি পাত্রর ফেবু দেওয়ালে ভালোবাসার চিকা মেরে রেখে এসেছে। লিখেছে, ‘কোলে উঠব’।
🙄 🙄 🙄 🙄
লেখা দারুন আকারের ভালো লাগছে। আর কিছু বলবো না। আমিও আবার প্রেমময় স্ট্যাটাস দেই কি না! 😳
পাত্রী নাকি পাত্রর ফেবু দেওয়ালে ভালোবাসার চিকা মেরে রেখে এসেছে। লিখেছে, ‘কোলে উঠব’। =)) =)) =))
দারুণ স্যাটায়ার , আপু ! ভালো লাগলো ।
i actually have seen that post …
সাক্ষীও হাজির দেখছি!
আমার এইরকম পোস্ট দেখার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কোনটাই হয় নি। বাঁচোয়া! :happy:
:beshikhushi: :beshikhushi:
দারূণ লিখেছো ফিনিক্স!! অনেক ভালো লাগ্লো…… প্রার্থণা- সবার যেন বোধদয় হয়………
অনেক লাইন কোট করা যাবে এখান থেকে, কিন্তু এটাই করলাম…… 🙂
“আমি চাই, কখনো ভালোবাসার খোঁজ পেলে কেউ যেন আমায় না বলে, ‘বাহ, দুজনকেই পাশাপাশি বেশ মানিয়েছে তো’।
বরং যেন বলে, ‘বাহ, দুজনকেই একসাথে সুখী লাগছে তো খুব’।”
অনেক ধন্যবাদ আপুনি।
একই প্রার্থনা আমারও। 🙂
দারুন দারুন দারুন ! :love:
চরম সত্য একগাদা কথা রম্য স্টাইলে বলে দিয়েছ আপু । এখান থেকে সব লাইনই তো কোট করা যাবে মনে হচ্ছে… … …
” ‘আজ ওর সাথে দারুণ সময় কাটিয়েছি’ কিংবা ‘ও আমাকে ওমুক জিনিস গিফট করেছে, আমি ভাবতেই পারি নি’ এইসব ডালভাত স্ট্যাটাস (যা প্রতি বেলাতেই নূন্যতম একটা করে দেয়া হয়) তো আছেই, দেখা গেল ‘আম্মি রোমিও ও ও, তুম্মি জুলিয়েট এট এট’ টাইপ পেইজের অতি রোমান্টিক ছবিও শেয়ার দেয়া শুরু হয়ে গেছে!” -এরকম প্যাথেটিক ফিডগুলো দেখলে যে কী কষ্ট লাগে! :dhisya:
(এই পোস্টে ট্যাগের ভয় !
“আমি কি আর কাউরে ডরাই?
ভাঙতে পারি লোহার কড়াই।”
উঁহু । কোন ডর না। :nono: )
😛
হে হে!
থ্যাংকুশ আপাজান! 😛
প্রেমের স্রোতে ভেসে যায় হোমপেজ মাঝে মাঝে,
প্রেমের স্ট্যাটাস, প্রেমের ছবি, সকাল কিংবা সাঝে!
সব কাপল অনলাইনে নয়, বাস্তবে সুখী হোক……
সব কাপল অনলাইনে নয়, বাস্তবে সুখী হোক>> :clappinghands:
জার্নি করে দারুণ টায়ার্ড অনেকগুলা কথা বলা দরকার।
দুর্দান্ত একটা লেখা। দুর্দান্ত।
অনেকগুলো কথা শোনার অপেক্ষায় রইলাম। 😀
ভালবাস চাই, নিরন্তর, অবিরাম, সর্বক্ষণ, আসলে পিতামাতার পরে ভালবাসার মানুষটিই একজন মানুষের কাছে সবচেয়ে আপন হয়, এই ভালবাসা সত্য, শ্বাশ্বত, লোকে দেখুক না আর না দেখুক এই ভালবাসা অবিরাম
জয়তু ভালোবাসা! :love:
দারুণ বস! স্যালুট
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কৃষ্ণচূড়া! :beshikhushi:
আপনি নিজে কি অনেক সুখী? আপনার ভালোবাসা কি আপনাকে কাঁদায় না?
সত্যিকারের ভালোবাসার কোনো সংজ্ঞা নেই…
ভালোবাসার অনুভূতি সত্যিই অনেক ধরণের।
আদতেই এর কোন সংজ্ঞা নেই।
পড়ছিলাম আর কোন্ কোন্ লাইন কোট করব ঠিক করে রাখছিলাম। পড়া শেষে বুঝলাম-যা কোট করেছি তা দিলে পুরা লেখাটাই আবার পোস্ট হয়ে যাবে…
‘ইশ, সরকার যদি এদের বেডরুম (ফেসবুক) পাহারার দায়িত্ব সত্যিই নিত, যদি ইউটিউব, গুগল বন্ধ না করে এদের প্রি-বেডরুম শো বন্ধ করত তাহলে কতই না ভালো হত!’
‘ভালোবাসা’ আমার কাছে আঁজলা ভরে সমুদ্রের জল তোলার মত। যত বেশি জলই তুলতে চাই না কেন, যেন আঙুলের ফাঁক গলে ঠিক পড়ে যায়। যেন আশা মেটে না, ভালোবাসার পরিধি কমে যায় না। কেউ যদি সেই আঁজলা ভরা জল তুলে সমুদ্রতীরে বসে রোদ পোহানো মানুষগুলোকে দেখাতে ছুটে যায়, মুঠোয় আর শেষ অবধি জল থাকে না, কেবল জলের ছোঁয়ায় ভিজে একটা রেশ থেকে যায়। ভালোবাসার এই বহিঃপ্রকাশটাও আমার কাছে তেমনি, লোকের কাছে কেবলই শূন্য হাতে ছুটে যাওয়া, যেখানে ভিজে জলের রেখা দেখে ভালোবাসার সমুদ্রসম গভীরতা ভেবে ভ্রম হয়। আঙুল গলে জলটুকু কখন পড়ে গেল তা আর টের পাওয়া যায় না।
আর নির্মলেন্দু গুণের এই কবিতা দিয়েই মনে হয় আমি কবিতা কী জিনিশ তা বুঝতে শিখেছিলাম
থুক্কু- *জিনিস
সবকিছুই তো কোট করে ফেললি! 😛
শুধুমাত্র ফেসবুক দিয়ে ভালোবাসার বায়োফিলসফিক্যাল ব্যবচ্ছেদ করা সম্ভব না। ভালবাসা আসলে কি,ভালবাসা মানে রবীন্দ্রনাথ,তোমার চোখে আমার সর্বনাশ, বাধনবিহীন সেই যে বাধন এইসব নিয়ে অনেক বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা হতে পারে তবে ফেসবুককে স্ট্যান্ডার্ড ধরে না।ফেসবুক এই আলোচনার বাইরে। সত্যিকার মানবীয় ভালবাসার কোনকিছুই ফেসবুক রিপ্রেজেন্ট করে না। যেসব উদাহরন দিয়েছেন তার কোনটাকেই ভালবাসা হিসেবে ভুলেও চিন্তা করিনি কখনো।ভালোবাসা অতি অবশ্যই দেখাবার বস্তু না। আজকে সিঙ্গল ,কাল ইন এ রিলেশনশিপ্,দুই সেকেন্ড পরেই অতি ভালবাসায় নতুন আপডেট ”এনগেজড” আর চোখের পলকে ব্রেক আপ এইসব লুল মানুষদের কাজ। কোলে উঠব,আমার জীবনের হুরপরী এইসবও সোজা ভাবে ছাগলামি,লুলামি হিসেবেই দেখি। =))
সবাই ভালবাসে না,কেউ কেউ বাসে।বেশিরভাগ মানুষের কাছে ভালবাসা এমন একটা জিনিস যা তারা মনে করে তাদের আছে কিন্তু কখনো উপলব্ধি করে না। সারাজীবন একটা লোক দেখানো, আলগা , ভুয়া ভালবাসার ভাব নিয়েই থাকে।
সামিরা আপুর একটা অনুবাদে লেখা ছিল এমন ”কাউকে ভালবাসতে গেলে মধ্যমপন্থা বলে কিছু নেই সেখানে। কেউ হয় একেবারেই ভালবাসে না, নয়তো শরীরের প্রতিটা বিন্দু দিয়ে ভালবাসে, প্রাণপণে আর তীব্রভাবে ভালবাসে, কোন সঙ্কোচ কিংবা অনুশোচনা ছাড়াই ভালবাসে। তোমাকে আচ্ছন্ন করে নতুন করে জন্ম দেবে ভালবাসা, আগের চেয়েও ভাল একজন তোমার জন্ম দেবে।”
উপরের কথাকে একটু ঘুরিয়ে অন্যভাবেও বলা যায় এভাবে–”বেশিরভাগ মানুষ একেবারেই ভালবাসে না আর কিছ মানুষ শরীরের প্রতিটা বিন্দু দিয়ে ভালবাসে, প্রাণপণে আর তীব্রভাবে ভালবাসে….”
খুব কম মানুষই ভালবাসে।আর লোক দেখানো কোন বিষয় এখানে থাকে না। ভালবাসার সবটাই উপলব্ধির বিষয়, অনুভবের বিষয়। 8)
পুরো ব্যবচ্ছেদ অবশ্যই ফেসবুক দিয়ে সম্ভব নয়, তাই তো পোস্টের শুরুতেই বলেছি- ‘প্রাথমিক ব্যবচ্ছেদ’।
আপনি বোধহয় বাক্যটা মিস করে গেছেন!
ভালবাসার সবটাই উপলব্ধির বিষয়, অনুভবের বিষয়>> :clappinghands:
লেখাটা প্রথমবার পড়ে মন্তব্য করা হয় নাই। কী কী লিখবো ভাবছিলাম, এখন মন্তব্য করতে এসে দ্বিতীয়বার পড়ে ফেললাম।
স্কুল-কলেজে থাকতে আমরা যখন সৌন্দর্য নিয়ে গবেষণা করতাম (হেহে), তখন একটা জিনিস নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেটা হচ্ছে – একরকম সুন্দর মানুষ আছে তাদের প্রথমবার দেখেই হার্ট অ্যাটাক টাইপ হয়, আর আরেক রকমদের প্রথমদিন দেখে মোটামুটি সুন্দর লাগে, কিন্তু যতই দিন যায় তাদের সৌন্দর্য সবার চোখে উত্তরোত্তর হারে বাড়তে থাকে। 😛
ফানি লাগতে পারে, তবে তোমার এই নিয়ে বেশ কিছু লেখা পড়তে গিয়ে আমার ঠিক এরকম ফিলিং হয়েছে। প্রথমবার শুধু ভাল, তারপর বেশ ভাল, তারপর আরও আরও আরও…এবারও ঠিক তাই। 😀
লেখার সবচেয়ে ‘কোটেব্ল’ অংশ দুটো মনে হয়েছে। একটা হল “কোলে ওঠা” বিষয়ক
(দম ফাটানো হাসির ইমো = =)) ); আর অন্যটা ঐ প্যারা যেখানে সাগর থেকে পানি তুলে নেওয়ার উপমাটা দিছো – একদম অন্যরকম সুন্দর।
‘যবনিকাপাত’এর দ্বিতীয় প্যারা থেকে শেষ পর্যন্ত খুব খুব বেশি ভাল লাগলো। আর এর আগের অংশের থিম দারুণ, কিন্তু যাদের জন্য লেখা তারা এতে অফেন্ডেড না হলেই হয় (তোমাকে এগুলি ইনবক্সে বলেছি যদিও, এখানেও লিখলাম); আমি মোটেও নিশ্চিত না তারা এটাকে কীভাবে নেবে, কিন্তু প্রশ্নবোধক জাগলো মনে। যেহেতু লেখার উদ্দেশ্য ভুল ধরা নয়, মানুষকে ভুল শোধরাতে সাহায্য করা, কেউ যেন মেসেজটার ভুল অর্থ না করে সেটাই চাই। আর এমন না যে শুধু তোমার রম্য পড়েই এরকম ভাবলাম। আমি একজন খুবই ভাল রম্য লেখকের লেখা পড়ি নিয়মিত, তখনও ভাবি যে মানুষ অফেন্ডেড হয় কিনা তার লেখা পড়ে। হয়তো বা বেশি হাসাতে পারলে মানুষ আহত কম হয়, আবার পুরো উল্টোটাও হতে পারে। রম্য নিয়ে ধারণা খুবই কম আসলে, ভাবনাটা শেয়ার করলাম শুধু।
লেখা তো যথারীতি ফিনিক্সীয়! :beshikhushi:
আমিও তো কাউকে কষ্ট দিতে চাই না।
কেউ ব্যক্তিগতভাবে কিছু ধরে নিয়ে কষ্ট পেলে নিজের কাছেই নিজেকে ভীষণ অপরাধী বলে মনে হবে।
পোস্টের সারকথা বোঝাতেও ব্যর্থ হব তখন। 🙁
আমার কিছু লেখা পড়ে তোর এমন মনে হয় জানতে পেরে খুশি হলুম!
উত্তরোত্তর ভালোলাগার ব্যাপারটা আমার কাছে প্রতিবারই নতুন করে আবিষ্কারের মত আনন্দদায়ক, প্রিয়।
সেটা কোন মানুষের ক্ষেত্রে যেমন সত্যি, কোন বিষয়ের ক্ষেত্রেও তাই। 😐
“আমি চাই, কখনো ভালোবাসার খোঁজ পেলে কেউ যেন আমায় না বলে, ‘বাহ, দুজনকেই পাশাপাশি বেশ মানিয়েছে তো’।
বরং যেন বলে, ‘বাহ, দুজনকেই একসাথে সুখী লাগছে তো খুব’।”
অনেক ভালোবাসাই কাঁদাতে জানে বেশি, সুখ দেয় কম… আপনি যাকে ভালোবাসেন, সে যদি অন্য একজনকে ভালবাসে, তাকে আপনার পাশে এনে দাঁড় করিয়ে দেখেনতো সে কতো সুখ অনুভব করে?
উদাহরণটা সত্যি কষ্টের!
আপু অনেক সুন্দর লিখছ 🙂
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂
একটা লিখা মুগ্ধ হয়ে তখনই পড়তে থাকি, যখন ঠিক নিজের মনের কথাগুলোই আরেকজন, আমার চেয়েও ভালোভাবে গুছিয়ে তুলে দেয় কোথাও, মনে হয়, ইশ…আরে……কী অদ্ভুত!! এই কথাগুলো তো আমিও ভাবি…
প্রতিনিয়ত ভাবি, আমাদের ভাবনাগুলো আরেকটু পরিশীলিত হোক, আমরা আরেকটু ভিন্নভাবে ভাবতে শিখি, একটু অন্যরকম করে সবকিছুকে দেখি, যাতে সবার জন্য, সবার জন্য একটা অসাধারণ সুন্দর পৃথিবী রেখে যেতে পারি, যেখানে এক ঝলকের দেখা মুখশ্রী থেকে বেশি টিকে থাকে হাজার মুহুর্তের ভাবনা, কাজ আর সৃষ্টি……
স্যালুট ফিনিক্স……
আমরা আরেকটু ভিন্নভাবে ভাবতে শিখি, একটু অন্যরকম করে সবকিছুকে দেখি, যাতে সবার জন্য, সবার জন্য একটা অসাধারণ সুন্দর পৃথিবী রেখে যেতে পারি, যেখানে এক ঝলকের দেখা মুখশ্রী থেকে বেশি টিকে থাকে হাজার মুহুর্তের ভাবনা, কাজ আর সৃষ্টি>> :beshikhushi:
আমার মনের কথাগুলোও তো আপনি লিখে ফেললেন! 😛
ভালোবাসা হইলো লেবুর মত। একটু একটু করে নিলে সুঘ্রাণ ও স্বাদ থাকে। বেশি চিপাচিপি করলে তিতা হইয়া যায়। :multitalk:
বড়ই সত্য কথা। :beshikhushi:
পাবলিক ডিসপ্লে অফ এফেকশান, এই বিষয়টা একদমই ব্যাক্তিগত লাগে আমার কাছে, অনেকটা বাক স্বাধীনতার মতো। আমার প্রেম এবং ভালবাসা প্রকাশের ভাষা রবীন্দ্রনাথের সখী ভালোবাসা কারে কয় হতে পারে, আবার একনের মতো ইউ এলরেডী নো আই ওয়ানা ফা* ইউ ও হতে পারে। এন্ড আফটার অল, স্ট্যাটাস ফিল্ডের কথাটা লেখা থাকে “হোয়াট’স অন ইউর মাইন্ড”। এসব ক্ষেত্রে আমার মতে জাজমেন্টাল না হয়ে এড়িয়ে যাওয়াটা শ্রেয়। কেননা সত্যিকারের ভালোবাসাও অনেক সময় টেকে না।
“শুধু তাই না, শ্যামবর্ণ, শিক্ষিত মেয়েদের ফর্সা হবার ব্যর্থ চেষ্টা নিয়ে আমরা কতই না ব্যঙ্গ করি। কিন্তু এর জন্য কি ছেলেরাও সমানভাবে দায়ী নয়? ভালোবাসা যখন লোক দেখানো প্রতিযোগিতার দ্বারপ্রান্তে এসে ঠেকে তখন কোন কৃষ্ণকলি কি তার অস্তিত্ব অটুট রাখতে জেনে-বুঝেও এই হাস্যকর চেষ্টায় মত্ত হয় না? আমি তো নিজের চোখে দেখেছি, প্রিয় মানুষ আর তার বন্ধুদের সামনে ‘সুন্দর’ হবার জন্য কী প্রাণান্তকর চেষ্টাই না তারা করে! ভীষণ কষ্ট হয় তখন আমার বুকের ভেতরটা থেকে। মনে হয়, যদি আজ মনের মানুষটি চাইত যে তার পাশে হেঁটে চলা মানুষটি ‘দেখতে সুন্দর’ হবার চাইতে মূল্যবোধ, শিক্ষা আর প্রজ্ঞার সমন্বয়ে আরও উজ্জ্বল হোক, তবে কি আজকের মেয়েরা এতটা কোণঠাসা অনুভব করত?”
আমি ঠিক গুছিয়ে লিখতে পারছি না, কিন্তু এটা ছেলেদের ঠিক “দোষ” না। ব্যাপারটা আরেকটু জটিল। এরপরের অংশটুকু ইংরেজীতে লিখছি কিছু সীমাবদ্ধতার জন্য। ক্ষমা করবেন।
Selection of partner/mate for “Love”, “Lust” or “Long Term Relationship” is an evolutionary process. Like natural selection of species there Sexual selection for each species and meting ritual and reason of human being are still the same as it was in the primitive age: passing on the gene for offspring. So how does nature control this process?
There are three separate drives controls the whole process:
1. Lust: Sexual Drive: It has evolved to send you out there looking for Range of partners;
2. Romantic Love/ Love: It has evolved To focus this drive on one partner at a time
3. Attachment: It has evolved to tolerate each other at least for the period of time to raise a child.
How does a male selects his partner?
A male selects his partner based on the capability of bearing child and enhancing the features of his future generation. That is why male tends to chose their partner based on figure/shape.
On the other hand a female seeks stable conditions and superior gene for her offspring so she chooses her partner based on three criteria: Intellect [related to success], Creativity [that’s why poets, painters, singers have twice many lovers than average person; source: royal society of biological science] and kindness/moral virtue. All these traits are indicators of good and superior Gene 🙂
That is why during selection of mating partner, physical appearance is a huge role player. It is genetic handicap not adopted or habit.
BTW: Most people are confused between Lust and Love 🙂
[Source: Naked Science: What is Sexy; National Geographic Channel. Based on works of anthropologist Alan Fisher.]
* প্রকাশেই সমস্যা তা তো বলি নি ভাইয়া, তবে প্রকাশভঙ্গির গভীরতার ব্যাপারে বলেছি।
* সৌন্দর্যের ব্যাপারে এই পোস্টের ঠিক আগেই বিস্তারিত লিখেছিলাম, তাই পুরনো কথা আর রিপিট করি নি, এখানে একটা অন্যতম কারণের কথা উল্লেখ করেছি মাত্র যা আগের পোস্টে ছিল না।
আমি আবার ফেসবুকে ইমোশন প্রকাশ করতে চাইলে কোন একটা গানের দারস্থ হই। মন ভালো থাকুক আর খারাপ, উপচে পড়া :love: হোক আর :brokenheart: , যেকোন অনুভূতির জন্য উপযুক্ত গান একটা না একটা থাকেই। সেইটার পুরা লিরিক্স লিখে দেই 😀
গানের মাধ্যমে অনুভূতির প্রকাশ! 😐
ভালো লাগছে
কৃতজ্ঞতা ভাইয়া। 🙂