সেই ছেলেবেলা থেকে বিজ্ঞান শেখার ফাঁকে ফাঁকে আমরা শিখে এসেছি বিভিন্ন বিজ্ঞানীর নাম। ল্যাভয়শিয়ে হোক আর অ্যান্থনি ফন লিউয়েনহ্যুক অথবা কালের আইনস্টাইন আর স্টিফেন হকিং-বিজ্ঞানের সব কিছুতেই যেন খুঁজে পাই শুধু পুরুষদের নাম।
তবে কি মেয়েদের বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে চোখে পড়ার মতো অবদান নেই?
এই প্রশ্নের জবাবই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন একজন মিনিম্যালিস্ট। মিনিম্যালিস্ট হচ্ছেন সেই সব মানুষ যারা শিল্প বা সঙ্গীতের মাধ্যমে খুব সাধারণ কোন উপায়ে কোন কিছু প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে থাকেন। তাদের হাতিয়ার হচ্ছে তাদের শিল্প, যেখানে কোন জিনিস বোঝানোর জন্য সূক্ষতার চেয়ে শুধুমাত্র বোঝানোর উপাদানগুলোকেই গুরুত্ব দেয়া হয়।
এমন একজন মিনিম্যালিস্ট ‘হাইড্রোজেন’ ছয়টি পোস্টার প্রকাশ করেছেন, যাতে ছয়জন নারী বিজ্ঞানীর অসাধারণ অবদান মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে।
সেই ছয়জন বিজ্ঞানী ও তাদের নিয়ে করা পোস্টারগুলো নিয়েই এই পোস্ট……
১. মেরী কুরী
তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে গবেষণার জন্য পুরো পৃথিবী তাকে মনে রাখবে সবসময়। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে দু’টি বিষয়ে(পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন) নোবেল পুরষ্কার পান তিনি। এমনকি স্বল্প বয়সে তার মৃত্যুও হয় তেজস্ক্রিয়তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেই।
২. স্যালি রাইড
বিখ্যাত পদার্থবিদ এবং নভোচারী স্যালি রাইড আমেরিকার প্রথম নারী নভোচারী। শুধু তাই নয়, সবচেয়ে কমবয়সী আমেরিকার নভোচারী এখনও তার নাম রয়েছে। নাসা-য় কাজ করা ছাড়াও পৃথিবী বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নভোযান দুর্ঘটনা বিষয়ে গবেষণা করেছেন বহু বছর।
৩. জেন গুডঅল
জেন গুডঅল একাধারে প্রাইমেটলোজিস্ট(প্রাইমেট বা স্তন্যপায়ীদের একটি অংশ বিষয়ক গবেষণা), ইথোলজিস্ট(প্রাণীদের আচরণ নিয়ে গবেষণা), অ্যানথ্রোপলজিস্ট বা নৃতত্ত্ববিদ্যাবিদ এবং জাতিসংঘের শান্তির দূত। ব্রিটিশ এই বিজ্ঞানী জীববৈচিত্র, মানুষের ইতিহাস ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন।
মেরিন বায়োলজিস্ট এবং পরিবেশবাদী এই আমেরিকান কাজ করেছেন সামুদ্রিক জীববৈচিত্র নিয়ে। এই বিষয়ে তার গবেষণা নিয়ে লেখা বই The Sea Around Us, The Edge of the Sea, Under the Sea Wind, Silent Spring পৃথিবীব্যপী কৃত্তিম কীটনাশক এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে। Silent spring বইটি প্রকাশের পর বিপুলভাবে ব্যবহার্য কীটনাশক ‘ডিডিটি’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
মাত্র ৩৭ বছর ছিলেন এই পৃথিবীতে। এর মধ্যেই ডিএনএ, আরএনএ, কয়লা এবং গ্রাফাইট এর গঠন নির্ণয়ে অনস্বীকার্য পরিমাণ কাজ করে গেছেন। এছাড়া ট্যোবাকো মোজাইক ভাইরাস ও পোলিও ভাইরাস নিয়েও কাজ করেছেন এই বায়োফিজিসিস্ট।
৬. গ্রেস হপার
কম্পিউটার ল্যাংগুয়েজ নিয়ে কাজ করা প্রতিটা মানুষ জানেন ‘কম্পাইলার’ এর গুরুত্ব। প্রথম কম্পাইলার তৈরী করা কম্পিউটার বিজ্ঞানী গ্রেস হপার ছিলেন আমেরিকান নেভি অফিসার। এছাড়া COBOL নামক প্রথম প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ তৈরীর ভাবনাও তার মাথা থেকেই আসে।
শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সেই প্রত্যেক নারী বিজ্ঞানীকে যাদের জন্য সভ্যতার পথে এতোদূর অগ্রসর হয়েছি আমরা। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সেই প্রত্যেক নারী বিজ্ঞানীকে যাদের স্থান আমাদের মনের কুঠুরীতে হওয়া উচিত……সবসময়।
শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা অসামান্য শ্রদ্ধা উনাদের প্রতি! একজন পুরুষ হিসেবে নারীদের বিজ্ঞানচর্চা নিয়ে কথা বলার জন্য আপনার প্রতিও শ্রদ্ধা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। অনেকের মাঝেই এইরকম শোনা যায় যে মেয়েরা জ্ঞানচর্চায় আগ্রহী নয় যা খুবই দুঃখজনক। প্রিয়তে নেবার মত পোস্ট। এইরকম একটা পোস্ট অনেকদিন ধরে আশা করছিলাম সরবে। 🙂
ধন্যবাদ আপনাকে 😀
কুরির পুরো পরিবারের জন্যই স্যালুট!
এমন বিজ্ঞানমনষ্ক পরিবারের দেখা মেলা ভার।
গ্রেস হপারের কথা জানতামই না!
ডিডিটি নিষেধাজ্ঞায় যে র্যাচেলের অবদান আছে এটাও অজানা ছিল!
কত্ত কিছু জানি না! 🙁
আসলেই কত্ত কিছু আমরা জানি না…… 🙁
কুরি পরিবারের মতো বিজ্ঞানের জন্য অবদান আর কোন পরিবারের আছে কি না, সন্দেহ আছে…
নারী বিজ্ঞানীদের নিজেদের ছবি থাকলে কি মেয়েরা আরেকটু রিলেট করতে পারতো না? 😀
আমাদের মেয়েদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। জ্ঞানচোর এর একটা লেখার কথা মনে পড়ছে
বিজ্ঞানীদের ছবিও দিয়ে দেয়া হলো…… 🙂
জ্ঞানচোর এর লেখাটা পড়েছিলাম আগে।
দারুণ
অনেকের কথাই জানতাম না যেমন জেন গুডঅল , গ্রেস হপার
এইসব মহীয়সী নারীদের প্রতি রইল অসামান্য শ্রদ্ধা
আর আপনাকে ধন্যবাদ এই রকম একটা পোষ্টের জন্য 😀
অনেক ধন্যবাদ 🙂
আরে দারুণ তো! পোস্টারগুলি সুন্দর, আর পোস্টটা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। খুব বেশি ভাল লাগলো।
আপনার পোস্ট পড়তে ভাল লাগার একটা কারণ কথা কম, ছবি বেশি। 😀 ‘কথা কম কাজ বেশি’র মতন আর কি। 😛
কথাগুলোই তো আমার কাজ, সেগুলি কি ভালো লাগার মতো না! :crying:
তারপরও ধন্যবাদ 😛
কি সুন্দর তাদের কাজ গুলো 🙂 এমনই করে যেন আরো অনেক মেয়ে কাজ করে ।
সহমত! 🙂
দারুন রকমের পোস্ট!
ধন্যবাদ! 🙂