আসুক না আজ সন্ধ্যা নেমে
চেনা পথ, নতুন করে
আজ নক্ষত্রের আলোয়
হাতড়ে হাতড়েই, না হয় ফিরবো বাড়ি।
আসুক না সন্ধ্যা নেমে
ঘন বর্ষার দিনে
জীবন মায়ার, এক গল্পের ঘোরে
আমার গল্পে থাকবে না হয়
আদিগন্ত জুড়ে থাকা
হাওরের মাঝে জট লাগা
শাপলা আর শালুকের জড়াজড়ি।
হারানো নিজেকে আবারো হারাবো,
স্বচ্ছ জলের চকচকে শ্যাওলা
আর তার মাঝে ইতিউতি
দলবাঁধা পোনাদের ছুটোছুটি।
এথায় উথায় বাতাসের ঘূর্ণিতে
যেখানে ছোট ছোট ডিঙা বেয়ে,
গ্রাম্য কিশোরের দল আদুল গায়
ছপাৎ ছপাৎ বৈঠার শব্দে
রাজ্যের যত সন্ধ্যা নামাবে
নিরন্তর।
দ্বীপের মত জেগে থাকা গ্রামগুলো
ধীরে ধীরে ধোঁয়াশার আড়ালে
অদৃশ্য হতে হতে
হারিয়ে যেতে যেতেও উঠবে জেগে
ঐ দূর আকাশের তারাদের সাথে তাল মিলিয়ে
এই মর্ত্যের তারারা
এক একটি নিভু নিভু সলতে বাতি।
আসুক না সন্ধ্যা ঘনায়ে
তাতে ক্ষতি কী?
অসীম থই থই ঢেউয়ের উপরে
একাকী দাঁড়িয়ে থাকা
নিঃসঙ্গ করচের ডালে
কিংবা ভরে থাকা মাদার আর মাকনার
লাল ফুলে –
আসুক সন্ধ্যা নেমে জলে স্থলে।
ঐ নেমে আসা সন্ধ্যায়
হাওরের ব্যাপ্তিতে
আমি পালাতে পারি নি
সেই স্বপ্নের সীমানা ছাড়িয়ে।
যেখানে নিদারুণ ভাঙা ভাঙা ঢেউয়ে
হৃদয়ের মাঝে করুণ হাহাকার তোলে
মনভোলা মাঝি, উদাত্ত দরাজ সুরে।
লক্ষ বছরের ক্ষত নিয়ে,
দ্বীপময় ঐসব ভিটে বাড়ে,
ভাঙে আর গড়ে।
আমি না হয়
ছইওয়ালা নৌকার এককোণে
পানিতে পা ডুবিয়েই বসে রবো।
হোক না ক্ষতি কী?
আজ সন্ধ্যা আসুক নেমে
আসুক, আসমান-জমিনে
তারাময় রাত্রি।
আমি কবিতা বুঝিনা 🙁
“ঐ নেমে আসা সন্ধ্যায়
হাওরের ব্যাপ্তিতে
আমি পালাতে পারি নি
সেই স্বপ্নের সীমানা ছাড়িয়ে।”
স্বপ্নের সীমানা অসীম…সত্যিই কেউ কি তা ছাড়াতে পারে??
খুব সুন্দর হয়েছে কবিতাটা…… 🙂
কবিতাটা ভালো লাগলো ,বিশেষ করে এই লাইন কয়েকটা
“ঐ নেমে আসা সন্ধ্যায়
হাওরের ব্যাপ্তিতে
আমি পালাতে পারি নি
সেই স্বপ্নের সীমানা ছাড়িয়ে।
যেখানে নিদারুণ ভাঙা ভাঙা ঢেউয়ে
হৃদয়ের মাঝে করুণ হাহাকার তোলে
মনভোলা মাঝি, উদাত্ত দরাজ সুরে।”
:clappinghands:
ভীষণ ভালো লাগল কবিতাটা পড়ে। ভীষণ! :clappinghands:
আমিও কবিতা বুঝি না, শুধু বুঝতে পারলাম এরকম কবিতা লেখা আমার দ্বারা সম্ভব না।
:clappinghands:
খুব সুন্দর। 🙂