ভারত দেশে সুশীল চোর ও চোরের মা বাবাদের বড় গলার কল্যানে ওখানে আর আখ মাড়াই করতে হচ্ছে না ..চাপার ভারী পেষণে এমনিতেই রস বেরোচ্ছে! গেল কয়েক হপ্তা ধরে বাজার মাত করে দেয়া ‘বরফি’ নিয়ে আমাদের দেশী বাজারেও ‘আহা বরফি’, ‘উহু বরফি’, ‘কি দেখালো’ ‘ইস রনবীর’ ‘উফ রণবীর’ করে দিদিমনিরা দিশেহারা। ভারতের অস্কার সিলেকশন বোর্ড প্রথমবারের মত একটা ভেজালে পড়েছে। প্রানের দাবি… ‘বরফি’ সিলেক্ট করেও গিলতে পারছেন না। কারণ ছবিতে চার্লি চ্যাপলিন থেকে নোটবুক এমন কয়েক হালি ছবি থেকে ‘Inspired’ দৃশ্য আছে.. তারপরও হুন্দুস্তান টাইমসের জরিপে ৫১% ভোট পড়েছে বর্ফিকে অস্কারে নমিনেশন দেয়ার পক্ষে, ৪৩% বিপক্ষে। খেল জমে গেছে, বুঝ্লিরে কাদের।
-মামা, এই ইন্সপায়ার্ড কারে কয়?
– এটা বুঝলি না? ঐযে বিদ্যুত চুরি করলে কর্তা বাবুরা বলেন সিস্টেম লস। তেমনি গান সিনেমা থেকে চুরি করে মেরে দিলে শরিফ আদমিরা বলে “ও কিছু না, থোড়া ইন্সপায়ার্ড আরকি
– জ্বী মামা,একটু একটু বুঝছি। আমি যেমন রহিমার মারে দেইখা চশমা নিসি..এইডাও একটা ইন্সপায়ার্ড ব্যাফার… কি কন?
১. বরফি একটা সিনেমা হিসেবে উপভোগ্য এবং ভালো। শুধু নাচ ও আইটেম সং এর উপর নির্ভরতা থেকে বের হতে পারা সিনেমা। একই সাথে অটিজমকে আলোতে নিয়ে আসার মতো।
২. অন্য সিনেমা থেকে একটু একটু করে নেয়াটা আসলেই ভালো লাগে নি।
৩. ইন্সপায়ার্ড সিনেমা অস্কার নমিনেশনে যাক-চাই না।
এরা এত বাজেট নিয়ে ..এত বড় মার্কেট নিয়ে…এই কপি করা থেকে বের হতে পারে না কেন ?
একটা নতুন কাহিনী তৈরী করার জন্য যে পরিমাণ চিন্তাভাবনা করা দরকার, সেটা করতে ইচ্ছুক না। একই সাথে, অন্য কোন ভাষার জনপ্রিয় সিনেমা হিন্দিতে করলে নতুন সিনেমাও হলো, আবার হিট করার সম্ভাবনাও বেশি।
ইন্সপিরেশন কতটুকু হলে চুরি বলা যাবে না এইটা একটা প্রশ্ন।
আমি দেখেছি মুভিটা এবং চুরিই মনে হচ্ছে কেন জানি! homage কেন জানি বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না!
মুভিটার মেকিং ভালোই হইছে যদিও।
এটা শুধুই একটা ফান পোস্ট.. একটা কপি মারা ছবিকে অস্কারে পাঠাইতে এত তোরজোড় একটু রিডিকিউল করা
সরবের নোটিফিকেশন সিস্টেমটা ভালো লাগসে
:happy:
মিমিক্রি করাটাও একটা আর্ট কিন্তু এটা একটা আলাদা শিল্প হলেই ভালো হয়।
আইটেম সঙ এর ধারা থেকে বের হয়ে আসায় সিনেমাটা ভালো লেগেছে।
মেকিং আর আবহ সঙ্গীতও অসাধারণ ছিল।
কিন্তু ইন্সপায়ার্ড মুভি অস্কারে যাক- এটা আমিও চাই না।
তাহলে অন্যান্য মৌলিক মুভির প্রতি অবিচার করা হবে।