সেদিন তোমার জন্য চেয়েছিলাম মঙ্গলময় মুক্তি।
মনে আছে?
সেই অদ্ভুত বিকেলের কথা?
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে কোথায় যেন ছিটকে পড়লাম?
সংসারের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে এক্কেবারে সবুজ ঘাসের উপর!
স্বার্থের বারোটা বাজিয়ে আমি তখন সচ্ছ নদীর পানিতে পা ভিজিয়ে,
তোমাকে ভাবছিলাম।
দু’হাত তুলে চেয়েছিলাম,
তুমি যেন মনের কথা কোনদিন কাউকে নির্ভয়ে বলতে পারো।
আমায় না হোক,
গভীর রাতে তোমার পাশের সেই ঘুমন্ত নারীকে যেন বলতে পারো।
অনেক দিন ধরে জিইয়ে রাখা প্রেমের কষ্টকে যেন,
আমৃত্যু ধারণ করতে পারো।
হোক ছোট কোন একটি বিন্দুসম কারণ,
তুমি যেন একটু হাসতে পারো।
সম্পর্কের গল্পটা তোমার আমার মনে থাকবে,
দেখা হলে যেন আবেগটুকু আড়াল করতে পারো।
ঐ দু’টো চোখে জানি তুমি বেগবান অনুভূতিগুলো,
প্রকাশ করতে চাইবে।
ওষ্ঠে হাসি মেলে ধরে আমি ব্যতীত,
অন্য সবার কাছে যেন অপ্রকাশিত রাখতে পারো।
অনেকগুলো বছর পেরিয়ে,
তুমি যখন দ্বায়িত্ব-কর্তব্যের কাঁচাপাকা রঙ্গের বোঝা নিয়ে,
আমার সামনে হঠাৎ এসে দাঁড়াবে!
আমি তখন সদানন্দময়ীর মত তোমার দিকে তাকিয়ে,
চিরচেনা সুরে কুশল জিজ্ঞাসা করবো।
কোন সাধারণ বিকেলের নিমন্ত্রন দিয়ে বিদায় জানাবো।
সেদিন দেখা হবে, আজ শুভরাত্রি।
সরব তো কবিতা দিয়ে ভরে গেল!
আমার জন্য অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সহজ উপায়! 😉 ভরলো আর কোথায়? আমরা অল্প জায়গা নিয়েই লিখি 😛
সুন্দর কবিতা!
ধন্যবাদ অনাবিল!
সদানন্দমীর কথাটার মানে বুঝলাম নাহ 😳
কবিতাটা বেশ সুন্দর
সদানন্দময়ী শব্দের অর্থ যে সদা আনন্দে থাকে। ধন্যবাদ শারমিন।
ওটা বানান ভুল। আমি খেয়াল করি নি। ধন্যবাদ।
কবিতা ভালো লাগল।
টুকু, গুলো এগুলো আলাদা কোন অর্থ বহন করে না, অর্থাৎ বাংলা ভাষায় এরা শব্দ নয়, কেবলমাত্র অন্য শব্দের অর্থকে এরা আরও বেগবান করে তোলে। তাই লেখার সময়েও এদেরকে আলাদাভাবে লেখা উচিত নয়। আবেগ টুকু, অনেক গুলো ইত্যাদি এখানে একটি শব্দ হিসেবেই ব্যবহৃত হবার কথা। 🙂
ঠিক করে দিচ্ছি। ধন্যবাদ।