“আমার ছেলেটা মেট্রিকে এ+ পাইলো। ইন্টারে পাইলো ৪.৭৯। বুয়েটে চান্স পাইয়া গেল। আমি কত খুশি হলাম। আমার সেই ছেলেটা বুয়েট থেকে আর পাস করে বেরোতে পারলো না। আল্লাহ তারে নিয়া গেল। অন্তত টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাটা যদি দিয়া যাইতে পারতো তাও একটা সার্টিফিকেট পাইতো। বলতে পারতাম আমার ছেলে বুয়েট থেকে পাস করছে, আমার ছেলেটা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে মরে গিয়েছে। আমার ছেলেটা মরে গেল। আপনারা আমার ছেলের জন্যে দোয়া করবেন”———————— সৌরভের আব্বু
লেখাটা যখন লিখছি তখন মাত্র ঢাকা মেডিক্যাল থেকে ফিরলাম। আড়াই ঘন্টা ধরে একটা ঘোরের ভেতরে আছি। কেমন যেন মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে দীর্ঘ একটা দুঃস্বপ্ন দেখছি। ঘুম ভেঙ্গে গেলেই দেখবো সব ঠিক আছে। কোথাও কোন এলোমেলো নেই।
আজ রাত বারোটায় আমরা ছিলাম নজরুল হলের ছাদে। রানা এসে রুম থেকে নিয়ে গেল। আউলা আর কোন একটা হল নাকি রং মারতে আসবে। পুরো হলের সব ০৭ অন্ধকার ছাদে এক হয়েছে। সেখানে বালতি বালতি পানি জমা করা। নিচের দারোয়ান মামাকে বলে দেয়া হয়েছে হলের গেইট বন্ধ করে দিতে। আর চারতলার উপরে পানি নিয়ে আমরা রেডি। নিচে যখন ওরা এসে গেটের সামনে দাঁড়াবে তখন চারতলা থেকে আমরা পানি ছুড়ে মারবো। পানি মারার সুবিধার জন্যে শরীফ, আজহার, রানা মাঝের গ্যাপে নেমে গেল। সেখানে রেলিং নেই। ইসমাইল বার বার শরীফকে সাবধান করছে। দূরে থাক, সাইডে যাইস না। পানির বালতির টানে পড়ে যাবি।
আর ঠিক সেই সময়ে কয়েকশ মিটার দূরে রশীদ হলে আমাদের ব্যাচের আমাদের বন্ধুরা আমাদের মতই একতলার ছাদে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের একতলার ছাদের চৌবাচ্চা। সেখানে পাইপ দিয়ে পানি ভরা হয়েছে। রঙ নিয়ে তারা রেডি। নিচে আউলার ছেলেরা আসলেই রঙ পানিতে গুলা হবে। আগে গুললে রঙ নিচে পরে যাবে। চৌবাচ্চার চারধারে লাইটিং, মাঝখান দিয়ে ইলেকট্রিকের তার। সেই চৌবাচ্চার পানিতে দাঁড়িয়ে আছে সৌরব, ইয়াসিন সহ আরো পাচ-ছয়জন ছেলে।
রশীদ হলের গেইট আটকে দেয়া হয়েছে। অন্য হলের ছেলেরা রঙ নিয়ে যাতে না ঢুকতে পারে সে জন্যে এই ব্যবস্থা। গেইটের বাইরে আউলার ছেলেরা। উপরে চৌবাচ্চায় দাঁড়িয়ে আছে ওরা। আশেপাশে আরো অনেকেই।
উৎসব- উৎসব- উৎসব! লুব্ধক ০৭ র্যাগ উৎসব!
কি সুন্দর সাজানো গোছানো সব কিছু। তারপরে কি যেন হয়ে গেল। নিচের ছাদের অন্ধকারে রানা, শরীফ, আজহার বসে আছে। আর আমরা সবাই যে অবস্থায় আছি সেই অবস্থায় চলে এলাম উদভ্রান্তের মত। এমনকি ওদের বলে আসার কথাও মনে রইলো না।
ঢাকা মেডিক্যালের ইমার্জেন্সীতে তখন হৃদয় বিদারক পরিবেশ। হাতে, মুখে গেঞ্জীতে নীল রঙ। নীল শোকে ভাসমান এক ঝাক তরুন বুয়েটিয়ান। আজ রাত তাদের র্যাগের রাত। আজ রাত তাদের আনন্দের রাত। কিন্তু তাদের মুখে আর আনন্দ নেই। কেউ বসে আছে অসহায়ের মত। কেউ দাঁড়িয়ে আছে। কেউ এদিক সেদিক ছুটছে উদভ্রান্তের মত। কি ঘটছে সবাই ইতিমধ্যে জেনে গেছে। কেউ মেনে নিতে পারছে না। কিন্তু কেউ কিছু করতে পারছে না। আমাদের সবার চোখের সামনে, জলজ্যান্ত একটা ছেলে, আমাদের বন্ধু, কিছুক্ষণ আগেও যে পানি মারতে রশীদের ছাদে ছিলো আমাদের সামনে সে লাশ হয়ে শুয়ে আছে। আর সে জাগবে না। আমাদের এই রঙ, এই র্যাগ তাকে আর ছুয়ে যাবে না। দীর্ঘ পাচ বছরের বুয়েট লাইফ শেষ করে এই শেষ সময়ে তার আর ইঞ্জিনিয়ার হওয়া হলো না।
এই ছেলেটা- সে ছিলো আমাদের একজন। সিভিল বি সেকশনের সৌরভ। সে ছিল ফুটবল টিমের গোলকীপার। সর্বশেষ খেলায় সে ছিল ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ। জার্সি গায়ে সে আর সিভিলের হয়ে মাঠে নামবে না। দুর্দান্ত সব সেভ করে দলকে বাচিয়ে রাখবে না। দীর্ঘ পাচ বছর সে আমাদের সাথে ছিল। সেশন জটে পড়ে আমরা এখনো বুয়েটে। পাস করে বেরোতে পারি নি। ইঞ্জিনিয়ার হতে পারি নি। একের পর এক গোলমাল শেষ করে অবশেষে ক্লাস শেষ হয়ে এল। সামনেই টার্ম ফাইনাল। তারপরে মুক্তি।
টার্ম ফাইনাল হবে, ০৭ ব্যাচও বুয়েট থেকে বেরোবে। কিন্তু আমাদের সাথে বেরোবেনা সৌরভ। আমাদের একটা বন্ধুকে এই বুয়েটে রেখেই আমাদের চলে যেতে হবে। অনেক অনেক রিইউনিয়ন হবে। কিন্তু সেই ছেলেটি আর কখনোই সেসবে পার্টিসিপেট করতে পারবে না।
ইমার্জেন্সীর ভেতরে, গেইটে সামনে তখন অগনিত বুয়েটিয়ান। কেউ তারস্বরে কাদছে। কেউ চুপ করে বসে আছে। কারো খালি পা। কারো খালি গা। যে যে অবস্থায় ছিল সেভাবেই চলে এসেছে। আর বেয়াদব ক্যামেরা ম্যান গুলো একের পর এক ফ্লাস মেরে যাচ্ছেই। তারা এতই অসভ্য এবং বেয়াদব যে মানা করলেও শুনছে না। সেখানে কোন শুটিং বা মজার কিছু ঘটছিল না। আমাদের বন্ধ মারা গেছে, আমরা কাদছি। খবরের সাথে সেই ফুটেজ এত ক্লোজ দেবার কি খুবই দরকার? কাল কোন মিডিয়ায় যদি এই খবর না আসে তাতে আমাদের কি খুব ক্ষতি? কাল যদি এই খবর সব পত্রিকার হেডলাইন হয় তাহলে কি সৌরভ ফিরে আসবে? তার আত্মার কোন শান্তির ব্যবস্থা হবে? তাহলে কেন এই মানসিক নির্যাতন। এই ধরনের অসভ্য সাংবাদিক গুলোরি কি বন্ধু- আত্মীয় স্বজন কখনো মারা যায় নি? সে কষ্ট তারা বোঝে না? বুয়েটের কোন ভাল খবর তো তারা কাভার করে না। এই সব ব্যাপারে তাদের কেন এত আগ্রহ?
সেই চৌবাচ্চায় আমার বন্ধু ইয়াসিনও তো ছিল। সৌরভের পাশে পানিতে দাঁড়ানো। পানিতে তার ছিল। সেই তারে লিক ছিল। আর সেই তার হাত দিয়ে সরাতে গেল সৌরভ। ভেজা হাত, ভেজা গা। খালি গায়ে পানিতে দাঁড়ানো। তারের একটা ছোট্ট লিক। রশীদ হলের সামনের পোর্চের লাইট গুলো নিভে গেল। ফিউজ জ্বলে গেল। একটা তীব্র শর্টসার্কিট। অল্প কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী।
দোস্ত, তার লিক- আমাকে তোরা ধর। পড়ে যাবার আগে বলেছিল সৌরভ। তারপরে রিক্সা করে ডি এম সি তে আনা হয়েছে। তখনো সে বেচে আছে। তার শরীর তখনও গরম। সহসাই আস্তে করে সে নাই হয়ে গেল। শরীর ঠান্ডা হয়ে সবার মাঝখান থেকে সে বিদায় নিল। মাত্র দশ-পনেরো মিনিট।
পানির চৌবাচ্চায় লাইটিং করাটা কি খুব দরকার ছিল? দরকার ছিল কি চৌবাচ্চার উপর দিয়ে তার নিয়ে যাওয়া। অন্যদের কথা বলবো না। সেখানে কি ইইই এর একটা ছেলেও ছিলো না? তাদের মাথায় কি আসে নি যে আমাদের দেশের কেবলের যে ইনস্যুলেশন তাতে লিক থাকা খুব স্বাভাবিক। কোনমতে যদি পানিতে কেবল লিক পড়ে সাথে সাথে পুরো পানি ইলেক্ট্রিফাইড হয়ে যাবে। সব কয়টা মানুষ মরে যাবে! সবাই এত কেয়ারলেশ কেন?
শর্ট সার্কিট তীব্র হয়ে ফিউজ উড়ে যাবার কারনে বেচে যাওয়া। নয়তো তার বডির মাধ্যমে পুরো পানি ইলেক্ট্রিফাইড হয়ে ওখানে যারা উপস্থিত ছিল সব কয়জন মরতে পারতো। তাদের বেচে থাকার কথা নয়। আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া তারা বেচে আছে। একজনের শোকেই মুহ্যমান- এত জনের শোক আমরা কিভাবে সইতাম?
০৭ ব্যাচ একটা ঘটনাবহুল ব্যাচ। শুরু থেকেই নানা কারনে আমরা আলোচিত। সাম্প্রতিক সময়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আমরা আমাদেরকে বুয়েটের ইতিহাসের পাতায় নিয়ে যেতে পেরেছি। র্যাগটাও জমজমাট হচ্ছিল। ভাল খারাপের যাচাই পরে, এমন অনেক কিছুই হচ্ছিল যা আগে কখনো হয় নি। প্রপোজ ডে হয়েছে। গ্যাংনাম নাচ হয়েছে। প্রতি বুধবারে ইন্নোভেটিভ সব আয়োজন। র্যাগ কর্ণার সহ সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে আনন্দিতে করে রেখে এত সামগ্রিক র্যাগ আর হয় নি। এত মজা করেছি বলেই কি এত কষ্ট পেয়ে গেলাম?
বুয়েটের ছেলেরা দূর সাগরে ডুবে আমাদের ছেড়ে গেছে। রাস্তায় চালকের ভুলে জীবন দিয়েছে। তাও আমাদের থেকে দূরে। কিন্তু এটাকে আমি কি বলবো? একদম আমাদের মাঝে, এত জমজমাট একটা অনুষ্ঠানের মাঝ থেকে পলকে নাই হয়ে গেল ছেলেটা। এমন কি আর ঘটেছে? তাহলে আমাদের ভাগ্যেই কেন ঘটলো? জলজ্যান্ত একটা ছেলে, জমজমাট আয়োজনের মাঝে সবার চোখের সামনে কিভাবে চলে গেল? মানুষের জীবন এত অনিশ্চিত কেন? মরে যাওয়া এতই সহজ!
বছরের পর বছর মানুষ অসুখে ভুগে মরে- আশেপাশের সবাই বিরক্ত হতে হতে একসময় হাফ ছেড়ে বাচে। বৃদ্ব হয়- মরে যায়- সবাই স্বাভাবিক ধরে একসময় মেনে নেয়। গাড়িতে এক্সিডেন্ট করে- চালকের উপরে দোষ চাপানো যায়। এখানে আমরা নিজেদেরকে কি বলে স্বান্তনা দেবো? টগবগে এই যুবক ছেলেটার যে এ পৃথিবীর কিছুই দেখা হয় নি। এই দেশ এবং সমাজকে, এই জাতি এবং পৃথিবীকে তার যে পুরোটুকুই দেয়া বাকি। এই পৃথিবীর রুপ-রস- গন্ধ এখনো যে সে কিছুই ঠিকমতো ভোগ করতে পারে নি। তবে কেন এ চলে যাওয়া?
সব মৃত্যুই শোকের। তারপরেও কিছু কিছু শোক অসহ্য হয়। আমি আমার কথা ভাবি। আজ আমিও সৌরভের জায়গায় থাকতে পারতাম। আমিও তো আমার হলের ছাদের পানি নিয়ে ছিলাম। সেও তাই করছিল। আমার যদি কিছু হত আমার বাবা-মায়ের কি অবস্থা হত? আমার বোনদের? ছেলে বুয়েটে পড়ে। বাবা-মায়ের কত গর্ব। বুয়েটে একের পর এক গোলমাল হয়। পরীক্ষা, ক্লাস পিছিয়ে যায়। বাবা জিজ্ঞেস করে কবে পাস করবি? মা বলে এত সময় লাগে কেন? এত সব উৎকন্ঠা পেরিয়ে বুয়েট জীবনের শেষে এসে, বহুল আকাংখিত ইঞ্জিনিয়ার হবার ঠিক পূর্বক্ষনে যদি কেউ চলে যায়- সেই কষ্ট কি সহ্য করা যায়? সেই কষ্ট কি কেউ মেনে নিতে পারে? এখানে তো নিজেকে স্বান্তনা দেবার মত কোন এক্সিউজ নেই। জ্বলজ্যান্ত একটা উচ্ছল যুবক। রোগা নয়- অসুস্থ নয়। সুস্থ- সুন্দর- স্বাভাবিক!
বুয়েটে আমরা অনেক অনেক আনন্দ করি। কিন্তু একটা সময় আমরা আসলে লিমিট ভুলে যাই। আমরা কি পারি না একটু সতর্ক হতে? একটু সাবধানে থাকতে। র্যাগের প্রোগ্রাম গুলো ঐতিহ্যবাহী। তারপরেও তো কিছু ব্যাপার থাকে। গভীর রাতে রঙ হাতে দলবেধে এক হলে আক্রমন। সেই হলে আবার পালটা আক্রমনের প্রস্তুতি। কেমন যেন যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। সারাদিন ধরে টেনশন। অনেক সময় রুমে কাউকে না পেলে তার বিছানা বালিশে রঙ মেরে রাখা হয়। রুমের দরজায় লাথি দেয়া হয়, জানালার কাচ ভাঙ্গা হয়। আমার মনে হয় এগুলো ঠিক নয়। অতিরিক্ত যে কোন কিছু একসময় ঝামেলায় গিয়ে থামে। আমাদের বোধহয় আরেকটু যত্নবান, আরেকটু দায়িত্বশীল এবং কেয়ারফুল হওয়া উচিত।
ইমার্জেন্সী থেকে হলে আসতে দশ- পনেরো মিনিট লাগে। আমাদের আধঘন্টার বেশি সময় লাগলো ফিরে আসতে। পা যেন দশ মন ভারী। আমার কেন যেন কিছু মাথায় ঢুকছে না। কিছুই দেখছিনা, কিছুই শুনছি না, বুঝছি না। কি হতে কি হয়ে গেল? বার বার একটাই প্রশ্ন ঘুরছে মাথায়- মরে যাওয়া কি এতই সহজ। তাহলে কি লাভ এত আনন্দ করে, বেচে থেকে এত গর্ব করে। আমার রুমের মাল্টিপ্লাগের তার খোলা। প্রায়ই শক খাই। আমার তো এই পাচ বছরে দশ বার মরে যাবার কথা!
আহসানুল্লাহ হলের তখনো লাইটিং আছে। লাল-নীল বাতি জ্বলছে। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললাম। আমি জানি না লুব্ধক ০৭ এর র্যাগের আর কোন আনন্দ, কোন প্রোগ্রাম হবে কি না? হয়তো হবে। তবে সেই আনন্দে আর আমি অংশগ্রহন করব না।
লুব্ধক ০৭ একটি পরিবার। একটি আকাশ। সেখানে ৯০০ তারা। একটি তারা আজ খসে গেল। র্যাগের আনন্দ যদি আমি না করি তাতে সৌরভের কিছু উপকার হয়তো হবে না। কিন্তু আমার তার কথা তখন খুব মনে পড়বে। আমাদের এক বন্ধুকে কবরে রেখে তখন কনসার্টে নাচতে আমি কিছুতেই পারব না!
লুব্ধক- ০৭ ব্যাচ কি পারবে?
বুয়েট সেন্ট্রাল মসজিদের ইমাম সাহেবকে আমি খুব শ্রদ্ধা করি। আজকের জানাজায় তার বলা একটা কথা দিয়েই শেষ করি। তিনি বললেন মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। সবাইকেই মরতে হবে। কিন্তু এরকম যুবক বয়সে এই করুন মৃত্যু আল্লাহ যেন আমাদের আর কাউকে না দেন।
আমরা সবাই সৌরভের জন্যে দোয়া করি। আল্লাহ যেন তাকে মাফ করে দেন। জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন। আমিন!
——————————–
মিজানুর রহমান পলাশ
নজরুল ইসলাম হল, বুয়েট
ইইই-০৭
13.10.2012
আমরা কেমন অনন্তকাল বাঁচার মত করে বাঁচি, আর কেমন টুপ করে মরে যাই।
এক মাসের মধ্যে বুয়েটে দুইজন স্টুডেন্ট মারা গেল। দুইজনই সিভিলের। এই ভাইয়ার প্রোফাইল দেখলাম, একদমই চেনা মুখ।
অসাবধানতা, দুর্ঘটনা – এইসব জেনে আরও বেশি কষ্ট লাগলো। থ্যালাসেমিয়ায় যেই মেয়েটা মারা গেল, ওর বেলাতে তবু মনে হয়েছিল যে অসুস্থ ছিল তো। জানতো যে মারা যাবে।
ভাইয়াটাকে আল্লাহ্ জান্নাতবাসী করুন। আমরা সবাই দোয়া করি।
কী বলবো বুঝতে পারছি না………
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যটা ভালো করে জানা এবং বোঝা উচিৎ………
এমন দূর্ঘটনা হজম করা আসলেই অনেক কষ্টদায়ক……
আনন্দকরতে গিয়ে সচেতনতা যেন হারিয়ে না যায়…………
অনেক ভেবেও মন্তব্য করার কিছু পাই নাই 🙁