গত সপ্তাহে দু’টো সেমিনারে গিয়েছিলাম, একটা ক্যারিয়ার বিষয়ক, অপরটা স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক। ক্যারিয়ার সেমিনারে এক কোম্পানির রিক্রুটার এসছেন, তিনি কোম্পানির ভাল মন্দের পাশাপাশি রিক্রুটাররা কীভাবে চিন্তা করে সেটা নিয়েও কথাবার্তা বললেন, যেমন, একে দেখে কনফিডেন্ট মনে হয় কি না, সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে কি না, বসার কিছু ভঙ্গি আছে রক্ষণাত্মক, সেগুলো এড়িয়ে চলে কি না। তারপর কোম্পানি সম্পর্কে যথেষ্ট জানে কি না। এসব ত জানা কথা, কিন্তু তার বাইরেও বেশ কিছু কথা বললেন, যেটা খুব ভাল লেগেছে আমার।
উনি বললেন, এখন থেকেই বিভিন্ন কাজে নিজের দক্ষতাগুলি যাচাই করার চেষ্টা কর। এত ক্লাশ, কাজের ভিড়ে বাসার জন্য সময় বের করা – এগুলো নির্দেশ করে তুমি দায়িত্বগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পার। আর ভারসাম্য রাখার পূর্বশর্ত নিজের সময়টাকে গুছিয়ে ব্যবহার করতে পারা। তুমি যদি ছাত্রজীবনে ভাল করে টাইম ম্যানেজমেন্ট শেখ, তাহলে চাকুরিতেও অনেক রকমের চাপ সহ্য করে কাজ করতে পারবে – সেটা নিশ্চিত হয়ে বলা যায়।
বেশ ভাল লাগল কথাটা। এর দুইদিন পরেই ছিল একঘন্টার একটা টাইম ম্যানেজমেন্ট সেমিনার। আমি উন্মুখ হয়ে ছিলাম যাওয়ার জন্য, কারণ আমার কাজের প্রায়োরিটিগুলি এত ছড়ানো ছিটানো, ঠিকঠাকমত সময় অ্যালোকেট করতে না পারলে সমস্যা।
উনারা প্রথমেই যেটা করতে দিলেন, জানতে চাইলেন, সারাদিনে আমরা কী কী কাজ করি। কীসে কীসে বেশির ভাগ সময় চলে যায়। আমার জন্য ছিল ব্লগিং, নেটওয়ার্কিং এসব। অন্য কয়েকজন বলল ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেখে। একজনের বাচ্চাকাচ্চা সামলাতে। ত সব মিলিয়ে কয়েকটা মোটা দাগে কাজ বের হল, যেগুলো দিনের অনেকটা সময় খেয়ে নেয়।
তারপর উনারা জিজ্ঞাসা করলেন, সময় বাঁচাতে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি এখন পর্যন্ত। আমি ঘুমের সময় কমিয়ে দিয়েছিলাম কয়েকবার, কাজ হয়নি। এক মেয়ে দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক রুটিন ঠিক করে রেখে ফলো করার চেষ্টা করেছে, কিছুদিন পর বাদ দিয়েছে।
তখন একটা এক্সারসাইজ করতে দিল, আমাদের দৈনিক কোন কাজে কত ঘন্টা সময় যায়। যেমন ঘুম দৈনিক কত ঘন্টা, গোসল, সাজুগুজু কত ঘন্টা, রান্না ও খাওয়া ও ক্লিনিং কত ঘন্টা, কাজ কত ঘন্টা, ব্রাউজিং, সোশ্যালাইজিং ইত্যাদি ইত্যাদি.. সব কিছু মিলিয়ে মোট কত ঘন্টা হয় সেটা যোগ করে সপ্তাহের মোট যে ১৬৮ ঘন্টা – তার থেকে বিয়োগ করতে হবে। উদ্দেশ্য হচ্ছে হিসাব কষে দেখানো, কে কত ঘন্টা সময় পায় পড়াশুনা করার জন্য বা যে কাজ করা দরকার তার জন্য।
হিসাব করার পর বেশ মজার উপাত্ত বের হয়ে আসল। অনেকগুলো ছোট বাচ্চা নিয়ে বেসামাল ভদ্রমহিলাটির হাতে আছে ৩৬ ঘন্টা। তিনি হতভম্ব! তাঁর ধারণা ছিল তাঁর কোন সময়ই নেই। আরেক মেয়ে, যে প্রায় সারাটা সময় অলস ইউটিউব দেখে কাটায়, তার পড়াশুনার জন্য পুরো সপ্তাহে সময় আছে মাত্র ৬ ঘন্টা। চুপসে গিয়ে নরম করে বলল, “makes sense!” আরেকজন ৪২ঘন্টা দেখে অবিশ্বাসের সুরে জানতে চাইল, এই সময় কোথায় যাচ্ছে? আমি ত দেখতে পাচ্ছিনা। তখন ওরা বুঝিয়ে বলল, হয়ত তুমি ভাবছ তুমি ড্রাইভ কর দশ মিনিট। কিন্তু আসলে বাসার দরজা থেকে বের হওয়ার পর থেকে পার্কিং পেয়ে হেঁটে জায়গামত পৌঁছুতে হয়ত তোমার লাগে ত্রিশ মিনিট। তারপর ক্লাশের আগে পরে দশ পনের মিনিট হয়ত এমনিই চলে যাচ্ছে, তুমি হিসাবে ধরনি। এমনিতে দেখতে দশ পনের মিনিট তেমন কিছুই না, কিন্তু দিনে পাঁচ ছ’ বার অমন হলে কিন্তু দেড় ঘন্টা এভাবেই চলে যাচ্ছে, সপ্তাহ শেষে দাঁড়াচ্ছে সাড়ে দশ ঘন্টা।
মনে ধরল। আরও মনে ধরল পরের কথাটা। ওরা বলল, হারিয়ে যাওয়া সময়কে ধরতে একটা সপ্তাহ একটু ট্র্যাক করুন, কী কী কাজ করছেন। জিমেইলে ত একটা ক্যালেন্ডার ফ্রি ফ্রি আছেই। সেখানে লিখতে থাকুন পুরো এক সপ্তাহ প্রতি ঘন্টার হিসেব। দেখবেন একটা প্যাটার্ণ খুঁজে পাচ্ছেন। তখন বুঝতে সুবিধা হবে কোথা থেকে সময় কেটে কোথায় জোড়া লাগাতে হবে।
গত দু’দিন ধরে কাজটা করছি। আপাতত এই সপ্তাহান্তের হিসাব বলছে ব্লগিং এর চেয়ে বহুগুণ বেশি সময় খরচ হচ্ছে ঘরকন্নায়। দেখা যাক আরো এক সপ্তাহ কী বলে!
দুরন্ত সময়কে বেঁধে ফেলতে পরের টিপ ছিল মাল্টিটাস্কিং (একই সাথে কয়েকটা কাজ করা।) যেমন রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে রেকর্ড করা ক্লাসের লেকচারগুলো একবার শুনে ফেলা। অলস ব্রাউজিং এর ফাঁকেই অনলাইন বিলগুলো দিয়ে ফেলা। ইউটিউব দেখতে দেখতে ঘরের হাল্কা কাজ, যেমন কাপড় গুছানো, ডিশ ক্লিনিং – এগুলো করে ফেলা। ভেবে দেখলাম আমি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাল্টি টাস্কিং করি। যেমন রান্না করার সময় তাফসিরের লেকচার শুনি, আর অলস ব্রাউজিং এর সময়টাতে লেখালেখি করি বা কাউন্সেলিং এর মেইলগুলোর উত্তর দেই।
কিন্তু মাল্টিটাস্কিং করা যায় একটা হাল্কা কাজের সাথে একটা প্রিয় কাজকে জোড়া লাগিয়ে। যখন বিতিকিচ্ছিরি একটা কাজ করা দরকার, তখন? মানে বলতে চাইছি, জঘন্য খান তিরিশেক আর্টিকেল ঘেঁটে রিসার্চ প্রপোজাল দাঁড় করাতে হবে যখন, তখন? বা বসের চেহারা মনে করেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায় এমন কোন কাজের ডেডলাইন যখন শেষ হয় হয়? তখন আমরা কী করি?
দেখা গেছে এ সময়টাতে (অর্থাৎ চরম বিকর্ষণ হয় এমন কাজে) অমনোযোগিতার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। মানুষ হয় কাজটা ফেলে রাখতে রাখতে একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ফেলে রাখে (প্রোক্র্যাস্টিনেশন), অথবা আগে শুরু করলেও সময়টা ঠিকমত কাজে লাগায় না। আমি আমার বেলায় দেখেছি, চারদিনব্যাপী একটা রাইটিং ওয়ার্কশপে নিয়ম ছিল তিনঘন্টার একেকটা সেগমেন্ট এ বসে টানা লিখতে হবে। একেকসময় মাথার তার ছিঁড়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়, মনে হয় সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে বিবাগী হয়ে যাই। কী যে অসহ্য লাগে! স্বাধীনভাবে পড়াশুনা করার সময় ত আর কেউ নিয়ম করে রাখেনা! তাই মনে বিরাগের উদয় হলেই আমরা ইউটিউবে পালাই।
এসব ক্ষেত্রে ওদের পরামর্শ ছিল, একদিনের কাজের তালিকায় যদি সমান গুরূত্বপূর্ণ দু’টো কাজ থাকে, তাহলে কঠিন আর করতে ভাল লাগেনা এমন কাজটা আগে করা (অথচ আমরা ঠিক তার উল্টোটাই করি সবসময়।)
তালিকার কথায় যখন আসলামই, আরেকটা কথা বলে শেষ করি। কোন একটা সময় করে মাসিক, সাপ্তাহিক আর দৈনিক কাজের তালিকা করে রাখলে ফোকাস ঠিক রাখা যায়। কিন্তু প্রথম প্রথম তালিকা করতে নিলে আমরা উৎসাহের চোটে পৃথিবীর যাবতীয় ভাল কাজের লিস্টি করে ফেলি। তা করা যাবেনা। রিয়েলিস্টিক হতে হবে। ঐ যে বললাম এক সপ্তাহ নিজের রুটিন ট্র্যাক করা – ওটা করে তারপর যদি দেখা যায় দিনে ক্রিকেট খেলা অবলোকন বাবদ দশ ঘন্টা সময় ব্যয় করেন, তাহলে রুটিনে তাই লিখুন, এক লাফে একঘন্টায় নামিয়ে আনতে যাবেন না যেন! দিনের রুটিনে ভারসাম্য বজায় রেখে প্রিয় কাজ, অপ্রিয় কাজ, বিশ্রাম – সব মিলিয়েই একটা প্ল্যান করুন। মনে রাখবেন, যে প্ল্যান মেনে চলা সম্ভব না, সেটা আসলে কোন প্ল্যানই না, সেটা ফ্যান্টাসি।
সুন্দর করে প্ল্যান করলেই কিন্তু কাজ শেষ না। নিয়মিত প্ল্যানটাকে ঝালাই করতে হবে। কী লিখেছিলাম, তার কতদূর সফল হতে পেরেছি – সফল না হলে কোন্ কোন্ বিষয়গুলোর কারণে হতে পারিনি – এসব খতিয়ে দেখে আবারো প্ল্যানটা গুছাতে হবে.. ইত্যাদি ইত্যাদি।
সব মিলিয়ে, এখন কীভাবে সময় কাটাচ্ছি, আর কীভাবে কাটানো উচিৎ – সেটার মধ্যে সামঞ্জস্য করাই টাইম ম্যানেজমেন্ট। মুসলিমদের জন্য ত টাইম ম্যানেজমেন্ট অপরিহার্য। সূরা আসরে ত আল্লাহ বলেই দিয়েছেন টাইম ম্যানেজমেন্ট না জানা সব মানুষ বিপদের মধ্যে আছে।
প্রায় সব জানা। খালি ইম্পলিমেন্টেশন এই সমস্যা!
আপু ট্যাগ বাংলায় দিলে ভালো হয়। কারণ ট্যাগ এর মূল উদ্দেশ্য সর্ট করা। আর ইংরেজিতে হলে বাংলা ব্লগে সেটা প্রায় অসম্ভব।
আপনি কাউন্সেলিং যে করেন আপনার যোগ্যতা কী? :thinking:
একাডেমিক যোগ্যতা বলছেন? আমার কোন সার্টিফিকেট নেই। নিজে নিজে পড়াশুনা করেছি। মূলত অভিজ্ঞতা, অন্তর্দৃষ্টি আর ইচ্ছা – এই তিনটাই সম্বল (এখন পর্যন্ত।) একটা পর্যায়ে গিয়ে ডিগ্রি নেয়ার প্ল্যান আছে। 🙂
তাহলে তো ভালো।
একাডেমিক থাকতেই হবে এমন না। কিছু প্রশিক্ষণ থাকা উচিৎ।
হিতে বিপরীত হতে কতক্ষণ?
ঠিক বলেছেন। সেজন্য আগে করিনি এমন কেস এ অভিজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে নেই। আর কগনিটিভ থেরাপির বেসিক নিয়মগুলি ফলো করলে কাউন্সেলিং তেমন কঠিন কিছু না। বেশির ভাগ সময়ই মন খুলে কথা বলতে পারলে ওরা নিজেরাই সমাধান করতে পারে। এ পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন ছিল এক আপুর, তার ছোট ভাই রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার এ আত্মহত্যা করে, উনি সে ছবি দেখার পর থেকে ভীষণ ভয় পেতেন। উনার সমস্যায় আমার সন্দেহ ছিল আদৌ কতটুকু সাহায্য করতে পারব। কিন্তু উনার আন্তরিকতার জন্য কাজে লেগে গেছে। এখন আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো।
রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে আত্মহত্যার কথা শুনে আমি নিজেই তো ভয় পেয়ে গেলাম আপু!
আত্মহত্যার কারণটা কী ছিল আপু?
কী সুন্দর কী সুন্দর।
জানা কথাগুলোই নতুন করে পড়ে ফেললাম কিন্তু মানার বেলাতেই যে কেন এত আলসেমি! :crying:
সত্যি তো, অপ্রিয় কাজটা সবার শেষে করি।
এই জায়গাটা পড়ে চমকে গেলাম!
কাজের পোস্ট!!!
শুধু মানতে পারলেই হয়…………… 🙂
সময়ক্ষেপণ, এবং সেটা খুবই ছোট ছোট কাজে। নিজের কর্ম বিচার করে নেড়েচেড়ে দেখলাম, সবেধন নীল-মণি ফেসবুক জীবনের আস্ত একভাগ কামড়ে খেয়ে নেয়।
তাতেও যদি কিছুমাত্র কমানো যেতো হিসাব করে। কিন্তু, আপু কি বলবো? পিসির মাউস কাজ না করে তো, সফটওয়্যার সমস্যা করছে, রি ইনস্টল দাও, একেবারে এক ঘন্টা দেবে যায়।
আপু, পিসি রিফ্রেশ দিতে কত সময় যায় মানুষের? কমানো যায় কি করে?
আপুউউ একদম আমার জন্য দরকারি একটা পোস্ট দিলেন! টাইম ম্যানেজমেন্টে আমার মত কাঁচা মনে হয় কেউ নাই। :crying: রিসার্চের কাজগুলো কবে থেকে যে পিছাচ্ছি, পেপার ঘাঁটার কথা মনে পড়লেই বিবাগী হয়ে ইউটিউবে ভ্রমণে যাই।এইটা যে আমি ছাড়া আরও কেউ করে জেনে অবাক হলাম। :happy: তবে শেষে সূরা আসরের কথাটা বলে খুব ভালো করলেন আপু, আমার জন্য এই রিমাইন্ডারটা খুব দরকার ছিল। 🙁
http://nusrat807.wordpress.com/2011/10/06/asr/
http://nusrat807.wordpress.com/2011/10/06/advice-from-asr/
টাইম ম্যানেজমেন্ট না জানা সব মানুষ বিপদের মধ্যে আছে। 😳
দারুণ লেখা আপু।
এক্সারসাইজটা শুরু করবো দেখি। আমিও মাঝে কী কী কাজ করলাম রাতে তার লিস্ট করে ঘুমাতে যাব ভাবছিলাম। ধরে রাখা হয় নাই অভ্যাস। 🙁
ক্রিয়েটিভিটির অভাবে ফেবুর কমেন্টটাই কপি-পেইস্ট করলাম। এখন মনে হচ্ছে যেই সময় লাগলো পুরনো কমেন্ট বের করতে, তার মধ্যে আবার পড়ে কমেন্ট করে ফেলা যেত। 😛
ভাই সামিরা, তুমি একখানা অ্যাসেট। তুমি সময় নষ্ট করবা কি, তোমার তো কাজ করেই কুলাতে পারার কথা না। সামনের বইমেলাতে অনুবাদ এর বই বের কর না কেন? স্পেশালি দুই প্রান্তের দুই বাঘা লেখক চলে যাওয়াতে প্রকাশকরা এখন অনেক বেশি নতুন লেখক খুঁজবে। you can dominate the industry in eight to ten years if you seriously start thinking about it now.
বলে কী আপু! 😛
অন্তত কোন বইয়ের অনুবাদ পর্ব করে ব্লগে দেওয়ার ইচ্ছা আছে আপাতত। সমস্যা হচ্ছে বই চুজ করা নিয়ে। অনুবাদ ভাল সময় খায়, এই জন্য চাই চেষ্টাটা এমন কিছুর পেছনে দিতে যেটা worthy হবে, পরে হা-হুতাশ করতে হবে না। পছন্দের বই আছে অনেকই, কিন্তু অনুবাদে অনেক দিক মাথায় রাখতে হয় দেখে শেষে কোনটাতেই মনস্থির করতে পারি না। আপনারা সাজেশন দিয়েন প্লীজ (এর মধ্যেই একাধিক মানুষকে বলেছি সাজেশন দিতে, মনের মত পাই নি কিছুই)। 🙁 যদিও নিজের পছন্দ হলে তাহলেই অনুবাদ করবো, তারপরেও এক-আধটু টিপ্স পেলে খুবই খুশি হতাম!
নুসরাত আপুর সাথে সহমত!
ভাই সামিরা, তুমি একখানা অ্যাসেট।>> অসম্ভব সত্যি কথা আপু!
নুসরাত আপুর সাথে সহমত! বই চাই বই…
টাইম ম্যানেজমেন্ট এক্কেবারে হয় না আমার। সারা সপ্তাহ বসে বসে থেকে শেষ দিনে ১৫ ঘণ্টা কাজ করে একেবারে ‘কাইত’ হয়ে যাই।
ভালো কিছু টিপস পাওয়া গেলো। 🙂
he he he……..