গত বেশ কিছুদিন ধরে তথাকথিত “ছাত্র”দের অত্যাচারে সবাই মনে হয় কম বেশি অতিষ্ঠ। “ছাত্র” শব্দটা শুনলেই হয়ত চোখের সামনে ভেসে উঠে রাজশাহীতে বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সেই ছেলেটির কথা কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মল চত্বরে আরেকজন ছাত্রকে পেটাতে উদ্ধত সেই ছেলেগুলোর কথা অথবা হয়ত অবৈধ পথে বাস চালানোর প্রতিবাদ করায় পিতৃতুল্য বয়স্ক একজন ব্যক্তিকে মারধর করা সেই সব ছেলেদের কথা। কিন্তু আসলেই কি আমাদের ছাত্র সমাজ এতটাই নিচে নেমে গেছে যে এখন তারা শুধু জানে মারামারি আর হানাহানি?
উত্তর মনে হয় হবে, “না, যায় নি।” আমরা এখনও অঙ্কের সেই জটিল সব সমস্যার সমাধান করে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে পদক জয় করে আনি, পদার্থবিদ্যার জটিল জটিল সব সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে চুলে জট পাকিয়ে ফেলি। আমাদের ছাত্ররা এখনও অনেক কিছু জয় করছে প্রতিনিয়ত কিন্তু গুটিকয়েক অ“ছাত্র”’র কল্যাণে তাদের সম্পর্কে জানা হয় অনেক কম।
বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বেশ কয়েকটি অলিম্পিয়াডে সাফল্যের সাথে অংশগ্রহণ করেছে এবং পদক অর্জন করেছে। আমরা হয়ত সবাই কম-বেশি এই সম্পর্কে জানি। তারপরও অনেকেই হয়ত অনেক ধরনের অলিম্পিয়াড সম্পর্কে জানি না আর তাই হয়ত অংশগ্রহণও করা হয় না। বিশেষ করে স্কুল বা কলেজ পর্যায়ের ছাত্রদের জন্য অলিম্পিয়াডগুলো সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। তাছাড়া আমাদের দেশের অর্জনগুলো আমরা জানব না এটা হওয়াটাও ঠিক না। তাই “সরবে”র ছোট্ট প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পর্যায়ে হওয়া বেশ কিছু অলিম্পিয়াডের কথা সবাইকে জানানো। যাতে ভবিষ্যতে আমরা এই ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ দেখতে পাই, অগ্রজদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনুজরা আরও বেশি করে অলিম্পিয়াডগুলোতে অংশগ্রহণ করুক।
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশঃ
২০০৫ সালে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের যাত্রা শুরু। এরপর ২০০৬ সালে প্রথমবারের মত এবং ২০০৭ ও ২০০৮ সালেও অনারেবল মেনশন প্রাপ্তিই থাকে আমাদের অর্জনের খাতায়। যদিও এই অর্জনও তখন আমাদের জন্য ছিল বিশাল পাওয়া। কিন্তু ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত ব্রোঞ্জ মেডেল পান বাংলাদেশের সামিন রিয়াসাত এবং নাজিয়া চৌধুরী। সেই থেকে শুরু। এরপর ২০১০ সালেও ব্রোঞ্জ মেডেল পান তারিক আদনান মুন এবং ২০১১ সালে ধনঞ্জয় বিশ্বাস। রৌপ্য পদকটা যেন আসি আসি করেও আসছিল না, তারিক আদনান মুন এক নম্বরের জন্য ২০১০ সালে রৌপ্য পদক পাননি। কিন্তু আমাদের জন্য আরও অনেক কিছু অপেক্ষা করছিল। তাইতো ২০১২ সালে আমাদের জন্য প্রথম রৌপ্য পদক নিয়ে আসেন ধনঞ্জয় বিশ্বাস। তাছাড়াও সৌরভ দাস ও নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ পান ব্রোঞ্জ পদক এবং বাকী দুইজন অনারেবল মেনশন এবং এটাই প্রথমবার যখন কেউ খালি হতে ফেরেনি। হয়ত ২০১৩ সালে আমরা কাঙ্ক্ষিত সেই স্বর্ণপদকটিও পেয়ে যাবো। আমি কিন্তু স্বপ্নের কথা বলছি না বা আশার কথা বলছি না। বাস্তবতাই কিন্তু আমাদের দেখাচ্ছে আমাদের গ্রাফটা যে উর্ধ্বমুখী।
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার আগে একজন শিক্ষার্থীকে বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে হয় এবং এরপর বাছাই প্রক্রিয়া শেষে দল পাঠানো হয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে। সম্পূর্ণ কাজটি করে “বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।”
গণিত অলিম্পিয়াড সম্পর্কে আরও জানতে “বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির” নিজস্ব সাইটে চোখ রাখতে পারেন।
ওয়েবসাইটের ঠিকানা- http://www.matholympiad.org.bd
আন্তর্জাতিক ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশঃ
আন্তর্জাতিক ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে ২০১১ সালে প্রথমবারের মত অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ। এরপর ২০১২ সালে দ্বিতীয়বারেই পদকের দেখা পাই আমরা। সিনিজিনি সাহা পায় ব্রোঞ্জ পদক আর শোভন বিশ্বাস এবং আহমেদ মাকসুদ অর্জন করেন অনারেবল মেনশন। দ্বিতীয়বারেই এমন সাফল্য ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে অনুপ্রাণিত করবে পরবর্তী অংশগ্রহণকারীদের।
আন্তর্জাতিক ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার আগে একজন শিক্ষার্থীকে বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে হয় এবং এরপর বাছাই প্রক্রিয়া শেষে দল পাঠানো হয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে। সম্পূর্ণ কাজটি করে “বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড কমিটি।”
আরও জানতে- http://www.bdpho.org
আন্তর্জাতিক ইনফরম্যাটিক্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশঃ
২০০৬ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ইনফরম্যাটিক্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ শুরু করলেও ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো চারজনের একটা পূর্ণ দল পাঠায় বাংলাদেশ। সেই দলের সদস্যরা ছিল ধনঞ্জয় বিশ্বাস, নাফিস সাদিক, বৃষ্টি শিকদার এবং মাহি নূর মোহাম্মদ। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত রৌপ্যপদক পান বাংলাদেশের আবীরুল ইসলাম এবং ২০১২ সালে ব্রোঞ্জ পায় বাংলাদেশের বৃষ্টি সিকদার এবং ধনঞ্জয় বিশ্বাস।
পৃথিবীর বিজ্ঞানভিত্তিক অলিম্পিয়াডগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পর অংশগ্রহণের দিক থেকে সবচেয়ে বড় অলিম্পিয়াড হচ্ছে ইনফরম্যাটিক্স অলিম্পিয়াড। নতুন প্রজন্মের কাছে কম্পিউটার বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার জন্য ইনফরম্যাটিক্স অলিম্পিয়াডের আয়োজন শুরু হয় ১৯৮৯ সালে বুলগেরিয়াতে। কম্পিউটার বিজ্ঞানে পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক প্রতিযোগীতাগুলোর একটা হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে। পৃথিবীর প্রায় নব্বইটা দেশ প্রতিবছর তাদের সেরা চারজন বিশ অনুর্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করেনি এমন কম্পিউটার বিজ্ঞানীদেরকে পাঠায় তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য।
২০০৪ সালে জাতীয় পর্যায়ে আয়োজনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ ইনফরম্যাটিক্স অলিম্পিয়াডের। এরপর ২০০৬ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দল পাঠায় বাংলাদেশ। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে জাতীয় পর্যায়ের বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসতে হবে। আর সম্পূর্ণ কাজটি হয় “বাংলাদেশ ইনফরম্যাটিক্স অলিম্পিয়াড কমিটি”র তত্ত্বাবধানে।
আরও জানতে-http://teacher.buet.ac.bd/mhkabir/bioc/
আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা(অ্যাস্ট্রোনোমি) এবং নভোঃবস্তুবিদ্যা(অ্যাস্ট্রোফিজিক্স) অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশঃ
প্রথম দুইটা বাংলা নাম লিখতে বেগ পেতে হয়নি কিন্তু এই নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে দাঁত ভেঙে যাবার উপক্রম ! যাই হোক যেখানে নাম উচ্চারণ করতেই আমার দাঁত ভেঙে যাচ্ছে সেখানে ২০০৭ সালে প্রথম বারের মত অনুষ্ঠিত এই অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত কোন পদক অর্জন হয়নি বাংলাদেশের তবে অদূর ভবিষ্যতে এই অলিম্পিয়াডেও যে বাংলাদেশের ভালো করার সুযোগ আছে তা প্রমাণ করে অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের নিয়মিত অংশগ্রহণ এবং জাতীয় পর্যায়ে নিয়মিত অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা। ২০১৫ সালের অলিম্পিয়াডের আয়োজক দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
“বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন” এর অধীনে অলিম্পিয়াডের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা হয়।
বিস্তারিত জানতে- http://www.astronomybangla.com
জাতীয় ক্যামিস্ট্রি অলিম্পিয়াডঃ
২০০৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ক্যামিস্ট্রি অলিম্পিয়াড। এতে বিজয়ী হন নটরডেম কলেজের নিবিহ জাওয়াদ, ঢাকা কলেজের আমিন আন্দালিব এবং স্কলাস্টিকার সাফির ফারুক সিদ্দিকী। “বাংলাদেশ কেমিক্যাল সোসাইটি”র অধীনে ক্যামিস্ট্রি অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে ২০০৮,২০০৯, ২০১০,২০১১ এবং ২০১২ সালে মোট পাচটি জাতীয় ক্যামিস্ট্রি অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও জানতে- http://www.chemhome-bcs.org/
জাতীয় বায়োক্যামিস্ট্রি অলিম্পিয়াডঃ
১ম অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালের ৯ জানুয়ারি। প্রথম আসরে সেরা স্কুল- তুর্কিস হোপ স্কুল এবং সেরা কলেজ – সানবীম।
৪র্থ জাতীয় বায়োক্যামিস্ট্রি অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে এই বছরের ২২ ডিসেম্বর। রেজিঃ করা যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
আরও জানতে- http://www.biochemolympiad.org/
জাতীয় পরিবেশ অলিম্পিয়াডঃ
ধরিত্রী সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইয়ুথ এনভায়রনমেন্টাল ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে পরিবেশ ও পৃথিবী বিজ্ঞান সম্পর্কিত দেশের প্রথম জাতীয় পরিবেশ অলিম্পিয়াড ২০১২ এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ১৫ সেপ্টেম্বর ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব ঢাকায়।
পরিবেশ অলিম্পিয়াড সম্পর্কে আরও জানতে- http://www.byei.org/neo/
এছাড়াও বাংলাদেশে বিজ্ঞানভিত্তিক আরও কিছু অলিম্পিয়াড হয়ে থাকে। এধরনের অলিম্পিয়াডগুলোতে মূলত স্কুল এবং কলেজপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নিতে পারে। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে সাথে আমরাও। অলিম্পিয়াডগুলোতে আরও অনেক অনেক বেশি পরিমাণে অংশগ্রহণ করবে এদেশের ছাত্ররা এটাই চাইছি আমরা। ছাত্র’র প্রকৃত পরিচয় তার মেধায়-মননে। বন্দুক কিংবা চাপাতি হাতে যারা ঘুরে বেড়ায় তারা আদৌ ছাত্র কিনা তা নিয়ে আমরা সবাই সন্দিহান। আমাদের এই প্রজন্ম থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রজন্মগুলো প্রকৃত ছাত্র হয়েই বেড়ে উঠবে, মেধাকে কাজে লাগিয়ে নিজ এবং জাতিকে করবে আরও সমৃদ্ধ এই কামনা সবসময়।
তাই সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই যে কোন কিছু হওয়ার আগে আমাদের “মানুষ” হতে হবে।
দারুণ কাজ অক্ষর। দারুণ কাজ
ধন্যবাদ। পোস্টটা আরও ছড়াতে পারলে ভালো লাগত।
🙂
দারুণ হয়েছে 😀
ধইন্যা।
:happy:
Most probably the website referring to Informatics Olympiad is wrong. As far as I know it was a sub page of Dr. Humayun Kabir’s page.
If anybody know better reference give the link.
ধন্যবাদ। ঠিক করে দিয়েছি।
দারুণ!! এই অস্থির সময়ে এইসব আশা জাগানিয়া দিক গুলোই আমাদের অনুপ্রেরণা………
আসলেই সময়টা অনেক বেশি অস্থির ! চারদিকে শুধু খারাপ সংবাদ। 🙁
খুব বেশি তথ্যবহুল আর দরকারি একটা পোস্ট। স্কুলে পড়ার সময় আমি তেমন কিছু জানতামই না এত সব অলিম্পিয়াড সম্পর্কে! কলেজে উঠে কেমিস্ট্রি অলিম্পিয়াডে ডাক পেয়েছিলাম, কার্জন হল “এত দূরে” (!) দেখে যাওয়া হয় নাই। 🙁 এখন এত দুঃখ হয়, আগে থেকে এসব জানতাম না দেখে!
স্কুল-কলেজগুলির একটা দায়িত্ব থাকে এসব সম্পর্কে ছেলেমেয়েদেরকে জানানোর। যেমন আমার কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে স্কুলটা অনেক বেশি প্রিয়, শুধু একটাই দোষ – এরকম সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলির সাথে ছেলেমেয়দেরকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় খুবই কম। এখন কী অবস্থা জানি না অবশ্য। সেই দিক থেকে কলেজে দেখতাম যথাসাধ্য চেষ্টা হত ছাত্রদেরকে এসব যোগ দেওয়ানোর।
লেখাটা উৎসাহ জাগানোর মত লাগলো। অনেকেরই কাজে লাগবে আশা করি। 🙂 😀
তবে আশার ব্যাপার হল গণিত অলিম্পিয়াড এখন প্রায় প্রতিটা ছেলে-মেয়ের কাছে পরিচিত নাম। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার যখন বাকি অলিম্পিয়াডগুলো সম্পর্কেও সবাই জানবে, অংশগ্রহণ করবে।
অসাধারণ কাজ অক্ষর।
পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে এর জন্য যথেষ্ট খাটা-খাটনি করতে হয়েছে।
সেটা সার্থকও হয়েছে আমার মতে।
রিড কাউন্ট দেখলেই বোঝা যায়!
দুর্দান্ত!
অনেক দেরিতে পড়ে ফেললাম যদিও।