আমার চোখ বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে, থামাতে পারছি না। ওপাশ থেকে ভরাট কন্ঠ ভেসে আসছে-
তুমি কী একটা ছোট্ট হলদে পাখিকে চিনতে পারো? যে পাখিটা তার সঙ্গি পাখির সাথে খুব ভালোবেসে বাঁচার সাধ রেখে! যে পাখিটা মুক্ত আকাশে কখনো একলা উড়তে চায়নি। সে চেয়েছিলো তার সঙ্গিকে সাথে নিয়ে বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে উড়ে যাবে দূর অজানায়। কিন্তু পাখিটাকে যে একাই উড়তে হয়। সে আর বাতাসের সাথে পাল্লা দিতে পারে না, কারণ তার মন পরে থাকে অন্য কোথাও। পাখিটা নীড়ে একলা ফিরে আসে…আসাদ, তুমি কী সেই ছোট্ট হলদে পাখিকে চিনতে পারো?
প্রতিবারের মতই অসাধারণ একুপ্পি! মানুষের ভেতরকার এই অনুভূতিগুলো আপনি অনেক জীবন্ত করে তুলে আনেন।আর আসাদের মত কিছু কিছু মানুষের বোধ হয় কোন পিছুটান থাকে না, নিজের খেয়ালখুশি মত, নিজের প্রয়োজনে ওরা শুধু এগিয়েই যেতে জানে সবকিছু ভেঙ্গে চুড়ে পেছনে ফেলে।একটা মুভি দেখেছিলাম “অবশেষে”। ওখানে ঠিক এরকম একটা কথাই বলেছিলেন রূপা গাঙ্গুলি, অসাধারণ একটা সংলাপ।
হলদে পাখিটা মন খারাপ করে না থারকুক, নব আনন্দে সে উড়তে শিখুক, গাইতে শিখুক…বাঁচতে শিখুক।নীল আকাশে একলা ডানা মেলে উড়তে পারাটাই স্বাধীনতা। 🙂
ভালো থেকো মাধবীলতা—– তোমার মনের হলদে পাখিটা ভালো থাকুক সব সময়।
কী আশ্চর্য! এই গল্পটা আমি খুব কাছে থেকে নিজেই দেখেছি! এবং আরও আশ্চর্য, আমার ডায়েরিতে সেদিন পুরোটা টুকে রাখতে গিয়ে এক ছোট্ট হলদে পাখির গল্পই ফেঁদেছি! :O :O :O
তাই নাকী? বাহ! তাহলে তো ভালোই। আরেকটা গল্প পড়তে পারবো এমন। আমাকে লিঙ্ক দিও 🙂
লেখাটা ভাল লাগলো আপু, কাহিনীটা না। 🙁
সব কাহিনী তো ভালো লাগার মত হয় না 🙂
সবলীল লেখা । পড়ে খুব ভাল লাগল
ধন্যবাদ–
আপনি এতো ভালো কী করে লিখেন! প্রতিটা লাইন, প্রতিটা শব্দ ছুরির তীক্ষ্ণ ফলার মতো হৃদয় চিরে অনুভূতিকে স্পর্শ করে যায়।
খুব সুন্দর, খুব! :clappinghands:
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ 🙂
আমি কিছুই বলব না। 🙂
কেন? 🙂
বেশি সুন্দর যে তাই ভাষা হারিয়ে ফেলছি 😀
তোমাকে আর কী বলব আপু?
লেখনী নিয়ে সবাই সবকিছু বলে ফেলেছে।
একটা কথাই শুধু যোগ করি-
‘হলদে পাখির জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা’