প্রকৃতির টানে, প্রকৃতির পানে…

একটি অসম্ভব আদরমাখা বছর তিন চারেকের শিশু সবুজ ঘাসের উপরে সন্তর্পণে পা ফেলে চুপচুপ করে এগিয়ে যাচ্ছে । কারণ? ঐ যে রংমাখা পাখাওয়ালা ছোট্ট পাখিটা ফুলের উপর বসে আছে, ওটাকে যে ধরাই চাই ওর, একবার ছুঁতে না পারলে একদম ঠিক ঠিক হাত পা ছুঁড়ে কান্না জুড়ে দেবে। খানিকটা সামনে গেলেই চোখে পড়ে একটা ঝোঁপ। সেই ঝোঁপে একটা ছোট সাদা খরগোশও দেখা গিয়েছিল এই একটু আগেই। এই অল্পখানি ঝোঁপ আর সবুজ ঘাসে মোড়া চত্বরটা যে বাড়ির তার ঠিক নাক বরাবর মিনিট পনেরো হেঁটে গেলেই নীল সাগরের আছড়ে পড়া ঢেউ। সেই সাগরের কোলজুড়ে ঘেঁষা বালিয়াড়িতে লাল কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক আরও কত কি! সাগরের বুকে কখনও মৃদু সাইরেনের মত আবার কখনও কিচিরমিচির করে চলা ঐ যে ছাই আর সাদা মেশানো পাখিগুলো উড়ে চলেছে; কেউবা সাগরের দিকে কেউবা তীরের দিকে।

নাহ উপরের এই প্রেক্ষাপট কোন উপন্যাস বা গল্পের নয়, আমি নিজের কল্পনায় ডুবে এমন করে নানান ছবি আঁকি প্রায়ই। ঐ মায়াভরা শিশুটির মতন প্রকৃতির সাথে সব মানুষেরই বোধ হয় এমন এক গভীর মিতালী থাকে। এই প্রকৃতি আকাশ বাতাস সৃষ্টিকর্তার এক অপার অনুগ্রহ, এক রহস্যময় মিরাকল। প্রকৃতি আর স্রষ্টার প্রতি টান থেকেই জানতে শুরু করলাম এক নতুনধারার বিজ্ঞানকে। বিজ্ঞানের এই উদীয়মান শাখাটির নাম বায়োনিকস বা বায়োমিমেটিকস। বোঝাই যাচ্ছে, “বায়ো” অংশটা এসেছে জীবন তথা প্রকৃতি থেকে আর “নিকস” ইলেক্ট্রনিকস, মেকানিকস, মেকাট্রনিকস সংক্রান্ত টেকনলজি বুঝাতে। মোটমাট বায়োনিকসের কাজ হচ্ছে প্রকৃতিতে ছড়িয়ে থাকা প্রাণগুলোকে অনুসন্ধান আর তুমুল গবেষণা করা, প্রকৃতির সিস্টেম থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন ধরনের প্রযুক্তি তৈরি করা এবং বর্তমান প্রযুক্তির আরও উৎকর্ষ সাধন করা। বায়োনিকসের প্রয়োগক্ষেত্র সকল ধরনের প্রযুক্তি থেকে শুরু করে শিল্পকারখানার উৎপাদনকৌশল, এমনকি যে কোন ছোটবড় প্রতিষ্ঠান বা অরগানাইজেশন এর পরিচালনা প্রক্রিয়ার উৎকর্ষ সাধন পর্যন্ত বিস্তৃত।

আসলে এই বিষয়টি এভাবে নামকরণ করার অনেক আগে থেকেই এ সম্পর্কিত গবেষণা এবং আবিষ্কারও হয়েছে অনেক। নতুন করে এই পরিচয়টা দেয়াই কেবল নতুন। মনে হতে পারে এ আবার কেমন কথা, এই খটমটে নামটাই তো তেমন শুনিনি। আসলে আদ্যিকাল থেকেই মানুষ প্রকৃতি থেকে শিখে আসছে। সেই কবেকার স্বপ্ন আমাদের ছিল, পাখির মত করে আকাশটা দেখব, উড়ব। আমরা সবাই জানি রাইট ভাইদের আগে কত মানুষ এই স্বপ্ন সফল করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। পাখি্র দৈহিক গঠন আর ওড়ার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেই কিন্তু সবকিছুর শুরু হয়েছিল। অনেকের মূল্যবান জীবনের বিনিময়ে এখন আমরা আকাশে চরে বেড়াচ্ছি এমন এক যানে যা দেখতে মোটামুটি পাখির মতনই। একইভাবে বলা যায় সাবমেরিনের কথা কিংবা এমনি আরও অনেক আবিষ্কারের কথা।

মজার ব্যাপার হল যে গবেষকরা এখন দেখতে পাচ্ছেন অনেক অনেক আবিষ্কৃত যন্ত্রপাতি, প্রক্রিয়া, প্রযুক্তির মূলটা আসলে অনেক আগে থেকেই প্রকৃতির বুকে পড়ে আছে। আমরা খেয়ালই করিনি। হয়তো খেয়াল করলে আরও বেশি উন্নত করে জিনিসটা তৈরি করা যেত।

প্রকৃতি থেকে পাওয়া ধারণা

কারণ প্রকৃতি সবসময় চেষ্টা করে সবচেয়ে কম কাঁচামাল, শক্তি বা এনার্জি খরচ করে আসল উদ্দেশ্যকে সবচেয়ে সুন্দরভাবে কার্যকর করতে। প্রকৃতি ভারসাম্য বা ইকুইলিব্রিয়াম বজায় রাখার ব্যাপারেও অত্যন্ত তৎপর আর এখানেও ঐ একই নীতি চালু আছে। এই ব্যাপারটিই বায়োনিকসের জন্মের মূল প্রেরণা। কারণ প্রতিনিয়ত পৃথিবীর মানুষ বেড়ে চলেছে, আর এইসব মানুষের ব্যবহারের ফলে দিন দিন শক্তিও কমে আসছে। সৌরজগতের অনন্য আমাদের এই প্রিয় গ্রহকে সুন্দর করে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ভাবার সময় এখনই। আর তার সমাধান খুঁজতে বিজ্ঞানীরা ফিরে গিয়েছেন পৃথিবীর প্রকৃতিতেই। কাজ কিন্তু অনেকদূর এগিয়ে গেছে এখনই, মার্সিডিজ বেনজ ডিজাইন করেছে সম্পূর্ণ নতুন মডেলের একটি বায়োনিক গাড়ি যার অনুপ্রেরণা ছিল একটি সামুদ্রিক মাছ “বক্সফিশ”।

মার্সিডিজ বেঞ্জের বায়োনিক কার

বায়োনিক গাড়িটি সম্পর্কে আরও জানুন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আরও অনেক শাখায় এমনই অনেক অবদান রেখে চলেছে এই নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞান। প্রকৃতির ডানায় ভর করে বায়োনিকস নিয়ে আসুক দ্বিতীয় সহস্রাব্দের রেঁনেসা, সেই প্রতীক্ষায় আর কামনায় রইলাম আমরা পৃথিবীর মানুষেরা।

মাধবীলতা সম্পর্কে

"অনিমেষ অবাক হয়ে দেখল মাধবীলতাকে । মাধবীলতা কোন রাজনীতি করেনি কখনও, শুধু তাকে ভালবেসে আলোকস্তম্ভের মত একা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে । খরতপ্ত মধ্যাহ্নে যে এক গ্লাস শীতল জলের চেয়ে বেশি কিছু হতে চায় না । বাংলাদেশের এই মেয়ে যে কিনা শুধু ধূপের মত নিজেকে পোড়ায় আগামীকালকে সুন্দর করতে । দেশ গড়ার জন্যে বিপ্লবের নিষ্ফল হতাশায় ডুবে যেতে যেতে অনিমেষ আবিষ্কার করেছিল বিপ্লবের আরেক নাম মাধবীলতা ।" - সমরেশ মজুমদারের "কালবেলা" উপন্যাসের মুখবন্ধের অংশবিশেষ থেকে উদ্ধৃত এই কথাগুলো আমার খুব বেশি আপন । কোন এক অনিমেষের মাধবীলতা হতে পারাটা আসলেই বড় বেশি সৌভাগ্যের।
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

15 Responses to প্রকৃতির টানে, প্রকৃতির পানে…

  1. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    প্রকৃতি সবসময় চেষ্টা করে সবচেয়ে কম কাঁচামাল, শক্তি বা এনার্জি খরচ করে আসল উদ্দেশ্যকে সবচেয়ে সুন্দরভাবে কার্যকর করতে। – এটা আমরা কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছি? মানে “প্রকৃতি” একটা কাজ করেছে এর চেয়ে অপটিমাম উপায়ে আমরা করতে পারব না? মানুষের শরীরে এটা সেটার বদলে ঐটা/সেইটা লাগালে তো দেখা যাবে মানুষ এখনকার চেয়ে বেশি প্রডাক্টিভ!!

    বায়োনিকস এর আসল উদ্দেশ্য তাহলে কী হচ্ছে? শক্তি বাঁচানো নাকি পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি?

    লেওনার্দো ভিঞ্চি ও পাখি থেকেই ইঞ্জিনিয়ারিং শিখেছেন। প্রকৃতি চমৎকার একজন শিক্ষক হতে পারে আসলেই! আমি নাসিম নিকোলাস তালেব এর ব্ল্যাক সোয়ান পড়ছিলাম, সেখানে মাদার নেচার বলে বার বার উল্লেখ করে প্রজ্ঞার কথা লিখছিলেন তিনি! ভালো লাগছিলো।

    উন্নয়নশীল দেশে কেমন কাজে লাগবে এই প্রযুক্তি? মানে গরীব দেশ গুলো কি ব্যবহার করতে পারবে? নাকি একটু বেশি এক্সপেন্সিভ হবে?

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      উঁহু, দুইটা জিনিস আলাদা ভাইয়া।
      প্রকৃতি অপটিমাম উপায়েই কাজ করে। ধর, আমাদের যখন খাদ্যাভাব হয়, দেহ তখন দরকারে মাসল প্রোটিন ভেঙে ব্রেইনে খাদ্য পাঠায়। কারণ ব্রেইনে খাদ্যের অভাব হলে মৃত্যু অনিবার্য। তাই মঙ্গা বা দুর্ভিক্ষের সময় দেখবা মানুষের স্বাস্থ্যের অবস্থা খুব খারাপ কিন্তু বডি ওয়েটের তুলনায় মাথার ওজন বেশি, মাথা বড় দেখাচ্ছে। মানে ব্রেইন আর বডিতে সব জায়গায় ইনপুট দিয়ে প্রকৃতি কখনোই শক্তির অপচয় করবে না। সেই হিসাবে প্রকৃতি সবসময় মিতব্যয়ী। বিবর্তন আমাদের এমনভাবেই গড়েছে যাতে প্রকৃতিকে আমাদের পেছনে শক্তি অপচয় করতে না হয়।

      তুমি যেটা বলছ সেটার ব্যাপার আলাদা।
      তোমারটা মোডিফিকেশন, যখন প্রকৃতি কোন কারণে অক্ষম হয়ে যায় মোডিফিকেশনের ব্যাপারটা তখনই আসে। এই মোডিফিকেশনটাই বায়োনিকসের কাজ। বায়োনিকসের অর্থই হল প্রাকৃতিক মডেলের ব্যবহার করে প্রকৌশলগত দিক দিয়ে উন্নতি সাধন করা। সোজা বাংলায়, বায়োনিকসের শিক্ষক হল প্রকৃতি।

      আমাদের দেশের পারস্পেক্টিভে বায়োনিকসের প্রয়োগ বিলাসিতা, শুধুমাত্র চিকিৎসাক্ষেত্র বাদে। হৃদযন্ত্র, রক্তকণিকা, ফুসফুস ইত্যাদির ট্র্যান্সপ্ল্যান্টেশনে বায়োনিকসের খুব দরকার। কিন্তু আমাদের দেশে এইসব ক্ষেত্রেও ধনী পরিবারগুলো ছাড়া অন্যদের পক্ষে এর ব্যয়ভার চালিয়ে নেয়া সম্ভব না।

      রাসায়নিক কারখানাগুলোতে একটা ভালো রকম প্রয়োগ হতে পারে বায়োনিকসের, সিন্থেটিক কেমিক্যাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে। কিন্তু এইটার অর্থনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু থাকবে তা জানি না।

      বাকি মার্সিডিজ বেনজ বল আর এয়ারক্র্যাফটের জায়গাতেই বল, বায়োনিকসের হাত ধরে দ্বিতীয় সহস্রাব্দের রেঁনেসা আসলে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর কোন আলাদা লাভ হবে না।

      কম্পিউটার বা আইটি জগতের খবর তো আমার থেকে তুমি ভালো জানবা। ঐটা আর এইখানে বললাম না তাই। 😛

      মাধবীলতা, ধন্যবাদ।
      ভালো লিখেছেন। 🙂

      • বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

        প্রকৃতি অপটিমাম উপায়েই কাজ করে- এটা কীভাবে জানো? প্রকৃতি যে এর চেয়েভালো কিছু করতে পারত না, সেটা আমরা কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছি আমি সেটা বলছিলাম!!

      • মাধবীলতা বলেছেনঃ

        ধন্যবাদ জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যের জন্য। 😀 প্রথমত বিশ্বায়নের যুগে পুরো বিশ্বকে নিয়েই চিন্তা করাটা আমি প্রেফার করি। সেই ক্ষেত্র থেকে চিন্তা করলে বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে একটা রেঁনেসার আনন্দের ভাগ নিতে আমি আগ্রহী। সপ্তদশ শতকে শিল্পায়নের শুরুটা হয়েছিল কিন্তু উন্নত বিশ্বেই। কিন্তু তার ছোঁয়া দিয়ে আজ পুরো বিশ্ব (তৃতীয় বিশ্বও এর মধ্যে পড়েছে) এগিয়ে গেছে অনেক অনেক ধাপ সামনে। তাছাড়াও বিশ্বের কাজে লাগানো যাবে না এর সাথে পুরো একমত নই আপু। কারণ, বাংলাদেশের শিল্পায়ন খুব প্রয়োজন। শিল্পকারখানাগুলোতে cost effective organization/production strategy তে বায়োনিকস কাজে আসতে পারে অনেক ভাবেই। আমি এই ব্যাপারটি নিয়েই কাজ করছি, বিস্তারিত পরে হয়তো জানাতে পারব। আর তাছাড়া ছোটখাট অনেক প্রোডাক্ট যেগুলোর ছবি দেয়া আছে ওপরে এইসব বানাতে খুব বেশি টাকা পয়সা লাগে না। বরং এইগুলো খরচ কমাতে কিংবা প্রোডাক্টকে আরও ইফেক্টিভ করতে কাজে লাগবে। বায়োনিক কার কিন্তু ফুয়েল খরচ কমিয়ে দেয়। আর তুমি তো বললেই প্রকৃতি অপটিমাম থাকে সবসময়। আমরা প্রকৃতি থেকে এই শিক্ষাটাই কাজে লাগাবো। মার্সিডিজ বেঞ্জ যদি কার বানায়, আমাদের দেশি পণ্যের ক্ষেত্রে আমরাও অপটিমাইজেশন আনার নতুন নতুন ক্ষেত্র নিয়ে ভাবব। আইটির বিভিন্ন এলগরিদম আমরা বানাবো ইভলিশনারি/জেনেটিক এলগরিদম এমনকি পিঁপড়া বা মৌমাছির লাইফস্টাইল বা চলাফেরা থেকে। আমি আশাবাদী ইনশাআল্লাহ। 🙂

    • মাধবীলতা বলেছেনঃ

      প্রকৃতি মূলত অপটিমাম কাজটাই করে। Less materials, Self healing এই দু’টা প্রকৃতির মূলনীতি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রকৃতি্র মত করে বেশ সরল বা simplistic solution প্রয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়ে, সেই ক্ষেত্রগুলোতে কিছু জটিলতা আনতে হয় sophistication এর জন্য। এটা ক্ষেত্রবিশেষে পরিবর্তিত হতে পারে। এর মানে এ-ই না যে সবক্ষেত্রেই এটা জটিল বা খরচে হয়ে যাবে।

      বায়োনিকসের আসল উদ্দেশ্য মূলত শক্তি বাঁচানো আর খুঁজে বের করা প্রকৃতি কোন জায়গাগুলোতে আমাদের চেয়ে ইফেক্টিভ, এরপর সেটা আরও উন্নত করে কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা করা।

      উন্নয়নশীল দেশের ব্যাপারে আমি আশাবাদী যা বলছিলাম নিচের মন্তব্যে। এক্সপেনসিভ না, বরং এক্সপেন্স কমাতেই আমরা এটাকে কাজে লাগাতে পারি। আমাদের দেশে আসলে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার পৃষ্ঠপোষকতা কম থাকায় এই বিষয়টি কেবল বায়োমেডিকেল চিন্তাধারার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে গেছে। আমি তো মনে করি, আমাদের বিজ্ঞানবিমুখ তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞানে আকৃষ্ট করার মত অনেক মজার বিষয় আছে বায়োনিকসে। 🙂

  2. সামিরা বলেছেনঃ

    লেখার শুরুটা চমৎকার লাগলো, ঠিক যেরকম ভাষা আমার ভাল লাগে। 😀 আমি পড়তে পড়তে ভাবছিলাম এগুলো আপনার চারপাশের দৃশ্য। এত সুন্দর জিনিস তো আমার কল্পনাতে আসেই না!

    বায়োনিক্‌স নিয়ে জানতাম না তেমন কিছুই। জানতাম না মানে নামটা একেবারেই অচেনা! তবে কিছু কিছু আইডিয়া পরিচিত। খুব ভাল লাগলো পড়তে। তবে ছবিগুলি সব বোঝা যাচ্ছে না ভালমত, প্রথম ছবিটা আর কি।

    নিয়মিত লিখবেন কিন্তু! 🙂

    • মাধবীলতা বলেছেনঃ

      শুরুটাই আসলে যা…এরপরে তেমন সুন্দর করে আগাতে পারি নি। আর আমি এই একটা কাজে ছোটকাল থেকেই ওস্তাদ 8) কল্পনার রাজ্যে ডুব দিয়ে বসে থাকা। আর বাকি সবক্ষেত্রে বেগুণ! 🙁

      ছবির কথা আর বলো না, যে-ই ঝামেলা হল ছবি আপ করতে! কী একটা টেকনিক্যাল বাগ আছে নাকি ঐটার কারণে। প্রথম ছবিটা আরেকটু বড় করলে মনে হয় ভালো হত।

      নিয়মিত লেখার চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। :love:

  3. জ্ঞানচোর বলেছেনঃ

    বায়োনিক প্রযুক্তি নিয়ে অনেকদিন ধরেই কানাঘুষা চলছে। কিন্তু, এর সফল ব্যবহার দেখেছি খুবই কম। জেনে ভাল লাগলো, মারসিডিজ গাড়ি বরের করছে এই ধারনার উপর।
    আমার মনে ্রশ্ন আসলো, এই প্রযুক্তি মূলত কোন সুবিধা দেবে। এটা কি পারফর্মেন্স বাড়াবে, না কি খরচ কমাবে? কোনটা?

    আরেকটা ব্যপার দেখি। সবুজ প্রযুক্তির কথা বলে বলে, কখনও কখনও পণ্যের বিজ্ঞাপন করা হয়। যতটা না সবুজ প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবেশের উন্নতির চিন্তা করা হয়, তার চেয়ে বাজার দখলই তাদের উদ্দেশ্য। এখানে এই গবেষণাগুলো আসলে কতটুকু প্রচলিত প্রযুক্তির চেয়ে বেশি সুবিধা দেবে? না কি, কেবল বিজ্ঞাপনী হাতিয়ার হিসাবে দেখা দেবে এটি?

    • মাধবীলতা বলেছেনঃ

      ক্ষেত্রবিশেষে আসলে দু’টা উপকারেই আসবে। কোন জায়গায় ইম্প্রুভমেন্ট আবার কোন জায়গায় খরচ কমানো। তবে প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজিতে আমরা আসলে খরচ কমানোটাকে ইম্প্রুভমেন্টের খাতায়ই ফেলি। সেক্ষেত্রে এটা মূলত একটাই সুবিধা দিচ্ছে ইম্প্রুভমেন্ট/ অপটিমাইজেশন।

      মোটেই না, গ্রীন এনার্জির ইম্পলিমেন্টেশন চলছে বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশে হয়তো বিজ্ঞাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে বা শিল্প কারখানাগুলো যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা বা অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতা/সদিচ্ছা না থাকার কারণে গ্রীন এনার্জি নিয়ে তেমন আগাতে পারছে না। আর না কাজে লাগিয়ে আসলে তো উপায় নেই, খনিজ সম্পদ/জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে দিনকে দিন…রিনিউয়েবল এনার্জি/গ্রীন এনার্জি নিয়ে না কাজ করে উপায় নেই।

      ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। 🙂

  4. অনাবিল বলেছেনঃ

    কল্পনাতে ডুবে গিয়েছিলাম আমিও, এমন কল্পনায় হারিয়ে যাবার অভ্যেস আছে আমারো…… 🙂

    বায়োনিক্স নিয়ে তেমন কিছুই জানা ছিলো না, খুব আগ্রহ জাগলো… শক্তির যথাযথ উপযোগিতা সৃষ্টি নিয়ে যাবতীয় গবেষণায় আমার অনেক আগ্রহ… গবেষণার আপডেট নিয়ে লেখা আশা করছি নিয়মিত, এই বিষয়ে আরও বেশি জানতে চাই…… 🙂

    এখন বায়োনিক্স নিয়ে পড়াশোনা আর গবেষণা করতে ইচ্ছে করছে…… 🙂
    যাহোক, আমাকে একটা বায়োনিক গাড়ি গিফট করা হোক! :p

    • মাধবীলতা বলেছেনঃ

      আফামণি গাড়ির ইলেকট্রনিক পার্টসগুলো আপনি ডিজাইন করবেন আর আমাদের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বাকিটা ! তারপর কোন এক অদূর স্বপ্নভরা ভবিষ্যতে আমরা এই গাড়ি বাংলাদেশে বাজারজাত করব ইনশাআল্লাহ ! পুরো জাতিকেই গিফটু দিবোনে…

      আহ স্বপ্ন ! স্বপ্ন দেখতে পয়সা লাগে না… :happy:

  5. শুকপাখি বলেছেনঃ

    একটি অসম্ভব আদরমাখা বছর তিন চারেকের শিশু সবুজ ঘাসের উপরে সন্তর্পণে পা ফেলে চুপচুপ করে এগিয়ে যাচ্ছে । কারণ? ঐ যে রংমাখা পাখাওয়ালা ছোট্ট পাখিটা ফুলের উপর বসে আছে, ওটাকে যে ধরাই চাই ওর, একবার ছুঁতে না পারলে একদম ঠিক ঠিক হাত পা ছুঁড়ে কান্না জুড়ে দেবে।

    আপু জাস্ট অসাম ।ক্যামনে যে লেখেন ?

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।