ডায়েরিতে অনেকগুলো লিখা জমা হলেও কেন জানি পোস্ট দিতে ইচ্ছা করেনি (এমনটিও নয় যে সবাই আমার লিখা পড়ার জন্যে অপেক্ষা করে 😛 )।
যাই হোক, অনেক মাস পড়ে আজ কিছু একটা পোস্ট দিচ্ছি। এই লিখাটা তাদের জন্যে উৎসর্গ করলাম, যারা স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে, যারা রাতের পর রাত পার করে দেয় অসীম আকাশ পানে-নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে, যারা রুপকথার মায়াজালে জড়িয়ে নেয় নিজেকে; আশেপাশের সব দুঃখ ভুলে যাওয়ার জন্যে। যারা চোখ বন্ধ করে দিলেও, বলে দিতে পাড়ে সমুদ্র থেকে উঠে আসা লোনাপানির গন্ধ।
এই জরাজীর্ণ, ধূসর ঢাকা থেকে মাঝে মাঝে অনেক পালিয়ে যেতে ইচ্ছা করে, হাত পা ছড়িয়ে, ঝাঁপ দিতে ইচ্ছা করে অজানাতে……………
আর এর প্রতিটি মুহূর্তে পাসে থাকে যদি প্রিয় মানুষটি, তাহলে হয়তো কথাই নাই। ……সুখি মানুষের সংজ্ঞা তাই, আজো আমার অজানাই রয়ে গেল……
হারানো অজানাতে-নক্ষত্রের রাত্রিতে
ফিরে এসো প্রিয়তমা,
হারিয়ে যাওয়ার,আজ কোন প্রহর নেই,
নেই ঋতুর পালাবদলে, খোলা পালে,
মৌসুমি হাওয়ার জন্যে, অপেক্ষা।
হারিয়ে যাব, আজ এই মুহূর্তে, নিমিষেই,
তুমি আর আমি একা।
আমারই সাথে, হাতে হাত রেখে,
পৃথিবীর প্রথম বিশ্বাস হয়ে,
ঘুরে আসবে, দূর থেকে দূরে।
প্রাচীন সমুদ্রের, ঢেউভাঙ্গা কিনারে।
পানির ছিটা, ভিজিয়ে যাবে তোমায়-আমায়,
হারিয়ে যাওয়ার আগে, শেষ বিকেলে।
তারপর সমস্ত অস্তিত্বকে, অস্বীকার করে,
আমারই হাত, আঁকড়ে ধরে,
ঝাঁপ দিবে, বিক্ষুব্ধ নীলে।
এক আর দুইয়ের মাঝে,
ঝুলে থাকা কালে; দীর্ঘ পতনের পরে,
চিত হয়ে মাথা ডুবিয়ে,
লম্বা……… ডুবসাঁতার।
আজতো, হারিয়ে যাওয়া মানে, কেবলই, হারিয়ে যাওয়া।
নিজেদের, প্রতিটি বিন্দু, ভালবাসা অর্জন করে নেওয়া
সমগ্র সত্তা দিয়ে, প্রতিটি মুহূর্তে।
অন্তরের গভীরে খুজে পাওয়া,
সত্য থেকে অধিক সত্য, সুন্দর থেকে সুন্দরতর।
ভালবাসা এমনই কি, তুমি বা আমি ছাড়া।
ভালবাসা এমনই কি, তুমি বা আমি ছাড়া।
ফিরে এসো প্রিয়তমা,
আজ প্রজাপতির ডানায়;
নেমে আসা সন্ধায়,
পথ হারাবার, ভয় নেই।
ফিরে এসো প্রিয়তমা।
জ্বেলে রাখা, সোনালি আগুনের আলোতে,
সমুদ্রের এই নির্জন বালু-বেলাতে।
তোমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে,
সপ্নের গল্পে নামবে আজ; নক্ষত্রের রাত।
তাইতো, বাঁধা নেই আজ বলতে, “ভালবাসি”।
গভীর আঁধারে, বুকে যে আজ ভরে নিয়েছি, পেনডোরার শেষ আশা,
আর তোমার চোখের আয়নায় দেখা, আমার জন্যে ভালবাসা।
তারপর, গল্পের শেষ, শুনতে শুনতে,
আমার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়বে।
শেষ অঙ্গারটিও, তখন প্রায় নিভু নিভু।
জেগে রব আমি, চুপচাপ চারিধারে।
রুপকথায় জড়ানো, লোনা জলে,
ফসফরাসের আলোর আবছায়াতে।
তোমার ঘুমন্ত চোখেমুখে,
ভালবাসা, দেখতে দেখতে,
ঘুমিয়ে পরব আমিও,
গভীর থেকে গভীর হতে যাওয়া,
নক্ষত্রের রাত্রিতে।
ভালবাসা এমনই কি, তুমি বা আমি ছাড়া।
ভালবাসা এমনই কি, তুমি বা আমি ছাড়া।
হাতে হাত রেখে, দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া- নিরন্তর।
ফিরে এস প্রিয়তমা,
ভালবাসা এমনই কি, তুমি বা আমি ছাড়া।
ভালবাসা এমনই কি, তুমি বা আমি ছাড়া।
প্রিয়তমা যেন এই কবিতা পড়ে ফিরে আসতে ব্যাকুল হয়, সেই আশাই করি। 😀
মানুষ কতভাবেই না হারায়।
আমিও হারাই একটু অন্যভাবে, হয়তবা স্বপ্নের ঘোরে। 😐
বেশ কিছু টাইপো আছে।
ঠিক করে নিলে ‘মারহাবা’ হবে। 🙂
আরেকটা কথা লিখতে ভুলে গেছি।
সবাই অপেক্ষা করে কিনা জানি না, তবে আমি মিস করি তাঁদের লেখা যারা ঠিক নিয়মিত না। ‘মিস’ করার অর্থটা অন্যরকম, সেইভাবে অপেক্ষা করা না, অন্যরকম একটা আকুলতা। আশা করি, পরেরবার থেকে পোস্টের শুরুতে এই লাইনটা দেখতে পাব না। লাইনটা দেখে সত্যিকার অর্থে কষ্ট পেলাম।
টাইপো গুলা আসলে, না যানার কারনে হয়ে যায় 🙁 ……… আর সব প্রিয়তমারা তো আর ঘরে ফিরে না। আগে মনে করতাম কল্পনা থেকে লিখা কঠিন, এখন টের পাই, নিজের জীবন থেকে লিখা আরও কঠিন ব্যাপার
ভালোবাসার আকুলতা ………… :happy:
মানুষটাকে ফিরে পাবার আকুলতা 🙂
রুপকথায় জড়ানো, লোনা জলে
ফসফরাসের আলোর আবছায়াতে
তোমার ঘুমন্ত চোখেমুখে
ভালবাসা, দেখতে দেখতে
ঘুমিয়ে পরব আমিও
ভালো লেগেছে 😀
যা সব কাকের ঠেঙ বকের ঠেঙ লিখি :-(……… তারপরও “ভালো লেগেছে” কমেন্ট দেখলে বুকটা এক বিঘৎ বড় হওয়ে যায়। ধন্যবাদ :penguindance:
অনেকদিন পর লিখলা মনে হয়?
কবিতা বুঝি না। 😛
বাংলা লিখাটা আজ পর্যন্ত শিখতে পারলাম না। বানান ভুলে ভর্তি। 🙁 😳
বানান এ ভুল থাকলেও ভাবে কোন ঘাটতি দেখলাম না। আপনার কবিতাটি কিছু মনে করিয়ে দিল…
আর কবিতাগুলা আমাকে প্রতিনিয়ত মনে করায়। 🙁