ঈশ্বর একবার এক লোকের কাছে একজন দেবদূতকে পাঠালেন। লোকটির কিছু অসাধারণ গুণ ছিল – তিনি তাঁর চারপাশের সবাইকে ভালবাসতে আর অবলীলায় ক্ষমা করে দিতে পারতেন।
দেবদূত তাঁকে এসে বললেন, “ঈশ্বর আপনার ভাল কাজের পুরস্কার দিতে আমাকে পাঠিয়েছেন। বলুন আপনি কী চান? আপনার যা ইচ্ছে তাই আপনি চাইতে পারেন। আপনি কি মানুষকে রোগমুক্ত করার ক্ষমতা চান?”
“মোটেই না। এ দায়িত্ব ঈশ্বরের কাঁধে থাকলেই বরং আমি খুশি,” লোকটির উত্তর।
“তাহলে? পাপীদের সৎপথে ফিরিয়ে আনতে চান?”
“সে তো আপনার মতো দেবদূতদের কাজ। আমি কারো শ্রদ্ধার পাত্র হতে চাই না, কোন ভাল কাজের দৃষ্টান্ত হয়েও থাকতে চাই না।”
“দেখুন, আপনি নিজে যদি কিছু বেছে না নেন, তাহলে আমাকেই আমার ইচ্ছামত কোন না কোন ক্ষমতা আপনাকে দিতে হবে। তা না করে স্বর্গে ফিরে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
এক মুহুর্ত ভেবে লোকটি বললেন, “আচ্ছা, তাহলে আমি চাই আমাকে দিয়ে ভাল কিছু হোক; কিন্তু তা যেন কেউ বুঝতে না পারে, এমনকি আমি নিজেও না। তা না হলে আমার মনে নিজেকে নিয়ে অহংকার জন্মাতে পারে।”
এরপর থেকে লোকটি যেখানেই যেতেন, সেখানেই রুগ্ন মানুষ স্বাস্থ্য ফিরে পেতো, কৃষকের জমি ফসলে ভরে উঠতো, আর দুখী মানুষদের জীবনে সুখের দেখা মিলতো। এমন করেই তিনি অনেক বছর পৃথিবীর নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ালেন।
দেবদূত তাঁকে কী পুরস্কার দিয়েছিলেন জানেন? তিনি তাঁর ছায়াকে রোগমুক্তির ক্ষমতা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা শুধু তখনই কাজ করতো যখন তিনি সূর্যের দিকে ফিরে থাকতেন। সূর্যের দিকে মুখ করে থাকলে যেহেতু তাঁর ছায়া থাকতো তাঁর পেছনে, তাই তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কখনোই জানতে পারেননি কী অসাধারণ ক্ষমতা তাঁকে দেয়া হয়েছিল।
মূল গল্পঃ ((http://paulocoelhoblog.com/2010/11/10/the-man-and-his-shadow/))
দারুণ গল্প। 🙂
হ্যাঁ আপু। 🙂
“সূর্যের দিকে মুখ করে থাকলে যেহেতু তাঁর ছায়া থাকতো তাঁর পেছনে, তাই তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কখনোই জানতে পারেননি কী অসাধারণ ক্ষমতা তাঁকে দেয়া হয়েছিল।”
তোমার অনুবাদের আমি ভক্ত হয়ে গেলাম….পাওলো কোয়েলহো থেকে সামিরার অনুবাদ দেখি বেশি অসাধারণ …. 😀
প্রশংসা একটু বেশি হয়ে গেলো না? 😛
চমৎকার!
অনেকগুলা কোয়েলহো পড়া হয়ে যাচ্ছে তোমার কারণে।
অনুবাদ করতে যেয়ে আমারো পড়া হয়ে যাচ্ছে অনেক! 🙂
আহ,অসাধারণ গল্প,সাথে অসাধারণ অনুবাদ :clappinghands:
ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂
গল্পটা যেমন চমৎকার! অনুবাদটাও। তালি তালি :clappinghands:
😀 অনেক ধন্যবাদ আপু। অনুবাদ নিয়ে যদিও খুবই খুঁতখুঁত লাগছে!
নারে বোকা, ভালো হচ্ছে :clappinghands:
কী অদ্ভুত সুন্দর! আমি দিন দিন তোর সুবাদে পাওলো কোয়েলহো এর ভক্ত হয়ে যাচ্ছি! উনি দেখি ইশপের চেয়েও ভাল লিখতেন! অল্প কথায় কী অসাধারণ শিক্ষা দিয়ে গেছেন মানুষকে! :huzur:
ইশপের চেয়ে ভাল কিনা জানি না, কিন্তু অনেক ভাল তো নিঃসন্দেহে!
আর শিক্ষা দিয়ে যান নি এখনো, দিয়ে চলেছেন। :huzur:
ধন্যবাদ আপু। 😀
ওহ হো! কী বিশাল ভুলটাই না করেছি! 🙁
তোর এই অনুবাদটা প্রিয়তে নিলাম। 🙂
অসাধারণ গল্প। চমৎকার অনুবাদ। 🙂
আরো অনুবাদ চাই। অবশ্যই পাওলোর 🙂
অনেক ধন্যবাদ! 🙂
আবারো পাওলো? আমি তো ভাবলাম সবার একঘেয়ে লাগছে নাকি একই লেখকের এত অনুবাদ পড়তে পড়তে।
কোয়েলহো’র ১০, ২০ সেকেন্ড লেখাগুলো কী সুন্দর!
আর আনুবাদ–প্রাণবন্ত!!
আরো কোয়েলহো অনুবাদের অপেক্ষায়…….:)
অনেক ধন্যবাদ! 😀 হুম কোয়েলহো রক্স! 😛