বাংলাদেশের বিভিন্ন অবস্থার মানুষের গানের রুচি দেখে আমরা বেশ কিছু প্রশ্ন পেতে পারি –
অর্থনীতির সাথে সংস্কৃতির সম্পর্ক কেমন ?
রবিঠাকুর নজরুল কি সব ক্লাসে সমান জনপ্রিয় ?
লালন কোন ক্লাসে জনপ্রিয় ?
কেন অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে মানুষের পছন্দ-অপছন্দের স্বাদ নির্ভর করছে ?
একটা বিশেষ শ্রেণী কেন কেবল একটা নির্দিষ্ট ধরণের ওপর নির্ভরশীল ?
বৈচিত্র্য কমে যাচ্ছে কেন ?
আমাদের মূল্যবোধ কোন দিকে ধাবিত হচ্ছে ?
আজ থেকে ২০ বছর পর কোথাই গিয়ে দাঁড়াবে এই মূল্যবোধ ?
আর ও কিছু প্রশ্ন আর সাথে আমাদের চিন্তা …
পোস্টটা দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। এত গুলো প্রশ্ন।আর একটা সুন্দর গ্রাফ।
বাংলাদেশের সংগীত জগৎ যে কিসের ভিত্তিতে উঠানামা করে, তা ঠিক বুঝে উঠতে পারি না।
তবে একটা ধারনা করা যায় যে, নতুন নতুন অ্যালবামের প্রকাশের সাথে তেমন কোন প্রচারণা না থাকায়, মূলত, সমগ্র সংগীতপ্রিয়তা, পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থার সাথে সংগতি রেখে চলছে। তাছাড়া, শিক্ষা আর ভাষার একটা বিরাট ভূমিকা থাকে এই সংগীত পছন্দের উপর। যেহেতু,এই সবকিছুই অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত, সেহেতু, একটা স্বাভাবিক সম্পর্ক দেখতে পাওয়া উচিৎ।
কিন্তু, সংস্কৃতির বাছই সাথে মূল্যবোধের সম্পর্ক এরকম শ্রেণী বিভাজন বোধহয় সম্ভব নয়। কারণ, ঠিক কোন ধরনের গান আমাদের মূল্যবোধের সাথে যায়, তা কিভাবে নির্ধারণ করবেন?
[লেখিকা আপুকে ধন্যবাদ খুব চিন্তার দাবীদার একটা বিষয় সামনে আনার জন্য। তবে, ভাবছি, যিনি প্রশ্ন রাখলেন, তিনি হয়তো অনেক ভালো বলতে পারবেন জবাব গুলো কি। আর গ্রাফটার কি কোন পরিসাংখ্ৎস আছে?]
:welcome:
সহমত……
🙂
ধন্যবাদ আপনাকে
আমাদের আসেপাশের পারিপার্শিকতা থেকে গ্রাফটা আঁকা হয়েছে …
দারূণ বিষয় আর চিন্তাজাগানিয়া ভাবনা…… 🙂
:welcome:
ধন্যবাদ
🙂
লেখিকা আপুনিকে অনেক ধন্যবাদ! তবে পোস্টটা কি আরেকটু বড় হতে পারত? মানে উত্তরগুলো কি আমরা পরের কোন একটা ফলো আপ পোস্ট হিসেবে পেতে পারি?
আমার চিন্তায় যেটুকু মনে হয়, অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে আরও স্পষ্ট করে বললে সামাজিক স্ট্যাটাসের উপরে এই পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর। উঁচু শ্রেণির উচ্চবিত্ত ছেলেমেয়েদের মাঝে বাংলা গান, বাংলা সাহিত্যের তেমন কদর নাই। এরা ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে এবং বাংলাটাই মুখ দিয়ে বের করতে চায় না! তবে ব্যতিক্রম আছে, ব্যতিক্রম টেনে লাভ নাই। মধ্যবিত্তদের মাঝে দেখা যায় বাংলা সাহিত্য, গানের চাহিদা বেশি। মধ্যবিত্ত প্রজাতিটা আসলে অসংজ্ঞায়িত টাইপের। এদের মধ্যে লেডি গাগা ভক্ত যেমন আছে, তেমনি আছে লেটেস্ট হিন্দি গান ও সিনেমার তুখোড় ভক্ত (নিজের চোখে দেখা!), কয়েকজন আছেন গড়গড়িয়ে হিন্দি বলাটা বেশ কৃতিত্বের কাজ মনে করেন। আর একেবারে নিম্নবিত্তদের মাঝে বাংলা সিনেমা বা এফ এম যুগে পাওয়া আধুনিক বাংলাদেশী গায়ক-গায়িকাদের গান। এই তো…
সন্দেহ নেই মূল্যবোধ খারাপ দিকেই ধাবিত হচ্ছে। যদি যথেষ্ট সংখ্যক মানুষ সচেতনতার আলো জ্বালাতে সোচ্চার না হন, সংস্কৃতির মাঠে ভারতীয় আগ্রাসন আরও দ্রুততর হবে। বিশ বছরও বসে থাকতে হবে না…
পরের গুলো বড় হবে আশা করি 🙂
উত্তর গুলা অন্য একটা পোস্টে পাওয়া যাবে …
আপনি ঠিক বলেছেন …
এইখানে প্রসঙ্গ অনেক দিকে যেতে পারে যেমন গান কে সম্মান করা ,দেশের গানের মর্যাদা করা , পাশ্চাত্য থেকে সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ কে ভালো কাজে লাগানো , গানের মিশ্রণের ক্ষেত্রে মূল গানের অস্তিত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা সহ আর ও অনেক কিছু ।
আমাদের দেশের আধুনিক ব্যান্ড গুলোর গান গুলো কিন্তু অসাধারণ । শিরোনামহীন আর্টসেল অর্থহীন এদের গান শুনলে অনেক কিছু করতে ইচ্ছা করে জীবনে … সে তুলনায়ে নজরুলের গান গুলো আরও বেশি কার্যকর ।
এখন এইটা সম্পূর্ণ যারযার রুচির উপর নির্ভর করছে … একি গান আমার শুনে যেমন লাগবে অন্যজনের ঠিক তার বিপরীত ও লাগতে পারে ।
আলোচনা গুলো কখন কিভাবে করা যেতে পারে ?
:welcome:
🙂
ধন্যবাদ
গ্রাফটা ইন্টারেসটিং ছিল। বেশ সুন্দর করে উপস্থাপন হয়েছে। তবে লেখাটা মনে হয় আরেকটু বড় হতে পারত। সেক্ষেত্রে, পাঠককে আরেকটু স্পেসিফাই করে দিলে, তারা হয়ত এই রকম প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে সাহায্য পেত চিন্তার ক্ষেত্রে।
অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা অবশ্যই কিছু বিশেষ ধরনের গানের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এর কমা-বাড়ার সাথে পছন্দেরও তারতম্য হয় — সেটা গ্রাফে সুন্দরভাবেই ফুটে উঠেছে। তবে, কোন কী আইডিয়ার আলাপ না থাকলে আগামী ২০ বছর পরের ব্যাপারে চিন্তা করা সম্ভব না মনে হচ্ছে। কিছু বিষয়ের প্রেক্ষিতে সেই আলোচনা করতে হবে।
এরকম আরো চিন্তাজাগানিয়া লেখা আশা করছি লেখিকার কাছে।
:welcome:
🙂
ধন্যবাদ আপনাকে
আইডিয়া শেয়ার করা দরকার সবার।
কি রকম আইডিয়া হতে পারে , সে ক্ষেত্রে বিষয় গুলো কি রকম হওয়া উচিৎ ?
:thinking:
সবার মন্তব্যেই একটা কমন পয়েন্ট চলে এসেছে কিন্তু নিতি।
আমি তাই নতুন করে একই কথা আবার বললাম না।
প্রথম পোস্ট হিসেবে থিমটা দারুণ!
যতটুকু তোকে চিনি, তুই খুব চিন্তা করিসও।
এই চিন্তার ধারাটা বজায় রাখিস এবং আমাদের সাথে শেয়ার করিস।
আরেকটা ব্যাপার বলব আমি। গ্রাফের রেফারেন্স দিলে বেশি ভালো হত। গ্রাফটা দেখে পাঠক এর পেছনের যুক্তিযুক্ত প্রমাণ দেখতে চাইতেই পারে। একজন লেখকের সেই ব্যাপারটা মাথায় রাখা উচিত।
গুলিস্থানের সেই ফটোগ্রাফির উপর একটা পোস্ট আশা করি তোর কাছ থেকে।
এবং অবশ্যই :welcome: জানাই তোকে। 😀
ধন্যবাদ আপনাকে আপু … পরের গুলো তে চেষ্টা করবো রেফারেন্স দিয়ার ।
গুলিস্তানের ছবি আছে আমার কাছে … ঠিক সময় মতো পেয়ে যাবেন আশা করি
গ্রাফটির তথ্যসূত্র জানাবেন প্লিজ? কোন পেশাদার জরিপ হুতে পাওয়া ডেটা ভিত্তিক উপস্থাপনা এটি? তাহলে জরিপটি সম্পর্কেও জানাবেন প্লিজ।
তথ্যের ভিত্তি যত মজবুত হবে, তার অ্যানালাইসিস তত দৃঢ় হবে! 🙂
মোটামুটি অনুমান বলা যেতে পারে,
মূলত চিন্তা জাগানোর জন্যই এই গ্রাফটা আঁকা হয়েছে ।
মোটামুটি অনুমান বলা যেতে পারে,
মূলত চিন্তা জাগানোর জন্যই গ্রাফটা আঁকা হয়েছে ।