[আইডিয়া বাস্তবায়ন]: জন্মদিন ‘সরব’ স্টাইল

সম্প্রতি সরবের বর্ষপূর্তিতে খুব নতুন আর চমৎকার একটা বিভাগে কাজ শুরু করেন কিছু স্বপ্নবাজ মানুষ, যারা স্বপ্ন দেখেই থেমে থাকেন না বরং স্বপ্নগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতেও উদ্যোগী হন। সূচনা হয় ‘সরব আইডিয়া’ নামে নতুন একটি বিভাগের। একেবারে প্রথম আইডিয়ার কথা স্পষ্ট মনে আছে আমার। কারণ সরব নিস্তব্ধ শৈশবের সেই আইডিয়া দাগ কেটে গিয়েছিল আমার মনের গভীরে। আমি নিশ্চিত যে আমার মত আরও কিছু মানুষকে সেই আইডিয়া ছুঁয়ে গেছে, স্বপ্ন দেখিয়ে গেছে নতুন এক ইতিবাচক পথের। ছোট করেই সবার জন্য সেই আইডিয়ার ভূমিকাটুকু আরেকবার বলে ফেলি।

জন্মদিনে আমরা সবাই কাছের মানুষটিকে ‘শুভ জন্মদিন’ বলে শুভেচ্ছা জানাই। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমরা কি সেই জন্মদিনটা ‘শুভ’ করে তোলার চেষ্টা করি? আমাদের সকল ‘শুভ’ কিছুর কেন্দ্রবিন্দু থাকে সেই মানুষটিকে উপহার দেয়া আর তার কাছ থেকে ট্রিট হিসেবে জম্পেশ একটা উদরপূর্তির আয়োজন আদায় করে নেয়া পর্যন্ত। এবং এই একই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হতে থাকে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। শুধু প্রচলিত রীতিতে জন্মদিন পালনের এই আনন্দ টিকে থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা! বছরে এমন পাঁচ-সাতটা ২৪ ঘণ্টা আমরা এই আনন্দ আয়োজনে ব্যয় করি। অথচ শুধুমাত্র একটি ২৪ ঘণ্টার আনন্দকে চাইলেই আমরা ছড়িয়ে দিতে পারি আরও ১০জন মানুষের মাঝে, যাদের জীবনে সেই ২৪ ঘণ্টার হিসাব বেড়ে গিয়ে হতে পারে এক বছর থেকে শুরু করে সারা জীবন পর্যন্ত!

এমনই এক স্বপ্ন দেখেছিলেন স্কট হ্যারিসন নামের এক যুবক। তিনি তার জন্মদিনে উপহারের বদলে প্রত্যেক বন্ধুর কাছ থেকে ২০ ডলার করে নিতে শুরু করেন এবং সেই অর্থ খরচ করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে সামান্য খাবার পানির অভাবে বছর প্রতি উল্লেখযোগ্যহারে মানুষ মারা যায়। এভাবে স্কট এক বছরে সঞ্চয় করেন ১০ মিলিয়ন ডলার যার পুরোটা দিয়ে তিনি প্রায় ১৫টি দেশের মানুষকে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করে দেন (( http://www.charitywater.org/ )) । বিশ্বাস করা যায়, শুধুমাত্র জন্মদিনের উপহারের টাকায় পৃথিবীর হাজার হাজার মানুষ অন্য সবার মত নতুন করে জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করতে পারে? আমি স্কটের জন্মকে আক্ষরিক অর্থেই ‘শুভ’ বলব, কারণ তাঁর মত মানুষেরাই আমাদের এই পৃথিবীকে বদলে দিতে পারে, চারপাশের এত ‘অশুভ’র মাঝে সত্যি সত্যি ‘শুভ’ বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারে।

সরবের কল্যাণে আমি চিনতে পারি স্কটের মত অদম্য সাহসী কিছু মানুষকে। যাদের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল ‘সরব আইডিয়া’র যাত্রা। সেই আইডিয়ার পর থেকে মনে মনে আমি একটা হিসেব কষতে শুরু করি। হিসেব মতে, আমাদের দেশের শহরবাসী মানুষের সংখ্যা আনুমানিকভাবে ২ কোটির বেশি। এই ২ কোটি মানুষের ভেতর যদি শতকরা ৫ভাগ মানুষও তাঁদের জন্মদিন পালন করেন তাহলে সংখ্যাটা হয় ১০ লাখ। প্রতিটি জন্মদিনের উৎসবে ৩,০০০ টাকা করে খরচ করলে, ১০ লাখ মানুষ মোট খরচ করেন ৩০০,০০,০০,০০০ টাকা! প্লিজ ক্যালকুলেটর নিয়ে আরেকবার হিসেব করে দেখুন, সত্যি তিনশ’ কোটি টাকা-ই হয় হিসেবটা! বাংলাদেশ গরিব দেশ বলে আমরা কত না আক্ষেপ করি, দুঃখ করি কারণ আমরা মনে করি আমাদের এই অর্থাভাবও আমাদের উন্নতির পথে একটি বড় বাধা! উন্নয়নমূলক কোন কাজ করতে গেলে আমরা ধরে নিই যে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু এইভাবে কত কত তিনশ’ কোটি টাকা যে আমাদের হিসেবের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়, তা কি আমরা কেউ কখনো ভেবে দেখেছি? আমি তো এখানে শুধু বছরে একবার জন্মদিন উদযাপনের খরচটা হিসেব করে দেখালাম। কিন্তু পরিবার আর বন্ধুর সংখ্যা মিলিয়ে বছরে আমরা গড় হিসেবে কতগুলো জন্মদিন উদযাপন করি, বলুন তো? তাহলে সেই সংখ্যাটা দিয়ে ঐ তিনশ’ কোটি টাকাকে আরেকবার গুণ করে দেখবার অনুরোধ রইল সবার প্রতি।

আমাদের এই ছোট্ট দেশে কত কত সমস্যা। মৌলিক চাহিদার অধিকাংশই আমাদের অপূর্ণ থেকে যায়।

বিকল্পভাবে সক্ষম মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে, পড়ালেখা করবে? –উপায় নেই।
আইলার পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ নিজের গ্রামে, নিজের বাড়িতে বসে বিশুদ্ধ পানি পান করবে? –হায়!
দৃষ্টিহীন মানুষ বোর্ডের অনুমোদিত টেক্সট বই পড়বে? –পাবে কোথায়?
তাড়াহুড়ায় রাস্তায় দাঁড়িয়েই খাবার শেষ করার পর সবাই অব্যবহার্য প্যাকেট ফেলবে? –হাতের কাছে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন কই?
বৃহণ্নলা জনগোষ্ঠী (সাধারণভাবে হিজড়া নামে পরিচিত) সাধারণ পথচারীদের বিরক্ত করবে? –না করে উপায় কী? ওদের কর্মসংস্থানের দায়ভার কে নিচ্ছে?
আগামী প্রজন্ম নেশাখোর হবে, অনৈতিক কাজ করবে, ‘শিলা কি জাওয়ানি’র তোড়ে ভাসবে? –হতেই পারে। ডিজিটালাইজেশনের যুগে হাতে নিয়ে বই পড়ে আলোকিত হবার সুযোগ কজনেরই বা আছে? বিশেষ করে নিম্ন-মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত পরিবারে যখন লেখাপড়াটা সাধারণভাবে আজও বোঝা?
ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ে বিরক্তির সীমা নেই? –গ্রামোন্নয়নমূলক কর্মসংস্থান জোগাবে কে?

এমন হাজারে হাজারে উদাহরণ দেয়া যায় আমাদের চারপাশে থাকা সমস্যাগুলো নিয়ে। আমরা হতাশ হই, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গালাগাল করি কিন্তু আমরা কি নিজেরা কখনো এইসব সমস্যা নিয়ে ভাবি বা সমাধানের চেষ্টা করি?

এত সব সমস্যার কথা ভাবতে ভাবতে ভীষণ এক দুঃখবোধ থেকে একসময় আমার ভেতরে এক ধরণের যন্ত্রণার জন্ম নেয়। মিথ্যে করে হাসিমুখে ‘শুভ জন্মদিন’ বলার যন্ত্রণা। সেই একই যন্ত্রণাবোধ থেকে এগিয়ে আসে সরব পরিবার। এই তো আমাদের সেই প্রথম আইডিয়াবাজ সরব নিস্তব্ধ শৈশবের জন্মদিন চলে এল বলে, নভেম্বরের ১৪ তারিখে। আমরা তাই ঠিক করলাম এবারে সবাই মিলে আর তাকে উপহার দেব না, তার কাছ থেকে দামী রেস্টুরেন্টে খাবার জন্য আবদারও করব না। এই পুরো খরচটা আমরা ব্যয় করব কিছু অনাথ শিশুকে আলোকিত করতে। যে আলো তাদের মাঝে অটুট থাকবে জীবনভর, যে আলো তারা বহন করে নিয়ে যাবে আগামী প্রজন্মের কাছে। ‘আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম অরফানেজ’ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে বর্তমানে ১৩০জন ছেলে বাস করে, বাবা-মায়ের মমতা বুঝতে পারার আগেই যারা জীবনে কঠিন আর ভয়াবহ সত্যের মুখোমুখি হয়েছে। এই ১৩০জন শিশুর জন্য সরব পরিবারের বন্ধুদের পক্ষ থেকে আমরা সরব নিস্তব্ধ শৈশবের জন্মদিনে তার জন্য উপহার কেনার সবটুকু খরচ দিয়ে একটি লাইব্রেরি তৈরির কাজ শুরু করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে লাইব্রেরি ধীরে ধীরে আরও বড় হবে আমাদের সরব পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্মদিনের অর্থ এখানে কাজে লাগানোর মাধ্যমে।

আমাদের মত এমন ছোট ছোট ইতিবাচক কাজের ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করে আপনিও আপনার জন্মদিনকে নতুনভাবে পালন করতে পারেন। তাছাড়াও আমাদের ছোট্ট এই উদ্যোগে চাইলে যে কেউ অংশ নিতে পারেন। আপনার জন্মদিনকেও এমন অর্থবহভাবে ‘শুভ’ করে তুলতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে। আমাদের এই আইডিয়া ছড়ানোর জন্য, সত্যিকারভাবে মানুষের মনে গেঁথে দেয়ার জন্য একে শুধু আইডিয়া হিসেবেই সীমাবদ্ধ রাখতে আমরা আগ্রহী নই। আমরা চাই আমাদের আইডিয়ার সফল বাস্তবায়ন, যার সাথে হাত মেলাতে পারেন আপনিও। আগ্রহী স্বপ্নবাজরা যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের আইডিয়াবাজদের সাথে। ছোট্ট একটা ই-মেইল করে জানাতে পারেন আমাদের আইডিয়া বাস্তবায়নে আপনার অংশগ্রহণের কথা। এই আইডিয়া দিয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে কেউ যদি তার জন্মদিন অন্যভাবে উদযাপন করতে চান সেটাও লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। সেজন্য ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: [email protected]

আমার শুধু ছোট্ট একটা আশা- পৃথিবীর সবার জন্মদিন আক্ষরিক অর্থেই ‘শুভ’ হোক।


ফিনিক্স সম্পর্কে

"প্রিয় পতাকার লাগি // জটায়ুর মত রক্ত ঝরাতে // আমিও প্রহর জাগি..." https://www.facebook.com/phoenix.chhanda
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে অনুপ্রেরণা, ইতিবাচক, উদ্যোগ, চিন্তাভাবনা, সচেতনতা-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , , , , , , , , , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

27 Responses to [আইডিয়া বাস্তবায়ন]: জন্মদিন ‘সরব’ স্টাইল

  1. সামিরা বলেছেনঃ

    অসাধারণ! দোয়া করি এই উদ্যোগ যেন সফল হয়, আর এর পথ ধরে আরও অনেক মানুষ তাদের জন্মদিনে বদলে দিক কারও জীবন, জন্মদিনকে আর জন্মকে আক্ষরিক অর্থেই শুভ করে তুলুক। অগ্রিম শুভ জন্মদিন সরব নিস্তব্ধ শৈশবকে। 😀

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      আমিও প্রার্থনা করি এই উদ্যোগের সফলতার জন্য।
      এমন অসাধারণ মনের মানুষগুলো কাছে আছে ভাবলেই মনের ভেতরে একটা অদ্ভুত সাহস আর প্রেরণা কাজ করে। :beshikhushi:

  2. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    দারুণ ব্যাপার। শুধু আইডিয়া না! কাজও!

    সাথে আছি।

    আমাদের অফিসে এমনটা হয়। বাকিরা ১৭০০-২৫০০+ টাকা তুলি তারপর কেক কিনি আর যার জন্মদিন সে অন্য কিছু খাওয়ায়। এর বদলে অন্য কিছু করতে পারলে ভালো হত

  3. অনাবিল বলেছেনঃ

    শুভকামনা…… 🙂

    সুন্দর উদ্যোগ গুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক…… 🙂

  4. Aiman Hamid বলেছেনঃ

    চমৎকার আইডিয়া। আর আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে শ্রেণী বিভাজন। আমাদের মধ্যে অনেকে নিজেদেরকে অন্যদের কাছ থেকে পৃথক ভাবতেই বেশি পছন্দ করি। এক প্রকার হীনম্ন্যতা বোধ থেকে আমরা এইসব করে থাকি।
    🙂

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      শ্রেণি বিভাজনের কারণেই কি কেউ জন্মদিন উদযাপন করে ধুমধাম করে আর কেউ করে না? এটাই কি বোঝাতে চেয়েছেন না আপনি ভাইয়া? একটু কনফিউজড হলাম কেন যেন। :thinking:

      • Aiman Hamid বলেছেনঃ

        আমি বুঝাতে চেয়েছি বাংলাদেশীরা মোটাদাগে নিজেদের মধ্যে নিজেদের মধ্যে সামাজিক বিভাজনের প্রয়াস চালান। বিশেষ করে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তের মাঝে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আর তারা এই বিভাজনের এক্সপোজার হিসেবে ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিবারিক উৎসবকে বেছে নেন।

        আসলে উদ্দেশ্য হচ্ছে লোক দেখানো বা নিজের অবস্থান জাহির করা। এইসবের বাহিরে খুব কম সংখ্যক লোক আরও মহৎ বা উদার মানসিকতা লালন করে।
        তাই অধিকাংশ সময় ব্যাক্তিগত বা পারিবারিক উচ্ছ্বাসের চাইতে ওই সব মুখ্য হয়ে উঠে

        • ফিনিক্স বলেছেনঃ

          হুমম, মাঝে শ্রেণি বিভেদের চেষ্টা আর অন্যদিনে গণতন্ত্রকে লালনের প্রয়াস, জীবনযাপনের ধারাতেই গোলযোগ আছে প্রকৃতপক্ষে!

          একটুখানি ইতিবাচক চিন্তা করার বা ভাববার মত অবকাশ এই ব্যস্ত জীবনে অধিকাংশ ধনিক শ্রেণিরই নেই। 🙁

        • ফিনিক্স বলেছেনঃ

          দুঃখিত, একটু ভুল লিখে ফেলেছি!

          *ধনিক শ্রেণিভুক্ত অধিকাংশ মানুষের মাঝে >> কথাটা এরকম হবে।

          ফিরতি মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল। 🙂

  5. নূসরাত রহমান বলেছেনঃ

    :love:

  6. শারমিন বলেছেনঃ

    শুভকামনা
    এবং সাথে আছি 😀

  7. সাবরির অনিক বলেছেনঃ

    :huzur: :huzur: :love:

  8. অবন্তিকা বলেছেনঃ

    আইডিয়া কাজে সফল হোক সবার মিলিত প্রচেষ্টায়… 🙂

  9. এতো অসাধারণ কিছু মানুষের সাথে থাকতে পেরে ভীষণ ভাগ্যবান মনে হচ্ছে নিজেকে! অসাধারণ লাগবে যদি শেষ করতে পারি কাজটা……

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      সামিরার প্রথম কমেন্টের উত্তরে ঠিক এই কথাটাই বললাম আমিও! 😛

      কাজটা তো অনেক লম্বা।
      অনেক দিন ধরে করতে হবে।
      শেষ পর্যন্ত যেন উদ্দেশ্যটা সফলতার মুখ দেখতে পারে, সেটাই প্রার্থনার।

      জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
      এবারের শুভেচ্ছাটা মন থেকে খুশি হয়েই জানালাম।
      কারণ এবারের জন্মদিনটা সত্যি সত্যি ‘শুভ’ হবে বলে সবাই মিলে কাজ করছি যে! :beshikhushi:

  10. বৈরাগী বলেছেনঃ

    ভার্সিটি তে সারা বছরই কেউ না কেউ/ কারো না কারো ভাই-বোন, মা-বাবা অসুস্থ থাকেন। আমি গত বছর থেকেই জন্মদিনের টাকা দেয়ার কাজটা শুরু করেছিলাম,একজন বন্ধুর মার চিকিৎসায় টাকা দেয়ার মাধ্যমে।

    বড় অ্যামাউন্ট হলে বেশির ভাগ সময় টাকাটা তোলা যায় না।সব ভার্সিটিতেই সারা বছর এসব লেগে থাকে।প্রত্যেক ভার্সিটিতে যদি একটা ক্লাব খুলে দেয়া যায় যারা জন্মদিনের টাকা চিকিৎসায় দিবে

  11. নিশাত বলেছেনঃ

    অসাধারণ উদ্যোগ

    সাথে আছি । 🙂

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।