বহুদিন আগে। হ্যাঁ, সে বহুযুগ আগের কথা।
এক্স-এক্স সেক্স ক্রোমোজোমের এক হিউম্যান বিং বলেছিলো আমাকে,
“একটা প্রেমের কাব্য লিখবে তুমি, শুধু আমার জন্য?”
আমি চমকে উঠে বলেছিলাম, “প্রেম! সে আবার কি?”
কই, আমার মেমোরি চিপে এ শব্দ কেউ লোড করেনি তো আগে;
কেউ বলেনি তো, প্রেমের বুৎপত্তিগত কিংবা ভাবগত কোনো কথা!
হে এক্স-এক্স সেক্স ক্রোমোজোমের হিউম্যান বিং, তুমি বলবে আমায়?
তুমি আপলোড করবে, প্রেমের মানে, আমার কপোট্রনে?
না, সে করেনি। সে শুধু চমকে উঠেছিলো ক্ষণিকের তরে।
তারপর? তারপর মুখ ফিরিয়ে চলে গেছে আমায় রোবট আখ্যা দিয়ে।
সে চলে গেছে চিরতরে, সে চলে গেছে আমায় প্রেম না শিখিয়েই।
আর তাই আমি প্রেম শিখি নি, জানতে পারি নি প্রেমের কি মানে।
আমি রয়ে গেছি যন্ত্র হয়ে, অনুভূতিহীনতার যান্ত্রিক হাহাকার লয়ে;
আমি রয়ে গেছি কৃত্রিম হয়ে, সব শিখেও প্রেম না শেখার অপরাধে।
দারুণ তো! 🙂
ঠিক ভালো বুঝলাম না… আজকাল বোধহয় ‘তরে’, ‘লয়ে’ – এসবের ব্যবহার নেই।
এই ধরনের কবিতা আগে পড়ি নাই!
সাই-ফাই ভাব আছে একটা! (যদিও কষ্টের একটা সুর আছে)
ভাল লাগলো। বেশ ভিন্ন আবার বেশ পরিচিত… 🙂
ভাল হইসে। শেষের দিকে বেদনার ভাবটা প্রায় মানবিক পর্যায়ের লাগসে। নট ব্যাড ফর অ্যা রোবোট। নাইস। :clappinghands: