এক ছাদের নিচে ৩৫০+ প্রোগ্রামার।
বেশ উৎসব মুখর অবস্থা।
দুপুরে মোরগ পোলাও, রাতে কাচ্চি, মাঝখানে ২ বার কফি, pastry………
লাইভ কনসার্টে এক আঙ্কেল এর দারুণ পারফরমেন্স!
হোটেলের বলরুমে সবাই চিত-কাত-উপুড় হয়ে কোডিং করছে!
কে বলবে এটা এক কালের শেরাটন, বর্তমানের রূপসী বাংলা হোটেলের বল রুম!
মনে হচ্ছে বিয়ে বাড়ি!
*************
সকাল ৮.৩০। ৩০ নভেম্বর।
সকাল ৯ টায় আসতে বলা হয়েছিল। আগেভাগেই চলে আসলাম। পরিচিত অনেক মানুষ দেখতে পাচ্ছি। এত মানুষ একসাথে সামলাতে গিয়ে আয়োজকরা বেশ হিমশিম খাচ্ছেন।
********
রাত ৯ টা। ৩০ নভেম্বর।
ডিনার টাইম। বাসা থেকে কিবোর্ড আনাতে হল। মোটামুটি মানের কিছু একটা বানাতে হবে। না হয় মান সম্মান নিয়ে টানাটানি।
আমাদের কোডিং এখনো শুরু হয়নি। লেভেল, ফিচার, গেম প্লে নিয়ে আলোচনা চলছে। অন্যরাও তাঁদের নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত।
**************
রাত ১: ৩০ । ১ ডিসেম্বর
রাত দুপুরে খানাপিনা।
স্যান্ডউইচ, ব্রাউনি, কফি।
****
সকাল ৬.৩০। ১ ডিসেম্বর
২.৫ ঘণ্টার মত ঘুমালাম। এখনো অনেক কাজ বাকি! 🙁
*************
সকাল ৭ টা। ১ ডিসেম্বর
কোন রকমে ঘুমানোর পর সকালে চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখলাম। সুইমিংপুল, রেস্টুরেন্ট, লবি ………
সকালে মোটামুটি মানের নাস্তা। স্ট্রবেরি আর অরেঞ্জ জেলির সাথে পাফ। কফিও ছিল। সকালের নাস্তা আরও ভালো আশা করেছি, যদিও তেমন একটা ক্ষুধা ছিল না! সারাদিন সারারাত খাবার এর সাথে! আর কত খাওয়া যায়!!
***
সকাল ১১:০০। ১ ডিসেম্বর।
কোডিং এখন চলছে। মোটামুটি শেষ মুহূর্তের কাজ।
আমাদের গেমসের ডিবাগিং চলছে।
***********
বিকাল ৪-৩০| ১ ডিসেম্বর।
৬৫ টা টীম তাদের বানানো সফটওয়্যার নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিচ্ছে। আমরা আমাদের গেমস নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিয়ে আসলাম। এর আগে কোন দিন মাইকে কথা বলি নাই। কিন্তু তেমন নার্ভাস লাগে নাই। শেষ পর্যন্ত মোটামুটি ভালো একটা পর্যায় শেষ করতে পারলাম!
**************
বিকাল ৫-২০। ১ ডিসেম্বর
একজন ইঊনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দারুণ কথা শুনলাম।
Horizontal Leaning নিয়ে। পড়ে এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে হবে।
***************
সন্ধ্যা ৬-২৫। ১ ডিসেম্বর
উইন্টার গার্ডেন এ। closing ceremony.
buffet dinner এর ব্যবস্থা দেখতে পাচ্ছি।
গত ৩৬ ঘণ্টায় আমাদের জন্য মোট সাতবার চা/ কফি, বিস্কুট খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। সাথে দুইবার লাঞ্চ। দুইবার ডিনার। প্রতি লাঞ্চ বা ডিনার শেষে অবশ্যই ডেসার্ট হিসেবে ব্রাউনি, পেস্ট্রি।
নেট কানেকশন নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। অবশ্য এটা নিয়ে অভিযোগ করার কিছু নাই, কারণ বেচারা বাংলালায়ন নিজেরাও বুঝতে পারে নাই এই অবস্থা হবে!
******************
রাত ৮:০০। ১ ডিসেম্বর
ডিনার!! সব আইটেম থেকে এক চামচ করে নিলাম 😛 টেস্ট করার জন্য! ভাবলাম পরে যে আইটেম বেশি ভালো লাগবে, সেটা নিবো। তেমন কোন ভিড় নেই, হুড়হুড়ি নেই।
কিন্তু পরে ডেসার্ট এর আয়োজন দেখে বেশি কিছু নিলাম না। কেক, পুডিং, আইসক্রিম সাধ মিটিয়ে খেলাম! পরে সেদিকে তাকাতেই ইচ্ছা করছিলো না !
সবাই দেখে ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত।
সিয়াম রুপালী ফন্ট যিনি বানিয়েছেন, সেই সিয়াম ভাই কে পেলাম। ছবি তুললাম।
কায়কোবাদ স্যারের সাথে ছবি তোলার একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল! সেটাও হল।
******************
রাত ৯ : ১৫।
বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম! শেষ হল ৩৬ ঘণ্টার মহা আয়োজন। !
বসলাম! লাইভ ব্লগিং চলুক 😀
হায়রে খাওয়া দাওয়া :crying:
খাওয়া-দাওয়া!! 😀 😀
বেশি ছোট্ট…… আরো পড়তে ইচ্ছে করছে…… 🙂
আস্তে আস্তে লিখছি 🙂
খুবই আনন্দে দিন কাটাচ্ছো দেখি!
মহা আনন্দ 😛
🙂
খাওয়াদাওয়া নিয়ে এত কথা কি না বললেই হত না ? জিভে জল এসে তো বন্যা হয়ে যাচ্ছে… :crying:
প্রতিযোগিতার ফলাফল কী হল ?
top ৬ টা টীমের প্রেজেক্ট এগিয়ে নিতে সম্ভবত world bank সাহায্য করবে। (সিউর না)
What a great discovery! Sanitation Hackathon er facebook page e scroll korte giye link ta pelam. Khub shundor kore sriti gulo ke dhore rakha hoyeche. Mone holo chokher shamne diye arekbar hackathon ta hoye gelo.. Thank you Yaad