আমি অবাক হই যখন একজন প্রকৌশলী পুঁজিবাদকে সমর্থন দেয়।
আমরা প্রকৌশলীরা আজ কিছুটা অর্থের বিনিময়ে সমাজে ভালোভাবে খেয়ে পরে থাকতে পারি বলে প্রায়ই ভুলে যাই আমরা বস্তুত শ্রমিক শ্রেণীর অন্তর্গত। সভ্যতার শুরুর দিকে এরকম কিছু প্রকৌশলী মাটি দিয়ে পাত্র বানাত, সুতো দিয়ে পোশাক বানাত আর লোহা দিয়ে অস্ত্র বানাত। তারাই পরবর্তীতে কুমার, কামার আর তাঁতী নাম পরিচিত হয়। সভ্যতার উত্তরণের সাথে সাথে নতুন নতুন দ্রব্য সমাজে এসেছে এবং এসব তৈরির জন্য নতুন নতুন প্রকৌশলীর জন্ম হয়েছে। আজকের যন্ত্র-প্রকৌশলীরা গাড়ী বানায়, তড়িৎ প্রকৌশলীরা বৈদ্যুতিক উপকরণ বানায় এবং কম্পিউটার প্রকৌশলীরা সফটওয়ার বানায়। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের সবার কাজের উদ্দেশ্য মানুষের সেবাদান । নাপিত যেভাবে চুল কেটে মানুষকে সেবা দেয়, ধোপা যেভাবে কাপড় কেঁচে মানুষকে সেবা দেয়, এবং মেথর যেভাবে ময়লা পরিষ্কার করে মানুষকে সেবা দেয় – তাদের থেকে আমরা কোন অংশে আলাদা নই, শুধুমাত্র আমাদের কাজের উপায়টা ভিন্ন। প্রকৌশলীদের তাই মানায় না অন্য শ্রেণীর মানুষের প্রতি উন্নাসিক আচরণ করা। প্রকৌশলের সার্থকতা উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষকে উন্নততর সেবাদান। যেই নাপিত নতুন হেয়ার স্টাইল উদ্ভাবন করে এবং তা দিয়ে মানুষের সৌন্দর্য বর্ধন করতে পারে সে যেমন সমাজে সংবর্ধিত হয়, যেই প্রকৌশলী উন্নত একটি সফটওয়ার বা রোবট বানায় সেও সমাজে একইকারণে সমাদৃত হয়। এই সমাদর শ্রমিকের শ্রম থেকে মানুষের সেবা লাভের স্বীকৃতি। এই সমাদর বুর্জোয়া শ্রেণীর ছুড়ে দেওয়া বখশিস, তাদের জীবনকে মধুময় করার জন্য আমাদের আত্মত্যাগের পুরস্কার। আমার হাসি পায় যখন আমি দেখি আমার আশেপাশের অনেক মানুষ এই ছুঁড়ে দেওয়া বখশিস পেয়ে নিজেদের ধন্য মনে করে, পুঁজিবাদী সমাজের জন্য নিজের বুদ্ধিমত্তাকে উৎসর্গ করে অর্থের অন্ধকারে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। প্রকৌশলী হয়ে পুঁজিবাদের সমর্থন আর ক্রীতদাস হয়ে দাসপ্রথার সমর্থন – এই দুইয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
প্রকৌশলীদের মধ্যে প্রায়শই খুঁজে পাওয়া আরেক ধরনের মিথ্যা স্বপ্নচার হল প্রযুক্তি সাধনার মাধ্যমে বিজ্ঞানচর্চা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে যে পার্থক্য বোঝে না, সে মুর্খ। আমাদের দেশের সমস্যা হল, আমাদের বিজ্ঞানী কম, প্রকৌশলী বেশি। মেধার জোয়ার সব প্রকৌশলে এসে মোহনা তৈরি করে। ফলে আমরা পৃথিবীর প্রথম সারির প্রকৌশলী তৈরী করি, তারা তাদের প্রকৌশল জ্ঞান দ্বারা “অনেক কিছু” তৈরি করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু আফসোস, তারা জানে না কী তাদের তৈরী করা দরকার !! তারা জানে না কোন জিনিস তৈরি করলে তার দেশ ও দেশের মানুষের উপকার হবে। এ দেশের প্রকৌশলীদের পথ প্রদর্শনের জন্য বুদ্ধিজীবি নেই, বিজ্ঞানী নেই, দার্শনিক নেই। তাই আমাদের প্রকৌশলীরা শ্রম দেয় উন্নত বিশ্বের সেবা দানে। তাদের যন্ত্রে সেবাদান করে আমরা বিমুগ্ধ হই, একে অন্যের পিঠ চাপড়াই । এই অভাগা দেশ এত মেধার জন্ম দিয়েও সেবা পায় না – অর্থের মোহে আজ তার সন্তানরা অন্ধ, বিদেশের সেরা গোলাম হবার প্রতিযোগিতায় তারা দিশেহারা। বিজয়ের এত বছর পরেও আমরা দেশকে ভালবাসতে পারিনি। এই অপরাধ ক্ষমা হবার নয় ।
বেঁচে থাক বাংলাদেশ, জয় হোক বিজ্ঞানের, পথ খুঁজে পাক দেশীয় প্রযুক্তি ! সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা !!
এইটা নিয়ে চমৎকার কিছু আলোচনা হইছিল কিছু তরুণ প্রকৌশলীর সাথে।
তারা জানে না কী তাদের তৈরী করা দরকার !! তারা জানে না কোন জিনিস তৈরি করলে তার দেশ ও দেশের মানুষের উপকার হবে।
ঢাবি প্রফেসর রব্বানি স্যার এর চিন্তাভাবনাও কিন্তু অনেকটা এই রকম। দেশীয় প্রযুক্তি দরকার আমাদের।
ঐ দিন ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে দেখি আমাদের দেশে নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে ৯৬/+ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো মিলিয়ে মাত্র একটা গবেষণা প্রতিষ্ঠান, তাও পেপার তেমন নাই!!! অথচ ১৬ কোটি মানুষের শক্তির যোগান কে দেবে?!!
তবে আমার তো মনে হয় আমাদের প্রকৌশলী দরকার বেশি। (বিজ্ঞানীও দরকার। কিন্তু মৌলিক বেশিরভাগ কি আবিষ্কার হয়ে গেছে না? এখন তো আমাদের ব্যবহারিক বিষয় নিয়ে চিন্তা দরকার। )
প্রকৌশলীদের পথ দেখানোর লোক দরকার।
জারেড ডায়মন্ড এর একটা চমৎকার লেখা আছে মানুষের মধ্যে কীভাবে বৈষম্য ঢুকল! সেটা নিয়ে একটা লেখা দেয়ার প্ল্যানও ছিল। দিব মনে হয় কোন একদিন।
দারুণ একটা লেখা। আলোচনা হওয়া দরকার। প্রচুর আলোচনা এবং কাজ
ধন্যবাদ ।
প্রকৌশলীকে পুঁজিবাদ থেকে আলাদা করতে হলে তাহলে উপায়টা আসলে কী ভাইয়া? আমাদের দেশে কালচারটা কী করে চালু করা যায় যেখানে আমরা বের হয়ে R&D সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পাবো?? কিংবা আমাদের দেশের দেশীয় প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে মানুষ জন উৎসাহিত হবে?
আমি যদি আজকে দেশে থাকতে চাই, যদি বলি বাইরে যাবো না, তখন আসলে ঠিক কী করে তথাকথিত “পুঁজিবাদ” থেকে আলাদা হতে পারছি না ভাইয়া, জায়গা তো খুব সীমিত…… 🙁
দেশে মানে কিন্তু ভৌগলিক দেশ নয়। দেশের উপকার চাইলে দেশের বাইরে থেকেও করা যায়। শুধু মাইন্ডসেটটা দরকার ।আমি পরিবর্তনে বিশ্বাসী, তবে তা রাতারাতি হবে না। সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে হবে বলে আমার বিশ্বাস।
এইরকম পোস্ট সরবে আসলে খুবই আশাবাদী হয়ে যাই ! খুব খুব জরুরি একটা ইস্যু তুলে এনেছেন ভাইয়া। সেইজন্য সাধুবাদ জানাই।
ব্যাপারটা নিয়ে আমি প্রায়ই চিন্তা করি। যেখানে আমাদের দেশে এইরকম মেধাবী একটা জনশক্তি আছে, সেখানে আমরা দিনের পর দিন পিছিয়ে পড়ছি প্রত্যেকটা খাতেই। নবায়নযোগ্য শক্তি বা আরও অন্য খাতগুলোতে গবেষণার সুযোগ, পৃষ্ঠপোষকতা নেই বললেই চলে। কয়দিন আগে একজন তড়িৎ প্রকৌশলীর আহাজারি দেখছিলাম ফেইসবুকে। উনি নিজের খরচে ছোট ছোট বেশ কিছু গবেষণা করছেন, ব্যক্তিগত গবেষণাগারও করেছেন। কিন্তু নানান কূটকৌশল আর নোংরামিতে সব ক্ষান্ত দিয়ে দেশ ছাড়ার কথা বলছিলেন। খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম কারণ যারা থাকতে চাচ্ছেন তাদেরকে নানান প্রতিকূলতা ফেইস করতে হচ্ছে।
“এই অভাগা দেশ এত মেধার জন্ম দিয়েও সেবা পায় না – অর্থের মোহে আজ তার সন্তানরা অন্ধ, বিদেশের সেরা গোলাম হবার প্রতিযোগিতায় তারা দিশেহারা। বিজয়ের এত বছর পরেও আমরা দেশকে ভালবাসতে পারিনি। এই অপরাধ ক্ষমা হবার নয় ।” এটাও একেবারেই ঠিক বলেছেন। তবে কেউ টাকার মোহে বিদেশে থেকে যাচ্ছে আবার কেউ উপরিউক্ত হেনস্তার সম্মুখীন হয়ে।
তাহলে উপায় কী ? আমার মনে হয় প্রকৌশলীদের একটা শক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা দরকার যেখানে এই সমস্যাগুলো এড্রেস করা হবে, আলোচনা হবে সমাধানের উপায়গুলো নিয়ে এবং কাজে নামতে হবে। প্রয়োজনে দেশ ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যাপকদের পরামর্শ ও সহায়তা নেয়া যেতে পারে। একটা বিষয় স্পষ্ট যে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা ব্যবস্থা যতদিন না উন্নত হচ্ছে, সরকারের যথাযথ দৃষ্টি পড়াতে যতদিন না সক্ষম হচ্ছি আমরা ততদিন বিদেশমুখী প্রবণতা রোধ করা যাবে না।
মাধবীলতা আপুর সাথে আমি পুরোপুরি একমত।
ধন্যবাদ । সমস্যার সমাধানের প্রথম ধাপ হওয়া উচিত মানুষকে বোঝানো। অধকাংশ মানুষ এখনও বোঝে না যে, খুব ভালো একজন প্রকৌশলীও কোন কাজে আসবে না এই দেশের যদি না আমরা তার কাজ করার জন্য উপযুক্ত জায়গা ঠিক করি আগে থেকে। পলিসি লেভেলে কাজ করতে হবে। আমি বিদেশে যাওয়ার বিপক্ষে নই। দেশের সংজ্ঞা শুধু ভৌগলিক সীমারেখাতে আবদ্ধ থাকে না। কেউ বাইরে গিয়ে ভাল কাজ করলেও সে সাধুবাদ পাবে। আমাদের মেধাবী ছেলেমেয়েরা বাইরের সফটওয়ার কোম্পানিতে গিয়ে শ্রম বিক্রি করলে আমরা যখন সেটাতে গর্বিত হই, তখন আমার খারাপ লাগে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কী পড়ছে, কী নিয়ে গবেষণা করছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা পলিসি লেভেলে আসা উচিত। আজকাল প্রায়ই প্রফেসররা কমপ্লেইন করেন যে, তাদের গবেষনার জন্য ফান্ড নেই। কিন্তু তারা কতখানি পরিষ্কারভাবে দেখাতে পারেন যে তাদের গবেষণা দেশের মূল সমস্যাগুলো সমাধানে কাজে দিচ্ছে?
সহমত।
আপনার সাথে আমি কিঞ্চিৎ একমত আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার কিছু প্রশ্ন আছে।
আচ্ছা ভাইয়া বিজ্ঞান চর্চা করে কি হবে? বিজ্ঞানীরা যে “অন্যদেশের” জন্য না করে আমাদের দেশের জন্য কিছু করবে এটা ভাবার কারণটা কি? আর আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা যারা আসলে ভালো করেন তাদের বেশির ভাগও যদি এদেশেই থাকত এবং এদেশের ভালো হয় এমন কিছু করত তাহলে হয়ত প্রেক্ষাপট অন্যরকম হত। আমার কাছে মনে হয় আমাদের সিস্টেমটাই এমন যে আমরা আসলে কাউকেই ধরে রাখতে পারি না। এদেশে যেমন খুব ভালো মানে বিজ্ঞানী দরকার তেমনি সেটাকে কাজে প্রতিফলন করার জন্য ভালো প্রকৌশলী ও দরকার, এরা একে অন্যের পরিপূরক হতে পারে। আর বিজ্ঞান চর্চার জন্য আমাদের মনে হয় সম্পদ আর প্রকৃত স্পন্সরের অভাবও আছে। আর প্রকৌশলীদের যদি সেই রকমের সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে হয়ত তারাও দেশের কাজে আসত।
আমাদের দেশের সমস্যা হল, আমাদের বিজ্ঞানী কম, প্রকৌশলী বেশি। মেধার জোয়ার সব প্রকৌশলে এসে মোহনা তৈরি করে।
এই কথাটা খুব বেশি সত্য। তবে এর কারণটা কি? আর সাথে আমি একটু ডাক্তারিবিদ্যার কথাও যোগ করব। আমাদের দেশের মানুষের ট্রেডিশন হয়ে গেছে যে ছেলে বা মেয়ে ভালো ছাত্র-ছাত্রী হলেই প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দেও যে কে ডাক্তার আর কে ইঞ্জিনিয়ার হয়। হয়ত অর্থপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা আর কষ্টক্লেশহীন জীবনই এর পেছনে মূল হিসেবে থাকে। তবে একটা ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে সব ছেলে মেয়েই যে ডাক্তার বা প্রকৌশলী হতে চায় এমনটা কিন্তু না, একটা নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত তাদের নিজেদের কিছু স্বপ্ন থাকে তারা কিছু করতে চায়, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে পা দেওয়ার আগে শত সহস্র ভয় তাদেরকে তাদের চিন্তা পরিবর্তনে বাধ্য করে। আর এর জন্য তো দায়ী আমাদের অর্থনীতি, একজন কৃষকের সন্তান যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে আর তার যদি সুযোগ থাকে ভালো অর্থ উপার্জন আর ভালো সুখী জীবনের সে নিশ্চয়ই ওটাই বেছে নিবে। তাহলে এটা থেকে বের হব কিভাবে ?
আমাদের আসলে এটা নিয়ে আরও বড় পরিসরে ভাবা দরকার, সব ক্ষেত্রে যে আমাদের হীনমন্যতাই দায়ী এদেশ ছেড়ে চলে যাবার জন্য তা মনে হয় না। আমার মনে হয় আমাদের পর্যাপ্ত সুযোগের অভাব এদেশে কিছু করার জন্য।
লেখাটার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আছে আমাদের বাস্তবতার প্রতিফলন এবং এটা সমাধান করারও সময় এখন। ভাইয়ার কাছে এমন অসাধারণ লেখা প্রতিনিয়ত আশা করি যাতে আমরা তরুনরা আরও ভাবতে পারি। আমি নিজেও অন্যদেশের দাস হয়ে থাকাটা পছন্দ করব না। আবার ধন্যবাদ এই অসাধারণ লেখাটার জন্য।
সবগুলো প্রশ্নেরই মোটামুটি একটাই উত্তর, আমাদের চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। আরো কিছু ব্যাপার আছে। মানুষের স্বপ্ন কিন্তু তার অভিজ্ঞতার একধরনের বহি:প্রকাশ। আমরা যদি একটা বাচ্চার সামনে সারাদিন নাসার বিজ্ঞানীদের নিয়ে ওয়াও-ওয়াও করি, সেও একসময় নাসার বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখবে। আমাদের কি উচিত না আমাদের ছেলেমেয়েদের কাছে এমন মানুষদের গল্প বলা যারা এই দেশের জন্য কাজ করেছেন। অথবা বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে টেনে উপরে তুলছেন ? তখন তারা এইরকম কাজ করার স্বপ্ন দেখবে। তাদের স্বপ্নের হিরোগুলো আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। তখন আমরা অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পাব যারা দেশের জন্য কাজ করতে চায়।
আমাদের দেশের জন্য কোন ধরনের বিজ্ঞান চর্চার দরকার সেটা আগে ঠিক করতে হবে। আমরা এটম বম্ব বিষয়ক মৌলিক গবেষণায় যুগান্তর আনলেও সেটা আমাদের সম্মান দেবে বড়জোর, দেশের উন্নয়ন দেবে না। এই জিনিসগুলো মানুষকে বোঝাতে হবে। আমাদের দেশের একটা ট্রেন্ড হল কেউ কঠিন কিছু করলেই আমরা পিঠ চাপড়াই । কিন্তু কেউ সহজ অথচ কাজের কাজ করলেও প্রশংসা করতে চাই না। যেই ছেলে চরম কঠিন প্রোগ্রামিং করে গুগলে চান্স পেল তাকে নিয়ে আমরা মাথায় করে নাচি, অথচ যেই ছেলেটি সহজ একটা সফটওয়ার বানিয়ে ১০টা অটিস্টিক বাচ্চার উপকার করল তাকে নিয়ে ফিচার করি না। এই মানসিকতাগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমি পরিবর্তনে বিশ্বাসী, তবে তা রাতারাতি হবে না। সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে হবে বলে আমার বিশ্বাস।
“যেই ছেলে চরম কঠিন প্রোগ্রামিং করে গুগলে চান্স পেল তাকে নিয়ে আমরা মাথায় করে নাচি, অথচ যেই ছেলেটি সহজ একটা সফটওয়ার বানিয়ে ১০টা অটিস্টিক বাচ্চার উপকার করল তাকে নিয়ে ফিচার করি না। এই মানসিকতাগুলো পরিবর্তন করতে হবে। ” কঠিন সহমত !! চিন্তাধারার পরিবর্তন দরকার।