ধর্ষণ করে একজনে বা কয়েকজনে, আর ধর্ষণ উপভোগ করে সমগ্র জাতি। শুধু পুরুষরা নয়- জাতির মেয়েরা, মহিলারা এবং সাদা চুলের থুত্থুরে বুড়িরা। ধর্ষক বুক ফুলিয়ে, কলার উঁচু করে বীরের বেশে এলাকায় ঘুরে বেড়ায় আর ধর্ষিতার স্থান হয় নির্জন ঘরের কোনে- যদি সে বেচে থাকে!
শারীরিক ধর্ষণের পরে শুরু হয় মানসিক ধর্ষণ। পত্রিকার পাতায়, কলামে কলামে, থানায় পুলিশের ডাইরিতে, আদালতে অসভ্য উকিলের আপত্তিকর জেরায়। দিনের পর দিন সে ধর্ষিত হতে থাকে পাড়ার বুড়োদের চায়ের আড্ডায়, বুড়ি এবং ছুড়িদের মুখে মুখে কিংবা কে এফ সিতে- পিঁজা হাটে বান্ধবীর জন্মদিনে অথবা পাড়াতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে। ধর্ষক রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেয়। রসিয়ে রসিয়ে ধর্ষণের বর্ণনা করে, মেয়েটা কেমন স্বাদের ছিল- কেমন করে বাধা দিয়েছিল এবং সে কেমন ধরনের আসল পুরুষ(!) সবিস্তারে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সেই গল্প করে। একটা অসহায় মেয়ের শরীর তখন সমাজের সবার ভোগে লেগে যায়। মোবাইল থেকে মোবাইলে ভিডিও ঘুরতে থাকে। পত্রিকার সম্পাদক রসিয়ে রসিয়ে ধর্ষণের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেন। সেখানে ধর্ষিতার বয়স উল্লেখ থাকে, স্কুল কলেজের পরিচয় উল্লেখ থাকে, থাকে না শুধু ধর্ষকের একটা স্পষ্ট ফটো কিংবা ভাল করে পরিচয়। এক ফাকে টুপ করে ঢুকিয়ে দেয়া হয় কোন ওয়েবসাইটে সেই ভিডিওর খোজ পাওয়া যাবে সেই খবর।
সেই গল্প শুনে, ভিডিও দেখে সারাদেশের আরো অনেক পটেনশিয়াল ধর্ষকের পুরুষত্ব জেগে ওঠে। না আর থাকা যায় না, এইবার একটা ডাঁসা মাল চাই! তাদের ঠোটের দুই কোন দিয়ে এবং অন্য অনেক জায়গা নিয়ে কুৎসিত লালা ঝরে। অশ্লীল চোখগুলো ক্রমাগত ঘুরে ফিরে যায় রাস্তা দিয়ে চলন্ত স্কুলগামী ছাত্রীর দিকে, পুকুরে গোসল-রত কিশোরীর দিকে কিংবা বাসে হ্যান্ডেল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা মাঝবয়েসী মহিলার দিকে। শুধু একটা সুযোগ দরকার তার!
আর সেই মেয়েটি?
তাকে আস্তে করে ঝুলে পড়তে হয় গলার সাথে দড়ি বেধে। এ সমাজ তাকে জোর করে সেদিকে ঠেলে দেয়। বেচে থাকতে বাবা তাকে বকে, মা তাকে অবজ্ঞা করে, ভাই-বোন করে ঘৃণা। পাড়া প্রতিবেশী দিনের পর দিন তার চরিত্রের কলুষতা এবং পঙ্কিলতা নিয়ে খোটা দেয়। সবাই মিলে ধর্ষিত মেয়েটার জীবনটাকে একটা বিভীষিকা বানিয়ে দেয়। স্কুলের স্যার তাকে অশ্লীল ইংগিত করে, বান্ধবীরা সংগ পরিত্যাগ করে। সবার চোখে, মুখে, আচার- আচরণে, কথায় এবং কাজে একটাই ইংগিত থাকে- ” তুই ধর্ষিতা, তুই পতিতা, তুই চরিত্রহীনা- তুই মর। ”
ধর্ষক এরকম আরো অনেক অনেক প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ধর্ষণ শেষে সানাই বাজিয়ে বিয়ে করে নিয়ে আসে। মেয়ের বাবা আনন্দের সাথে মেয়ে বিয়ে দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। শুধু ধর্ষিতা মেয়েটিকে বিয়ে দেবার জন্যে কোন ছেলে পাওয়া যায় না।
আমি নটরডেম কলেজের ছাত্র ছিলাম। কলেজের একজন বিখ্যাত স্যারের বাংলা ক্লাস করার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম ক্লাসেই উনি আমাদের বলেছিলেন-” তসলিমা নাসরিন বলে, ছেলেরা যদি মেয়েদের ধর্ষণ করতে পারে, তাহলে মেয়েদেরও উচিত ছেলেদের ধর্ষণ করা। মহিলাকে যদি আমি পেতাম তাহলে তাকে জিজ্ঞেস করতাম, আপনার তো “ওটা” নেই। ওটা না থাকলে আপনি কি দিয়ে করবেন?
বাহ! কি চমৎকার!!
তোমার “ওটা” আছে- তোমাকে আর পায় কে? ওটা যেখানে-সেখানে যেভাবে পারো জোর করে কিংবা বুঝিয়ে শুনিয়ে ঢুকিয়ে দাও। পরম উল্লাসে ধর্ষণ করো। তুমি পুরুষ- তোমার ওটা আছে, তুমি মহাশক্তিধর, বীরপুঙ্গব। মেয়েদের তো আর ওটা নেই- তারা তোমার কিচ্ছু করতে পারবে না। তারা তোমার সাথে শক্তিতেও পারবে না। শুধু পারবে নীরবে চোখের জল ফেলতে। তাতে তোমার মত “ওটা” ওয়ালা পুরুষের কি আসে যায়?
দিনের পর দিন এই বিষ কিশোর মস্তিষ্কে ঢুকেছে। আমার ওটা আছে বলে ধর্ষণ করা একটা কনজেনিটাল রাইট আমি নিয়ে এসেছি এই ভেবে পুলকিত হয়েছি। ঐ ব্যক্তির ক্লাস করার জন্যে, তা অশ্লীল, আপত্তিকর এবং তীব্র লিংগবৈষম্যমূলক জোকস শোনার জন্যে সাগ্রহে অপেক্ষা করেছি। তারপর এক সময় নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি- সেদিন থেকে আর তাকে শ্রদ্ধা করি নি। সবাই বুঝতে পারে নি। তাদের কারো কারো মাথায় এখনো সেই বিষ ডাল-পালা গজিয়ে বড় হচ্ছে।
সারাদেশে এরকম হাজার হাজার শিক্ষক আছেন। যারা শুধু মুখের কথাতেই সীমাবদ্ধ থাকেন না। সেই কথাকে বাস্তবে প্রমাণেও সচেষ্ট থাকেন। আর তাদের লালসার স্বীকার হয় কিন্ডারগার্টেনের শিশু থেকে শুরু করে কলেজে পড়ুয়া কিশোরী কিংবা ভার্সিটির উচ্চশিক্ষিত যুবতী মেয়ে। আমাদের স্কুলেই এরকম এক শিক্ষক ছিলেন যার কাজ ছিল পড়া না পারলে চুল সরিয়ে মেয়েদের পিঠে থাপ্পড় মারা কিংবা পেটে গুঁতো দেয়া। তার অন্যতম আরেকটা প্রিয় কাজ ছিল লিখতে দিয়ে মেয়েদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে কামিজের উপর দিয়ে বুকের দিকে তাকিয়ে থাকা। অনেকবার কমপ্লেইন করেও তার বিরুদ্ধে কোন একশন নেয়ানো যায় নি। ম্যানেজমেন্ট কমিটির সাথে তার ভাল খাতির ছিল।
একটা মেয়ের জন্যে কেউ নিরাপদ না। শিক্ষক, সহপাঠী, বন্ধু, বয়-ফ্রেন্ড, এলাকার ছেলে, আত্মীয়- পুরুষ, চাচা-মামা-খালু, দুলাভাই এমনকি ক্ষেত্র বিশেষ নিজের বাপ-ভাই ও না। কর্মক্ষেত্রে কলিগ, অফিসের বস- সুযোগ পেলেই মিষ্টি হাসি ঝেড়ে ধর্ষকের রূপ ধরতে মুহূর্ত দেরি করেন না। বাসের হেল্পার, ক্যান্টিনবয়, হাসপাতালের ঝাড়ুদার, বাসার দারোয়ান কিংবা অফিসের পিয়ন- ওটার ব্যবহারে কেউ কারো চেয়ে পিছিয়ে থাকতে রাজী নয়।
ধর্ষিতার পক্ষে কেউ থাকে না। ধর্ষকের পক্ষে সবাই।
প্রশাসন, মিডিয়া, সমাজ কিংবা রাষ্ট্র একযোগে কাজ করে ধর্ষককে বাঁচানোর জন্যে। তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয় না। থানার ওসির সাথে প্রতিদিন তার মোলাকাত হলেও গ্রেফতারের জন্যে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বাই এনি চান্স গ্রেফতার হলেও বড়- ছোট এবং মাঝারি পাল্লার সুপারিশের ধমকে কয়েক ঘন্টার বেশি তাকে হাজতে থাকতে হয় না। হাজত থেকে বেরিয়ে এসে ধর্ষিতার পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি দেয়া চলতে থাকে যাতে মামলা তুলে নেয়া হয়। এমনকি ধর্ষণের মামলা থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে ফিরে এসে সেই মেয়েকে তার ছোটবোনসহ পুনরায় ধর্ষণের ঘটনাও এই দেশে ঘটেছে।
দিল্লীর ধর্ষণের ঘটনার শিকার মেয়েটা আজ মারা গেল। পাবলিক বাসে ধর্ষণের ঘটনার চেয়েও বর্বর ঘটনা এই দেশে আছে। যে দেশের পুলিশ স্বয়ং থানা হাজতে ধর্ষণ করে বন্দিনীকে হত্যা করে ফেলে তাদের উদাহরণের জন্যে দিল্লী যাবার দরকার হয় না।
ভিকারুন্নেসার পরিমল জয়ধর দিনের পর দিন ধরে বাচ্চা একটা মেয়েকে, তার ছাত্রীকে নিজের কক্ষে ধর্ষণ করেছে। সেই ঘটনা প্রকাশ হবার পরে অধ্যক্ষা হোসনে আরা ঘটনাকে মিউচুয়াল সেক্স বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। বামপন্থী এবং আদর্শবাদী নেতাকে কোন বিবৃতি দিতে দেখা যায় নি। বার বার যোগাযোগ করেও একজন বুদ্ধিজীবীর কাছ থেকে কোন কলাম বের করে আনানো যায় নি। সাধারণ ব্লগাররা নিজেদের উদ্যোগে আন্দোলন করেছে। স্কুলের বাচ্চা মেয়েরা নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে নিজেরা মাঠে নেমেছে। সেই আন্দোলনকে এইসব মিডিয়া, এই সব স্বার্থ-বাজ, মতলববাজ নারীবাদী মুন্নী সাহারা জামাত-শিবিরের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছে। টিভি চ্যানেলের লাফাঙ্গা সাংবাদিক আন্দোলনের সংবাদ কভার করার বদলে প্রকাশ্যে মেয়েদের দেখে নেবার হুমকি দিয়েছে।
কেউ সেদিন কারো থেকে পিছিয়ে ছিল না। প্রথম আলোতে বেশ জোর দিয়ে ছাপা হয়েছিল ধর্ষণের সময় ধর্ষিতা ছাত্রীটির স্কার্ট এবং টপস পড়ে থাকার কথা। ভাবখানা এমন যে মেয়েটি স্কার্ট পড়ে থাকার কারনেই তাকে ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়েছিল। মডার্ন ফ্যাশনের নামে টি- শার্ট আর হাঁটু পর্যন্ত শর্টস পরা এন্তার মেয়েদের ফটো নকশাতে এ পর্যন্ত ছাপা হয়েছে। অন্যকে বদলাতে বলার আগে বারাক ওবামার স্লোগান চুরি করে বদলে দাও আন্দোলনের স্বঘোষিত পথপ্রদর্শকদেরই মনে হচ্ছে আগে বদলাতে হবে।
কার কথা বলবো, কেউ পিছিয়ে থাকে না।
এবার বাড়ি গিয়ে শুনি আমার এক সাবেক ক্লাসমেটের নাকি গোপন ভিডিও বের হয়েছে। বের করেছে তার সাবেক স্বামী। সেই গল্প আমার কাছে করতে আসলো আমাদেরই আরেক ক্লাসমেট। এলাকার সবার মোবাইলে মোবাইলে সে ক্লিপ। মুখরোচক আলোচনা। কিন্তু ধর্ষক এবং লম্পট ছেলেটাকে দুটো চড় বসিয়ে দেবার মত কেউ এলাকায় নেই। বীর বাঙ্গালীদের শক্তিশালী হাত শুধু ছোট বাচ্চা ক্ষিদের জ্বালায় একটা রুটি চুড়ি করলে কিংবা পকেটমার ধরা পড়লেই শক্ত হয়।
নিউমার্কেটে দিনে দুপুর বেলায় ঢাকার এক বিখ্যাত কলেজের পরিচয়ধারী এক ছেলে একটা মেয়েকে চড় মারে। কারন হলো মেয়েটা ছেলেটাকে স্টুপিড বলেছে। কেন স্টুপিড বলেছে তার কারন হলো ছেলেটা ভিড়ের সুযোগে মেয়েটাকে ধাক্কা মেরেছে এবং শরীরে হাত দিয়েছে। কিন্তু উপস্থিত জনতা ছেলেটাকেই সাপোর্ট করে এবং একটা বখাটের হাতে শারীরিক ভাবে নিগৃহীত হয়ে, থাপ্পড় খেয়েও মেয়েটা স্যরি বলতে বাধ্য হয়। আমার যে ফ্রেন্ডটা ওখানে ছিল তার ভাষায় ছেলেটা অমুক কলেজের। কে তার সাথে লাগতে যাবে?
হাজার খানেক মানুষ এক বখাটের ভয়ে থরহরি কম্পমান। এই না হলে বীর বাঙ্গালী- অস্ত্র ধরেই যারা দেশ স্বাধীন করে ফেলেছে। তারপর সেই অস্ত্র অতল দরিয়ায় নিক্ষেপ করেছে। শত অন্যায়েও এখন তার গলায় স্বর বের হয় না।
ঘেটুপুত্র কমলা ম্যুভিটিতে হুমায়ুন আহমেদ একটা চমৎকার উপমায় আমাদের মানসিকতা ফুটিয়ে তুলেছেন। জমিদারের টাকা আছে সে ঘেটুপুত্র রাখে। কিন্তু তার ঘোড়ার দেখাশোনার জন্যে যে লোক তার টাকা নেই বলে সে ঘেঁটু রাখতে পারে না। কিন্তু ঘেটুছেলের দিকে সেও লোভী নজর দেয়। মনে মনে স্বগতোক্তি করে টাকা হলে সেও ঘেঁটু রাখবে।
আমরা একটা ধর্ষক জাতি। একটা অসভ্য এবং বর্বর জাতি। এই দেশে ভার্সিটিতে ছাত্রনেতারা প্রকাশ্যে ক্লাসমেট, জুনিয়র কিংবা সিনিয়র মেয়েদের ধর্ষণ করে। কেক কেটে ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করে। এক অপ্রকাশিত নেতার কাহিনী শুনেছিলাম। মেয়েরা তার কাছে ধর্ষিত হতে আসতো। কারন সে যাকে টার্গেট করতো তাকে ধর্ষিত হতেই হতো অথবা ভার্সিটির পড়াই বাদ দিয়ে দিতে হতো। তারচেয়ে চুপে চুপে একবার তার কাছে এসে ধর্ষিত হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ ছিল, অন্তত লোক-জানাজানি হতো না তাতে। মেয়েরা কার কাছে বিচার চাইবে? শিক্ষকের কাছে? তারাই তো রুমে ডেকে নিয়ে ছাত্রী ধর্ষণে লিপ্ত। মন্ত্রীদের কাছে? এই দেশের কলেজের মেয়েদের তো তাদের কাছে উপঢৌকন হিসেবেই পাঠানো হয়। শরীরের বিনিময়ে মিলে পার্টিতে পদ কিংবা হলে সিট।
পুরুষতান্ত্রিকে এই সমাজে অধিকাংশ পুরুষের ভেতরে একটা করে ধর্ষক লুকিয়ে আছে। সময় এবং সুযোগে কারোটা বেরিয়ে আসে। অনেকের সে সুযোগ মেলে না। তার ধর্ষণ হয় পরোক্ষ। সে যে কাউকে ধর্ষণ করে নি, সে জন্যে শুধু পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগের অভাবই দায়ী। তার কোন ভাল মানুষী না।
উন্নত দেশেও ধর্ষণ হয়, অপরাধ হয়। তবে সে দেশে অপরাধের অন্তত বিচার হয়। আমাদের দেশেও অপরাধ হয়- অপরাধী রাজার হালে বুক ফুলিয়ে ঘোরে। কোন বিচার হয় না। উলটো ক্ষেত্র-বিশেষে পুরস্কার জোটে। এটাই তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য।
এই লেখাটা লিখতে আমার দুইদিন সময় লাগছে। প্রচুর ভাবতে হয়েছে। কষ্ট করে টাইপ করতে হয়েছে। সময়টার বৃথা ব্যবহার, পৌরুষের নিদারুণ অপচয়। এরচেয়ে একটা ধর্ষণ করে ফেলা এই দেশে অনেক সহজ। ইচ্ছে হলো, টার্গেট করলাম, করে ফেললাম। সাথে বোনাস হিসেবে খ্যাতিটাও জুটত।
একটা এড ছিল-” টাকা রি-চার্জ যখন এতো সহজ- কথা বলবে না কেন?”
একটু মডিফাই করে বলতে পারি- “ধর্ষণ যখন এত সহজ, করবে না কেন?”
তাই আসুন আমরা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে ধর্ষণ করি। আমরা মস্তিষ্ক-যুক্ত মানুষ না হয়ে লিংগযুক্ত পুরুষ হই, আসল পুরুষ হই!
বহুত পুরাতন জিনিস। তাও বলি-
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে।
উৎসর্গঃ সেই আপুটাকে, হাসপাতালে ডিউটিরত অবস্থায় যে নিজের সতীত্ব রক্ষা করতে গিয়ে জীবন দিয়েছে এবং দালাল মিডিয়া যার ঘটনা নিয়ে কোন আগ্রহই দেখায় নি।
মিজানুর রহমান পলাশ
বুয়েট, ঢাকা
[email protected]
কথাগুলো নতুন না। কিন্তু তবুও লেখাটা পড়ে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল!
মুখতার আহমেদ স্যার আমাদের ধর্ষণের প্ররোচনা বা উৎসাহ কিছুই দেননি। পরিমল জয়ধর এবং মুখতার স্যারকে এক কাতারে ফেলবেন না প্লীজ।
লজ্জিত ধর্ষককেই হতে হবে , ধর্ষিতাকে নয়।
সমাজের অবস্থা, এখানের প্রচলিত গালি শুনেই বুঝা যায়… “তর মায়েরে ***” যেটার সহজ সরল অর্থ “আমি তোমার মাকে ধর্ষন করি” অথবা “f**k you” যার অর্থ “আমি তোমাকে ধর্ষন করি”… এই ধরনের গালিও আমাদের নিজেদের মেকি পুরুষত্ব সম্পর্কে ধারনা দেয়।
কে আছে, আমাদের মধ্যে যে একজন শারিরিক ভাবে নির্যাতিত তরুণীকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত ??
যখন আমরা কোন গোপন ক্যামেরার ভিডিও পাওয়া মাত্রই না দেখে ডিলিট করে দেব, প্রচারকারীকে সায়েস্তা করব, তখনই এমন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে যেখানে, মানুষেরা নির্ভয়ে নিজের উপর হওয়া নির্যাতনের কথা বলতে পারবে, ইনসাফ/সুবিচার পাওয়ার আশা করবে…
অবশ্য তখনো হয়ত কেউ ধর্ষকের মানবাধিকার নিয়ে হইচই করবে, ধর্ষনের শাস্তি, ‘মৃত্যদন্ডকে’ মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলবে… এ ধরনের লোকের বোধদয় কখনোই হবে না, যদি না এরা নিজেরাই ধর্ষিত হয়ে যায়…
বিঃদ্রঃ নারী-পুরুষ উভয়েই ধর্ষিত হতে পারে, নির্যাতিত হতে পারে, উভয়েই নির্যাতনকারীও হতে পারে
“বিঃদ্রঃ নারী-পুরুষ উভয়েই ধর্ষিত হতে পারে, নির্যাতিত হতে পারে, উভয়েই নির্যাতনকারীও হতে পারে”
সম্পূর্ণ সহমত প্রকাশ করছি ভাইয়া। এটাও একটা বিষয় আমাদের অনেকেই জানেন না…!
oshadharon hoise polash vaiaa…simply oshadhaorn
আপনার কলেজের কাহিনী আমি ও শুনেছি । সেটা শুনে আমারও খুব খারাপ লাগত । বুঝি না লোকটা কিভাবে এত ভালো কলেজে পড়ায় ??? যারা অই কলেজের তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি , মাফ করবেন । আমার বোন ও ভিকারুন্নিসা কলেজে পড়ত ।
কী বলব বুঝতেছি না। আইনের শাসন না থাকলে যেমন হয়। আমাদের পুরুষরা ঐতিহাসিক ভাবে misogynist বলে সন্দেহ আমার। পড়ে কনফার্ম হইতে হবে 🙁
বোরখা পড়লেই ধর্ষণ হবেনা এমন কেও ভেবে থাকলে মিশরে কাহিনী দেখে আসেন, এরপর আশা করি ভুলেও এই কথা বলবেননা।
“Statistics say that most of the women or girls who have been sexually harassed have been veiled or completely covered up with the niqab.”(In egypt)
Brother I think we again need to take a look to the meaning of hizab . The hizab for the man they protect their eye and his secret organ from the prohibited tasks .
bah..chomotkar kotha. Shafayet…apnar namta khub shundor Islamic ekta nam. Allah says in Quran:
“O Prophet! Tell your wives and your daughters and the women of the believers to draw their cloaks (veils) all over their bodies (i.e. screen themselves completely except the eyes or one eye to see the way). That will be better, that they should be known (as free respectable women) so as not to be annoyed. And Allaah is Ever Oft‑Forgiving, Most Merciful”
[al-Ahzaab 33:59]
Quran e bar bar hijab shomporke bolar poreo Allah-r hukum-ke deny and criticize kora ashole amader moton ‘Muslim’-deri shova pai. I have lived all my live abroad and am currently working in corporate of Bangladesh. I maintain my hijab..I don’t see how this eradicates my life’s happiness..oh of course, I can’t party, can’t have alcohol shots and can’t wear tight clothes that would make a 8 year old boy salivate…but I’m protected. YOU CAN’T WANT WHAT YOU CAN’T SEE. Shafayet, apni ki dekhe eshechhen Egypt er mohilara kivabe hijab korto/kore? chhobitai ki proman na? eta hijab na. Hijab er defination sposhto vabe Quran e deya achhe. ektu pore dekhen..ektu bujhe dekhen.
আপু আমি আপনার কথার সাথে অনেকটাই একমত। কিন্তু একটা জিনিষ আমাদের সবার বুঝতে হবে। ধর্মের কথা বাদ দিয়ে বলছি, হিজাব শুধুই নারীর জন্য নয় পুরুষদের জন্যও। হিজাব আমাদের চোখেও থাকতে হবে। এই মানসিকতা আসতে হবে পরিবার থেকে, সমাজ থেকে।
যত দিন পর্যন্ত আমরা এটা করতে না পারছি “মিশরের কাহিনি” বাংলাদেশের কাহিনি হতে আর কত দিন…!
আমাদের সবারই coin – এর দুই পাশ বিবেচনা করা উচিত।
ঈমানদারদের নিকট আল্লাহর আইন মানার যৌক্তিকতা হচ্ছে এই যে তা আল্লাহ্ নাযিল করেছেন।সেটা যৌক্তিক প্রমাণিত না অযৌক্তিক প্রমাণিত সেটা বিষয় নয়।যদি বুরকা পড়ার কারণে নারী নির্যাতন নাও কমে তবু বুরকা পরতে হবে কারণ এটি আল্লাহর আইন। আর আল্লাহ তাআলাকে মানার চূড়ান্ত বদলা দুনিয়া নয় পরকাল।
Mr. Shayat ke bolsi……….
Did you read the whole article of the news you gave the link for? If you did, you wouldn’t post the comment. I see some girls (mostly arabian) here in Texas. Even with their head scarf, they look sexier than the other who wear shorts. A piece of clothing over head doesn’t make any islamic (respectable) dress. I do respect arabian girls, but some of them are misrepresenting islam. I can guarantee that a girl with proper islamic dress won’t be harassed by any reckless boy unless there is a war or something like that.
I totally agree…
It is turning out to be a similar trend in our country as well. Hijab for many Bangladeshi girls (not all) has turned into another tool of fashion. Who do we blame for this….?????????????
Parents, Shops promoting & selling cloths (burkhas) like this, the users….??????!!!!!!
যাক , ধর্ষণের দোষ অবশ্যই ধর্ষকের বেশি । তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত মৃত্যুদণ্ড ।
কিন্তু , শাফায়েত ভাই , আপনি যে লিঙ্ক দিলেন সেখানে যাদের ছবি দিল তারা বোরখা পরা ছিল ?? আর ইউ সিরিয়াস ??? তাহলে আপনার বোরখা নিয়ে জ্ঞান অনেক কম বলতে হয় । মাথা একটু কাপড় পেঁচিয়ে স্কিন টাইট কাপড় পরাকে বোরখা বলে না । এ টা আপাতত অপ্রাসঙ্গিক মনে হয় । তাই এখানে এটা না টানাই ভালো ।
আর মুখতার স্যারের দোষ না ঢাকাই ভালো । পেপারে একবার উনার ক্লাসের সব কিচ্ছা কাহিনী ফাঁস করলেই সারা দেশ বুঝবে।
KOTHAY SHANTI PABO? KAR KACHE JABO? LINGO WALA PURUSH ER VOYE SARAJIBON KI GHORE BONDI HOYE THAKBO?
akta bepar apnader shate share na kore parsi na, ami dubai te thake akhane local meyera borka pore chole ar vindeshi ra shorts but tarpor o ai desh a keo rape korar kotha chintao korte pare na raat dupureo nirjon rashta diye kono sondori meyeke ami nirvoy a hete jete dekhesi cuz islamic law death penalty, unnoto desh o bichar hoy jail theke beriya tara abar aki kaj kore, amra keno ai beparta bujte chaina jini amader manush jati sristi koresen amader control korar jonno tar cheye valo law ar ke bole dite parbe, vable hasi pay Islamic law ar criticize kore sei aki lok abr nijeke muslim dabi kore.
ভাইজান, পরীক্ষার মধ্যে আতলামি বাদ দিয়ে আপনি এইসব কাজে “অজথা” সময় নষ্ট করছেন ক্যান?? এক্সামেতো টিচার আপনাকেই “ধর্ষণ” করে দিবে। :p :p
হেহে আমারও কালকে এক্সাম। আমিও মনে হয় “অজথা” সময় নষ্ট করলাম এই পোস্ট পড়ে আর কমেন্ট করে।
🙁
যে দেশে অপরাধের শাস্তি হয় না সেখানে সবাই অপরাধী হতে চাইবে। আমাদের দেশে যতদিন ধর্ষকদের সঠিক বিচার এবং উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা যাবেনা ততদিন ধর্ষকও কমার সম্ভাবনা দেখি না। আর এই দোষটা নিয়ে চিন্তা করলে আঙ্গুল নিজেদের দিকেই উঠে। আমরাই এতো স্বার্থপর জাতি যে আরেকজনের সমস্যাকে কখনও নিজের সমস্যা মনে করি না। নিজেকে কখনও একজন ভুক্তোভুগীর জায়গায় বসিয়ে চিন্তা করতে পারি না। নিজের উপর আপদ না আসা পর্যন্ত আরেকজনের বিপদ নিয়ে ভাবার সময় নেই। শুধু মনে করি, অমুকের হলে আমার কি? আমিতো ভালো আছি.. কিন্তু বাস্তবতা হলো আমার বিপদের দিনে আমিও আরেকজনের কাছে “অমুক” হয়ে যাবো।
😳
অই ত্যানা এদিক সেদিক না পেচায়া আপ্নারা বল্লেই পারেন বোড়কা না পরলেই ধর্ষন করতেই হবে
.