– হ্যালো , নিবেদিতা বলছো ?
: হুম , কে বলছো ?
– আ…আমি… [তোতলাচ্ছি]
: আ..আমি টা কে ? [ওপাশের রাগত গলা ।]
– আ…আ…আমি [কথা ভুলে গেছি , দুনিয়া তে এখন একটাই শব্দ মনে আছে ! :S]
: ধুরররর [ঐপাশ থেকে মুখ খারাপ করা কিছু গালি ভেসে এলো এবং ট্যাঁ ট্যাঁ করে ফোনটাও কেটে গেলো ।]
গত একবছরে এটাই আমার গল্প । আমি ভাল থাকার জন্যে ভাল রাখার সিম আর পাশে টানার জন্য পাশে আনার সিম [ অবশ্যি শতাধিক ] কিনেও কোন সুবিধা করতে পারলাম না ! নিবেদিতা নিধি নামের এই ভয়াবহ রাগী মেয়েটাকে কি কারণে এতো ভাল লাগে আমি জানি না , শুধু এটা জানি প্রচন্ড গরমে বা খুব রেগে গেলে যখন ওর গালে আবীর জন্মে আমার ওকে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছা হয় ! কিংবা যখন ক্লাসে কারো ব্যাগে তেলাপোকা ছেড়ে দিয়ে কুটনামি করার পরম আনন্দে হাসে তখন ওর কপালের চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে ওকে দেখতে ইচ্ছা হয় ! কিন্তু কথা বলতে গেলেই সমস্যা । আমি ছাড়া অন্য শব্দ মাথাতেই আসে না !
শেষ মেষ একবুদ্ধি নিলাম , অবশ্যিই ধার করা , আমি চরম লেভেলের গাধা টাইপ মানুষ , ভালবাসি বলতে একবছর পার করলাম বলতে পারলাম না এসব বুদ্ধি আমার মাথায় আসার প্রশ্ন ই আসেনা ।
পরদিন একটা চটের ব্যাগে একটা আর্টপেপার , একটা ক্যান্ডেল , একজোড়া ১৫০টাকা দামের স্যান্ডেল , একটা পায়েল নিয়ে ভার্সিটি গেলাম । ক্লাস শেষ হলে ব্যাগ টা নিবেদিতার হাতে দেয়ার সাহস আমার হলো না ! আরেক বন্ধুকে একটা আইসক্রীম দিয়ে ম্যানেজ করলাম । ও কেমন করে দিবে আমার জানা নাই তবে আমার এ বন্ধুটি খুব ই কঠোর পরিশ্রমী দিবে যে সন্দেহ নাই । শুধু এতটুকু গ্যারান্টি রাখতে হবে যে রাত ১২টা পর্যন্ত ব্যাগটা নিবেদিতা ওর বাসায় রাখবে ।
রাতে ওকে মেসেজ দিলাম একটু কষ্ট করে মোমটা জ্বালাও । আর্ট পেপার টাকে মোমের সামনে মেলে ধরো । প্লিজ এতটুকু করো প্লিজ ।
সারারাত আল্লাহ আল্লাহ করলাম পরদিন কপালে জুতা না প্রিয়তা কি আছে তা ভেবে !
নিবেদিতা মেসেজ পড়ে একটু অবাক হলো । আর্টপেপারটা জ্বলন্ত মোমের সামনে ধরতেই লেখাটা ফুটে উঠলো
একবছর ধরে তোমাকে ফোন করে আমি শব্দটা ছাড়া কিছু বলতে পারিনি । বাকি শব্দ দুটো হল তোমাকে ভালবাসি । তুমি যদি না চাও তবে কিছু বলতে হবে না জুতো টা পড়ে এসো আর যদি তোমার আপত্তি না থাকে তবে পায়েলটা কখনো খুলো না ।
পরদিন সকালে আমাকে নিবেদিতা ফোন দিয়ে যা বলল তার কিছুটা এরকম :
-ঐ গাধা ! একবছর ধরে তিনটা শব্দ বলতে পারোনা ফিচলামি বুদ্ধিতো নিয়ে ঠিক ই ঘুরো ! বাই দ্য ওয়ে জুতোটাও আমার পছন্দ হয়েছে কি করি ?
: আমি..আমি..
-ঐ গাধা পায়েলটা কি আমিই পরবো না তুমি পরায়ে দিবা ?
ফোনের এপাশ থেকে চিঁচিঁ করে বললাম,
“আমি…আমি..আমি..” :/
ঐপাশ থেকে নিবেদিতা বলল,
“হায়রে গাধারে !”
আমার গলা দিয়ে তিনটা শব্দই বের হল ,
“আমি .. আমি .. আমি..” 😐
হাহা।
প্রেমের গল্প বিষয়ে আমার সবচেয়ে আগ্রহ (আমার ধারণা প্রায় সবার।) কেমনে কী? স্টার্ট কীভাবে?
এই গল্পে আপনি ছেলে, এর আগে একুয়া রেজিয়াপুও ছেলে, লেখালেখির বিশাল মজা!ছেলে মেয়ে সব হওয়া যায়!
(আপু পারলে ফরম্যাটিংটা একটু নজরে রাইখেন।)
আপনি ছেলে, এর আগে একুয়া রেজিয়াপুও ছেলে— হা হা হা এই লাইন পড়ে হাসতেই আছি ভাইয়া… হা হা প গে—
😛
আসলেই মজা !! 😛
ইঁচড়ে পাকা নুহামণি!
তোর গল্প ভালোবাসলাম। :love:
আমি মোটেও ইঁচড়ে পাকা না !!
😛
মজার তো 😀
মজার গল্প
ভালো লেগেছে 😀
ধন্যবাদ আপু 🙂
গল্পের শেষও হল-
“আমি .. আমি .. আমি..” 😐 দিয়ে
গল্পের শুরুতেই N2O, N2O গন্ধ পাচ্ছিলাম।
শেষটায় লাফিং গ্যাসের সেবন অনেক বেশী ছিল :happy:
ধন্যবাদ গল্পটা আর দীর্ঘ না করার জন্য,নইলে বোধহয় এতক্ষণে anesthetic স্টেটে চলে যেতে হতো 😛
ইশ ! গল্প পড়ে কেউ কেমন করে anesthetic স্টেটে চলে যায় দেখার সুযোগ টা মিস হয়ে গেলো ! 😛
anesthetic স্টেটে চলে গেলেও দেখতেন কীভাবে? :thinking:
এটা তো টেলিটক 3G না,বাঁধ ভাঙ্গে দেখার সুযোগ টা নেবেন 😛
ও আপনি anesthetic স্টেটে গেলে দেখে নিতাম ! যান নি যখন বলে আর কি লাভ ?? 😳
পাঠকের anesthetic স্টেটে চলে যাওয়ার দৃশ্য খুব কি মধুর? :thinking:
উত্তর যদি হয় হুম, তাহলে লেখককে এই মধুর দৃশ্য থেকে বঞ্চিত করার অপরাধ অবশ্যই পাঠকের না। 🙂
কারণ লেখক গল্পটা পাঠকের anesthetic স্টেটে যাওয়ার মতো দীর্ঘ করেন নি যা পাঠক তার আগের মন্তব্যে আলোকপাত করেছেন 😛
যেহেতু কখনো দেখার ভাগ্য হয়নি তাই বুঝতে পারছিনা ! :/
:thinking: