একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ!

১)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
সে দেশ দুর্নীতিতে ১৩ তম, এই বৈশ্বিক মন্দার মাঝেও তার জিডিপি ৬!!

তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ, অথচ বিশ্বের ৫ম সুখী দেশ!!

সে দেশের ৩৩ ভাগ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে, গার্ডিয়ান বলছে সে দেশ আর ২০ বছরের মধ্যে ইউরোপের সবগুলো দেশকে ছাড়িয়ে যাবে!!

সে দেশের ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ মানুষ নিরক্ষর, সেদেশে বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক উৎসব হয়!!

সারা পৃথিবী অর্থনীতি নিয়ে মাথায় ঘাম পায়ে ঝড়াচ্ছে, আর গেল বছরে সেদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার সারা দুনিয়ায় ৫ম!!

২)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
কাগজে-কলমে সে দেশের সরকার ব্যবস্থার নাম ‘গণতন্ত্র’। কিন্তু বাস্তবতা হল সে দেশের সরকার ব্যবস্থার প্রকৃত নাম ‘স্বার্থতন্ত্র’। দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথেই সেদেশের তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকার দেশকে মাকাল ফল হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরতে কোমড় বেঁধে কাজে নামে। সে দেশের মানুষগুলো কি সত্যিই খুব সুখে আছে? সে দেশটা কি সত্যিই দুর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে?
প্রশ্নের উত্তরগুলো ধোয়াশাই রয়ে যায়।

৩)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
আমেরিকার মত দেশ যখন বিদেশী সাহায্যের জন্যে হন্যে হয়ে ঘুড়ে ফিরছে, সে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়ছে।

সে দেশের মানুষ একদিন না খেতে পেয়ে খাবারের অভাবে মারা যেত। কিন্তু এখন, সে দেশ খাদ্যে ৯৩% স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। সে দেশের মানুষ এখন আর খাদ্যের অভাবে মরে না, রাতে খোলা আকাশের নিচে ঘুমালেও দু’বেলা দু’মুঠো ভাত পেটে পড়ে। সে দেশ কৃষিতে নতুন বিপ্লব দেখাচ্ছে দুনিয়াকে। সেদেশের ১ একর জমি থেকে ১১১ মণ চাল আসে। নেদারল্যান্ডের মানুষ সে দেশের আলু খায়! কানাডা সে দেশের মাঠের ভুট্টা দিয়ে খাবার তৈরি করে। ইংল্যান্ডের মানুষ সে দেশের জলে জন্মানো মাছ খায়! সে দেশ জোড় গলায় বলে ২০০ দিনের মাঝেই তারা ১০০% স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবে!

৪)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
সে দেশ খাদ্যে ৯৩% স্বয়ংসম্পূর্ণ, কিন্তু দেশের ৩১% মানুষ অপুষ্টিতে ভুগে। উন্নত বিশ্ব সে দেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানী করে, কিন্তু সে দেশের অধিকাংশ মানুষের কপালে শুধু আলু আর ভাত ছাড়া খুব বেশি কিছু জোটে না। অভিজাত দেশগুলো সে দেশের জলে জন্মানো মাছে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটায়, কিন্তু সে দেশের বহু মানুষের কাছে মাছ কেবল বিশেষ বিশেষ দিনের আকাঙ্খা মাত্র, হয়ত বছরে তিন/চারবার জিভে মাছের স্বাদ লাগে। সে দেশের একটি শিশু ঈদের দিন এক টুকরো মাংসের জন্যে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। সে দেশের অনেকাংশ মানুষ শুধু কোনরকম শর্করার চাহিদা পূরণ করে বেঁচে থাকে।

৫)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
সে দেশের সম্বল খুব কম, পান থেকে চুন খসলেই সে দেশের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস লেগেই আছে। কিন্তু তবু কিন্তু তারা হেলে পড়ে না। আর ওদিকে, বড় বড় দেশগুলো একটা মাঝারি শক্তির ঝড় হলেই হাপিয়ে যায়।

৬)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা হাপিয়ে যায় কারণ, তারা তাদের জায়গাটাকে আগের মত সুন্দর করে পুনর্গঠনের কথা ভাবে। আর আমাদের দেশে ফেলে রাখা হয়, পরের বছর আবার বন্যা দ্বারা আক্রান্ত তো হবেই, ঠিক করে টাকা জলে দেবার দরকার কি! প্রকৃত অবস্থাটা কি, তা জানতে বন্যার সময় আক্রান্ত অঞ্চল আর খরা মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে গেলেই দেখা যায়।

৭)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
সে দেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা লেগেই আছে। তবু বিদেশীরা সে দেশের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাঁকিয়ে থাকতে বাধ্য হয়, যখন দেখে সারা দুনিয়া মন্দন কমাতে ব্যস্ত আর এই দেশ ত্বরণ বাড়াচ্ছে। বিশ্বের নামজাদা অর্থনীতিবিদ মন্তব্য করে সামাজিক উন্নয়নের সবগুলো মানদন্ডে সে দেশ বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে। সে দেশের ঘরের কোণে লুকিয়ে থাকা মেয়েরাও আজ বের হয়ে আসছে কর্মরাজ্যে।

৮)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
সে দেশ বলছে, তাদের নারীরা আজ পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে কি তারা আদৌ কিচ্ছু পাচ্ছে নিজেরা? সে দেশ সত্যি অনেক এগুচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে কিন্তু আগানোটা সেদেশের মানুষকে প্রকৃতপক্ষে কতটা সুখি ও সমৃদ্ধ করছে?

৯)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
সে দেশের স্কুলে একটা ভাল ল্যাব নেই, ক্লাস হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশানজট লেগেই আছে। কিন্তু সে দেশের ভাঙ্গা কলসির তলায় ঝুলে থাকা একটা ছাত্র যখন বিশ্বের ১ নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়, ওদের ছাত্রদের চেয়ে নিমিষেই অনেক সামনে এগিয়ে যায়। সে দেশে কোন প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় নেই, কিন্তু আবুল বারাকাতের মত অর্থনীতিবিদ সেখানেই জন্মায়, যাকে নিয়ে সারা দুনিয়া টানাহ্যাচড়া করে। সে দেশের ক্লাস টু পর্যন্ত পড়া ছেলে পানি দিয়ে তড়িৎ উৎপাদন করতে পারে, শক্তশালী বড় দেশ ওকে কালো পথে নিয়ে যায় নিজের দেশে! সে দেশের ছেলেরা ব্যায়ামের যন্ত্র দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবার পদ্ধতি বের করে।

১০)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
সে দেশের দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে তড়িৎ উত্‍পাদন করতে পারলেও বহু শিক্ষার্থী দশম শ্রেণী পাস করলেও নির্ভুল রিডিং পর্যন্ত পড়তে পারে না। সে দেশের যে কাড়ি কাড়ি গোল্ডেন এ+ পেয়ে পাস করে তার সবটাই লোকদেখানো; সরকার বোর্ডকে চাপ দেয় আর বোর্ড শিক্ষকদের- ১৮ কে বানানো হয় ৩৩ আর ৬৫ কে ৮০। কজন প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করে সে প্রশ্নের উত্তর মেলে না।সে দেশে এমনও ছাত্র আছে যে, পদার্থের সংজ্ঞা লিখতে কলম ভাঙ্গে, অথচ মাধ্যমিকে সে পদার্থে সত্তরোর্ধ নম্বর পায়।

১১)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
সে দেশে দামী দামী ওষুধ তৈরী হয় না, কিন্তু ডাক্তার খালি হাতেই চিকিৎসা করতে পারেন। মুমূর্ষু রোগীর জীবন ফিরিয়ে আনতে পারেন কাড়ি কাড়ি টাকা দিয়ে কেনা লাইফ সাপোর্টিং মেশিন ছাড়াই। পৃথিবীর ৭৪টির অধিক দেশে সে দেশের ঔষধ রপ্তানি হয়।

১২)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
জাপানের ১৩% তরুন হতাশায় সুইসাইড অ্যাটেম্পট করে (৬০+ বয়স্কদের কথা বলছি না) কর্ম না পেয়ে। আর সে দেশের ২৭% তরুন এখন ভাবে তারা চাকরি করবে না, চাকরি দেবে!! তারা চিৎকার করে বলতে পারে, “আমরা বড্ড বেশি আশাবাদী”!!

সে দেশের মানুষ কোনকিছুর উপরই অতিনির্ভরশীল না। একটা হারালে অন্যপথ খুঁজে নিতে চেষ্টা করতে জানে। সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড জার্মানিতে একটা ট্রেন ২.৩৫ মিনিট দেরী করাতে পরের ২ দিন ট্রেনই চলে না, ৩য় দিনেও কোন ট্রেনের শিডিউল মেলে না। আর অ্যানালগ সে দেশের একটা ট্রেন ৪ ঘন্টা দেরী করলে পরদিন আবার সেটা ১৫ মিনিটে নেমে আসে।

কোন কাঁচামালই নেই, নেই কোন উন্নত ডক-ইয়ার্ড। এক হাতে অক্সি-অ্যাসিটিলিনের শিখা আর আরেক হাতে স্টিলের পাত চেপে ধরে আধুনিক জাহাজ-লঞ্চ বানায় সেদেশের মানুষ। তারপরও তারা পৃথিবীর ১৭ তম জাহাজ নির্মাণকারী দেশ। অথচ তারা আধুনিক জাহাজ বানাতে শিখেছে ২ বছরও হয় নি। তারা উন্নত যুদ্ধ জাহাজ বানানোও শিখে গেছে!! উন্নত মেশিনপত্র নেইই আমাদের, কিন্তু তারপরও গার্মেন্টস শিল্পে ওরা সারা পৃথিবীতে ২ নম্বর স্থানে আছে।

১৩)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
এদেশের ডাক্তাররা টাকার লোভে অপ্রয়োজনীয় দামী ওষুধের নাম প্রেসক্রিপসনে লিখেন, তাই সরকার বা বিদেশি সংস্থার দেওয়া ফ্রি ওষুধও হতদরিদ্র মানুষগুলোকে টাকা দিয়ে কিনতে হয়। সার্জারীর টাকা নাই দেখে কবিরাজের উপর ভরসা করে দিন কাটায়।

১৪)
একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ।
উন্নত বিশ্বে একটা ট্রেন একটু দেরি হলে সমস্যা হয়, কিন্তু সচরাচর তো দেরি হচ্ছে না আর দেরি হলে সমস্যা হওয়ার কারণ ওদের যানবাহলের এর সংখ্যা। আর সে দেশে সেটা কোন সমস্যাই না। দেরী সেখানে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। সেখানে যানবাহনের সঙ্খ্যা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম, কিন্তু যা আছে তার জন্যেও যতটুকু রাস্তা দরকার তার অর্ধেক নেই। হরতালের পর হরতালে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার যাচ্ছেতাই অবস্থা হয়। যুদ্ধ জাহাজ তারা ঠিকই তৈরি করে কিন্তু পদ্মাসেতু আমাদের আর হয়ে ওঠে না, হাইওয়ে তৈরী অর্ধেক হয়ে থেমে যায়। খানা খন্দে ভরা রাস্তাগুলো আর ঠিক করা হয়ে ওঠে না। যে ২৭% তরুণ চাকরি দেবার আশায় স্বপ্ন দেখে তাদের ক’জন স্বপ্নটাকে বাস্তবতায় রূপ দিতে পারে?

শেষকথাঃ
সে দেশটা এখনও অনেক ছোট, কেবল হাঁটতে শিখছে। অনেক ভুল-ত্রুটি ওদের আছে। এটা থাকবেই। কেউ স্বীকার করুক বা নাই করুক, সে দেশটা দূর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে চলেছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হল, সে দেশের সবগুলো মানুষকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে যেতে নিরন্তর। তারা এখন বুঝতে শিখেছে, কেউ ওদের আটকাতে পারবে না।

ওরা বারবার বলে উঠতে পারে,
“একটি বাংলাদেশ –
তুমি জাগ্রত জনতার,
সারা বিশ্বের বিষ্ময়, তুমি আমার অহংকার”

জানি, পরিবর্তন আসবেই। দরকার শুধু, একটু পরিশ্রম, সদিচ্ছা আর শুভবুদ্ধি…
ভাল থাক, বাংলাদেশ!!

সাঈদ আনোয়ার অনুজ,
ঢাকা।
৪ জানুয়ারী, ২০১২।

[ এই লেখাটা আমি আমার ফেইসবুক প্রোফাইল ((https://www.facebook.com/CoercedAnuj)) থেকে প্রথম অবস্থা নবায়ন করি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের এই যুগে এই লেখাটা অনেকেই এমনকি অনেক ব্লগেও নিজের নামে অনেকে প্রকাশ করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে আঙ্গিকগত কিছুটা পরিবর্তন সাপেক্ষে আমার এক বন্ধুর পরামর্শক্রমে এইখানে প্রকাশ করলাম। ধন্যবাদ। 🙂 ]

অনুজ সম্পর্কে

সাদা কাগজে কালো কালিতে লিখতে গেলে হয়ত লিখতে হবে - প্রথমত আমি রক্ত মাংসে গড়া এক মানুষ, দ্বিতীয়ত চিরন্তন সত্য, মৃত্যুর সাথে করি বসবাস... https://www.facebook.com/CoercedAnuj
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে ইতিবাচক-এ এবং ট্যাগ হয়েছে স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

15 Responses to একটি দেশ, নাম বাংলাদেশ!

  1. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    এই লেখাটা তুমিই লিখছিলা? 😀

    কী অবস্থা!

    অনলাইনে কীভাবে একজনের জিনিস আরেকজন কপি করে!

  2. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    হায় আল্লাহ ! মানুষ এইভাবে কপি মারে ? 🙁

    যা-ই হোক, অনেক আশা জাগানিয়া পোস্ট। Its not too late yet…

    :welcome:

    • সাঈদ আনোয়ার অনুজ বলেছেনঃ

      কিছুই বলার নেই, আপু… 🙁
      আমি যাদের লেখা দেখে অনুপ্রেরণা খুঁজতাম, তাদের কাউকে যখন দেখি আমার লেখাই কপি করে নিজের বলে প্রকাশ করে, আমি ভাষা খুঁজে পাই না…
      যাই হোক, আমি আশাবাদী। এই বাঃ কম কিসে, আমি যাদের লেখার ভক্ত, তাঁরাও আমার লেখাকে [অন্তত যেভাবেই হোক] স্বিকৃতি দিয়েছে!

      ঠিক, ইটস নট টু লেট ইয়েট!! জাস্ট নিড টু ওয়ার্ক হার্ড!!

      অনেক ধন্যবাদ, আপু!! 😐

  3. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    বিশ্বের ৫ম সুখী দেশ>> আমি এইটা খুঁজে পাই নাই। ৩০এর পরে দেখছিলাম যতদূর মনে পড়ে। অবশ্য ঐটা জুনের মাঝের দিকের রিপোর্ট ছিল। এরপরেও কি আরো কোন রিপোর্ট বেরিয়েছে?

    শুরুর লেখাটাই মন ভরিয়ে দিল অবশ্য!
    :welcome:

    • সাঈদ আনোয়ার অনুজ বলেছেনঃ

      থ্যাঙ্কু, আপু!! 😐 😐 😐 😐 😐
      গার্ডিয়ানের মতে মাথাপিছু গড় আয়, মাথাপিছু জমির পরিমাণ, চাহিদা এবং যোগান রেখার মাঝে সম্পর্ক, দারিদ্র্যতা, সামাজিক স্থিতি – এগুলোর রেস্পেক্টে বাংলাদেশ ৬৩ তম সুখি দেশ। আবার গ্লোবাল পিস ইন্ডেক্সে বাংলাদেশের স্থান ৯১ তম, স্কোর ২৫৪৯/২৫৫০। আয়ারল্যান্ডের গ্লোবাল পিস রিপোর্ট-২০১২ এ বাংলাদেশকে বিশ্বের ৫ম সুখি দেশ বলা হয়েছে। এদের হিসেবের ধারাটা একটু আলাদা। শিক্ষার হার বৃদ্ধির হার, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কতখানি এগুলো , নির্ভরশীলতার হার কতখানি কমলো, নারী-পুরুষ সাম্য অর্জনে কতটুকু উন্নতি হল, মুদ্রাস্ফীতি, টাকার মান কমছে না বাড়ছে, মানুষের চাহিদা কতটুকু মিটছে, হাঁসির পরিমাণ কতটুকু, জনসঙ্খ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাসের হার – এভাবে ওরা হিসেব করে। আমাদের দেশের শিক্ষার হার দ্রুত বাড়ছে, খাদ্য উৎপাদনে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, টাকার মান আগের চেয়ে বেড়েছে, আমাদের মানুষের চাহিদা কম, তারা অল্পতেই সুখি, খুব হাঁস্তে পারে তারা- এভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।
      তবে সুখি দেশের এই হিসেবটা আসলে বড্ড আপেক্ষিক, সুখ আবার হিসেব করে কিভাবে!!
      থ্যাঙ্কু এঙ্কোর… 🙂

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।