বেশ কয়েকদিন ধরিয়া কল্কাদেবী ব্যাপক বিরক্ত হইয়া আছেন। তাহাকে বিরক্ত করা বা রাগাইবার মত কাজ খুব কম মানুষই করিয়াছেন তাহার জীবনে। সেই জায়গায় তিনি বিরক্ত হইয়া আছেন মশার উপর। বেশ কয়েকদিন যাবত ধরিয়া তিনি দুঃখের মধ্যে আছেন তার স্বামীর পরলোক গমনের কারণে। দীর্ঘ চল্লিশ বছর সংসার করার পর তাহার স্বামী তাহাকে ছাড়িয়া গিয়াছেন। তাহার পরলোকগত স্বামী ছিলেন দারোগা যদিও তিনিই ছিলেন অলিখিত দারোগা। তাহাকেই সবাই দারোগা ভাবিত এবং তাহার স্বামী তাকে যমের মত ভঁয় করিত। কোনদিন তাহার কোন কথার অবাধ্য হয় নাই এবং সেই সাধ্য ও বেচারা ছিল না। তাহার ছেলেমেয়েরা তাহাকে ব্যাপক ভয় পায়। এইসব ভাবিয়া তিনি যখন বিষাদগ্রস্ত ঠিক তখনি একটি মশা তাহার কানের কাছে আসিয়া প্যানপ্যান শুরু করিয়া দিল। কল্কাদেবী চরম বিরক্ত হইয়া গেলেন যে মশা কামড়াবে ভালো কথা কানের কাছে প্যানপ্যান করিবে কেন? তিনি নিজেই সারাজীবন প্যানপ্যান করিয়াছেন এবং সকলকে তাহা শুনিতে হইয়াছে কেউ কিছু বলিবার সাহস পায় নাই আর সেই জাগায় সামান্য মশা তাহার কানের কাছে আসিয়া প্যানপ্যান করিবে তা তো সহ্য করিবার নহে । তিনি ব্যাপক বিরক্ত এবং রাগান্বিত হইয়া তাহার পুত্রকে ডাকিলেন। পুত্র মাতার ক্রোধ দেখিয়া সকল প্রকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করিল। কিন্তু কোন কিছুতেই কিছুই হইল না। পুত্রর অপারগতায় কল্কাদেবী ব্যাপক বিরক্ত ও রাগান্বিত হইল পুত্র ভীত হইলেও তাহার পুত্র বধূ অনেক খুশি হইল কারণ কল্কাদেবির কথার অত্যাচারে বেচারি ব্যাপক কষ্ট করিলেও কোন কালেও কিছুই বলিতে পারে নাই। আর এখন সামান্য মশাই তাহাকে মশার রামায়ণ শুনাইতেছে। তাহা দেখিয়া সে ঠিক করিয়াছে পূজা দিবে।
এইরকম করিয়া বেশ-কিছুদিন পরে এক রাতে তিনি ঘুমাইতেছিলেন এই সময় কে যেন পিনপিন করিয়া বলিল ‘’কলি সোনা ও কলি সোনা’’। কল্কাদেবী ধরমর করে ঘুম থেকে উঠিলেন কারণ তাকে কলি সোনা বলিত তাহার পরলোকগত স্বামী। এইবার সে অনেক ভয় পাইয়া গেল। সেই পিনপিন কণ্ঠে কে যেন আবার বলিল ‘’ কলি সোনা ভয় পেয়েও না আমি বীরেন্দ্র তোমার স্বামী। আমিও মশার রূপ ধারণ করিয়া তোমার কানের কাছে প্যানপ্যান করি কি করিব বল সারাজীবন তুমি তো কোন কথাই বলিতে দিতে না তাই মরার পর আত্মা হয়ে এই সুযোগ কি করিয়া ছাড়ি বল?’’ আর তখনই কল্কাদেবি বলে তবে গো মরে তোমার সাহস বাড়িয়াছে না?! আমাকে জ্বালাও আমার কানের কাছে প্যানপ্যান কর তোমার সাহস যদি আমি না কমায়েছি তবে আমি কল্কাদেবী না। এই কথা শোনা মাত্রই বীরেন্দ্র বাবু তাহার বউয়ের ভয়ে স্বর্গে গমন করিলেন আর কল্কাদেবী আরামে ঘুমাইলেন।
এই পুরুষবাদী লেখিকা প্রতিবার পোস্ট দেওয়ার আগে আমাকে এই মশাটার মত জ্বালায়। 😛 😛
মজার হইছে। একটু ছোট আর হঠাৎ শেষ হয়ে গেছে এই আর কি। এইটাকে টেনেটুনে আরেকটু লম্বা করা যায় নাকি দেখতে পারো। 😀 :love:
আমি কোন পুরুষবাদী বা নারীবাদী লেখিকা না
আমি তো এখানে পুরুষবাদী জাতীয় কিছু দেখি না
তুমি দেখলা কি ভাবে তারমানে তুমি নারীবাদী 😛 😛
আর আমি মশাটার মত জ্বালাই :brokenheart:
ধন্যবাদ :happy:
ওহ আমার জ্বালান সহ্য করার জন্য
:love: :love: :love:
😀
মজার তো! :happy: এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল কেন? :haturi:
ধন্যবাদ আপুনি :happy:
এর পরের বার থেকে বড় লিখবনে
ভালো লেগেছে- হঠাৎ শেষ হয়ে যাওয়া ছাড়া।
গুরুচণ্ডালী দোষে দুষ্ট লেখা 😛
ধন্যবাদ 🙂
লিখাটা আসলে হঠাৎ করেই শেষ করেছি
আমি সাধু ভাষা কম পারি 😳
আসলে পারিই না তেমন 🙁
লল!
😀
হাসির একটা রেশ ছিল, কিন্তু হঠাৎ করিয়া শেষ হইয়া গিয়া আফসোস হইতেছে!!! 😳
তাছাড়া লেখা বহুত খুব :love:
বিঃদ্রঃ ভবিষ্যতে কি এইরুপ কিছু করিবার/ হইবার ইচ্ছা আছে??!! 8)
( মানে প্যানপ্যানানি পিচ্চিমনি টাইপ) 😛
ধন্যবাদ ধন্যবাদ :happy:
ব 😛 😛
নাহ এইরকম কোন ইচ্ছাই নাই 8) 8)
তোর আছে কি না তাই বল? 😛
হা হা প গে…অনেকদিন পর মনে হল উপেন্দ্রকিশোর বা রবিঠাকুরের কোন ছোটগল্প পড়ছি। যদিও গুরুচণ্ডালি আছে… 🙂 তবে ঐ যে শেষটা নিয়ে, আরেকটু পড়তে চাইছিলাম…
আরও লিখবেন আশা করি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুনি আপনাকে :happy:
:love: 😐
হ্যাঁ শেষটাই আমার সমস্যা 😳
এরপর থেকে ঠিক করে লিখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ্ 🙂
আমি সাধু ভাষা তেমন পারি না
তারপরেও লিখার চেষ্টা করেছি
সামনে আরও ভালো করে লিখার চেষ্টা করব 😀
হাসির জন্য দাঁত বের করতে গিয়েও করি নাই!
পাঞ্চ লাইনে জোর দিতে হবে।
আইডিয়া ভালো ছিলো। ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল এর মতো ১০-১২ বার লিখে রিভাইজ করতে হবে!
ধন্যবাদ 🙂
সামনে এই সব বিষয়য়ে খেয়াল রাখব।
আরো বড় লিখবি।
তিন শব্দের কমেন্ট করতে করতে তোর বাজে অভ্যাস হয়ে গেছে। এক-দুই প্যারায় গল্প শেষ করে দিস। আরেকটু ক্লাইমেক্স ধরে রাখলে আরো ভালো হত।
তোকে এখন থেকে মশামণি বলে ডাকব ভাবতেছি! যা প্যানপ্যান করিস তুই! বিয়ের আগেই এই অবস্থা! তোর বরের যে কী হবে! আহারে বেচারা! 😛
বেশ কিছু টাইপো আছে, ঠিক করে নিস।
নিজে খুঁজে বের কর, এইটা নিয়ে আবার আমার কাছে এসে প্যানপ্যান শুরু করবি না, খবরদার!
আমি এখন মোটেও তিন শব্দে কমেন্ট করি না 8)
আমি প্যানপ্যান করি এই কথা তুমি বলতে পারলা :brokenheart:
কেন আমি কি করেছি যে আমার বরের অবস্থা খারাপ হবে
নাহ আমি নিজে খুঁজে বের করব না তোমাকেই জ্বালাব 😛 😛
কিন্তু প্যানপ্যান করব না
জ্বালাময়ী শারমিন! 😛
আহারে…সবাই দেখি পচানি দিচ্ছে ভালোই……মন খারাপ করে না…… 🙂
হিহিহি……
শুরু হতেই শেষ, আসলেই আরেকটু আগালে ভালো হতো মনে হয়…, আরেকটা কথা, এই গল্পে কিন্তু সত্যিই পুরুষবাদী সুর আছে……কাহিনী কি?!!? :p :p
সাধু ভাষা আমার খুব পছন্দের 😀
এক-সময় এক ফ্রেন্ডের সাথে সাধু ভাষায় চিঠি লিখতামঃ)এখনো আছে চিঠিগুলো…সেইরকম মজার ছিলো… 🙂
গতবছর শুরুতেই জ্বর হয়েছিল। জ্বর একটু ভালো হতেই সাধু ভাষায় কিছু মনের কথা লিখেছিলাম, পোস্ট করার সাহস হয় নি…… :p 😀
😛 😛
তাই তুমি আর সামিরাপু কোথায় পুরুষবাদী সুর দেখলা নাহ কোন কাহিনী নাই 😛
আমারও সাধু ভাষা অনেক ভালো লাগে 😀
বাহ সাধু ভাষায় চিঠি দারুণ তো
কিন্তু আমি সাধু ভাষা তেমন পারি না
আগে জানলে তো তোমার সাহায্য নিতে পারতাম
আরে তো দাও নি কেন?? দাও না পোস্ট করে পড়ব :love: :love: