প্রিয় আপুরা, তোমাদের জন্য বলছি…
আমার এ লেখাটি পড়ে তোমরা হয়তো চমকে উঠবে, কিন্ত আমাদের চারপাশে ছেলে-মেয়ে সম্পর্কজনিত বিষয়গুলো এত প্রকট আকার ধারণ করেছে যে এখন বিবেকের দায়ভার থেকে আজকে তোমাদের জন্য সত্যি কথাগুলো লিখতে বসেছি। আমার মনে হয় আজ তোমাদের কিছু তিক্ত সত্য জানা প্রয়োজন। তোমরা একটু মনোযোগ দিয়ে শুনো। আমি সবে মাত্র দেশের সর্বোচ্চ একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়েছি। আমার এ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি আমার আশেপাশের অধিকাংশ ছেলেদেরকে মেয়েদের নিয়ে কিভাবে চিন্তা করতে দেখেছি সে সম্পর্কেই তোমাদের জানাতে চাই। যেহেতু লেখালিখি আমার অভ্যাস নেই, তাই অদক্ষ হাতে ভূমিকা লেখা বাদ দিয়ে সরাসরি মূল কথাগুলোতে চলে আসছি।
বোঝার সুবিধার জন্য প্রথমে ছেলেদের সাধারণ ও প্রাসঙ্গিক একট বৈশিষ্ট্য আমি তুলে ধরতে চাই যেটা হয়তো তোমরা জানো না। আর সেটা হচ্চে- ‘কাম চেতনা’ যা কিনা আজ অধিকাংশ ছেলের মূল চালিকাশক্তির ভেতর অন্যতম একটি অংশ। ঈশ্বরের কৃপায় আসলে প্রতিটা ছেলেই এটা পায়। কেউ নিয়ন্ত্রন করতে পারে, কেউ পারে না। উদাহরণ যদি দেই, বর্তমান সমাজে এমন একটা ছেলে পাওয়া সম্ভব না যে কখনো পর্ণ দেখে নাই বা দেখে না। সাধারণ ক্ষেত্রে, অধিকাংশ ছেলেই লুকিয়ে লুকিয়ে নিয়মিত এগুলো দেখে। এমনকি আমি এটাও দেখেছি যে ইদানীং ছেলেদের হলগুলোতে দলবদ্ধভাবে পর্ণ দেখাটাকে আজ শুধু সমর্থনই করছে না, বরং যারা এগুলো থেকে দূরে থাকছে তাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করছে। আমার মনে হয় আমাদের সমাজে আশংকাজনক ভাবে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারন এটা।
ছেলেদের এই কাম চেতনার সরাসরি প্রভাব আজ পড়ছে তোমাদের প্রতি তাদের মনোভাবের সেটা তোমরা দেখতেই পাচ্ছো। সমাজে ধর্ষণ বেড়েছে, ইভ-টিজিং বেড়েছে। যাহোক, সমাজের দিকে তাকানো আমার এই প্রবন্ধের আলোচ্য না। আমার আলোচ্য, ছেলেরা তোমাদের নিয়ে কিভাবে চিন্তা করছে সেটা তোমাদের জানানো। আসলে বিষয়টা এমন বিব্রতকর যে (আমি নিজেও একটা ছেলে), খুব স্বতস্ফূর্তভাবে কথাগুলো বলতে পারছি না তোমাদের কাছে। ক্রোনোলজিক্যালী ছেলেদের কিছু সাধারণ মনোভাব আমি তোমাদের উদাহরণ দিয়ে বলি-
১- তুমি একটা ছেলের সাথে অন্তরঙ্গে কথা বলছো, অন্য ছেলেরা তোমাদের নিয়ে নোংরা চিন্তা করছে।
২- ধর আজ তুমি একটা মেয়ে ক্লাসে এসে বসেছো। তোমার পরনের জামাটা পাতলা, ভেতরের পরিধেয়গুলো অস্পষ্টভাবে হলেও বোঝা যাচ্ছে। জেনে রাখো, তোমার পেছনে যে ছেলেটা বসেছে, সে মুহূর্তের জন্য হলেও এটা দেখছে আর খুব খারাপ কিছু চিন্তা করছে। হয় তোমাকে খারাপ ভাবছে, অথবা তোমাকে নিয়ে নোংরা কাজ করার স্বপ্ন দেখছে।
৩- তুমি খুব আঁটসাঁট পোষাক পরে এসেছো। ছেলেরা তোমার খোলামেলা ফিগারের মাপ বোঝার চেষ্টা করছে। আর তোমাকে নিয়ে বিছানায় গেলে তোমার পারফরম্যান্স কেমন হবে তাই ভাবছে।
৪- তুমি কঠোর পর্দা রক্ষা করে চলবা? তাও পার পাবে না। তাবলীগের কতগুলো ব্যাকডেটেড হুজুর ছাড়া অধিকাংশ ছেলেরা তখন তোমাকে বিয়ে করতে চাইবে না। মনে করবে তোমাকে দিয়ে তারা সুবিধা করতে পারবে না। মুখোশধারী সমাজবাদীরা তোমাকে দেখে সুখ না পেয়ে নারি সম-অধিকারের নামে তোমাকে পর্দা ছাড়তে উদবুদ্ধ করবে।
আমি আর কিছু বলতে পারছি না। অধিকাংশ ছেলেরা আসলেই তোমাদের নিয়ে এগুলো ভাবে ও নিজেদের ভেতর আলোচনা করে।
এখন কি ছেলেরা খুব খারাপ হয়ে গেলো তোমাদের কাছে আপু? দুনিয়াটাকে অনেক ভয়ংকর মনে হচ্ছে?
আমি উত্তরটা জানি না আপু। সত্যি জানি না। এটুকু বলতে পারি, হুমম। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আসলেই ভয়ংকর। ছেলেদের কিছু বলবার নেই আমার। ঈশ্বর তাদের ভেতর যেই চাহিদাটাকে দিয়েছেন এটাকে অস্বীকার করতে পারবো না, কিন্ত সত্যি মনে অনেক দুঃখ নিয়ে তোমাকে বলছি আপু, খুব খুব খুব কম ছেলেই এখন আছে যারা এটাকে নিয়ন্ত্রন করতে পারছে। আর এজন্য ভোগান্তির শিকার হচ্ছো তোমরা। আমি সত্যি জানি না তোমাদের কি করা উচিত। হয়তো তোমাদের পোষাক নিয়ন্ত্রন করে কিছুটা বেঁচে যেতে পারো, কিন্ত সামগ্রিকভাবে এটার সমাধান যে কি আমি নিজেও জানি না। সব সময় কেবল দোয়া করছি আমার বোনগুলোকে প্রভু রক্ষা করুক আর না হয় ছেলেদের চিন্তাভাবনার রাজ্যে পরিবর্তন আনুক।
হুমম। দুনিয়াটা আসলেই ভয়ঙ্কর হয়ে গেছে অনেক। আমি নিজেই আঁতকে উঠি। আমার বোনকে নিয়ে শঙ্কিত হই… দুঃস্বপ্ন দেখি…
ছেলে হয়ে জন্মেছি দেখে এখন অনেক লজ্জাই লাগে মাঝে মাঝে আমার। চেতনাগুলোতো আমাকেও নাড়া দেয়। কিভাবে অস্বীকার করবো আমি? আমাকে তোমরা ক্ষমা কোরো আপু। আমি সত্যি এমন হতে চাই না। সব ছেলেরা কিন্তু এমন না :crying:
লেখাটা আমার বোনের জন্য উৎসর্গ করলাম। যার জন্য হাজারটা ছেলের ভিড় থেকে একটা ছেলেকে আমি বেছে আনতে পারলাম না, আর ‘ব্যাকডেটেড’ ‘কনজারভেটিভ’ মানসিকতার দরুন সে তার নিজের জন্যও কাওকে পছন্দ করতে পারলো না। হয়তো এভাবেই ভালো আছে সে… জানি না।
নাহ। অগোছালো লেখাটা আর গুছিয়ে সাজাতে ইচ্ছে করছে না। বানান ভুল আছে কিনা স্ক্রল ব্যাক করে সেটাও চেক করতে ইচ্ছে করছে না। কি যে বোঝাতে চাইলাম তোমাদের তাই এখন বুঝছি না।
মন থেকে কেবল তোমাদের জন্য একটা কামনা- তোমরা ভালো থাকো আপুরা… অনেক অনেক ভালো…
(লেখক খুবই অনিয়মিত। মন্তব্য করলে করতে পারেন, উত্তরের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার সুসংবাদ রইলো)
হুম হুম।
মেয়েদের হলেও একসাথে পর্ন দেখার কথা শুনছিলাম আমি, একবারই। তুলনামূলকভাবে পার্সেন্টেজ অনেক কম হবে অবশ্যই।
মেয়েরাও দেখে!!! বিশ্বাস হয় নাহ 🙁
রেয়ারলি
@সামিরা আপুঃ
আমার মনে হয় এ বিষয়গুলোর ভয়াবহতার চিত্র তোমাদের ভেতর যারা সহজ সরল টাইপ তাদের মাঝে শেয়ার হওয়া প্রয়োজন। না হলে তারা নিজের অজান্তেই হয়তো কোনো না কোনোভাবে সেক্সুয়ালি হ্যারাসড হবে যেটা নিয়ে অন্যরা হাসাহাসি করবে, কিন্ত সে টের পাবে না। এনেকটা এরকম একটা দৃশ্য থেকেই আমার এ লেখাটা লিখতে বসেছিলাম আসলে… সময়ের প্রয়োজনে আসলে শক্ত হয়ে চলা শিখতে হবে এখন সবাইকেই… এজন্য ভয়াবহতার লেভেল সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা থাকা আবশ্যক বলে মনে করি আমি… তোমরা একটু এ দিকটা নিয়ে লেখালেখি করবা প্লিজ?
বিশ্বাস করেন ভাইয়া। There is more than what it meet the eyes. 🙁
হাজারে ১ জন যদি হয়, সেটাকে কাউন্ট না করাই বেটার।
ছেলেদের বেলায় সেটা মোর দেন ৯৯%!! সো এইটাকেও সবাই বলাই যাই।
কিন্তু তাই বলে, যে মেয়েটা পর্নগ্রাফিতে আসক্ত, তাকে যে অন্যদের সাথে মিশিয়ে ফেলতে হবে সেটা যেমন নয়, তেমনি যে ছেলেটা পর্ন দেখে না, তাকেও যথেষ্ট সম্মান দেয়া উচিত।
একদম ঠিক ভাই!!!
সহমত প্রকাশ করছি…
kake somman korbe r korbe n seta porn dekhar upor kono dn o nirvor kore na,karur meye hoye jonmanor upor & kono meye tite posak porlo na see through porlo na bikini porlo na fully nude thaklo — egulor knotar upor e sommam prodorson nirvor korei na. ekjn manus tar society te kotota +ve obodan rakhlo only tar upor nirvor kre. r porn dekha manei kno mye rape korte hbe emon ta noy…..konodn e noy. zoo te bagh-sinhgo…….sobbar jemon alada alada khacha thake orthat sobai jmon common posu hoyeo bivinno projati temon amrao commnly manus bolte sudhu 6eledr bujhi r societey emon vabe toiri jate meye dr onno kono prani vaba hy, sudhu sx r samogri otharwise o66ut(o66ut kthatar poridhi onk boro- amadr society r mohilara, jara nijedr manus bole vabte chan tarai bojhen)
কয়েকদিন আগেই মেয়েদের প্রাইভেট হোস্টেল এবং হলে একা এবং দলবদ্ধ পর্ন আসক্তির কথা শুনে প্রচন্ড ধাক্কা খাইছি। তাও ছেলেদের তুলনায় অনেক কম এটাই হয়তো ঠিক।
সেক্সুয়ালাইজেশন তো শুধু বায়োলজিক্যাল না, সেই সাথে সোশ্যালও। মেয়েদের ক্ষেত্রে বায়োলজিক্যালের চাইতে সোশ্যাল কারণটাই বেশি প্রযোজ্য মনে হয়। যেমন একটা বাচ্চা জন্মের পর থেকে বাবা-মার সামনেই টেলিভিশনে হাইলি সেন্সুয়াল জিনিসপাতি দেখে বড় হইলে তার পর্ন দেখতে হয়তো বেশি ইচ্ছা করবে, মেয়ে হয়েও।
মাথা নষ্ট লাগতেসে। প্রচণ্ড মাথা নষ্ট। কী হচ্ছে এইসব…
সমাজটা খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আসলে। আমি স্কুলে থাকতে যেগুলো পর্ণ মনে করতাম সেগুলো এখন নরমাল মুভিতে দেখায়…
আর এখন কোন ছেলে কতটা ভালো সেটা সে কোন ধরনের পর্ণ দেখে সেটা দেখে বলা যায়…
কি ধরনের দুনিয়া তাই না! 🙁
এই রকম একটা সাহসী লেখার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকেও… সাহস করে আমার কথাগুলো বোঝার জন্য… তবে সাহস নিয়ে লিখিনিতো… দুঃখ থেকে লিখেছি… কি বলবো আর বলুন?
আপনার দুঃখ এবং ভয়, দুটোই আমি perfectly বুঝতেছি। 🙁
🙁
🙁
সান্ত্বনা এই যে, সব ছেলেরা হয়ত এমন না !
হুমম… হয়তো*
সব ছেলের অন্তরেই এটা থাকে আপু… কেউ কন্ট্রোল করে মানুষ থাকে, কেউ কন্ট্রোল করতে না পেরে অন্য কিছু হয়ে যায়… এটাই পার্থক্য… 🙁
Absolutely true…
কথাগুলো বলতে পারার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। যদিও আামার মনে হচ্ছে আরো অনেক কিছুই বলা যেত, আরো কিছু বাস্তব উদাহরনও দেয়া উচিত ।
আমার বেশী খারাপ লাগে তখন যখন দেখি কোন মেয়ে তার আশেপাশের ছেলে বন্ধুদের সাথে কথা বলছে, বিশ্বাস করছে, ভালোবাসছে…, অথচ সে মেয়েটা যদি ছেলেটার মনের কথা বা ভাবনাটা জানত হয়ত ছেলেটার দিকে লজ্জায় ফিরেও তাকাত না কখনো। 😳 মেয়েদের অনেকেই নোংরা চিন্তা করে, কিন্তু সেটা তুলনামূলকভাবে অনেক অনেক কম।
সমাধান হিসেবে চিন্তাগুলোকে শুদ্ধ করতে হবে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে। আমরা ইনটারনেটের পর্ণ কিংবা অন্য সংস্কৃতির প্রভাব এড়াতে পারব না। যা পারি তা হল- পর্যাপ্ত নৈতিক/ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার ও অনুশীলন। :thinking:
আর আপুদের প্রতি একটা অনুরোধ- যদি আপনি নিজেকে আকর্ষণীয় করার জন্যই পোষাক নামক জিনিসটা গায়ে জড়ান আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু যদি আপনি নিজেকে সম্মান করেন ও পোষাক লজ্জা নিবারণ/শালীণতার জন্যই পরেন তবে এমন কিছু পড়বেন না যা ছেলেদের কে উৎসাহিত করবে আপনাকে অসম্মানিত করতে।
আপনি এখন- দু’টো কথা হয়ত ভাবছেন-
১) ছেলেরা দৃষ্টি ঠিক রাখলেই ত হয়। শুনুন, আমাদের সমাজটা যদি মাত্রাতিরিক্ত ভালোও হয় সর্বোচ্চ ৫০% ছেলে তাদের দৃষ্টি সংযত রাখতে পারবে। এটা বাস্তবতা। আর বাকি ৫০% ছেলেই খুব যথেষ্ট সমাজকে ইভটিজিং, ধর্ষণ ইত্যাদির মাধ্যমে বিষাক্ত করে দেয়ার জন্য।
২) আপনি ভাবতে পারেন শালীণতার মাপকাঠি ব্যক্তি ও সমাজভেদে ভিন্ন। কিন্তু জৈবিক চেতনা ও নৈতিক বোধ একটা মিনিমাম লেভেল পর্যন্ত মানবজাতির প্রত্যেক সদস্য জন্মগতভাবে অবশ্যই পেয়ে থাকে। সেই বোধ-ই আপনাকে কোনটা ভালো কোনটা মন্দ বলে দিতে সক্ষম। শুধু একটু যত্ন নিতে হবে যেন সেটা ভোঁতা বা অন্ধ হয়ে না যায়…
সহমত!!
আমি যেটুকু বলতে পারি নি আপনি বলে দিলেন ভাই!! আমি চাচ্ছিলাম এ কথাগুলো কমেন্টেই আসুক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
মেয়েদের শালীনতার ব্যাপারে সহমত। কিন্তু এটাই সমাধান নয় ভাই। সরকার যদি ইউটিউবকে বিনা দোষে বন্ধ করতে পারে (ইউটিউবে নোংরা জিনিসে অনেক কড়াকড়ি থাকে) তাহলে পর্ন সাইটগুলো কেন বন্ধ করতে পারবে না? আমরা কি এই দাবিতে সোচ্চার হতে পারি না?
ঠিক বলেছেন, সমাধানের জন্য অনেক ব্যবস্থাই নিতে হবে। আমি ইন্টারনেটের প্রভাব এরাতে পারব না এটা বলার কারণ ইউটিউব মাত্র একটি সাইট, কিন্তু পর্ণ সাইটের সংখ্যা অগণিত। কোনটা রেখে কোনটা বন্ধ করবে সরকার ?! তাছাড়া পাশের দেশ থেকে সেসব পর্ণ সি. ডি. বা বই পর্যাপ্ত পরিমাণে ইমপোর্ট হওয়াও মামুলি ব্যাপার। সেজন্যই নৈতিক/ধর্মীয় শিক্ষা ও সুস্থ সংস্কৃতির মাধ্যমে আমাদের ভেতরটাকে পবিত্র করার ব্যাপারে বেশী জোর দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি…।
হুম ধর্মীয় শিক্ষার তো দরকার আছেই। কিন্তু বর্তমান সময়ে পর্ন যতটা সহজলভ্য, স্কুলের ছেলেপেলেদের হাতে চলে যায় অনায়াসেই…এতটা কোনকালেই ছিল না। এখন এইটা ওপেন সিক্রেট, বাবা মা নিজেও জানে অনেক ক্ষেত্রে।এটা যতটা মিনিমাইজ করা সম্ভব, ততটাই মঙ্গল।
আমি সর্বশেষ একটা এনালাইসিস দেখেছিলাম কোথায় ঠিক মনে নেই। ইন্টারনেটে পর্ণ সাইটের সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ। আর প্রতিটাতে ১০০০ টা করে পর্ণ থাকলেও মোট পর্ণ এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০০ কোটি। এটা কখনোই ট্যাকেল দেয়া সম্ভব না।
এজন্য আসলেই আমাদের নৈতিক অনুভূতি জাগ্রত না হলে সমাধান নেই। হাসান ভাই এর সাথে একমত। ধর্মীয় মূল্যবোধের চাইতে শক্ত কোনো শক্তি নেই যা এটাকে রুখতে সক্ষম। আগে আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ যতটুকু ছিলো, এখন তার ১০ ভাগের একভাগ ও নাই…
অবশ্যই। দেখুন চারিদিকে ধর্ষণ ধর্ষণ করে লোকজন গলায় রক্ত উঠিয়ে ফেললো, কিন্ত মূলের এই ব্যাপারটা নিয়ে কিন্ত কেউ কোনো কথা বলছে না। এখন বুঝুন। সবাই যখন চোর, তখন চুরি ঠেকাবে কে?
পর্ন সাইট বন্ধ অসম্ভব? আমি এই নিয়ে দুইটা দেশের কথা শুনেছি যেখানে পর্ন সাইট ব্লগ করে রাকাহ হয়, তারা কীভাবে করে?
আর শুধু পর্ন সাইট বন্ধ যেমন সমাধান না, তেমনি নৈতিক শিক্ষাও একমাত্র সমাধান না। শুধু নৈতিকতার কারণে মানুষ ভালো থাকতে পারলে পৃথিবীতে আইন-আদালত বলতে কিছু থাকতো না, আবার শুধু ধার্মিক হয়ে মানুষ ভালো থাকতে পারলে আর মানুষকে পরকালের শাস্তির ভয় দেখানো হত না।
পুরোপুরি সহমত।
*রাখা
সরকারকে বুঝান 🙁
সত্যি কথাগুলো লেখার জন্য ধন্যবাদ। আমার একটা ঘটনা শেয়ার করি। আমরা কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে ক্লাস ব্রেকে ক্লাসের বাইরে দাড়িয়েছিলাম। আমাদেরই সামনে আমাদের এক ক্লাসমেট (ছেলে) আজেবাজে কিছু কথা বলে চলে গেল। প্রত্যুত্তরে কি বলব বুঝছিলাম না। এত বাজে কথার উত্তর কি হবে বুঝে উঠতে পারছিলাম না কেউই। এরকম ছেলেদের সাথেও প্রতিদিন ক্লাস করতে হয়! এত পড়ালেখা করেও এত ভালো ইন্সটিটিউট-এ পড়েও যদি এসব কমেন্ট সহ্য করতে হয় তাহলে আর রাস্তাঘাটের মানুষকে দোষ দিয়ে লাভ কি? আর বেশি কিছু উত্তর দিতে গেলেও ভয় লাগে। পেপার আর টিভি নিউজে যা দেখি তাতে কিছুদিন পর হয়তো ছেলেদের সাথে কথাও বলতে পারব না
🙁কাঁটা ধায়ে আরেকটু নুন ঢেলে দেই। জেনে রাখুন আপু, সে যেটা বলেছে, অন্তত ৫০ ভাগ ছেলে মনে মনে এটা আপনাদের নিয়ে ভাবছে। আর সে যেটা চিন্তা করছে, সেটা আপনারা চিন্তাও করতে অক্ষম…
আমি নিজেকে একটা মেয়ের জায়গায় কল্পনা করতে পারি না, মরে যাই… 🙁
আরেকটা জিনিস হচ্ছে আপু, শুধু আপনারাই না, যেসব ছেলে এখন এগুলা থেকে নিজেদের গা বাঁচিয়ে চলতে চাচ্ছে, তাদেরও অনেক বেশি বাজে কথা আর টিটকারী শুনতে হচ্ছে… প্যাথেটিক।
অবস্থার ভয়াবহতা বুঝতে একজনের স্ট্যাটাস তুলে দিচ্ছি-
“ভাই, আপনার কাছে একটা হেল্প চাই। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে আমার এক বোন (কাজিন) আজ প্রথম ক্লাস করতে গেছে,
আইটি ডিপার্টমেন্টে, ফার্স্ট ইয়ার।
ভাই! বোনটা আমার সারাদিন কাঁদল, কাঁদল
আমার খালা…
কিছুই করতে পারলাম না ভাই!
ও জাহানারা হলে থাকে। ওর ডিপার্টমেন্টের বড় আপুরা ওকে ডেকে শারিরীক এবং মানসিকভাবে লাঞ্চিত করে আধমরা করে দিয়েছে।
ওর বড় আপুরা ওকে বলেছে ক্লাসের বড় ভাইদের কাছে গিয়ে তোমার ব্রেস্টের মাপ দিয়ে আসো…ভাই! সব বলতে পারছিনা।
কাল ঐ বড় আপুরা সবাইকেই হলে থাকতে বলেছে, হল ছাড়া যাবেনা। আজ নাকি ওরা কেবল মাংস “ধুইছে”, কাল “কশাবে”!
ভাই, আমাদের প্রভাবশালী কোনো মামা/খালু
নেই। আপনি তো ব্লগে লিখেন, এত বড় একটা গ্রুপ
চালান- আপনি চাইলে হয়ত কিছু করতেও পারেন।
আপনার ও বোন আছে, দয়া করে একজন ভাই হিসাবে একটু হেল্প করেন ভাই…”
https://www.facebook.com/e.n.bd.1971/posts/562383647106314
:'(
আমি স্তম্ভিত, বাকরুদ্ধ, বিরক্ত। এগুলো কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখে না কেন?
পুরো লেখা পড়ে কোথাও খুঁজে পেলাম না, ছেলেদের সম্বন্ধে যেকথাগুলো লিখলেন, আপনিও কি কখনো ভেবেছেন ……… :thinking: :thinking:
জানালে খুশি হব।
ভেবেছি। আশাকরি খুশি হয়েছেন।
আপনি যেমন ছেলে আমিও তেমন ছেলে। বোধকরি যে উত্তরটা আপনি জানেন সেটা আপনাকে জানানো আমার উদ্দেশ্য নয়। ছেলেদের বিষয়গুলো যারা জানে না তাদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে এ লেখা…
ঘটনার সত্যতা জানি না। শুনেছি প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সম্পর্কে কেউ আর কোনো কথা বলছে না কিংবা সবাই অস্বীকার করছে ব্যাপারটি। আসলেই কিছু না হলেই ভালো। এখনতো মানুষ খারাপ থেকে শিক্ষা নিয়ে সেই খারাপটাই পুনরাবৃত্তি করছে। তবে এখনকার পরিস্থিতিতে এমন কিছু হওয়াটা চরম অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। আর এমনটি যদি আসলেই হয়, আমি খুব ভয়াবহ ভবিষ্যত-এর আশঙ্কা করছি।
যতদূর সম্ভব প্রতিবাদ করা এবং এ বিষয়টিতে সবাইকে সচেতন করা কর্তব্য। ভাঙ্গন ধরা সমাজটাকে বদলাতে হবে। নয়তো এ দুর্ভোগ আমাদের উপরই বর্তাবে…
“Pornography is the instruction. Rape is the practice, battered women are the practice, and battered children are the practice.” by Gloria Steinem
There was always an effort to rationalize porn, by misinterpreting “physical demand”. But the true customer of porn are men.
Very True! Very True! Very True!
পর্ণ আজকাল সবাই দেখে, অন্তত বয়ঃসন্ধির পর তো দেখেই। আপনিও যে দেখেন নাই তা বলতে পারবেন না। কিন্তু সবাই কি রেপ করে? সবাই কি ইভটিজিং করে? উত্তর টা হল না। যার ফ্যামিলি থেকে সে যে শিক্ষা পায়, সেটাই তার কার্যকলাপ নির্ধারণ করে। যেমন ম্যাক্সিমাম রেপ কেস হয়ে থাকে নিম্নশ্রেণীর মানুষগুলো দ্বারা, যাদের পরিবারে ছোট থেকেই দেখে আসছে মা কে প্রহার, যোওতুক এর জন্য বারি থেকে বের করে দেয়া, ইভেন মেরে ফেলা। তারা কিভাবে মেয়েদের মর্যাদা বুঝবে? কিভাবে সম্মান করা শিখবে? আর যারা ইভটিজার তাদেরও পরিবারে শিখানো হয় নাই মেয়েদের সম্মান করা। কারন আমি আমার ২৩ বছরের এক্সপেরিএন্সে এতটুকু বুঝতে পারসি যে কোন ভদ্র ঘরের ছেলে রেপ তো দূরে থাক ইভটিজিং এরও সাহস পায় না। সাহস পায় না বললাম কারন লেখকের লিখাটা আমি জানি, ছেলেদের মনে সবসময়ই খারাপ চিন্তা থাকবেই, কিন্তু কে কতটা নিয়ন্ত্রন করতে পারে সেটাই তার আচরন।
আসলে আমার কাছে মনে হয় এ ব্যাপারে মেয়েরা স্বভাবগত ভাবেই যতটা ইনোসেন্ট ছেলেরা ততটা না, বরং কখনো ভয়ঙ্কর। “লেখকের লিখাটা আমি জানি”- আপনি হয়তো এ বিষয়টা জানেন কিন্ত আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে এটা অনেক মেয়েই জানে না- যদিও বর্তমান অনেকটাই নৈতিকতা বিবর্জিত সমাজে এটা তাদের জানা থাকা উচিত তাদের নিরাপত্তার জন্যই। সেজন্যই এ লেখা।
আপনার কথার সাথে সহমত।
তাব্লীগের ব্যাকডেটেড হুজুররা ছাড়া অন্যকেউ হিজাবীদের বিয়ে করতে চায় না,কথাটার সাথে একমত হলাম না।আজকাল অনেক ধার্মিক ছেলেই হিজাবী,নেকাবিদের প্রেফার করে।এমনকি কেউ কেউ নিজেরা স্কিন টাইট জিন্স পরে ঘুরলেও ।ইন ফ্যাক্ট অনেকে একটা উইন্ডোতে চটি পেজ খুলে রাখে আরেকটাতে ইসলামি পেজে গিয়ে হিজাব নিয়ে লেকচার দেয় যা হিপোক্রেসি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এইদেশের ৯০ ভাগ মেয়ে ভদ্রভাবেই চলে।তারপরেও এসব অপরাধ বাড়ার প্রধান কারন হল অপরাধীদের বিচার না হওয়া।জাস্ট একটা পলিটিক্যাল দলের সিল গায়ে থাকলেই এখন রেপ করার লাইসেন্স পাওয়া যায়।
চিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ। অনেকটা একমত। কেউ কেউ হয়তো সত্যি আপনি যেমন বলেছেন তেমন। দোয়া করি সেটাই হোক এবং সে মানুষগুলোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাক।
ইউরোপ, আমেরিকা তে ছেলে মেয়েরা টিন এজে ই শারিরিক সম্পর্কের অভিজ্ঞতা লাভ করে। আমাদের মুসলমানদের পক্ষে সেটা সম্ভব না। অথচ ওরাও মানুষ আর আমরাও। লেখাপড়া আর প্রতিষ্ঠা লাভের দৌড়ে শরীর আর মনের প্রয়োজন গুলো খুব ই কষ্টদায়ক হয়ে যায়। একটা সৎ ছেলের জীবন যুদ্ধের কঠিন দিন গুলোতে একটি মেয়ের ভালবাসার যতই দরকার হোক না কেন সমাজ তা হতে দেবেনা। এক ই ভাবে উল্টোটাও। অথচ ইসলামে খুব ভাল সমাধান রয়েছে। সেখানে বিয়ের ক্ষেত্রে ভালমন্দের বিচার করতে বলা হয়েছে ছেলে বা মেয়ের আখলাক অনুযায়ী, অর্থবিত্ত বা তথাকথিত প্রতিষ্ঠালাভ দিয়ে নয়। আর দেশে বিয়ের বয়স বাড়ানো হচ্ছে জনসংখ্যাবৃদ্ধি আর মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর জন্য। মেডিকেল সায়েন্স অনুযায়ী ১৮ বছরের আগে মেয়েদের জন্য মা হওয়া বিপদজনক, কিন্তু সে ১৪ বছরের পর থেকেই শারিরিক সম্পর্কের জন্য পুরপুরি প্রস্তুত। ছেলেদের তো এই ধরনের কোন প্রতিবন্ধকতাও নেই। জন্মমিয়ন্ত্রন পদ্ধতির সাথে এখন সবাই পরিচিত, চিকিৎসা ব্যাবস্থাও এখন অনেক উন্নত। তাই জনসংখ্যাবৃদ্ধি আর মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর জন্য বিয়ের বয়স নিয়ন্ত্রন না করে আইন করে গর্ভধারণের বয়স নিয়ন্ত্রন এবং সময়োপযোগী স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রদান করা হবে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। ছেলে বা মেয়ের বাবারা তাদের সন্তানদের খরচ দিয়ে যাচ্ছেন কমপক্ষে ২৫ বছর পর্যন্ত। অথচ বিয়ে দেয়ার পর কোন বাবা রাজি না তার মেয়ের খরচ দেয়ার জন্য। অথচ বর্তমান শিক্ষাব্যাবস্থায় একটা ছেলের প্রতিষ্ঠিত হতে কমপক্ষে ২৮ – ৩০ বছর লাগে। সেই ১২ বছরে শুরু হওয়া অবদমিত কামনা আরও ১ বা দেড় যুগ চেপে রাখতে যেয়েই যত সব pervertion কে অবলম্বন করে বেচে থাকা। আবার মেয়েরা ও চায় তরুন বর। ছেলে বা মেয়ে প্রেম করলে অভিভাবক রা তা জেনেও না জানার ভান করেন, বিয়ের কথা উঠলে কেবল তাদের স্ট্যাটাস আর আসন্ন দারিদ্রতা থেকে সন্তান কে রক্ষার প্রয়াস, ছেলে বা মেয়ের মানসিক ও শারিরিক চাহিদার কথা তারা ঘুনাক্ষরেও চিন্তা করতে রাজি নন। প্রতিষ্ঠিত ছেলের সাতখুন মাফ, চারিত্রিক দুর্বলতার ইতিহাস থাকলেও তা নিয়ে ঘাটাতে সবাই অনিচ্ছুক, সর্বোপরি সে টাকাওয়ালা ভাল পাত্র। যতই অবাস্তব মনে হউক না কেন Early marriage with health education and Pregnancy in appropriate time এটাই হতে পারে একমাত্র সমাধান।
হয়তো ঠিক বলেছেন। কিন্ত সেজন্য গোটা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আবশ্যক।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
jst khati kotha.
একমাত্র মেঘা ব্যতীত, অন্যান্য মন্তব্যকারীদের মন্তব্য পড়ে আমি মোটামুটি স্তম্ভিত। ধর্ষন আর ইভটিজমকে পুরুষের জৈবিক প্রবৃত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য লেখা এই নিম্নমানের লেখায় এতগুলো মানুষ কিভাবে সমর্থন জানিয়ে গেল বুঝতে পারলাম না। লেখক সাহেব, মানুষ আর পশুর পার্থক্য বোঝেন তো। নিজের জৈবিক তাড়নাকে নিয়ন্ত্রন করার সক্ষমতাই একজন মানুষকে ‘মানুষ’ পরিচয় দেয়। একজন মানুষ যতই ক্ষুধার্ত হোক না কেন, অন্য আরেকজনের মুখের খাবার কেড়ে নিয়ে নিজের ক্ষুধা নিবৃত্ত করবে না। পর্ন দেখা, স্বল্পবসনা মেয়েদের দেখে উত্তেজিত হওয়া আর ইভটিজম/রেপ করা এক জিনিস না। একটা মেয়ের সম্পূর্ন অধিকার আছে তার ইচ্ছে মাফিক যে কোন পোষাক পরার সেটা যতই আঁটোসাঁটো বা খোলামেলা হোক না কেন। ইভটিজম/রেপ কে জাস্টিফাই করার জন্য মেয়েদের পোষাককে দোষারোপ করা দীর্ঘদিন থেকেই বিকারগ্রস্ত পুরুষদের একটা মোক্ষম অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। মেয়েদেরকে নিরাপত্তা দিতে না পারাটা রাষ্ট্রের অক্ষমতা, আমার-আপনার এই অন্যায়কে প্রতিরোধ করতে না পারার ব্যর্থতা। মেয়েদের স্বল্প পোষাকের দোষ না। যতদিন পর্যন্ত আপনার মতন কূপমুন্ডক মানুষজন এইসব বিকারগ্রস্ত লেখা নির্দিধায় প্রকাশ করতে থাকবে, আর আত্বমর্যাদাহীন নারীরা এগুলোকে সমর্থন করতে থাকবে, আমি দেশের বেশিরভাগ ছেলেদের মানসিকতা পরিবর্তনের কোন আশাই দেখি না।
পুনশ্চঃ মন্তব্য পড়ে আবার মনে করবেন না যে আমি পর্ন মুভি দেখাকে সমর্থন করছি। তবে মুভি আর বাস্তবতা এক জিনিস না। আমি হরর মুভি ‘Saw’ পছন্দ করি মানেই না যে, আমি নির্যাতনের মাধ্যমে আরেকজন মানুষকে হত্যা করব। এইটুকু বোঝার মতন বুদ্ধি যার হয়নি, তার মানসিক চিকিৎসা নেয়া উচিত।
দুঃখিত ভাই! আমি কোথাও মেয়েদের পোষাককে ধর্ষনের জন্য দায়ী করি নাই। পুরুষদের সহজাত প্রবৃত্তি আর মনের কামনার কথা তাদের বলেছি মাত্র। এবং সে জন্য মুখোশের আড়ালে থেকে অনেকেই নারীদের খোলামেলাভাবে দেখতে পছন্দ করে এটার ইঙ্গিত দিয়েছি। আমি আরো বলেছি এটা নিয়ন্ত্রণে রাখাই মানুষের পরিচয় যেটা আপনিও বলেছেন। এতটুকুই। আপনি একজন পুরুষ হলে মিথ্যা কিছুই বলি নাই বোধকরি এটা আপনিও জানেন। অন্তত আপনার আশেপাশের পশুগুলোকে দেখে বোঝেন। আমার লেখা অনেক নিম্নমানের হতে পারে কিন্ত এতে এত উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই।
দেখুন, আপনি বলেছেন- আপনি SAW মুভিটা দেখতে পছন্দ করেন কিন্ত এর মানে এই নয় যে আপনি নির্যাতনের মাধ্যমে আরেকজনকে হত্যা করবেন। আমি বলবো একজন সুস্থ মানষিকতার মানুষের পক্ষে SAW দেখা সম্ভব নয়। এরপর অনুরূপ আপনি হয়তো এটাও বলতে পারেন হার্ডকোর পর্ণ দেখে অবলা মেয়েটার আর্তচিৎকার শুনে আপনি আপনার বীর্যস্থলন ঘটাতে পছন্দ করেন কিন্ত এর মানে এই নয় যে আপনি ধর্ষন করবেন। কিন্ত আমি মনে করি মানষিকভাবে সুস্থ মানুষের পক্ষে কখনোই এটা সম্ভব নয়।
মতের অমিল থাকতেই পারে। আপনার মতামত দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পর্ণ নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম।লেখার সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট না হলেও প্রাসঙ্গিক পর্ণ দানবকে কেন রুখে দিতে হবে?
আগের লিঙ্কটা এড্রেস ভুলের কারণে কাজ করবে না পর্ণ দানবকে কেন রুখে দিতে হবে?
চরম সত্য।।