আজ দুপুর বেলা বাড়িটা ভরাট মানুষে-আসবাবে। গানের সুর আর দুই একটা শব্দ বাতাসে সাঁতার দিতে দিতে পৌঁছে যায় আমার কাছে। আমি শুনি হাসি, ছিটেফোঁটা কথা, শুনি এ ঘর সে ঘর পায়চারী, কারো বাড়িতে কুকুর ডাকছে আর কোথায় যেন শালিক পাখিদের ঝগড়া…আমি শুনি
যারে চাই সে নাই
আমারো মনের আজ কোন খোঁজ নাই…
রান্না হচ্ছে আর সুগন্ধী ধোঁয়া উঠে ছড়িয়ে যাচ্ছে সেইসাথে চায়ের কেতলীর হুইসেল। সিনেমায় সৌমিত্রের ট্রেন পার হয়ে যায় স্টেশনের পর স্টেশন, এক শহর ছেড়ে অন্য শহরে…
ফিরবেনা কোনদিন ডেকো না ডেকো না
নতুন আকাশ পেয়ে আজ বুঝি ভুলেছে আমায়…
অন্য ঘর থেকে পিয়ানোর টুং টাং আর এই ফেব্রুয়ারীর দুপুরে ‘সাইলেন্ট নাইট, হোলি নাইট…’। আর সব শব্দ ছাপিয়ে পিয়ানোতে দুপুর বেলার নিরব রাত্রি বেশি সত্যি মনে হয়। ডুবে যাচ্ছি আর আমার ডুবে যাওয়া ধোঁয়ার মতো, গাছের মতন…শিকড় ছড়াচ্ছে কোথায় যে আর মিশে যাচ্ছে বাতাসে। মনে পড়ে সেই সমস্ত দিনের শেষে নেমে আসা সন্ধ্যার কথা। সে কি রকম? একটু আদ্র, কান্না মেশানো আর ঠিক বৃষ্টির আগে আগে ধুলার গন্ধের মতন।
ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল…
জীবন বাবুর চিলেরা কেমন দুঃখী হয়। তারা কিছু পায় না কোনদিন। তারা ঠোঁট দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে ফেলে রোদের ঝাঁঝ আর অন্ধকারে হারিয়ে যায়…
হায় চিল, সোনালি ডানার চিল…
‘হায় চিল’ কেন? কারণ সোনালি ডানা তো ভ্রম মাত্র, রোদের গন্ধের সাথে মুছে যায়… স্মৃতি থাকে না।
তুমি বলতে ‘আমার কিছু মনে থাকে না…আমি স—ব ভুলে যাই’… আমরা হাসতাম।
এখনো বাজছে সুরটা, শিশিরের শব্দের মত।
এই জাতীয় লেখাগুলো আমার দারুণ লাগে। কেমন জানি টুংটাং করে বাজে…!
টুংটাং শব্দটাই খুব সুন্দর… কেমন টুংটাং…:) অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য
যারে চাই সে নাই
আমারো মনের আজ কোন খোঁজ নাই :love:
পড়তে গিয়ে এত ভালো লাগলো যে দুই বার করে পড়লাম 😀
খুশির চোটে এই মন্তব্যটা কয়েকবার পড়লাম! 🙂 অনেক ধন্যবাদ এই হাবিজাবি লেখাও দুইবার পড়ার জন্য 🙂
এত সুন্দর লেখাগুলির নিচে লেখার মত সুন্দর কোন কথা খুঁজে পাই না!
পুরাই শরমিন্দা হয়ে গেলাম। আমার তো হাবিজাবি যা মনে আসে তাই লিখি 🙂
কবিতাটা আমার অনেক প্রিয়…হায় আপু…সুন্দর লেখার আপু 😛