একটা গল্প বলি, ছোট্ট একটা গল্প।
গল্পটা গ্রিসের। বিখ্যাত মনীষী সক্রেটিসকে নিয়ে। অনেকেই হয়ত গল্পটা জানেন। তবু বলি।
প্রাচীন গ্রিসের সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যাক্তি বলে ধরে নেয়া হয় সক্রেটিসকে। শুধু তাই নয়, আজতক সক্রেটিসের মত জ্ঞানী ব্যক্তি পৃথিবীর মাটিতে খুব কমই পদার্পন করেছেন। যদি ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী ব্যাক্তিদের একটা তালিকা তৈরি করতে বলা হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যায় তাঁর নাম প্রথম কাতারেই থাকবে।
একদিন তাঁর কাছে একজন লোক এসে বললো, “মহাশয়, আপনার বন্ধু সম্পর্কে কিছু কথা শুনলাম। আপনাকে সেগুলো জানাতে চাই।”
সক্রেটিস বললেন, “ঠিক আছে। কিন্তু বলার আগে ৩টা প্রশ্নের উত্তর দিন কষ্ট করে। এরপর আপনার যা বলবার তা বলবেন না হয়।”
লোকটি কিছুটা ভড়কে গেল। আসলে তখন সক্রেটিসের যেকোন প্রশ্নকেই সবাই খুব সমীহ করতে। আমতা আমতা করে সে বলল, “ঠিক আছে। বলুন, আপনি কি জানতে চান।”
সক্রেটিস জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কি নিশ্চিত যা শুনেছেন তা সত্যি?”
লোকটি কিছুক্ষণ চুপ থেকে জবাব দিল, “না, মানে… আমি ঠিক নিশ্চিত না। শুনলাম শুধু।”
সক্রেটিস আবার জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কি আমার বন্ধুকে নিয়ে ভালো কিছু বলবেন?”
লোকটি এবারো চুপ। উত্তর দিতে দেরী দেখে সক্রেটিস আবারো জিজ্ঞেস করলেন।
লোকটি মুখ কালো করে জবাব দিল, “না, মানে…”
লোকটা কথা শেষ করবার আগেই সক্রেটিস আবার প্রশ্ন করলেন, “আপনি যা বলবেন তা কি আমার কোন কাজে আসবে? উপকারে লাগবে?”
লোকটি ইতস্তত করে বললেন, “না বোধহয়।”
এবার সক্রেটিস বললেন, “এমন কথা কেন বলতে চান যা সত্যি কিনা আপনি জানেন না তাও আবার কোন কাজেরও নয়! কি অদ্ভুদ আপনারা!! অদ্ভুদ আপনাদের কাজকর্ম!!”
লোকটি আর কোন কথা না বলে মাথা নিচু করে চুপচাপ চলে গেল।
আশা করি সবারই বোধগম্য হয়েছে, এই গল্পটার কি উদ্দেশ্য।
কারো কথায় কান দেয়ার আগে যাচাই করে নিন। মনে রাখবেন, আপনার চোঁখ দু’টো নিজেকে বিশ্বাস করে, কিন্তু কান দু’টো বিশ্বাস করে অন্যকে।
ভালো লাগলো !
বর্তমান ফেইসবুকিয়ান প্রজন্মের জন্য খুব দরকার মনে হয়, কথাগুলো নিয়ে চিন্তা করা ।
ধন্যবাদ, আপু। 🙂
কথাটা ঠিক। কে যে কখন কোথায় কি শুনে কি মন্তব্য করছে, কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। কে জানে, হয়ত এখনই আমার বা আপনার নামে কে কি বলছে!! 🙁
হুম… ভাল লেগেছে। :clappinghands:
সুন্দর রিমাইন্ডার। :happy:
থ্যাঙ্ক ইউ, ভাইয়া!! 🙂
ঠিক মতো না জেনে হাবিজাবি স্ট্যাটাস দেয়া পুলাপানগুলারে এই লিঙ্ক ধরায়া দিব ভাবতেছি 😛
এহহে… তাইলে তো আমারেও এই লিঙ্ক দিবেন মনে হইতেছে!!
:/
:thinking:
ভালো লেগেছে
😀 😀
ধন্যবাদ, আপু 🙂
দারুণ দারুণ। খুবই সত্যি কথা, কবে যে এত পরিমিতভাবে কথা বলতে শিখবো!
কিন্তু এটা আসলেই সক্রেটিসের ঘটনা? আমি মনে হয় আগে অন্য কারও নামে শুনেছিলাম। অনেক বিখ্যাত কাহিনীই এরকম একাধিক ব্যক্তির নামে শুনেছি, আসলে ঘটনা যে কার কে জানে!
ধন্যবাদ, আপু! 🙂
এমন পরিমিত কথা বলতে পারলে আসলেই খুব ভাল হত!! নিজের আর দশের, সবারই মঙ্গল হতো।
অন্য কারো নামে?
কি জানি! আমি যদ্দুর জানি এইটা একটা আরবান লিজেন্ড
জিনিসটা ভাল, তাই শেয়ার করলাম।
তবে আমার মনে হয়, এই গল্পের নায়ক কে তার চেয়ে এর মূল বক্তব্যটা অনেক বেশি জরুরী।
এই রকম হয়ে গেল কেন লিঙ্কটা??
বুঝলাম না।
আমিও একমত, যে-ই বলে থাকুক, কথাগুলিই মুখ্য! জাস্ট শেয়ার করলাম একটা অবজার্ভেশন, আর কিছু না। 😀 আর কথাগুলি বেশি ভালো বলেই হয়তো অনেক বেশি ছড়িয়ে গেছে।
হুম, কথাগুলোই মুখ্য!!
হয়ত।
আবারো ধন্যবাদ আপু 🙂
(Y)
🙂
সুন্দর লেখা ভাইয়া, এরকম লেখা আরো চাই।
ধন্যবাদ, ভাইয়া। 🙂
সাথে থাকুন। 🙂
ধন্যবাদ।
আপ্নাকেও ধন্যবাদ, ভাইয়া। 🙂
এতোটা পজিটিভলি কীভাবে চিন্তা করতেন! :huzur:
দারুণ লাগলো :beshikhushi:
সত্যি! এর সিকি ভাগও যদি আমরা হতে পারতাম… 🙁
ধন্যবাদ 😀