::: ১ :::
প্রচণ্ড বৃষ্টির মাঝে নিজের সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে উর্দ্ধশ্বাসে ছুটছে এক মা। তার গতি ধীরে ধীরে কমে আসছে। তবু সে তার প্রাণপ্রিয় সন্তানটিকে কাছ ছাড়া করতে চায় না। ৭ বছরের সন্তানটিও কী এক অজানা ভয়ে অসম্ভব জোরে তার মায়ের গলাটি জড়িয়ে ধরে রেখেছে। বাবার স্মৃতি তার মনে নেই, মা-ই পৃথিবীতে তার বেঁচে থাকার একমাত্র শক্তি। মায়ের গলা জড়িয়ে রেখে চোখ বন্ধ করে সে শেষবারের মত তার মায়ের শরীরের ঘ্রাণ নিতে নিতে পুরনো কথা মনে করতে থাকে। খুব বেশিক্ষণ সে সেই সুযোগ পেল না। লোকগুলো দ্রুতই তার মাকে ধরে ফেলল। তারপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই জোর করে তাকে তার মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে একটা গাড়িতে করে চলে গেল সাদা রঙের বিশাল এক ভবনের অদ্ভুত সব যন্ত্রপাতি দিয়ে ভর্তি এক কক্ষে। মুহূর্তেই আপাদমস্তক সাদা পোশাকে ঢাকা কিছু মানুষ তাকে চাকাওয়ালা বিছানায় বেঁধে ফেলে হাতে সুঁই ফুটিয়ে দিল। প্রায় সাথে সাথেই তার দুচোখে আঁধার নেমে আসে। আর সেই আঁধারের মাঝেও অনেকক্ষণ পরে তার মায়ের হাসিমাখা কোমল মুখটা সে ভেসে উঠতে দেখতে পায়।
::: ২ :::
চোখ মেলে তাকিয়ে বেশ অনেকক্ষণ পরেও য়্যুশ বুঝতে পারল না, এখন দিন কী রাত। জানালায় ভারি পর্দা টানা, গুমোট ঘর। তাতে ঘড়ির কোন অস্তিত্ব নেই। কম পাওয়ারের একটা হিলিনিয়ামের বাতি জ্বলছে ঘরে। এতেই পুরোটা জুড়ে উষ্ণ উজ্জ্বল দিনের প্রতিভাব। য়্যুশ তার দীর্ঘ কালচে বাদামী চুলের ভেতর থেকে বাম হাতটা টেনে বের করে চোখের সামনে আঙুলগুলো মেলে ধরে। কিন্তু আংটির সমান ছোট প্রোডিক্স কোম্পানির দামি সময়জ্ঞাপকটি অনামিকা থেকে কেউ আগেই খুলে নিয়ে গেছে। য়্যুশ কষ্টের একটা দীর্ঘশ্বাস লুকালো। আঙুলগুলো চোখের সমকক্ষে এনে ঠিক ১৩.৫” ঘোরালেই কেবলমাত্র একটা থ্রি ডি স্ক্রিন চালু হয়ে ওটা সময় জানান দিত।
সময়জ্ঞাপকের জন্য আর চিন্তা না করে য়্যুশ বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় এবং অনুভব করে যে সে অনাবৃত। সব ঘটনা বুঝে উঠতে তার বেশি সময় নষ্ট হয় না। ভিয়ান ও তার বন্ধু তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ধর্ষন করে পালিয়েছে!
::: ৩ :::
আজকাল কৃষাণ ক্লাসে আসামাত্র সবাই ঘুরে অন্তত একবার হলেও তার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হেসে নেয়। তারপর নিজেদের ভেতরে সেরে ফেলে চোখে চোখে বোঝাপড়া। তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু, কৃষাণের নিওনাইনের তৈরি পোশাক, যা এর মধ্যেই ওল্ড ফ্যাশনড বিবেচিত হয়ে মার্কেট থেকে আউট হয়ে গেছে। কৃষাণ অবশ্য এসবের কিছুই খেয়াল করে না। সে সবসময়েই ক্লাসের শেষ বেঞ্চিটায় একা আড়ষ্ঠ হয়ে বসে থাকে আর ছুটির সাথে সাথে সবার আগে ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে যায়।
আজও কৃষাণ একা একা বসে তার অতীতের কথা ভাবতে ভাবতে ক্লাস শেষ হবার প্রতীক্ষা করতে থাকে। এমন সময় হলোগ্রাফিক মডিউল থেকে চোখ ঘুরিয়ে মি. ডু তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “কৃষাণ বল তো, মেন্ডেলিজমের সপ্তম অনুসিদ্ধান্তের চারের ক তত্ত্বে আসলে কী বলা হয়েছে? তুমি কি একটু বুঝিয়ে দেবে আমাদের সবাইকে?”
কৃষাণ একটু ইতস্তত করে অবশেষে বলতে শুরু করে, “ওজন স্তর পুরোপুরি ভেঙে যাবার পর দেখা গেছে, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে ত্বক কিছুক্ষণ মুক্ত থাকলেই সেখানে অসম্ভব দ্রুততায় মিউটেশন হয়। যার কারণে সেটা ক্যন্সারে রূপ নিতে একেবারেই সময় নেয় না। কিন্তু চারের ক-তে কিছু মানুষের জন্য একটি ব্যতিক্রমী ঘটনার কথা বলা হয়েছে। যাদের POMC ফ্যমিলিতে প্রায় ৫০-৭৫% মিউটেশন হলেও প্রোটিনের ফাংশন অপরিবর্তিত থাকে। অর্থাৎ প্রতিটা প্রোটিন ফ্যামিলিতে অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলোর পজিটিভ আইডেনটিটি দেখা যায়। যার কারণে শরীরের এপিডার্মাল লেয়ারটা অতিবেগুলি রশ্মি শোষণের কাজ করতে পারে।”
ক্লাসশুদ্ধ সবাই কৃষাণের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে রইল। এরকম ঘটনা তারা কখনো দেখে নি।
মি. ডু আবার প্রশ্ন করলেন, “তোমার কী মনে হয়, সেই রশ্মি শোষণ করে তারা কি সেগুলো সংরক্ষণ করে না সেটা পরে প্রতিফলিত হয়ে বেরিয়ে যায়?”
ক্লাসের সবাই আতংকে চাপা গুঞ্জন করে ওঠে।
কৃষাণ কিছু বলার আগেই হলোগ্রাফিক মডিউলটা অদৃশ্য হয়ে যায়; ক্লাস আজকের মত শেষ। কৃষাণ এক মুহূর্ত দেরী করে না। ছুটে ক্লাস থেকে বের হয়ে প্লাটফর্ম দিতে দ্রুত নামতে গিয়ে টের পায় তার পিছন পিছন কেউ একজন আসছে। ঘুরে তাকিয়ে সে আবিষ্কার করে দীর্ঘ চুলের অসম্ভব সুন্দর একটি মেয়ে তাকে হাতের ইশারায় থামতে বলছে।
::: ৪ :::
য্যুশ হঠাৎ করেই বুঝতে পারে তার আর কিছুই করার নেই। ভিয়ানের বিরুদ্ধে রবো ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করেও কোন লাভ হবে না। কেন্দ্রীয় শহরে জনসংখ্যা এতো বেশি বেড়ে গেছে যে প্রশাসন ব্যবস্থায় বলা হয়েছে, কোন নারী সন্তান ধারণ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে, পাশাপাশি সেই সন্তানটিও তাকে ফিটাস ব্যাংকের ভ্রূণ বিভাগে জমা দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু এই দুর্ঘটনা যাতে কোনদিনই ঘটার সম্ভাবনা না থাকে সে কারণে প্রতি বছর শহরের প্রতিটি নারীকে রবো ডিপার্টমেন্ট থেকে এসে একটি করে ইনজেকশন দিয়ে যায়। এতে কোন শুক্রাণু ডিম্বাণুর কাছাকাছি আসলেও তাকে নিষিক্ত করতে পারে না। কোন কারণে সেটা করে ফেললেও অক্ষ তৈরি করতে না পারায় তা সাথে সাথে ভেঙে যায়। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পর থেকে শহরে ধর্ষণের হার অনেক বেড়ে গেছে, আর তা করছে প্রশাসনের সাথে জড়িত লোকজনেরাই। আর প্রশাসনও এই ব্যাপারে মোটামুটি বৈধতা দিয়েই রেখেছে। তারা সন্তান ধারণের পথ বন্ধ করলেও যেহেতু জৈবিক চাহিদাটি বন্ধ করে নি, তাই এই ধর্ষনকে তারা অনেকটা অধিকার হিসেবেই বিবেচনা করে।
য়্যুশ তার বোকামি বুঝতে পেরে ভেতরে ভেতরে তীব্র কষ্ট পেতে থাকে। তার বিশ্বাস ছিল, সব মানুষ একরকম নয়। শহরে এখনো এমন কিছু মানুষ আছে যারা চাহিদা মেটাতে নয়, ভালবাসার তাগিদেই ভালবাসতে জানে, আগের পৃথিবীর মানুষের মত।
শহরের শেষ প্রান্তের এই বিল্ডিংয়ের ১০৭ তলার জানালা থেকে এই বিষণ্ণ মেয়েটি কিছুক্ষণ পরেই একটি মানুষের অবয়বকে সীমানা অতিক্রম করতে দেখে। মানুষটির নিওনাইনের পোশাক বাতাসে ঝিকমিক করে উড়ছিল!
::: ৫ :::
সিম্ফোথিয়েটারের ছাদের উপর ঝুলন্ত শুভ্র মেঘমালার নিচে বসে কৃষাণ ওর জীবনের কাহিনী বলতে থাকে। শহরের বাইরে মায়ের কাছে তার বেড়ে ওঠা, তার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া, আর তারপর এই শহরে একলা জীবন পার করার গল্প বলতে বলতে কৃষাণের চোখ ভিজে ওঠে। পাশে বসে থাকা দীর্ঘ কালচে বাদামী চুলের য়্যুশ অবাক হয়ে লক্ষ্য করে কৃষাণের অশ্রুজল থেকে বৃষ্টির ঘ্রাণ আসছে। সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে সে একবার উপরের মেঘের দিকে তাকায়। ওজন স্তর নষ্ট হয়ে যাবার পর শুধু এই কেন্দ্রীয় শহর মানুষের বাসযোগ্য করে তোলার জন্যই কৃত্রিম মেঘের সৃষ্টি করা হয়েছিল। ঐ মেঘগুলো শুধুই অতিবেগুনি রশ্মিকে আটকে রাখবার জন্য, বৃষ্টি ঝরাবার জন্যে নয়।
য়্যুশ ভেতরে ভেতরে দারুণ রোমাঞ্চ অনুভব করে। কেন্দ্রীয় শহরের বাইরের পৃথিবী, সেখানে মানুষের বাস, কৃষাণের চোখে বৃষ্টির ঘ্রাণ- কোনটা রেখে সে কোনটা ভাববে বুঝতেই পারছে না।
য়্যুশ কৃষাণের সাথে পরিচয়ের প্রথম দিনটার কথা মনে করলো। প্লাটফর্ম দিয়ে খুব দ্রুত নেমে যাচ্ছিল কৃষাণ। য়্যুশ তাকে থামতে ইশারা করে প্রশ্ন করেছিল, “আচ্ছা, শোন, তুমি সবসময় নিওনাইনের পোশাক পর কেন বল তো? মানে নির্দিষ্ট কোন কারণ আছে কি?”
সেদিন কোন কথা না বলে কৃষাণ মুখ ঘুরিয়ে চলে গিয়েছিল। তাই পরের দিন সে ক্লাসে আসতেই য়্যুশ সোজা তার সামনে গিয়ে বলেছিল, “গতকাল কিছু না বলেই চলে গেলে যে?”
কিন্তু সেদিনও মিস সুৎসি ক্লাসে এসে কৃষাণকে তার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন।
একলা কৃষাণের সাথে বন্ধুত্ব করতে য়্যুশকে অবশ্য পরেও অনেক বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু তবু সে হাল ছাড়ে নি। আর আজ তার সব প্রশ্নের উত্তর একে একে পেয়ে যাচ্ছে। অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচার উপায় ‘নিওনাইন’, বাইরের পৃথিবী, সেখানকার সবুজ জীবন-সব।
গল্প করতে করতে মেঘগুলো সরে গিয়ে রাত যত গভীর হতে লাগল ততই অবিচলভাবে এই দুই তরুণ-তরুণী তাদের জীবনের একটা চরম সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেল। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে শহরের সব হলোগ্রাফিক মডিউলের মেইন কন্ট্রোল রুম থেকে বেশ উৎফুল্ল চেহারা নিয়ে তাদের বের হয়ে আসতে দেখা গেল।
::: ৬ :::
“শহরের বাইরেও জীবন আছে কিন্তু সেখানে শহরের সব মৃত দেহ আর বয়স্কদের আবাস। প্রশাসন শুধুই শহরকে স্ফূর্তির কারখানা হিসেবে গড়ে তুলতে মত্ত। সেখানে পুরনো যত মানুষ, মূল্যবোধ আর ভালবাসার কোন স্থান নেই। আর এজন্যই চারদিকে ধর্ষনের মত ফুর্তির ছড়াছড়ি”- পরদিন এই ঘোষণাটি শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল ক্লাসরুমে রাখা হলোগ্রাফিক মডিউলে প্রচার হবার পর সবাই আক্রোশে ফেটে পড়ল। সবাইকে এতদিন তাদের পরিবার সম্পর্কে মিথ্যে জানানো হয়েছিল চিন্তা করেই সবাই শিউরে ওঠে। পরিবার, ভালবাসা আর সুস্থ জীবন থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে ক্ষোভে কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা প্রশাসনের পতন ঘটায়। আর ভিয়েনের মত সকল ধর্ষকদের ক্ষেত্রে তারা একটিই সিদ্ধান্ত নেয়। আর তা হল, তাদের সকলের ইচ্ছেটা জাগিয়ে রেখে শুধুমাত্র উর্বরতা শক্তি চিরতরে নষ্ট করে দেয়া।
::: ৭ :::
তিন বছরের ছোট্ট একটি মেয়ে তার দাদীর হাত ধরে বলল, “দাদুমনি, বাবা-মা ওখানে কী করছে?”
তার দাদী মুচকি হেসে উত্তর দিলেন, “ওটাকে বলে জুমচাষ। পাহাড়ি এলাকায় ওভাবেই ফসল ফলাতে হয় সোনামনি।”
জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে তিনি দেখতে পেলেন, কৃষাণ আর য়্যুশ খুব যত্ন নিয়ে ভীষণ কষ্টের কাজ করে যাচ্ছে। তাদের চোখেমুখে এতটুকুও দুঃখের ছাপ নেই। নাতনির ছোট হাত দুটো শক্ত করে মুঠোয় ধরে রেখে তার চোখ আনন্দে ভিজে আসে।
পরিশিষ্ট ::::::
বইটা বন্ধ করে টেবিলের উপর রেখে উঠে দাঁড়ায় অপরাজিতা। ওর মনটা খারাপ। এসব শুধু গল্প-উপন্যাসেই সম্ভব। তাও গল্পে নাহয় ধর্ষনের একটা কারণ ছিল। ওরা পরিবার কী তাই জানে নি, পায় নি প্রিয় কোন মানুষের ভালবাসা। কিন্তু এই সত্যিকার পৃথিবীতে এসবের তো কোনই অভাব নেই। তারপরেও কেন ভালবাসতে গেলেই ঠকতে হয়? স্বল্পবয়সী স্কুলপড়ুয়া বলে ভুলটা কি তার একারই হয়েছিল? সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পারভেজকে ভালবেসে সে কিছুই পায় নি, বরং তাকে ভালবেসে পারভেজ আর সাথে সাথে তার আরো দুই বন্ধু তার সম্পূর্ণটাই পেয়েছে! এমনকি প্রয়োজনে আবার উপভোগ এবং ব্ল্যাকমেইল করবার ভিডিওচিত্রসহ (( http://www.facebook.com/notes/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%B9%E0%A6%87%E0%A6%AC-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%B2-south-east-%E0%A6%93-aiub-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95/142794102483567 ))! কিন্তু তার একার তো ভুল নয়। রোমানা মঞ্জুর তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। উনিই বা কী পেয়েছেন জীবনে তার সহযাত্রীর কাছ থেকে? আর প্রশাসন? বিচারের নামে তো কেবলই প্রহসন করে বেড়ায় তারা!
অপরাজিতা বারান্দার কোণে এসে দেখে বিকেলের রঙ মুছে যেতে শুরু করেছে। সন্ধ্যার লাল আগুন আকাশটাকে গ্রাস করে নিচ্ছে ক্রমশ। সে সিদ্ধান্ত নেয়, সে একা অসহায়ভাবে কিছুতেই হেরে যাবে না, কিছুতেই না।
মারাত্মক লিখেছেন তো :huzur: :huzur:
তাই! ধন্যবাদ। 🙂
এক নিঃশ্বাসে পড়লাম! এত চমৎকার করে লিখেছেন!! :huzur:
খানিকটা বাকহারা আমি…
দারুণ! দারুণ! এরকম লিখা চাই আরও…
ছবিটা এক্কেবারে পারফেক্ট!! একটা অস্বাভাবিক বিষণ্ণতায় অনেকগুলো লাল স্বপ্ন!!
ধন্যবাদ। ছবিটা টপিকের সাথে মিল রেখেই দেয়া। 🙂
বাকরুদ্ধ!!!!
সেই রকম অসাধারণ!!!
:clappinghands:
সাই-ফাই লিখার চেষ্টা করিস ভালোমত।
সাই-ফাইয়ের অখাদ্য অংশটা ঢাকার জন্যই পরিশিষ্টতে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার একটা অ্যাটেম্পট নিছিলাম। ভাবলাম, যাই হোক, জাফর ইকবাল একজনই, এবং উহা হওয়ার চেষ্টা করাটাও উলু বনে মুক্তা ছড়ানোর মত। আর পাগল পাবলিক কয় কিনা, “সাই-ফাই লিখার চেষ্টা করিস ভালোমত।”!! 😯
জ্বি, লেখা শুরু করার আগে কেউ বললে তারে পাগলই মনে হয় :cuthair:
ফিকশন-ননফিকশনের কি দারুণ সংমিশ্রণ!
অসাধারণ আপু! এক কথায় অসাধারণ! :clappinghands:
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ছোট্ট আপুনি। 😀
গল্পটা পড়ে ফিনিক্স এর লেখার ফ্যান হয়ে গেলাম!
এক কথায়-অনবদ্য!
ফিনিক্স এর স্বরে সরব হয়ে উঠুক সবর এর দেয়াল…. 😀
শুভকামনা নিরন্তর…..
আমি তো খুশিতে উড়ে উড়ে পড়ে যাচ্ছি রে! :yahooo:
অসুস্থতা নিয়ে লেখা। শুধু অনেকদিন লেখা হয় না তাই। এতো ব্যস্ততার মাঝে কতটা সরব থাকতে পারব জানি না। তবে আপ্রাণ চেষ্টা করব। বিশেষ করে এরকম পাঠক পেলে তো চেষ্টা করাটা মোটামুটি ফরজ কাজের মত হয়ে যায়। 😛
নিরন্তর শুভেচ্ছাটা আশীর্বাদ হিসেবে সাথে নিলাম। 🙂
তোমার হাত যে দুর্দান্ত তা আবার টের পেলাম!
সিমপ্লি দুর্দান্ত!
অসাধারণ বললেও ভুল বলা হবে।
উরিব্বাপস! বস মানুষের কমপ্লিমেন্ট পাওয়া কি কম ভাগ্যের কথা? খুশিতে একটু নেচেই নিই বরং। :penguindance:
অসাধারণ হয়েছে আপু 🙂
অনেক ধন্যবাদ আপুনি। 🙂
বহুদিন পর রুদ্ধশ্বাসে পড়ার মতো একটা গল্প পেলাম!! অসাধারণ লাগলো, সরবের সবগুলো নতুন লিখা পড়ার জন্য মুখিয়ে ছিলাম, তার মধ্যে এটা একটা ছিলো…
সাইফাইয়ের মধ্যে পুরো ডুবে গিয়েছিলাম!! অসাধারণ বর্ণনা আর গাঁথুনি!
:huzur: :huzur: :huzur:
আমার লেখা পড়ার জন্য কেউ মুখিয়ে থাকে- এটুকু শুনেই লেখালেখি জীবন সার্থক মনে হচ্ছে! সাইফাই লেখার ইচ্ছে যদিও তেমন ছিল না, তবু দুঃসাহস করে ফেলেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, ব্যর্থ হয় নি আমার চেষ্টা। 😀
অসংখ্য ধন্যবাদ। 🙂
অনেক সুন্দর লিখেছিস……!! অনেক অনেক ভাল লাগলো………… 🙂 :clappinghands:
তুই কমেন্ট করলি!! খুব ভাল লাগছে আমারও তোর কমেন্ট পেয়ে। :beerdrink:
হুমমমমম, আজকাল কিছু কিছু লেখকের সাই-ফাইতে তোমার লিখার গন্ধ পাওয়া যায়। তোমার সাইফাই পড়ে যে একটা আমেজ পাই, তা অন্যদেরটাতে যে পাইনা, তা নয়, তবে তোমারটার স্বাদ মাউন্টেন ডিউ এর মতো, ওগুলা টেস্টি স্যালাইনের মতো 😉 😉
(পামডা ঠিক জায়গায় লাগছ বলেই মনে হয় !!!)
সত্যবচনঃ লিখা অনতিসাধারণ হইছে আপু! প্রথম সাই-ফাই কিনা জানিনা তোমার, তবে খুবই পাকা হাত সাই-ফাইতে 🙂
শরম দিস না।
আমার প্রথম সাই-ফাই। ভাবছিলাম হবে ফাউ-ফাই! 😛
মন্তব্য পেয়ে তার থেকে কিঞ্চিৎ উন্নত হইছে বলে মনে হচ্ছে রে! 😐
অসাধারণ হয়েছে লেখাটা 🙂 science fiction সব সময়ই প্রথম পছন্দ আমার- গল্পের থিমও ভালো লেগেছে :huzur: :clappinghands:
ধন্যবাদ। ধন্যবাদ। :happy:
শরম দিস না।
আমার প্রথম সাই-ফাই। ভাবছিলাম হবে ফাউ-ফাই! 😛
মন্তব্য পেয়ে তার থেকে কিঞ্চিৎ উন্নত হইছে বলে মনে হচ্ছে রে! 8)
কোথায় কমেন্ট দিলাম আর কোথায় চলে আসল! 🙁