মারিয়া পোপোভার ‘হোয়াট ইজ সায়েন্স? ফ্রম ফাইনম্যান টু সেগান টু আসিমভ টু কুরী, অ্যান অমনিবাস অফ ডেফিনিশন্স ((http://www.brainpickings.org/index.php/2012/04/06/what-is-science/))’ থেকে ভাষান্তরিত
আমরা যে সমাজে বাস করি তার পুরোটাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হওয়ার পরও, আমরা চারপাশের সবকিছুকে এমন চতুরভাবে সাজিয়েছি যেন প্রায় তেমন কেউই এই বিজ্ঞান কিংবা প্রযুক্তি কী তা বুঝতে না পারে। আমার কাছে একে আসন্ন বিপর্যয়ের একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে মনে হয়।
১৯৯৪তে কার্ল সেগান তাঁর এই বিখ্যাত, বুদ্ধিদীপ্ত উক্তি করেন। সেদিন আর আজকের মাঝে প্রায় ২ দশক পেরিয়ে গেলেও, অবস্থার পরিবর্তন যা হয়েছে তা খুবই সামান্য। আজকাল সরকার ‘নাগরিক বিজ্ঞান’এর পক্ষে কথা বলছে সত্য, কিন্তু সেই ‘নাগরিক’এরাই এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানের সংজ্ঞা কিংবা কাজকে উপলব্ধি করতে পারছে খুবই সামান্য, এ নিয়ে তাদের কোন একটা ঐকমত্যে পৌঁছানো তো কোন্ ছাড়!
তাহলে বিজ্ঞান আসলে কী, সে কী করতে চায় আর এসব নিয়ে আমাদের মত সাধারণ মানুষের মাথা ঘামানোই বা কেন? একে একটা আপাত সরল প্রশ্ন বলে মনে হতে পারে, তবে এর জটিলতা আসলে সীমাহীন; উত্তরটাও তেমনি অস্পষ্ট ও বিতর্কিত সবসময়কার মতই। বিজ্ঞানের এমন চমৎকার কিছু সংজ্ঞা তুলে দিচ্ছি এখানে, যেগুলো বিজ্ঞানকে পণ্য নয় বরং প্রক্রিয়া হিসেবে দেখে, যে প্রক্রিয়ার চলার পথ নিশ্চয়তার নয় বরং কৌতূহলের। ‘ইগ্নোরেন্স: হাও ইট ড্রাইভ্স সায়েন্স’ নামের চমৎকার বইটিতে স্টুয়ার্ট ফায়ারস্টাইন আমাদের জানিয়েছেন:
সত্যিকারের বিজ্ঞান সবসময়েই একটা চলমান সংশোধনী। অজ্ঞতার পথ ধরেই এর নিরন্তর ছুটে চলা।
১৯৮৮ সালে আইজ্যাক আসিমভ যখন বিল ময়ার্স শো’তে বিজ্ঞান ও শিক্ষায় সৃজনশীলতা নিয়ে তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য, যুগান্তকারী, সময়োচিত ভাবনা ব্যক্ত করেন তখন তিনিও এমনটাই জানতেন:
বিজ্ঞানের কাজ কখনোই পরম সত্যকে সরবরাহ করা না, বরং এ এক প্রক্রিয়ার নাম। প্রকৃতি সম্পর্কে নিজের জ্ঞানকে উন্নত করার একটা চেষ্টার নাম বিজ্ঞান, নিজের চিন্তাগুলোকে মহাবিশ্বের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে সেগুলোর মিল খুঁজে বের করার একটা পদ্ধতি।
একই উপলব্ধির প্রতিধ্বনি শোনা যায় কার্ল সেগানের মন্তব্যেও:
বিজ্ঞান যতটা না জ্ঞানের কোন শাখা, তার চাইতেও বেশি চিন্তা করার প্রক্রিয়া।
১৯৫১র ৯ জুলাইতে হান্স ম্যুযামকে লেখা এক চিঠিতে বৃদ্ধ অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের মতামত:
এই দীর্ঘ জীবনে আমি যা বুঝতে পেরেছি – বাস্তবতার সাথে তুলনা করলে আমাদের এতসব বিজ্ঞান নিতান্তই শিশুতোষ আর প্রাচীন, তবু এ-ই আবার আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান প্রাপ্তি।
কিছুদিন আগে ‘নিউ ইয়র্ক রিভিউ অফ বুক্স’এ মার্গারেট ওয়্যারথাইমের ‘ফিজিক্স অন দ্য ফ্রিঞ্জ: স্মোক রিংস, সার্ক্লোন্স অ্যান্ড অল্টারনেটিভ থিওরিজ অফ এভরিথিং’ নিয়ে ফ্রীম্যান ডাইসন লিখেছেন:
বিজ্ঞান পুরোদস্তুর অনিশ্চিত ও পুনর্বিবেচনাসাপেক্ষ একটা বিষয়। আমাদের পক্ষে যতটা প্রমাণ করা সম্ভব তার চাইতে বেশি কল্পনা করতে পারাতেই বরং বিজ্ঞানের গৌরব।
আধুনিক নৃতত্ত্বের জনক হিসেবে অতিপরিচিত ক্লোদ লেভি-স্থোস ১৯৬৪তে তার অনুসরণযোগ্য সাংস্কৃতিক নৃতত্ত্বের সংগ্রহ ‘মিতোলজিক’এর প্রথম খণ্ডে একই ভাবনা উচ্চারণ করেছেন:
বিজ্ঞানীর কাজ সব প্রশ্নের ঠিক উত্তর দেওয়া না, বরং একজন বিজ্ঞানী ঠিক প্রশ্নগুলো করেন।
মনস্তাত্ত্বিক টমাস লুইস, ফারি আমিনি ও রিচার্ড ল্যানন তাঁদের অসাধারণ বই ‘আ জেনারেল থিওরি অফ লাভ’এ এই সুন্দর সংজ্ঞা দিয়েছেন:
প্রকৃতিজগতে প্রয়োগ করা হয় এমন এক সহজাত পরস্পরবিরোধিতা – এক নিয়মতান্ত্রিক বিস্ময়ের নাম বিজ্ঞান।
আদর্শ পদার্থবিদ ও গণিতজ্ঞ ম্যাক্স বর্নের কথাতেও বিজ্ঞানের এমন বিস্ময় আর খামখেয়ালের পরিচয় পাওয়া যায়:
বিজ্ঞানকে আনুষ্ঠানিক যুক্তি ভাবার কোন অবকাশ নেই – সৃষ্টিশীল শিল্পের অন্য সব শাখায় যতখানি খামখেয়াল দরকার হয় মনের, এখানেও ঠিক তাই। কারও মাঝে এই যোগ্যতা তৈরি করা কঠিন হতে পারে, তবে যারা ইতিমধ্যেই এর অধিকারী তাদের ভেতরে এর বেড়ে ওঠাকে উৎসাহ যুগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
মহান জীবতাত্ত্বিক ও প্রকৃতিবিদ ই. ও. উইলসন তাঁর অবশ্যপাঠ্য বই ‘অন হিউম্যান নেইচার’এ মন্তব্য করেছেন:
চোখে-দেখা ঘটনাগুলোকে মৌলিক ও পরীক্ষণযোগ্য নীতিতে নামিয়ে আনাই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মূল। কোন বিশেষ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব কত বেশি ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে পারে আর সে তুলনায় কতটা সরল হয় , সেটাই এর সৌন্দর্যের মাপকাঠি।
১৮৯৪তে মেরী কুরী তাঁর দ্বিতীয় গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ভাইকে চিঠি লিখেছিলেন:
কত কী করা হয়েছে তা কেউ দেখে না; কী করার বাকি তাই দেখতে পায় শুধু…
বৈজ্ঞানিক নীতির অন্তঃসার নিয়ে কুরীর বিখ্যাত কথাগুলো:
জীবনে কোন কিছুকে ভয় না পেয়ে বরং সেগুলোকে বোঝার চেষ্টা করা উচিত, আর এ কাজের উপযুক্ত সময় এখনই। আমরা যত বেশি বুঝতে পারবো আমাদের চারপাশকে, ভয়ের উপকরণ ততই কমবে।
রিচার্ড ফাইনম্যানও নিশ্চয়ই মাথা ঝাঁকাতেন এই কথা শুনতে পেলে! আইনস্টাইনও এ কথা বলে একমত হয়েছেন:
সত্যিকারের শিল্প আর সত্যিকারের বিজ্ঞানের কোলে দাঁড়িয়ে যে রহস্যময়, মৌলিক আবেগ – এর চাইতে চমৎকার কোন অনুভূতি অর্জন করা সম্ভব নয় আমাদের পক্ষে।
এর আরও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় ফায়ারস্টাইনের বইটাতে:
বিজ্ঞানী হতে চাইলে যা দরকার তা হল অনিশ্চিতে বিশ্বাস রাখা, রহস্যে আনন্দ খোঁজা আর প্রশ্ন করতে শেখা। কোন পরীক্ষাকে ভেস্তে দেওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে এর ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিন্ত থাকা।
কিন্তু বিজ্ঞানের অন্তঃসার বা নীতিকে আর কেউ এতটা চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন নি যতটা পেরেছেন ‘দ্য গ্রেইট এক্সপ্লেইনার’ – রিচার্ড ফাইনম্যান। ১৯৬৬ সালে ‘ন্যাশনাল সায়েন্স টীচার্স অ্যাসোসিয়েশন’ “বিজ্ঞান কী?” এ প্রশ্নের জবাব দিয়ে কোন বক্তৃতা দিতে অনুরোধ করে এই মহান বিজ্ঞানীকে। উত্তরে বেরিয়ে আসে:
…বিজ্ঞান যে কী, সেটা দার্শনিকেরা যা বলেন তা-ও না, আবার ‘টীচার্স এডিশন’ যা বলে তা তো নয়-ই। এই বক্তৃতা দিতে রাজি হওয়ার পর ‘বিজ্ঞান কী’ – এ প্রশ্নকে আমি নিজের জন্য একটা সমস্যা হিসেবে দেখতে শুরু করেছি। ভাবতে ভাবতে একটা ছোট্ট কবিতা মনে পড়ে গেলো:
A centipede was happy quite, until a toad in fun
Said, “Pray, which leg comes after which?”
This raised his doubts to such a pitch
He fell distracted in the ditch
Not knowing how to run.বিজ্ঞানের সংজ্ঞা জেনেই আমি পুরোটা জীবন এ নিয়ে কাজ করেছি, কিন্তু আজ আপনাদেরকে আমার যা বলার কথা – বিজ্ঞানে ‘কোন্ পা কোন্টার পর আসে’ – তা বলার ক্ষমতা আমার নেই। তার চাইতেও বড় কথা, এই কবিতার প্রশ্নটা নিয়ে আমি এতই বিচলিত যে আজ বাসায় ফিরে গিয়ে আর কোন গবেষণাতেই মন বসাতে পারবো না।
সেই বক্তৃতারই শেষের দিকে, ফাইনম্যান আরেকটু উত্তরের-মত-উত্তর শাণিয়ে তোলেন:
মানুষকে আপনি যদি পর্যবেক্ষণ করতে শেখাতে যান, তবে তাদের এ-ও বোঝাবেন যে তাদের মধ্য থেকেও বিস্ময়কর কিছু বেরিয়ে আসতে পারে। বিজ্ঞানকে বুঝতে হলে চাই ধৈর্য। কোন কিছুর দিকে তাকান, দেখতে থাকেন, মনোযোগ দিন – সবসময় না হলেও এ থেকে বিরাট কোন পুরস্কারও পাবেন আপনি।
আরও পরে তিনি বলেন:
[বিজ্ঞান] একই সাথে যৌক্তিক চিন্তার মূল্য আর চিন্তার স্বাধীনতার গুরুত্বও শেখায়; সব তত্ত্বই সত্য কিনা – সে প্রশ্ন করার মাধ্যমে পাওয়া ইতিবাচক ফলাফলই বিজ্ঞান।
সেদিন যখন বিজ্ঞানের পেশাদার সব শিক্ষকেরা তাঁর শ্রোতা ছিল, তিনি বক্তৃতা শেষ করেন এই সূক্ষ মন্তব্য দিয়ে:
আগের প্রজন্মের মহান শিক্ষকদের নির্ভুলতায় বিশ্বাস করা যে কত বড় ভুল – সে শিক্ষা পেতে জ্ঞানের অন্য কোন শাখার আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন নেই, বিজ্ঞান একাই এ শিক্ষা নিজের ভেতর ধরে রেখেছে।
অর্থাৎ, বিজ্ঞান চায় বিজ্ঞানী নিজের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আশ্বস্ত থাকবে, ব্যর্থতার ভয়ের প্রতি হবে সহনশীল – এই গুণগুলোর চর্চা হয়তো কেবল বিজ্ঞানই নয় বরং বিজ্ঞানকে প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারারও পূর্বশর্ত।
হুম…… বিজ্ঞান সম্পর্কিত এত ভারী ভারী আলোচনা সমৃদ্ধ লেখার অনুবাদ করার ধৈর্য কেবল সামিরা আপুরই থাকতে পারে। 😛
পুনশ্চ: মূল লেখায় যেখানে “two decades” বলা হয়েছে, সেটার অনুবাদ “দুই দশক” হলে বেশি ভাল লাগত না? আমি তো বাংলায় “যুগ” বলতে ১২ বছর জানি। (অবশ্য, আমার ভুলও হতে পারে……) 😐
এটা ভারি লেখা? 🙁
মূল লেখাটা অত ভারি ছিল না আসলে, এ জন্যই ভালো লেগেছে আমার! আমি বোধহয় কঠিন করে ফেলেছি অনুবাদের সময়।
একদম ঠিক। আমার একবার চোখ বুলানোর সময় মনে হয়েছিল ঠিক করার কথা, পরে আবার ভুলে গেছি। ধরিয়ে দেওয়ার জন্য থ্যাঙ্কু মেঙ্কু! :beshikhushi: মনোযোগী পাঠক পেতে ভালো লাগে। 😀
ইয়ে, তুমি কি মূল লেখার সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে পড়েছো নাকি? 😯
আরে নাহ! ১৯৯৪ সালের পর দুই যুগ লেখা দেখে মনে মনে হিসাব করে দেখি ১৯ বছর, ২৪ বছর তো হয় না, তাই মূল লেখাটা একটু ঢুঁ মেরে আসলাম আর কি…… :happy:
মজার ব্যাপার হচ্ছে বিজ্ঞান এর সংজ্ঞা অনেক বিজ্ঞান প্রিয় লোকজন দিতে পারবে না
সংজ্ঞা বলতে আক্ষরিক কিছু বুঝাচ্ছি না। টেক্সটবুক আকারে।
বিজ্ঞান আসলে কী?
সমাজ বিজ্ঞানের লেখা /ধর্মীয় গ্রন্থ / কলাম ইত্যাদি সহ এই সব বিষয়ের সাথে পার্থক্য কী?
বিজ্ঞানের ইতিহাস আর বিজ্ঞানের দর্শন পড়লে বিজ্ঞানের ব্যাপারে অনেক ভুল ধারণা দূর হয়/ হবে
ট্রু। আমি নিজে অনুবাদ করতে করতে অনেক নতুন জিনিস জানলাম। আসলেই আমরা বেশিরভাগ বিজ্ঞানকে ভুল অর্থে বুঝি, বেদবাক্য ধরে নিই, যেখানে বিজ্ঞানীরা নিজেরাই সেটার বিপরীতে কথা বলছে।
অনুবাদের দুর্বল অংশগুলি কি একটু ধরিয়ে দেয়া যায়? সময় হলে আর কি।
“জীবনে কোন কিছুকে ভয় না পেয়ে বরং সেগুলোকে বোঝার চেষ্টা করা উচিত, আর এ কাজের উপযুক্ত সময় এখনই। আমরা যত বেশি বুঝতে পারবো আমাদের চারপাশকে, ভয়ের উপকরণ ততই কমবে।”…এই কথাগুলো বেশ !
এই বিষয়ে লেখার ধৈর্য আসলেই সবার হবে না এইটা সিউর। 😛 সুন্দর অনুবাদ বরাবরের মতই…
বুঝছি অনেক বোরিং হয়েছে। 🙁
আরে পাগল !! এইটা বলছি নাকি ? স্যরি..
আমার কিন্তু ভালো লেগেছে সত্যি…চিন্তা করার অনেক বিষয় আছে, সমস্যা হল আজকাল মানুষ চিন্তা করে কম।
অনে—ক কিছু শিখলাম, জানলাম। :happy:
চমৎকার লেখার চমৎকার অনুবাদ (as usual)! :beshikhushi:
তবে… অনুবাদকের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করতে গিয়ে… :voypaisi: :voypaisi:
😳
মাথা ঘুরতেছে ! এত্ত কঠিন ক্যান ? নাকি আমার জ্বর বলে এইরকম লাগতেছে ! 🙁
নাহ্ আমার অনুবাদই খারাপ হইছে।
আচ্ছা, কোন্ অংশগুলি কঠিন লাগলো একটু বলবি? কেন লাগলো সেটাও?
আপু আপনার কয়েকটা লেখা পড়লাম। পড়ার পরে খালি একটা প্রশ্ন করতে মন চাইছে-তুমি কেমন করে লেখালেখি করো হে গুনী?http://shorob.com/wp-includes/images/smilies/icon_thinking.gif
😳 😳
বিজ্ঞান নিয়ে এতগুলো মানুষের এত ধরনের ভাবনা বা সংজ্ঞা সত্যিই জানতাম না।
তবে পাঠকের বেশিরভাগই দেখলাম কঠিন বলছে। এইজন্য মনে হলো যে এত ধরনের সংজ্ঞা একসাথে পুরোটা হয়তো কমপ্লেক্স লাগতে পারে।
অবশ্য এটা একান্তই আমার মতামত। 🙂
বুঝি নাই। 🙁 একসাথে পুরোটা মানে?
আরে পাগলি, বললাম যে এত ধরনের এত মতামত বিজ্ঞান নিয়ে, একটা বোঝার আগেই আরেকটাতে যখন চলে গেছে পাঠক তখন হয়তো বা আগের সংজ্ঞা আর নতুন সংজ্ঞা আলাদা করে মাথায় নেয়ার সময় পায় নাই। আর এই লেখা স্ক্রিন করতে গেলেও প্রচুর সংজ্ঞা পাওয়া যাচ্ছে। স্ক্রিনিং এর ম্যাসেজটাও বেশ বড় বলা যায়- লেখার প্রায় অর্ধেকটা অংশই যখন হাইলাইটেড থাকে তখন পড়ার আগ্রহ-মনোযোগ এগুলোতে একটু ঘাটতি পাঠকের হয়ে যেতেই পারে।
আমি অন্যদের কেন কঠিন লাগছে সেইটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলাম। অন্যরা মতামত দেয় নাই দেখে। অনেকে কঠিন বলেই চলে গেছে। কেন কঠিন সেটা ধরতে মনে হয় একটু সমস্যা হইছে। আমি জাস্ট সম্ভাবনার কথা বললাম।
এটা তো একটা উদ্ধৃতির সংগ্রহ। আমি উদ্ধৃতি সাধারণত হাইলাইট করে দেই।
আর সব মতামতের পয়েন্ট কিন্তু একটাই।
যাই হোক, এই লেখা তাহলে সবার জন্য না। 😛 সময় নিয়ে প্রতিটা লাইন পড়ে যারা ভাবতে চাইবে তাদের জন্য।
ঠিক, এই লেখাটা সত্যিই সবার জন্য না। 🙂
আপু সহজভাবে ভালো করে গুছিয়ে লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। বিজ্ঞানের উদ্ধৃতিগুলো আসলেই সংরক্ষণ করার প্রযোজন ছিলো। 🙂