“যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক, তবে শক্তি দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ কর। যদি তা না পার, তবে তোমরা মুখ দিয়ে প্রতিবাদ কর, আর যদি তাও না পার, তাহলে অন্তত মনে মনে ঘৃণা কর এবং তা হল দুর্বল ঈমানের পরিচয়”- এভাবেই আমাদের ধর্মে অন্যায়কে প্রতিবাদ করতে বলা হয়েছে। আমার ধারণা প্রতিটা ধর্মেই “ভাল” কে ভাল বলা আর অন্যায়কে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে। শাহাবাগ থেকে ঘুরে এসে মনে হয়েছে, বাঙ্গালী মরে যায় নাই, আজও বাঙ্গালী জেগে উঠতে পারে। দেশের শান্তিপ্রিয় ছেলেরা আজও মায়ের ডাকে সাড়া দিতে পারে। সবার কাছে শুধু একটাই অনুরোধ , এফবিতে না বসে থেকে মাঠে আসুন। যদি আপনার মাঝে তারুণ্যের কিছু শক্তি আজও অবশিষ্ট থেকে থাকে, তবে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসুন। যে মা বোনদের রক্তের বিনিময়ে, সম্ভ্রমের বিনিময়ে আজ আপনি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছেন, তাদের ঋণ শোধ করতে আজ আপনার এগিয়ে আসা খুব জরুরি। আপনার মত বয়সী ভাইয়েরা, বোনেরা একদিন অস্ত্র ধরেছিল বলেই আজকে আপনাকে অস্ত্র ধরতে হচ্ছে না। আজকে যদি আপনি না এগিয়ে আসেন, তবে হয়ত আপনার সন্তান যে বাংলাদেশকে পাবে, তা হবে পাকিস্তানের মত অথবা আফগানিস্তানের মত আর সে হবে অকৃতজ্ঞের বংশধর !
ফেব্রুয়ারি মাস ভাষার মাস, ভালবাসার মাস। মাকে ভালবেসে , বোনকে ভালবেসে , নিজেকে ভালবেসে , দেশকে ভালোবেসে , সন্তানকে ভালবেসে প্লিজ এগিয়ে আসুন। দরকার হয় নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসহযোগ ঘোষণা করুন। এবার এগিয়ে না আসলে কখনও নিজেকে গর্বিত বাঙ্গালী বলে দাবি করতে পারবেন না!যে দেশে ৩০০র অধিক খুন করেও একটা মানুষের ফাঁসি হয় না, সে দেশে হয়ত একদিন আমাকে আপনাকেই পাখির মত গুলি করে মারা হবে, অথচ কেউ প্রতিবাদটাও করবে না।
“একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার”
“ কাদের মোল্লার ফাঁসি হোক , নয়ত আমাকেই ফাঁসি দাও”
“জয় বাংলা, বাংলার জয়”
“তুই রাজাকার, তুই রাজাকার”- এই সব স্লোগান আপনাকে জাগিয়েই তুলবেই । সবাই বেরিয়ে আসুন, শাহাবাগে এক হন। ৪২ বছর পর্যন্ত তো আমরা চুপ করেই ছিলাম, আর কত !আর কত অন্যায় দেখলে, আর কত অন্যায় সহ্য করলে আমাদের রক্ত গরম হবে। আর সর্বংসহা হতে চাই না, এবার বীর হতে চাই। এবার চুপ করে থাকলে শহীদ জননীদের অভিশাপ থেকে আমরা আর মুক্তি পাবো না! তাই আসুন সবাই চিৎকার করে বলি –
“ মাগো ভাবনা কেন
আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শ্ত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।।
আমরা হারব না, হারব না
তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়ব না।
আমরা পাঁজর দূর্গ ঘাটি গড়তে জানি
তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।।“
– রাত জাগা তারা
ওখানে গিয়েছি, সত্যি একেবারে অন্যরকম অনুভূতি! রক্ত টগবগ করে ফুটতে শুরু করে স্লোগানের সাথে সাথে।