ফুলে ফলে সুশোভিত হবার স্বপ্নে বিভোর
মাঠের সবুজ চারা
অযত্ন আর অবহেলায় বেড়ে উঠা হয় না তার।
পরগাছার মত বাঁচলে কাঠুরিয়ার কাঠ হওয়ার ভয় থাকবেই।
উত্তাল যৌবনে ফুলের বাগানে মালি হয়ে নয়
ভবঘুরে হয়ে হেঁটেছি ফুটপাতে।
খুব জানতে ইচ্ছে করেছে মানুষের আসল চেহারাটা কেমন
সোডিয়ামের আলোতে যেমন দেখায়
নাকি তার ভিতরেও আরেক রূপ?
নদীর ধারে বসে একাকী দেখেছি তার কলতান
ভোরের আলোয় দেখেছি কাকের প্রেমময় আহবান
আর দেখেছি মানুষের ভিতরের মানুষটির মাঝে হিংসা বিরাজমান।
যারা স্বপ্ন দেখতে পারে
কষ্টের বুলেট তাদের বুকটা ঝাজরা হয়ে যায়।
তারা পারে না স্টেশনে হাসি-তামাশায় মত্ত
টোকাইদের দলে যোগ দিতে
না পারে সিনেমার পোস্টার দেখে
নিজেকে সামলে নিতে।
‘সুখদানির’ সাথে দরদাম করতে
পরিচিত জন দেখে
বিপরীতমুখী গলিতে বইয়ের দোকানে গিয়ে
বাহবা কুড়াই-বাহ মনস্তাত্তি্ক বিশ্লেষণের বই!
শুনেছি মানুষ যখন বদলায় সে তার চারপাশ নিয়েই বদলায়
কিন্তু কই ‘এইখানে একটা প্রাণী আছে, সাথে একটা মনও আছে’
এই বোধটুকুও দেখিনি আমার চারপাশের কারোর
সব রাত এভাবেই কেটে যায় অনতিক্রম।
শিল্পীরাও শব্দের কুণ্ডলী পাকিয়ে শ্রেণী বৈষম্য করে-
জৈবিক তাড়নায় অফিসের বড় সাব যান যেখানে
নাম দেন তার ক্লাব
আর দিন মজুর রমিজ আলি যায় যেখানে
নাম দেন তার বেশ্যাপাড়া
সুবিশাল ঘরের রুমে
কাটিয়েছে কত ঘুমহীন রাত
অথচ এই ফুটপাতে চোর-ডাকাত, ফকির, শ্রমিক, পতিতা আর কুকুর
সুখ নিদ্রায় যায় পাশাপাশি।
ঠোঁটের কোনে সিগারেট গুঁজে ভাবি
ফিরে যাবো শৈশবে
সে কি সম্ভব?
পোষ্টের বাইরের কিছু ফরমার্ল কথা যা না কইলে শান্তি পাচ্ছি নাঃ ব্লগে আমি নতুন। নতুন একটা পোষ্ট লিখেছিলাম ব্লগে দেয়ার জন্য কিন্তু আপাতত দিচ্ছি না। পরে কোন একসময় সুযোগ আসলে দিয়ে দিবো। কিন্তু সরবে এসে যদি নীরব থাকি তাহলে কি হয় ?? :nono: আমার নিকটারও তো একটা ভাবসাব আছে নাকি ? :yahooo:
সরবে সরব যাত্রা শুরু করলাম একটা অখাদ্য কবিতা দিয়ে 😐
সরবে স্বাগতম :welcome: :welcome:
“কিন্তু সরবে এসে যদি নীরব থাকি তাহলে কি হয় ?” :clappinghands:
কবিতাটা অখাদ্য নয়।ভাল লিখেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
“যারা স্বপ্ন দেখতে পারে
কষ্টের বুলেট তাদের বুকটা ঝাজরা হয়ে যায়।
তারা পারে না স্টেশনে হাসি-তামাশায় মত্ত
টোকাইদের দলে যোগ দিতে
না পারে সিনেমার পোস্টার দেখে
নিজেকে সামলে নিতে।
‘সুখদানির’ সাথে দরদাম করতে
পরিচিত জন দেখে
বিপরীতমুখী গলিতে বইয়ের দোকানে গিয়ে
বাহবা কুড়াই-বাহ মনস্তাত্তি্ক বিশ্লেষণের বই!” :clappinghands:
“জৈবিক তাড়নায় অফিসের বড় সাব যান যেখানে
নাম দেন তার ক্লাব
আর দিন মজুর রমিজ আলি যায় যেখানে
নাম দেন তার বেশ্যাপাড়া” :dhisya:
অখাদ্য পংক্তিমালাগুলো যে এতোটা ভালো হবে বুঝতে পারি নাই। 😉
খুবই ভালো হয়েছে কবিতাটা :clappinghands:
সরবে স্বাগতম :welcome:
অখাদ্য কিছু কে খাদ্যে রূপান্তরিত হতে দেখে অনেক ভালো লাগছে :clappinghands: :clappinghands:
স্বাগতম! স্বাগতম!!
কবিতা অনেক প্রিয় আমার! খেয়াল করে দেখি-কবিতাটায় উঠে এসেছে আমার ভাবনার কিছু কথা! দারূণ!
সরব হউন!
নিজেকে নিয়ে লেখা লাইন টা ভালো লাগলো অনেক—রাজা-প্রজা সবাই থাকবে নির্বিশেষে, পাল্টে দেবে দুনিয়ার সব মিথ্যে-কানুন হেসে।
শুভকামনা 🙂
আপনার ভাবনার কিছু কথাকে তুলে আনতে পেরে অনেক খুশি লাগছে ! আপনার জন্যও শুভ কামনা।
“অথচ এই ফুটপাতে চোর-ডাকাত, ফকির, শ্রমিক, পতিতা আর কুকুর
সুখ নিদ্রায় যায় পাশাপাশি।” এতো সুন্দর একটা কবিতা অখাদ্য হলে সুখাদ্যের সংজ্ঞা কি? 😐
সরবে স্বাগতম! :welcome:
সুখাদ্যের সংজ্ঞাটা আমি ভালো করে আয়ত্ত করতে পারি নাই… ❓ ❓
“ঠোঁটের কোনে সিগারেট গুঁজে ভাবি
ফিরে যাবো শৈশবে
সে কি সম্ভব?”>> মাঝে মাঝে কোন সমাধান খুঁজে না পেলে এমনটাই মনে হয়।
কবিতা ভালো লেগেছে। 😀
সরবে স্বাগতম। :welcome:
ধন্যবাদ।
প্রথম কথা হচ্ছে, এটা মোটেও অখাদ্য নয়!
কবিতা পুরোপুরি বুঝি নি, কিন্তু আমার মত করে যতটুকু বুঝলাম, আমার কিছু ভাবনার সাথেও মিলে যায়। খুব ভাল লেগেছে। :huzur:
অখাদ্য পক্তিমালা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সর্বদা।
:welcome: :welcome:
ধন্যবাদ। 😀 😀
:-& :-&
“নদীর ধারে বসে একাকী দেখেছি তার কলতান
ভোরের আলোয় দেখেছি কাকের প্রেমময় আহবান
আর দেখেছি মানুষের ভিতরের মানুষটির মাঝে হিংসা বিরাজমান।” কী নিষ্ঠুর সত্যি কথা… 🙁
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
:hi,%20you%20are%20welcome:
ঠোঁটের কোণে সিগারেট না গুঁজে আইসক্রিমের কিংবা ললিপপের স্টিক গুঁজলে মনে হয় শৈশবে কিছুটা সময়ের জন্য ফিরে যাওয়া যাবে 🙂
কবিতা ভালো লেগেছে 🙂
8) 8) 8) 8)
স্বাগতম!
:welcome:
এটা যদি “অখাদ্য পংক্তিমালা” হয়, তাহলে সুখাদ্য কি হবে আমি ওই চিন্তা করতেসি…
:huzur:
দাঁড়ান আমিও একটু চিন্তা করে নেই :thinking: :thinking: :thinking: :thinking: