অনেকদিন পর কিছু লিখতে বসেছি। মনের মধ্যে অনেক কথা ঝড় তুলছে। সেগুলি যথাসম্ভব অল্প কথায় গুছিয়ে প্রকাশ করার তাগিদ থেকেই এ লেখা।
আজ শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিকে দেখলাম (http://eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2013-02-19#), জামাতের বিচার হবে, তবে নিষিদ্ধ নয় ! অবাক হলাম, খুব বেশি মাত্রায় মন খারাপ হলো ! তারপরে ভাবলাম আসলে কি এইটাই হবার ছিল না?
ধর্মব্যবসায়ী ভণ্ড যুদ্ধাপরাধীদের শুধু ফাঁসিই নয়, এদের নিষিদ্ধ করাটাও এখন সময়ের দাবী। অথচ এই যে জামাত নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে যে গড়িমসি, এর কী মানে দাঁড়ায়? মানে দাঁড়ায় রাজনীতিবিদেরা নিজেদের ফায়দার পথ খোলা রাখছে। ভেরি সিম্পল ! শুধু কি তাই হচ্ছে? এই যে, আন্দোলনের নামে যে কালক্ষেপণ হচ্ছে, সেটাই বা কতটুকু কাম্য ভাবুন তো? আজ আন্দোলনের ১৫তম দিবস যাচ্ছে। এর মধ্যে আমরা কি মূল দাবীটা আদায় করে আনতে পেরেছি? প্রজন্ম চত্বরের মাটি কামড়ে যারা পড়ে আছে, প্রাণপণ স্লোগান দিচ্ছে তারা কেন এই কষ্টটুকু করছে? আন্দোলন কিন্তু কারুর একার না, এ আন্দোলন দেশের প্রতিটি সাধারণ জনগণের, প্রতিটি সুস্থ মনের নাগরিকের ! এর দায়, এর ফল, এর উদ্দেশ্য সবকিছু আমাদের প্রত্যেকের ঘাড়ে সমভাবে বন্টিত হয়। শুধু কেন একজন তারিকুল ইসলাম শান্ত প্রতিদিন স্লোগান দিতে দিতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে, আর কেউ কেউ চিকন পথে “কম্প্রোমাইজ” করে সাংস্কৃতিকভাবে আন্দোলন “উদযাপন” করবে? বলছি না, সহিংস কিছু হোক, কিন্তু তাই বলে “উদযাপন” করে আন্দোলন হয় না ! খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা মূল জায়গা থেকে সরে না যাই। উৎসব নয়, আন্দোলন হবে আন্দোলনের মত – আমাদের দাবী আদায়ের আন্দোলন; সেই দাবী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের আদায় করতে হবে। আর কতদিন এইভাবে কালক্ষেপণ চলবে? এভাবে চলতে থাকলে আন্দোলন কি একসময় নিস্তেজ, শ্লথ হয়ে পড়বে না? ব্লগার দূর্যোধনের ভাষাতেই বলি – “আমাদের কেউ দাসখত লিখে দেয়নি ৭০ দিন রাস্তায় থাকতে হবে, ৭০ দিন কাটানোর জন্য মানুষকে উদ্দীপ্ত রাখতে এইসব বেলুন উড়াতে হবে । দাবী আদায়ে শক্ত হোন !”
ব্যাপারটা এইভাবে চলতে থাকলে আন্দোলনের প্রাণ একসময় স্তিমিত হয়ে যাবে, লাভের ফল যাদের খাওয়া দরকার, তারা খেয়ে চলে যাবে ! আন্দোলনের ব্যাপারে বিভিন্ন কারণে যেই ধোঁয়াশা ও সূক্ষ্ম রাজনীতির সৃষ্টি হচ্ছে সেটিও বাড়তেই থাকবে। আর জামাত? তারা তো একটা শক্ত রাজনৈতিক খুঁটি সব দলের জন্য ! কিন্তু বলতে পারেন, আর কদ্দিন এদের কেন্দ্র করে চলমান খেলাটা আমরা সয়ে যাবো? সরকার কেন ভুলে যাচ্ছে যে, আমরা জামাতকে পুরোপুরি নির্মূল দেখতে চাই, আধাআধি না?
এবার তাই কিছু প্রশ্ন, কিছু কথা খুব পরিষ্কার হওয়া দরকার –
১- জামাতকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে কেন গড়িমসি? কী এমন অন্তরায় আছে?
২- এক দফা এক দাবী আদায় করতে আর কতদিন কালক্ষেপণ হবে?
৩- দ্রুত আল্টিমেটাম কেন দেওয়া হচ্ছে না সরকারকে?
আমার অনুরোধ, কাল যদি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতেই হয় সবার, কেবল ফাঁসির দাবী করবেন না, দিন “শুধু ফাঁসিই না, জামাতের সমূলে উৎপাটন চাই”।
হতাশ হচ্ছেন? হতাশার কিছু নেই। ভয় পাচ্ছেন? জানি, কঠিন একটা সময় যাচ্ছে, তবু বলি, দেশটা আমার, আপনার। একটু চোখ খুলে তাকান, আসুন না, এই ভাষার মাসে আরেকটু প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাই। দেশ বদলাবেই, এই আপনার, আমার দ্বারাই।
অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরণ-
কান্ডারী, আজি দেখিব তোমার মাতৃ-মুক্তি-পণ …
কে আছো জোয়ান, হও আগুয়ান, হাঁকিছে ভবিষ্যত,
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।।
প্রথম কথা
সিম্পল ২ টা দাবি। যদিও একটা দিয়ে শুরু কিন্তু অন্যটা অবধারিত।
#১) রাজাকারদের ফাঁসি। যেই জন্য আমরা গেছি
#২) জামাত নিষিদ্ধ
কিন্তু যেটা দেখতে পাচ্ছি জামাতকে কেন্দ্র করে লীগ আসলে পরের বার ক্ষমতায় আসতে চাইতেছে। দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাকিরা
একজন ব্লগার খুন হলেন। তার ব্যাপারে দাবি দাওয়াও তোলা হচ্ছে না।
এই আন্দোলনের সামনের লোকগুলার সমস্যা কী?!
স্বভাবতই, ট্রাইবুনাল আইন সংশোধন করতে হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে। এখন, একটা সচল রাজনৈতিক দল (হোক না যতই জনবিচ্ছিন্ন) নিষিদ্ধ করার জন্য সাংবিধানিকভাবে অপর একটা রাজনৈতিক সরকারের কতটা এখতিয়ার আছে? আমার মনে হয়, স্বাধীনতার বিরোধীতা করা এই রাজনৈতিক দলকে আইনগত প্রক্রিয়াতেই নিষিদ্ধ করার রায় আনতে হবে। এবং সে জন্য কাউকে (সেটা সরকার হোক কিংবা অন্য কেউ) আদালতের কাছে যেতে হবে। এটাই সোজাসাপ্টা পথ।
কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলো, প্রধানমন্ত্রী ব্লগার রাজীবের বাসায় গিয়ে বড় বড় কথা বলে আসছেন, তার মন্ত্রী সংসদ-সদস্যরা প্রচার-মাধ্যম কাঁপাচ্ছেন, কারো কোন বাস্তব নড়চড় দেখা যাচ্ছে না।
শাহবাগ আন্দোলন সেদিনই পথ হারিয়েছে, যেদিন সরকারী মানুষজনকে এর মঞ্চে আসতে দিয়েছে। বাকি যেটুকু কাজ ছিল, সেটুকু আবেগী জনতা আর কৌশলী রাজনীতিকরা, নানান অনিশ্চিত বিষয়াদিতে বিভেদ তৈরীর মাধ্যমে করে দিয়েছে।
( শাহবাগের প্রচার পত্রে দেখলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি কোচিং ওমেকার নামও দেয়া হয়েছে, কিভাবে সেটা জানা নেই।)
জনতার কাজ ওঝাগিরি নয়। বরং, ভন্ড ওঝাদের মুখোশ টেনে খুলে, ভুত তাড়ানোর সব ধরনের ব্যবস্থা করা। সরষের মধ্যে যে ভুত, তাদের তাড়াবে কে?
চমৎকার মন্তব্য এইটা, কিন্তু সর্ষের মধ্যে ভূতের ভয় আর কত? এই যে, সরকারের নড়চরের অভাব, মানুষের বিভক্তি, রাজনৈতিক কূটকৌশল এ সমস্ত কিছুকে মাথায় নিয়েই তো আন্দোলন শুরু হয়েছিল… এ দেশের জন্মই তো আন্দোলনের উপর… তাই, হতাশা নয়, বরং আরও একটু ইচিবাচকতা ও একতা দরকার… জনতার কাজ ভন্ড ওঝাদের মুখোশ টেনে খুলে, ভুত তাড়ানোর সব ধরনের ব্যবস্থা করা – খুব ঠিক 😀
:S
রাজনীতি বুঝি না।
কিন্তু এটুকু বুঝি, দিনশেষে সবাই ক্ষমতার রাজনীতিই করে! মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি বিশেষ দল যতই আবেগ দেখাক না কেন, আদর্শগত দিক দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সমকালীন নেতাদের দৃঢ়তাকে কেবল অপমানই করে চলেছে তারা, চেতনা বুলি মুখে মুখেই কেবল, তাও ক্ষমতা পাবার হাতিয়ার হিসেবেই। আদর্শ বলে একটা শব্দ সেই আমলের রাজনীতিতে ছিল, এখন আর নাই।
ব্যান করে ব্যালট খোয়ানোর রিস্ক নেয়ার মত মনের জোর ইনাদের নাই বলেই আমার ধারণা। :S
রাজনীতিতে আখেরে লাভের জন্যই সব হিসেব কষা হয়, এইক্ষেত্রে সহমত প্রকাশ করছি বোহেমিয়ান রাইয়্যানের সঙ্গে
জামাত শিবির নিয়ে লেবু তো কম কচলানো হচ্ছে না। কিন্তু সরকার তো কোনই সল্যুশনে আসছে না। শাহবাগ আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে এখনো জাশিরা ইন্ধন যুগিয়ে যাচ্ছে। সচেতন আপনাকে, আমাকে এবং সমগ্র জাতিকেই হতে হবে এবং প্রতিবাদ করতে হবে। জাশিদের শিকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে।
যেখানে যেখানে যে যে যেইভাবে পারি, প্রতিবাদ করবো। অনলাইন, অফলাইন, মিডিয়ায়, পাড়ায়, রাস্তায়, রিকশায়, বুঝিয়ে, লিখে – যেভাবেই হোক… শিকড়সহই উপড়ানো দরকার… নাউ অর নেভার… এবার না হলে কখনওই হবে না
আমাদের দাবী খুব স্পষ্টঃ ১) রাজাকারদের ফাঁসি; ২) জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। আওয়ামী লিগকে বলছি এই আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করবেন না। যা করার আন্তরিকভাবে করুন তা না হলে আখেরে ভালো হবে না। অনেক গড়িমসি আর চালাকি করেছেন, এবার ক্ষেমা দেন।
আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বেশি প্রত্যাশা করে কোন লাভ নাই। সরকারকে আল্টিমেটাম দিতে হবে। একটা সময় বেঁধে দিতে হবে। সরকারকে বাধ্য করতে হবে, জামাত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করতে। সরকার সাহস না পেলে প্রয়োজনে গণভোটের মাধ্যমে ওদের রাজনীতি বন্ধের ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে হবে।
সহমত আপনার সঙ্গে ভাই
নাকের সামনে মূলো ঝুলিয়ে কতদিন ?? তেনারা টের পাচ্ছেন না অথবা চোখে টিনের চশমা পড়ে আছেন ।
সব কথার শেষ কথা একটাই
জামাত নিষিদ্ধ
এবং রাজাকারের ফাঁসি চাই ।
সময়ের একটাই দাবী, ধর্মব্যবসায়ী-যুদ্ধাপরাধী দলটার মূলোৎপাটন চাই।
মূলা ঝুলানোর রাজনীতি আর না !
সহমত। একটা ছোট্ট ঘটনা বলি। এখানে (ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনাতে) একটা ভাইয়া পিএইচডি করছেন, দেশে গিয়েছিলেন জানুয়ারিতে। ফিরেছেন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। দেশের শেষ ক’টা দিন কাটিয়েছেন শাহবাগে। ওনাকে পেলেই গল্প শুনি শাহবাগের। এত অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করে! উনি বলছিলেন, ‘ আমরা তো কত অনুষ্ঠানেই গেছি ঢাকাতে। কত বড় বড় জমায়েতও দেখেছি। কিন্তু এমন কখনও দেখি নি। সবার ভেতরেই যেন আলো।’ প্রজন্ম চত্বর আমাদের অনেক সাধের, অনেক ভালোবাসার তীব্রতার। এতখানি আবেগ নিয়ে, এত আগুন নিয়ে বাঙালি আমাদের সময়ে আর একাত্ম হয়েছে বলে মনে পড়ে না! এই আগুনেও যদি রাজাকার আর ওদের আদর্শিক বংশধরগুলোকে ধ্বংস করে না দেওয়া যায়, তাহলে একটা বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। যে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের কূটনৈতিক বিবেচনায় জামায়াতকে ঘাঁটাতে চাইছে না, সেই আওয়ামী লীগ একদিন অস্তিত্বের সংকটে পড়বে এদেরই কারণে- এই সহজ ভবিষ্যত তাদের এখনই দেখতে পাওয়া উচিত!
ধর্ম ব্যবসায়ীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিটা আরও আরও জোরালোভাবে তোলা উচিত প্রজন্ম চত্বরে। ২১ ফেব্রুয়ারি বিশাল একটা জনসমাগম হবে সেখানে আশা করা যায়। এখান থেকে জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার আরও কঠিন আলটিমেটাম দেয়া উচিত আন্দোলন সংগঠকদের। বেলুন জাতীয় কর্মসূচী আন্দোলনকে দুর্বল করে ফেলবে। নইলে আন্দোলন ঝিমিয়ে পড়লে সরকার সুযোগ পেয়ে যাবে।
😀
একেবারে ক্লিয়ার কাট করে আমার পয়েন্ট অফ ভিউ বলি ? আমি এখনও হতাশ নই।
নিজামি, সাইদী, মুজাহীদ – এদেরকে গ্রেফতার করলে, রাজাকারের বিচার শুরু করলে বোমাবাজি করে দেশ উড়ায় দিবে, মিডল ইস্ট চাপ দিবে আরও কতো কী আশংকাই না ছিলো ! সরকার কি করলো? ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় প্রথমে তাদেরকে আটক করলো। তাদের দলীয়শক্তি তখন তখনই হামলার পথ বেছে নেয়নি, তারা ধরেই নিয়েছিলো এই মামলায় তাদের কিচ্ছু যায় আসবে না। আস্তে আস্তে তাদের যুদ্ধাপরাধীর মামলায় ঢোকানো হয়। এবং বিচার কিন্তু শুরু হয়েছেও, রায় হয়েছেও ২টার, যদিও একটি নিয়ে জাতি খুশী না।
এই কথা গুলো কেনো বললাম? কারণ যখন ধর্মীয় অনুভুতির মামলায় তাদেরকে আটক করা হয়, সেদিন অন্য সবার মতো আমিও ফেসবুকে খুবি চিল্লা ফাল্লা করেছিলাম যে এইরকম চিহ্ণিত রাজাকারদের এই মামলায় আটকাবার মানে কী ! আমি ট্রীকটা ধরতে পারিনি তখনও। আর এ কারণেই আমি এখন ও হতাশ হচ্ছি না, আমি আশা রাখছি, হয়তো সরকার অন্য ভাবে চিন্তা করছে, নিষিদ্ধ জামাত হবেই, তবে এক্সপেক্টেড কোন এপ্রোচে না।
হোপ ফর দি বেস্ট !
হতাশ আমিও নই … লেট আস হোপ ফর দ্যা বেস্ট 🙂
আন্দোলনের মাধ্যমেই সব এক ধাক্কার পালটে যাবে সেটা নয়। কিন্তু একটা প্রক্রিয়া তৈরি হবে, একটা আইনী সংশোধন, একটা গঠনগত বিচার কাঠামো- এইসবই গড়ে উঠবে আন্দোলনের দাবীতে। এখন প্রশ্ন হলো, কতদিন পর্যন্ত সময় লাগবে বা আর কত কর্মসূচী দিতে হবে। চমক ভাইয়ার মন্তব্যের সূত্র ধরে বলি- আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী ব্যক্তিবর্গের সত্যিই উচিত কঠিন কর্মসূচী দেয়া- এটা আমারও মনে হয়েছে। যেটা সাধারণকে উদ্বুদ্ধ করবে, আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে। কোন কর্মসূচীই শতভাগ মনঃপূত হবে- এমনটা নয়। কিন্তু বেশিরভাগ জনগণ যদি কোন কর্মসূচীর বিরোধিতা করে তাহলে বুঝতে হবে সেখানে গণমানুষের দাবীর চেয়ে রাজনৈতিক চাহিদাই প্রকট ছিল। দুই-দুইবার কিন্তু এইরকম দৃশ্য আমরা শাহবাগে দেখে ফেলেছি- সময় বেঁধে দেয়া আর বেলুন ওড়ানোর কর্মসূচীতে।
সোজা প্রশ্নগুলোর উত্তর তখনই পাবার সম্ভাবনা থাকবে যখন আন্দোলন একটা ধ্রুব বেগে সামনে এগিয়ে যাবে। রাজনৈতিক চেতনার বাইরেও গণমানুষের চেতনার প্রতিফলন ঘটবে। তা না হলে রাজনীতির মারপ্যাঁচে আমাদের স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হতে সময় নেবে না। আমাদের সহজ দাবীর সহজ বহিঃপ্রকাশই এখন কাম্য। বহিঃপ্রকাশ অস্বচ্ছ হলে, সেটা নিয়ে প্রশ্নও তুলতে হবে, সেভাবেই এগিয়ে যাওয়া উচিত।
একদম ঠিক কথা … একটা ব্যাপার, একটি সতেজ আন্দোলনকে এভাবে যতই দীর্ঘায়িত করা হবে এর স্বচ্ছতা তত প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে আমি মনে করি। আপনি, আমি কয়জনের মুখ বন্ধ করবো?
আন্দোলন চলবে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত, তবে সেটাকে এখন একটু গিয়ার আপ করার সময় এসেছে … না?
একমত।
আন্দোলন দীর্ঘায়িত হলে দুর্বল হয়ে যায়, এর প্রমাণ আগেও দেখেছি। এই জন্যই আশঙ্কা। এবং সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এমন সূক্ষ রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ দেওয়া হয়, যেটা সাধারণ মানুষের অরাজনৈতিক মাথায় ঢুকতেই অনেক বেশি সময় লেগে যায়।
আসলে যে ভালো সে তো সবসময়েই ভালো। নিজের অপরাধে যে চোখ বন্ধ করে থাকে সে অন্যের বেলায় ১০০% সুবিচার করবে – এমন আশা করাটাও হয়তো আমাদের জন্য বোকামি।
“নিজের অপরাধে যে চোখ বন্ধ করে থাকে সে অন্যের বেলায় ১০০% সুবিচার করবে – এমন আশা করাটাও হয়তো আমাদের জন্য বোকামি।”
আন্দোলন দীর্ঘায়িত হলে দুর্বল হয়ে যায় , সামিরাপুর সাথে সহমত !
আজকে তো শাহবাগ ছেড়েই দেয়া হলো।
শেষ ক’টা দিন খুব হতাশ হয়ে যাচ্ছিলাম। সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক না সেটা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে কে বোঝাবে?!
তবে, এই আন্দোলনের প্রাপ্তি, তরুণদের ব্যপারে আশা বৃদ্ধি। এমন তরুণরা থাকলে দেশটা এগিয়ে যাবেই।
এদেশের রাজনীতি নিয়ে একটু বেশিই হতাশ হয়ে যাচ্ছি।
একটা কথা, কেনই বা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাটি ছেড়ে দেয়া হবে? আলটিমেটাম সে যখনই হোক … এদ্দিন তাহলে মানুষ কীসের জন্যে আন্দোলন করলো? আর, হয়ত এখনই শেষ ধরে নেয়াটাও ঠিক না, হয়ত কিছুটা গুজব (একটা ভিডিও দেখলাম শেয়ার দেয়া হয়েছে ফেবুতে – https://www.facebook.com/photo.php?v=10200126488718801)
কোনো কনক্লুশনে আসার আগে একটু অপেক্ষা করি?
এটা কিন্তু দুই দিন আগের লেখা … তখন কিন্তু এই জিনিসটা একটা মুখ্য ইস্যু ছিল যে, কবে আল্টিমেটাম দেয়া হবে, আন্দোলনের মোড় কোনদিকে ঘুরবে …
আর, এই আন্দোলনের প্রাপ্তিটাই হচ্ছে, নতুন করে তারুণ্যের চোখে, তারুণ্যের চোখ দিয়ে দেখা আশার বার্তা
পুরো প্রেক্ষাপটই বদলে গেছে।
১৭ টা দিনের, ৪০৮টা ঘন্টার অহিংস আন্দোলনের জবাব ‘The Traders of Religion’রা যেভাবে দিলো…
তবে জানি, আলো আসবেই!!
আন্দোলনটা অনেক অনেক বেশি শক্ত হওয়া দরকার ছিল … এখনও দরকার