গজিনীতে কখনও বেড়াতে গিয়েছেন?যদি আপনার উত্তর হয় না ,তবে এই লেখাটি আপনার জন্যই।শেরপুর জেলা থেকে ১৫কিমি দূরে অবস্হিত গজিনী এমনই একটি জায়গা, যেখানে গেলে আপনি এর প্রেমে পড়ে যাবেন।কারন মায়াময় পাহাড় আর সবুজ গাছগাছালি মিলে এক অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য সৃষ্টি করেছে যা খানিকক্ষন আপনাকে মোহগ্রস্ত করে রাখবে।পুরো নাম গজিনী অবকাশ কেন্দ্র।এই ফাকে আমাদের নিজেদের কথা কিছু বলি।আমরা পাঁচ বন্ধু (মেহেদি,জাকারিয়া,হাসান,ফারূক ও আমি আল আমিন)শরতের এক সুন্দর সকালে হুট করেই বেরিয়ে পড়েছিলাম গজিনীর পথে। যদিও পরে বৃষ্টি এসেছিল এবং রীতিমত কাকভেজা হয়েছিলাম সবাই।
বাসে যেতে যেতে বেশ মজার কিছু ঘটনা ঘটেছিল।যেমনঃ একটা জায়গায় এসে সিট না পাওয়া এক শিশুকে আমাদের একবন্ধু যেভাবে আদর করে জড়িয়ে তার সিটে বসে রেখেছিল,তাতে আমাদের তখন মমতাময়ী নারীর (!)কথা মনে পড়ছিল।মানহানীর মামলা হতে পারে ভয়ে তার নাম লিখলাম না।
অবকাশ কেন্দ্রে ঢুকেই আপনার চোখে পড়বে দীঘির পাশে রোদ পোহানো মত্স্যকন্যার উপর।ঢেউ খেলানো আদুল দেহের মত্স্যকন্যাকে দেখে আপনার ভ্রমনক্লান্তি একদম চলে যাবে।এবার পাহাড়ের কাছে ফিরে আসি।ঘনসবুজের আচ্ছাদনে ঢাকা পাহাড়গুলো সান্ত্রীর মত পাহারা দিয়ে রেখেছে মাঝের সমতল জমিগুলোকে।পাহাড়ের চূড়ায় উঠা বেশ কষ্টের।তবে যদি একবার উঠতে পারেন তখন দেখবেন সীমান্তবর্তী মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়গুলো। দুর্বল পর্যটকদের জন্য ওয়াচ টাওয়ারেরও ব্যবস্হা আছে এখানে ।
পাহাড়ের চূড়া থেকে তিরতির করে পড়া স্বচ্ছ জলের ধারা সৃষ্টি করেছে ছোট ঝরনার।এটা আপনাকে পাগল করে দেবে।চূড়া থেকে নেমে শাঁসওয়ালা ডাব খেতে ভুলবেন না যেন!এখানকার স্বাধীনতা-৭১স্মৃতিস্তম্ভ দেখে আপনার মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে পড়বে।এছাড়া স্পটে অনেক পঙ্খিরাজ ঘোড়ারও দেখা মিলবে।সওয়ার হতে পারেন এদের পিঠে।ঘোড়ারপিঠে উঠে আমার মত আপনারও মনে হতে পারে- ‘ঘোড়ায় চড়িয়া মদ্দ হাটিয়া চলিল’..।ও হ্যা,ফেরার আগে অবশ্যয় একবার পাতালপুরী দেখে যাবেন।এই রহস্য আর আমি উন্মোচন করছি না।নিজে গিয়ে আবিষ্কার করুন।
পাঠক গজিনী থেকে আপনাকে এখন নিয়ে যাচ্ছি মধুটিলা ইকোপার্কে।কাছেই এর অবস্হান। ৫০০একর জমিতে থাকা পাহাড়ের উপর বাহারি গাছের সমাহার আপনাকে মুগ্ধ করবে।খাড়া সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে উঠতে আপনার তেষ্টা পেলেও কোন অসুবিধা নেই।সেখানে পাবেন সামিউলের লেবুর শরবত।স্বাদটা জাস্ট অসাম! এখানেও ওয়াচ টাওয়ার আছে।তবে এই ওয়াচ টাওয়ারে সম্ভব হলে অবশ্যই একবার উঠবেন।না হলে আমাদের মত পস্তাতে হবে। আমার বন্ধু যারা সেই টাওয়ারে উঠেছিল ,তাদের কথা অনুযায়ী, আমরা যারা উঠিনি,তারা নাকি ব্যাপক মিস করেছি।সেটা শুনে অবশ্য মুখে অনেক হম্বিতম্বি করলেও মনে মনে কিন্ত অনেক আফসোস করেছি। বিভিন্ন জাতের গাছপালা সমৃদ্ধ নয়নাভিরাম প্রকৃতি আপনার অন্তরকে কানাই কানাই পূর্ণ করে দিবে।এখানে দাড়িয়ে যেমন নির্জন প্রকৃতিকে প্রাণভরে দেখতে পাবেন, তেমনি সাথে বোনাস হিসেবে ঠান্ডা বাতাস আপনার মনে শিহরন যোগাবে।আল্লাহপাকের এই সমস্ত নিদর্শন দেখে আপনার মনে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় ভরে যাবে।অবশেষে ফেরার পালা চলে এল।
বিদায় গজিনী,বিদায় মধুটিলা। আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
.
ভাই ফ্রথমে তো ভেবেছিলাম এটা নিশ্চয় আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশ,
অতপর বুঝলাম এটা বাংলাদেশ।। :thinking:
ধন্যবাদ এদেশের গজনির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য…
ভাবছি বেড়িয়ে আসবো একসময় :happy:
* প্রথমে
অনেক ধন্যবাদ।আপনাকে স্বাগতম http://shorob.com/wp-includes/images/smilies/icon_happy.gif
যেতে হবে তো! জানান দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আর আমি নিজেও ভেবেছিলাম আফগানিস্তানের কথা হচ্ছে। 😛
আপু কাঁচা হাতের লেখা তো ,সে কারনে প্রথমে বোধহয় বোঝাতে পারি নি!http://shorob.com/wp-includes/images/smilies/icon_sadfinal.gif
ইমোগুলো লিংক আকারে দেখাচ্ছে কেন? 😳
:welcome:
বেড়িয়ে আসার ইচ্ছা আছে 😀
আর বিবিধ বিভাগে ট্যাগ না করে আরও বিষয়ে ট্যাগ করতে পারেন
এবং বিরাম চিহ্নের দিকে একটু লক্ষ্য করুন
যেমন । পরে স্পেস দিতে হয় আগে না
আশা করি নিয়মিত লিখবেন 😀 😀
ইশ, আমার তো এখনি ঘুরে আসতে ইচ্ছা করছে! 🙁
আপু, পুরো লেখা একটা প্যারায় না দিয়ে কয়েকটা প্যারা করে দিলে পড়তে সুবিধে হয়। এটা একটু মাথায় রেখে লিখলে আশা করি আরো সুখপাঠ্য হবে আপনার লেখা। 🙂
আমি ভাইয়া।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আমি চেষ্টা করব।
উপস!
শুকপাখি নামটা মেয়ে মেয়ে দেখে ভাবলাম…
দুঃখিত ভাইয়া! 🙁
না, ঠিক আছে আপু।অসুবিধা নেই।আমি কিছু মনে করিনি।