ভালোবাসারা বরাবরই অজস্র কান্নার জন্ম দেয়

মানুষ চাইলেও কখনো কখনো জীবনকে পরিবর্তন করতে পারে না, আকাশের মত করে সেখানে মেঘ জমে বৃষ্টি ঝরে আবার রোদ খেলা করে। মানুষ জীবটা বড্ড অদ্ভুতরে খুকি। আমি পৃথিবীর তাবৎ নিয়ম থেকে মুক্ত। তাই হয়তো এতোটা গভীর ভাবে তোর কিংবা তোদের উপলব্ধিগুলো অনুভব করি।

পুতুল খেলার দিন শেষ। দিন শেষ অনেক কিছুরই, কিন্তু যে নিয়মের দিনে তুই আবদ্ধ হচ্ছিস তাও কিন্তু অনিশ্চিত নিশ্চয়তার দিন। সেটা উপেক্ষা করার শক্তি কার আছে?

বাবা-মা যে সন্তানের জন্য নিজেদেরকে কুরবানী করলো সে সন্তানও তার বাবা-মায়ের জন্য কুরবানী করবে। এটাই তো সুসন্তানদের কান্ড।

কারো চোখে হয়তো আর সমুদ্র দেখা হবে না। কিন্তু ভয় পাবি না, আস্ত একটা সমুদ্রই তোর হবে। অন্য কোন সমুদ্রের প্রয়োজন হবে না। হয়তো কারো অন্তরে আকাশের ঘ্রাণ পাওয়া হবে না, কিন্তু মনে রাখিস, একটি আস্ত আকাশ তোর হতে যাচ্ছে।

হয়তো কারো ছল করে দেখা আড় চোখে সবুজ পৃথিবী আঁকা হবে না, কিন্তু দেখিস– আস্ত একটি পৃথিবী তোর হবে।

ভালোবাসারা বরাবরই অজস্র কান্নার জন্ম দেয়। আর কান্নারা জন্মদেয় ভালোবাসার। সুতরাং ভাবনা কিসের? পুরো দুনিয়াটাই তোর, নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে যা। ভগ্নাংশের ভালোবাসার চেয়ে পূর্ণতারাই হোক সঙ্গী।

অহনিশ সম্পর্কে

আলো কি কখনো অন্ধকারে পথ হারায়??
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে চিন্তাভাবনা, পাগলামি, হাবিজাবি-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

26 Responses to ভালোবাসারা বরাবরই অজস্র কান্নার জন্ম দেয়

  1. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    কোন কারণ ছাড়াই হুট করে মনে হলো, পুরো লেখাটা বুঝি বা আমার জন্যই লেখা! শুধুমাত্র আমার জন্য!

    কী অদ্ভুত একটা অনুভূতি!

    তবে এত ছোট পোস্ট!
    মুক্তগদ্য পড়তে আমার এত ভালো লাগে, তাই এই ছোট লেখা পড়ে সত্যিকার অর্থে মন ভরলো না। সামনেরবার থেকে আরো বিশাল বিশাল মুক্তগদ্য চাই।
    সামিরার পরে এই সরবে তাহলে আরেকজন ভালো মানের মুক্তগদ্য লেখক পাওয়া যাবে- আশা করছি। 😐

    :welcome:

    • অহনিশ বলেছেনঃ

      সরবকে দেখে আসছি সেই অনেকদিন আগে থেকেই, মনের মাঝে ইচ্ছে ছিলো লিখবো, কিন্তু সবার এত এত জ্ঞান দেখে সংকটে আবর্তিত হয়েছি বারবার। ভেবেছি কি লিখবো?? কিভাবে লিখবো। নিজেকে অপাংক্তেও মনে হয়। কি সব অসাধারণ মনমুগ্ধকর লেখা, অবাক ভাবালুতায় নিজেকেই যেন হারিয়ে ফেলি বারংবার।

      তোর কমেন্ট পেয়ে খুশিতে আটখানা, এই ব্লগে আমার প্রথম লেখায় কেউ কমেন্ট করলো। আর সামিরার লেখার সাথে আমরটা বলেছিস তাই ক্ষেপে গেলাম। তাঁর লেখার মত অনিন্দ্য লেখা আমি বহুকাল পড়িনি।

      এই দুনিয়াটা অসম্ভব রকমের সুন্দর রে।

      • ফিনিক্স বলেছেনঃ

        আর সবার জ্ঞানের ভাণ্ডারের কথা জানি না, কিন্তু আমার জ্ঞানের ভাণ্ডার অত আহামরি কিছু না। উলটো অনেক বিষয়ে তা তোমার থেকে কম। 😛

        সরবের মূল শক্তি তারুণ্য আর পরিচ্ছন্ন প্ল্যাটফর্মে ইতিবাচকতা ছড়ানোর প্রয়াস। এমন প্ল্যাটফর্মে নিজেকে ‘অপাঙতেয়’ মনে করার কোন কারণই দেখি না। সেটা মনে হলে বরং সরব পরিবার অনেকখানি কষ্ট পাবে পরিবারের একজনের এমন মন্তব্যে। 🙁

        সামিরা পিচ্চি মেয়ে। তাকে চন্দ্রবিন্দুতে ভূষিত করায় খুশিও হয়েছি, অবাকও হয়েছি! 😛

  2. অনুজ বলেছেনঃ

    “নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে যা। ভগ্নাংশের ভালোবাসার চেয়ে পূর্ণতারাই হোক সঙ্গী।”

    এত ছোট লেখা কেন?

    ফিনিক্স আপু বলেছেন, “মুক্তগদ্য পড়তে আমার এত ভালো লাগে, তাই এই ছোট লেখা পড়ে সত্যিকার অর্থে মন ভরলো না। সামনেরবার থেকে আরো বিশাল বিশাল মুক্তগদ্য চাই।”
    বিশাল কিছু চাই…

    • অহনিশ বলেছেনঃ

      বিশাল?? এই তরিৎ উৎকর্ষের সময়ে বিশালের বিশালতাই তো ক্ষুদ্র হয়ে গিয়াছে।

      আমরা এখন আর ঘন্টা দিন গুনিনা, ন্যানো সেকেন্ডের দুনিয়ায় সবার পর্যাপ্ত ধৈর্য হবে তো এইসব অতল শাব্দিক আস্ফালনে সামগ্রীক নজর বোলানোর?

  3. অবন্তিকা বলেছেনঃ

    অল্প কথায়ও কত কিছু বলা হয়ে যায়! ভাল লেগেছে। তবে আরেকটু বড় হলে আরো ভাল হতো। শুভ কামনা। :welcome:

  4. সুহৃদ বলেছেনঃ

    শেষ লাইনটা কলেবরে ছোট, কিন্তু কি বিশাল অর্থবহ !

    ভালো লেগেছে । 🙂

  5. একুয়া রেজিয়া বলেছেনঃ

    প্রিয় অহনিশ,

    ফিনিক্সের দেওয়া লিংক থেকে তোমার লেখাটি পড়তে আসা। পড়তে পড়তে কিছুটা ভাবুক হয়ে গেলাম। আমার কাছে মূলত ভালোবাসার অর্থ হলো “ভালোর মাঝে বসবাস”… কিন্তু আজকাল আবার মনে হয় ভালোবাসা হচ্ছে জানালা দিয়ে আসা এক পরশ ঠান্ডা বাতাসের মতো। যে কারো খুব ইচ্ছে করবে সেটাকে জানালায় ধরে রাখতে, কিন্তু কেউ বুঝবেও না কখন সেটা আসলো আর কখনই বা সেটা মিলিয়ে গেলো।

    ছোট্ট অথচ চমৎকার কিছু অনুভব ভরা লেখনী পড়ে খুউব ভালো লাগলো। ভালো থেকো। শুভকামনা।

    • অহনিশ বলেছেনঃ

      ফিনিক্সের প্রতি কৃতজ্ঞ, আপনার মূল্যবান মন্তব্যের পরশে নিজেকে আবিষ্কার করলাম কিছুটা ভিন্ন রকমের ভালবাসার সংজ্ঞায়। ঠিক, ভালবাসার হাওয়াটা খুব মৃদু, যা ঘাড়ের পেছনের ছোট-চুলগুলোকে শিরশিরে একটা অনুভূতি জাগিয়ে সামান্য কম্পিত করবে। টেবিলে থাকা দু’চারটা কাগজকে এলোমেলো উড়িয়ে দেবে।

      হয়ত পুরাতন পাণ্ডুলিপির দু একটা কবিতার ঘ্রাণ থাকবে সেই বাতাসে কোন ফরাসি সুগন্ধির মত। মৃতের মত অতৃপ্ততায় কেউ বা নির্লিপ্তই রইলো, তাতে কি!

  6. এখনও শিশু বলেছেনঃ

    :welcome:

  7. তুসিন বলেছেনঃ

    এতছোট কয়েকটি লাইন পড়ে এত বড় অনুভূতি যতদূর মনে পড়ে আগে কখনো হয় নি ।

    :welcome:

    • অহনিশ বলেছেনঃ

      অনুভুতির অনির্দিষ্ট কাণ্ডকারখানাগুলো এরকমই অদ্ভুত, কখন কোন কথায় যে সে তীব্র ভাবে জলোচ্ছাস জেগে উঠে উপকূলের ভাবনার বসতকে এলোমেলো করে দেয় সেটাই আসলে অবাক করা বিষয়।

  8. মুবিন বলেছেনঃ

    দারুণ লাগলো। বাঁধাই করে রাখার মতো লাইনগুলি।

    • অহনিশ বলেছেনঃ

      হয়ত তাবৎ সৌন্দর্যের আকাঙ্ক্ষিত প্রচেষ্টাগুলো সুপারির বাদামী লাল খোলসের মত চকচকে আর দিগন্তে দাঁড়ানো তালগাছের মত মনোমুগ্ধকর যে সেগুলো বহুকাল মানস-পটে বাঁধাই করে রাখলেও তৃপ্তি মেটে না। আমিও দিনে দিনে আগ্রহী হই এই অবারিত সৌন্দর্যের শব্দ সেলাইয়ের আনাড়ি প্রচেষ্টাকে অব্যাহত রাখার প্রয়জনে।

  9. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    লেখা পড়ে তো আপ্লুত হয়ে নিচে নামতে নামতে মন্তব্যগুলো দেখছিলাম।”ভালবাসার হাওয়াটা খুব মৃদু, যা ঘাড়ের পেছনের ছোট-চুলগুলোকে শিরশিরে একটা অনুভূতি জাগিয়ে সামান্য কম্পিত করবে। টেবিলে থাকা দু’চারটা কাগজকে এলোমেলো উড়িয়ে দেবে।” এত সুন্দর সুন্দর কথা কেমনে লেখে মানুষ ? এই কথাগুলো বাঁধাই করে রাখার মত !

    সরবে সুস্বাগতম জানাই এমন একজন অসাধারণ মানুষকে… 🙂

    • অহনিশ বলেছেনঃ

      আমি তো ঠিক প্রতিটি চলমান মানব প্রাণের মতই খুব সাধারণ একজন। কেবল হয়ত কবরের মত নিথর হয়ে থাকি ভাবনার প্রলয়ে, অথবা সুনামি হই কোন নীরব জলাধারের নিকটে। কিংবা অনাগত সময়ের ভীরে অস্তিত্বের পর্যাপ্ততা খুঁজে যাওয়া একজন শুধু মাত্র।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।