একটা রিক্সা অনুসরন করে ছেলেটার বাদামী চোখ জোড়া।
রিক্সার এক কোন ঘেঁষে এক টুকরো বেগুনী রঙের দুরন্ত সঞ্চালনে
যেন তার পাঁজর এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায়।
পৌষের পরে আসা কোন এক দুপুরে
জনমানবশুণ্য পথের কোল ছুঁয়ে ছেলের বাতাস হতে ইচ্ছে করে খুব,
মেয়ের বেগুনী ওড়নায় লেপ্টে যাওয়ার আকুলতার গলাসম তৃষ্ণায়।
খুব অভিমান খেলে যায় বুকের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে, এক মুহূর্তে
টেনে ছিঁড়ে ফেলতে চায় সে চব্বিশটা শীতের যে কাঠিন্য
তার চোখে মুখে ধারন করে এসেছে।
খুব ইচ্ছে করে বলতে, “মেয়ে আজ খানিক দেরি করে যাও।
আজ আমার আকাশ বেগুনী হয়ে যাক,
চার চোখে দশ আঙুলে আজ ভরদুপুরে বাসর হয়ে যাক।
তোমার শীতল নাকের ডগায় আমার নিঃশ্বাস আছড়ে নতুন কোন গান ধরুক।”
হঠাত্ করে পরাজিত হতে ইচ্ছে করে ছেলের এক টুকরো বেগুনী রঙের কাছে।
বলা হয় না কিছু,
ছেলের নিঃশ্বাস মেয়ের প্রশ্বাসে পরিনতও হয় না,
রিক্সাটা কেবল এগিয়ে চলে, ঝাপসা হয়ে যায়।
পৌরুষের আঁচে এক প্রেমিকের ভালবাসা ঝলসে যায় পৌষের দুপুরে। ..
আজ আমার আকাশ বেগুনি হয়ে যাক……
পুরোটুকু পড়ে তবু কেন জানি বারবার এখানেই চোখ আটকে গেলো……
পাওয়া না পাওয়ার কষ্ট পাবার আগেই কেন জানি বিষণ্ণ হয়ে গেলো দুপুরটা……
দুর্দান্ত লিখা! ভালো লেগেছে……
থেঙ্কুস দাদা! 😀
বেগুনী, কেবল আকাশ বেগুনী হলো…
অসামান্য সুন্দর কবিতা।
আকাশ বেগুনী হলে তো সব কিছুতেই বেগু্নী আভা ছড়বে। 🙂 ধন্যবাদ! 🙂
খুব ইচ্ছে করে বলতে, “মেয়ে আজ খানিক দেরি করে যাও।
আজ আমার আকাশ বেগুনী হয়ে যাক,
এই লাইনগুলো বেশি ভাল লেগেছে…..
সুন্দর কবিতা। :love:
থেঙ্কুস! :happy:
পৌরুষের আঁচে এক প্রেমিকের ভালবাসা ঝলসে যায় পৌষের দুপুরে। >> এই লাইনটা এত অদ্ভুত কেন!
এই একটা লাইন কয়েকবার করে পড়লাম। প্রতিবারই মনে হলো, আগেরবারের থেকেও আরো একটুখানি দুঃখ যেন জমা হয়েছে এবারে লাইনটায়! একটা ছেলের জন্য ‘পৌরুষ’ কী কঠিন এক স্কেল! এই একই স্কেলে কি সত্যিই ভালোবাসার সবটা মাপা যায়?
কখনোই মাপা যায় না পু! কিন্তু জেদ করে গম্ভীর হয়ে চুপ থাকলে আর কী করা! 😐
🙁
😳
অনেক দিন পর তোর কবিতা 😀
হিহি! হুম দাদা। অনেক দিন পর… 🙂
খুব ইচ্ছে করে বলতে, “মেয়ে আজ খানিক দেরি করে যাও।
আজ আমার আকাশ বেগুনী হয়ে যাক,
চার চোখে দশ আঙুলে আজ ভরদুপুরে বাসর হয়ে যাক।
তোমার শীতল নাকের ডগায় আমার নিঃশ্বাস আছড়ে নতুন কোন গান ধরুক।”
কি লিখছেন আপনি…….
মাত্র ৩ মিনিট,কবিতা হলো শেষ,
অনেকদিন থাকবে মনে এই কবিতার রেশ…… 🙂
অসাধারণ :clappinghands:
🙂 🙂
অনেক ধন্যবাদ!
একটা টাইপো আছে ভাইয়া! ‘কি’ না, ‘কী’ হবে। 😛
অসাধারণ… এত সুন্দর লেখা!
শেষটুকু পড়ে যেন একটু কেমন জানিই হয়ে গেলাম!
কেমন হয়ে গেলি জানতে ইচ্ছুক! :happy:
কেমন… তা তো ঠিক জানি নাহ… 😐
জানলে বলিস কিন্তু! :callme:
যদি মনে থাকে আর কি… 🙂
:haturi:
কন্যা
ইহা কি লিখিলা ??
🙁
তুমি যাহা পড়িয়াছো কণ্যা! :penguindance:
কবিতা অতি ভাল পেয়েছি ! :love:
তোরে এক বাটি ধইনাপাতার চাটনি! :balancin:
খুব ইচ্ছে করে বলতে, “মেয়ে আজ খানিক দেরি করে যাও।
আজ আমার আকাশ বেগুনী হয়ে যাক,
ওমাগো! কি কথা লিখেছেন!
আপু খুবই উপাদেয় হয়েছে ।পড়ে ভালো লেগেছে।
থেঙ্কুস! থেঙ্কুস! :happy:
দুর্দান্ত !!! কত্তোদিন পরে অহনীলীয় কবিতা !!!!
এবং নিশমীয় মন্তব্য! 😛
“চার চোখে দশ আঙুলে আজ ভরদুপুরে বাসর হয়ে যাক।” :love:
:love: :love: