ভালোবাসি……

‘কালো যদি মন্দ হবে তবে চুল পাকিলে কান্দ কেন?’ হা হা হা

হাসিতে  গড়িয়ে পরে অর্ক। ওদিকে চোখের পানি মুছতে মুছতে স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করে অধরা।

অধরা,আমি তোমাকে ভালবাসি। কতোটুকু ভালবাসি তার ব্যাখ্যায় যেতে চাইছি না। তুমি দেখতে কালো ,হয়তো কিছুটা খাটোও কিন্তু আমি তো এ নিয়ে তোমাকে কখনোই কিছু বলি নি।তাহলে তুমি কেন এসব আজাইরা চিন্তা করে মন খারাপ করছ? আর এসব কথা কেউ যখন বলে তখন তোমার দায়িত্ব হচ্ছে তাদের কথা খুব মন দিয়ে শোনা।এমন ভাব নিবা যেন পরীক্ষার আগের রাতে কোন ফ্রেন্ডের কাছ থেকে শর্টকার্ট সাজেশন নিচ্ছ। মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনার পর যে কান দিয়ে শুনছো অপর কর্ণ দিয়া তাহা বাহির কইরা দিবা। মনে থাকবে তো?

আর বন্ধুরা যদি একটু আধটু দুষ্টামি না করে তাহলে করবে কারা? আমার ফ্রেন্ডরাও সবসময় এরকম দুষ্টামি  করে। ওদের কথায় মন খারাপ করলে কি চলে? গাধি মেয়ে কোথাকার।

অর্ক, আসলে ওরা তেমন কিছুই বলে না, শুধু বলে আমি না কি খুব লাকি। তুমি বুয়েটে পড়,খুব ভালো রেজাল্ট করছ, রাজপুত্রের মত দেখতে…

তা এতে মন খারাপের কি হল?আচ্ছা,এখন থেকে ওরা যাতে তোমাকে আনলাকি  বলে সেই ব্যাবস্থাই করব।পড়াশুনা করব না,সারাদিন ঘুরাঘুরি করবো।এতে একসাথে দুই কাজ হবে রেজাল্টও খারাপ হবে,রাজপুত্র ভাবও আস্তে আস্তে কেটে যাবে।আশা করি তখন ওরা আর লাকি বলবে না।এবার খুশী?

তোমার সাথে আমাকে আসলে মানায় না,তুমি অন্য কোন মেয়েকে আর কিছু বলতে পারলো না অধরা…

আর কখনো এ ধরনের কথা বললে এক থাপ্পর দিয়ে তোমার কালো গালে চকলেট texture এনে দেব!

চোখের কোনায় কয়েক ফোঁটা পানি জমে থাকলেও এবার না হেসে পারলো না অধরা। হাসি থামিয়ে বলল তা তুমি পারবে না, থাপ্পর দিতে হলে তো আগে তোমাকে আমার হাত ছাড়তে হবে, তাকি তুমি পারবে? পার্কে আসার পর থেকেই তো হাত ধরে বসে আছ!  বলেই আবার হাসতে শুরু করলো অধরা।

অবাক হয়ে অধরার হাসি দেখতে থাকে অর্ক।একটু আগে চিবুক বেয়ে গড়িয়ে পড়া লোনা জলের দাগ এখনো শুকোয় নি, শেষ বিকেলের আলোয় কান্না হাসির এই অদ্ভুত মিশেল প্রকৃতিও যেন উপভোগ করছে।

অর্ক নিজেও হাসছে, হাসছে এই ভেবে যে সে কোন ভুল করেনি একটা জীবন এই কালো মেয়েটাকে ভালবেসে পার করে দেয়া মোটেও কঠিন কিছু  নয়।

‘এই বাদাম,এই বাদাম’ বলে বাদামওয়ালাকে ডাক দিলো অর্ক। মামা দশ টাকার বাদাম দেন তো? মামা থাক, বাদাম লাগবে না।বাদাম খেতে ইচ্ছে করছে না, সরি  মামা, আপনাকে কষ্ট দিলাম। অধরা তুমি বাদাম খাবে? সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে জিজ্ঞেস করলো অরক।

‘না,আমারও বাদাম খেতে ইচ্ছে করছে না’ বলল অধরা কারণ অর্কের কেন বাদাম খেতে ইচ্ছে করছে না তা ও জানে; ওর হাত যে ছাড়তে ইচ্ছে করছে না অর্কের এবং এও জানে অর্ক পাশে না থাকলেও অর্কের  অদৃশ্য হাত সবসময় ধরে থাকবে ওর হাত!

অধরার চোখের কোণায় জমছে লোনা জল,ঠোঁটে স্নিগ্ধ হাসি এবং অস্ফুট স্বরে বলে উঠল ‘ভালবাসি’ । প্রকৃতি জানে এই কান্না-হাসির অর্থ।

 

অনিমেষ ধ্রুব সম্পর্কে

"You've gotta dance like there's nobody watching, Love like you'll never be hurt, Sing like there's nobody listening, And live like it's heaven on.'' অসম্ভব পছন্দ উইলিয়াম পার্কারের এই কথাগুলো! নিজের মত করেই নিজের পৃথিবীটা কল্পনা করে নিতে ভাল লাগে। ঔদাসিন্য,অলসতা শব্দ দুটি আমার সাথে বনে যায়। গভীর মনোযোগ কিংবা অসম্ভব সিরিয়াস মুড আমার কখনোই আসে না। একা অচেনা রাস্তায় অকারণে হাঁটতে ভালো লাগে, মানুষ দেখতে ভালো লাগে, ভাল লাগে কবিতা লিখতে...তবে স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখি আমার চারপাশে থাকা মানুষগুলোর জন্য কিছু একটা করার, দেশকে কিছু একটা দেয়ার। পারব কি-না জানি না, তবুও স্বপ্ন বুনে চলেছি নিরন্তর... http://www.facebook.com/kamrul.h.hridoy.3
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে গল্প-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

13 Responses to ভালোবাসি……

  1. অবন্তিকা বলেছেনঃ

    এত ছোট! 🙁

    কিছু টাইপো আছে ভাইয়া।
    ( যেমন: হাঁসিতে-হাসিতে,
    ন্ড-ণ্ড,
    করছ=করছো,
    তাকি-তা কি) …

    দাঁড়ি, কমা আর স্পেসিংয়েও অনেক গোলমাল! আর ইংরেজী শব্দগুলো চোখে লাগে।

    অনেক কিছু বলে ফেললাম। 😛

  2. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    প্যারা ঠিক মতো না দিলে ভালো লাগে না।

    গল্পটা আসলে দারুণ রোমান্টিক। কিছু কিছু জায়গা যদি লেখক নিজেই প্রয়োজনে রিরাইট করে দেখেন…দেখবেন কেমন লাগবে।

  3. মুবিন বলেছেনঃ

    শুরু হওয়ার আগেই শেষ!!!???!!! 🙁

  4. হৃদয় বলেছেনঃ

    আমি চেষ্টা করেছি ছোট গল্প লিখতে

    মনে হয় তা পারি নি 🙁

  5. হৃদয় বলেছেনঃ

    অবন্তিকা আপু,ভুল গুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক কথা বলতে হলেও বলবেন না হলে যে ভুলগুলো চক্রক্রমিক হারে বেড়েই যাবে বৈ কমবে না পড়তে বিরক্তি চক্রক্রমেই বাড়বে :p

    তাই অনেক কিছু বলায় কার্পণ্য বোধ করবেন না,এটাই আশা করি 😀

  6. হৃদয় বলেছেনঃ

    বোহেমিয়ান ভাইয়া,

    স্পেস দিয়ে,কিছু বানান ঠিক করে গল্পটা গুছানোর একটা ব্যার্থ চেষ্টা করলাম 😛

  7. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    স্পেসিং এবারে বেশ ভালো হয়েছে।
    তবে বাক্যের শেষ বোঝানোর জন্য বাংলায় ‘দাঁড়ি’ বলে একটা বিরাম চিহ্ন আছে কিন্তু। সেটার ব্যবহার একটু কম দেখলাম বলে মনে হলো। দাঁড়ির প্রতি এহেন বিদ্বেষের কারণ কী? 😛

    আরো একটু বড় গল্প হলে ভালো হতো।
    আরেকটু পড়ব বলে আশা করেছিলাম যে!

    ছবিটা কিন্তু চমৎকার!
    অদৃশ্য হাত ধরে এগিয়ে চলা- আমার দারুণ লেগেছে! :love:

    • হৃদয় বলেছেনঃ

      ফিনিক্সদি ‘এহেন বিদ্বেষের কারণ কী?’ পড়ে বাংলা সিনেমার একজন প্রথিতযশা খলনায়কের একটা সংলাপ মনে পড়ে গেল,

      ‘নো কোমা,নো সেমিকোলন, একদম ফুলস্টপ ……’ 8) 😛

      perfection শব্দটা আমার সাথে একদম যায় না। একটা একটা না গলদ থাকবেই 🙁 অবচেতন মনে দাঁড়ির প্রতি যে বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়েছে তা বুঝতে পারছি। আমি মনে হয় ওই ভিলেন আঙ্কেলের উল্টা 😛

      তবে গল্পটা ইচ্ছে করেই আর লম্বা করি নি।থাকুক না ফিনিক্সদির মনে একটু অতৃপ্তি :happy:

      শেষ কথাঃফিনিক্সদি বলে ডাকবো। কোন কারন ছাড়াই ফিনক্স বলার সাথে সাথে ‘দি’ শব্দটা চলে আসছে ……আজিব না? :love:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।