কেমন আছো নন্দলালের বাপ?
অনেকদিন পর তোমায় পেলাম,
তা কেমন চলছে তা বলো?
চলো,চায়ের টঙটায় বসে কথা বলি, চলো।
কী আর বলবো দুঃখের কথা,
বলার কিছু নাই।
আঠারো বছর হয় নাই তার,
তবু,এখনি বিয়ে করা চাই।
আরে নন্দের যে সুমতি হয়েছে,
বিয়ে করতে চায় নাকি?
উঠতি বয়স,একটু রঙতো মনে ধরবেই,
তবে দেখো, পড়ালেখায় যেন না দেয় ফাঁকি।
রঙ ধরুক,রঙের পুকুরে ডুব সাঁতার দিক,
আপত্তি ছিলো না তাতে,
তাই বলে ধোপার মেয়ে,শেফালী?
ওর বাপ যে সারাজীবন,
কামলা খেটেছে মোর ক্ষেতে!
ও! শেফালী ধোপার মেয়ে বলে,
তোমার পিত্তি যাচ্ছে জ্বলে?
দাঁড়াও- চা টা শেষ করে নিই,
আরে ভায়া- এতটা ক্ষেপলে কি চলে?
মানলাম ওর বাপ ধোপা,
এককালে কামলা খেটেছে তোমার ক্ষেতে।
কিন্তু সে তো সৎ,বলাইয়ের মত গরু চুরি করেনা।
তা সমস্যা কি বিয়ে দিতে?
শোন হে-
‘সবার উপরে মানুষ সত্য,তাহার উপরে নাই।’
তুমি,আমি,ধোপা,চাষা, সবাই সমান;
এটা অন্তর থেকে বিশ্বাস করা চাই।
ভাই নিখিলেশ, ক্ষমা করো আমায়,
বুঝতে পেরেছি মোর ভুল।
শেফালীর সাথেই দেব নন্দের বিয়ে,
শপথ নিলাম ধরে তোমার টিকির চুল!
হয়েছে,হয়েছে,তুমিও না…
চল উঠা যাক,চা তো হল শেষ।
নন্দের বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে কিন্তু ভুলোনা,
কবজি ডুবিয়ে,খাওয়া হবে বেশ।
মেসেজটা ভালো লেগেছে। 🙂
ধন্যবাদ আপু 🙂
বেশ মজার কবিতা আর ভেতরের চিন্তাটার জন্য স্যালুট! :huzur:
থিঙ্কু ফিনিক্সদি :love:
:love: