কেএফসির ফ্রাইড চিকেন, গ্রিল চিকেনের
লোভনীয় পোড়া গন্ধও তোমায় করে না তুষ্ট।
চোখ থেকে ক্ষণিকের জন্য সানগ্লাসটা সরিয়ে দেখো,
শুকনো মাটিতে ছেঁড়া কাপড়ে বসে থাকা টোকাইগুলোকে,
এরা বসে আছে ফ্রাইড চিকেনের উচ্ছিষ্ট হাড়গুলো খাওয়ার জন্য,
এদের চোখে মুখে নেই এতটুকোও কষ্ট।
মখমলের মসৃণ বিছনা,নরম বালিশে শুয়েও
তোমার রাত কাটে অনিদ্রায়,
সোডিয়াম ল্যাম্পের হলুদ আলোতে ইটের বালিশে
ঘুমিয়ে থাকা মানুষগুলোর দিকে একবার তাকাও,
কি পরম নিশ্চিন্তেই না এরা ঘুমায়।
Nokia Lumia-800 তোমার কাছে ব্যাকডেটেড মনে হয়,
প্রাইভেট কারের ডার্ক জানালা বেয়ে আসা ক্ষীণ সৌর রেখা
তোমার চোখে বড্ড পীড়া দেয়,
তাকাও মধ্যাহ্নের ঝাঁঝালো রোদে নিরন্তর ইট ভাঙতে থাকা
৭০ বছরের বৃদ্ধার সহস্র ছিদ্রের ছাতাটির দিকে,
বৃষ্টির ছাঁট,রোদ্রের তাপ তা সাগ্রহে লুফে নেয়।
এরা জানে না আত্মতুষ্টি কী? কী এর সংজ্ঞা?
কিন্তু সমগ্র অভাব,জরা-জীর্ণতা,শীর্ণতা সত্ত্বেও
এরাই সবচেয়ে তুষ্ট মানুষ।
কারণ,বিধাতা তোমায় ‘আত্মতুষ্টি’ নিয়ে সুশীলদের সভায়
ঘণ্টার পর ঘণ্টা বুলি আউড়ানোর ক্ষমতাটুকোই দিয়েছেন।
‘আত্মতুষ্ট’ হওয়ার ক্ষমতা দেননি।
ভাবনাটা দারুণ ইতিবাচক।
কয়েক বছর আগে আমিও এমন একটা লেখা লিখেছিলাম
ধন্যবাদ ভাইয়া 😀
আপনার লেখাটা পড়া হয় নাই 😛
অনেক ভালো লেগেছে
শেষের কথাগুলো বেশি ভালো লেগেছে
ধন্যবাদ আপু 🙂
বিধাতা তোমায় ‘আত্মতুষ্টি’ নিয়ে সুশীলদের সভায়
ঘণ্টার পর ঘণ্টা বুলি আউড়ানোর ক্ষমতাটুকোই দিয়েছেন।
‘আত্মতুষ্ট’ হওয়ার ক্ষমতা দেননি।
দ্বিতীয়বারের মত পড়লাম এবং আবারো শিউরে উঠলাম! 🙁