ক্লাসে স্যার-ম্যাডাম কিছু বললেই আস্তে আস্তে তার জবাব দেই। আমার অনেকগুলো বদ অভ্যাস এর মধ্যে এটা একটা। 😛
কয়েকদিন ছুটির পর একদিন স্যার আমাদের পড়া ধরলেন, এবং যথারীতি বেশীরভাগ পড়া পারলাম না। স্যার বললেন, ”তোমরা ছুটিতে সব খেয়ে ফেলছো”। :wallbash:
একটু পর স্যার আমাদের বল্লেন,”তোমাদের সবার নাম মনে নেই”। আমি আস্তে আস্তে বললাম, ”আপ্নেও দেখি সব খায়া ফেলসেন”। =))
ক্লাস থেকে যাওয়ার আগে স্যার বললেন,’শোন, তোমরা টিটকারি দিওনা, আমি কিন্তু সব শুনতে পাই”।
আমি পুরা থ বনে গেলাম! :chup:
আমার এক স্যার আছেন খালি কারণে-অকারণে চিল্লাচিল্লি করেন। মানে স্বাভাবিকভাবে একটা কথা বললেও এমন হুলুস্থুল করেন মনে হয় এখনি ধরে মাইর লাগাবেন। :fire:
যাই হোক একদিন ক্লাসে স্টাডি ট্যুর নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো। স্যার ট্যুরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করছিলেন। স্যার যাওয়ার পর সবাই বাস ভাড়া নিয়ে আলোচনা করছিলো তখন আমি যথাসম্ভব নির্লিপ্ত গলায় বললাম, এই স্যার গেলে আমাদের বাসের দরকার নেই, স্যারের মাথায় এত সিট (ছিট) আছে যে আমরা অনায়সে সবাই বসতে পারবো। 😛
এটা যখন আমি বাসায় বলছিলাম, আমার ভাগ্নী বলে উঠলো, অন্তত একটা সিট তো লাগবেই, স্যার যাবেন কিসে করে? :chup:
এই স্যার একদিন ক্লাসে কৌণিক গতিসূত্রের কি একটা থিওরী বোঝাতে গিয়ে একটা সার্কেল আঁকলেন। আঁকলেন না বলে বলি আঁকার চেষ্টা করলেন, কারণ বৃত্তটা হয়ে গেলো ডিমের মতো। আমি খাতায় নোট করছি আর বলছি, “ওহ্! একেবারে ডায়েট কন্ট্রোল করা বৃত্ত হয়ে গেলো দেখছি।” :yahooo: আমি অবশ্য ব্লগেই বকবক করি, ক্লাসে আমার মতো শান্ত মেয়ে আর একটা নেই তাই সবাই হেসে ফেলার বদলে খুব অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। :wallbash:
আরেকদিন আরেকস্যারের ক্লাসের কথা বলি। ঐদিন স্যার ফাঁকিবাজদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন। রোলকলের সময় স্যার একটা মেয়েকে দাঁড় করালেন, মেয়েটা অনেক অনিয়মিত। আর আমাদের সাথের দুইটা মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছিলো অল্প কিছু দিনের ব্যবধানে। তো স্যার ভাবলেন এরও বিয়ে হয়ে গেছে তাই অনিয়মিত ক্লাস করে। স্যার মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলেন তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে কিনা। মেয়েটা সলজ্জে না করলো। আরেকপাশ থেকে একটা ছেলে বলে উঠলো, “তাহলে বোধহয় ওকে দেখতে (পাত্রী হিসেবে) এসেছিলো।”
কিছুক্ষণ পর আরেকটা ফাঁকিবাজ ছেলেকে স্যার যেই জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি এত অনিয়মিত কেন?” সঙ্গে সঙ্গে আমরা বলে উঠলাম, “স্যার, ওকে তো দেখতে এসেছিলো”! :yahooo:
ইন্টারে পড়ার সময়, আমাদের ক্লাসের দুইটা মেয়ে ক্লাসে খুব কথা বলছিলো। স্যার তো ওদের একজনকে পড়া ধরলেন। মেয়েটা খুবই ভালো স্টুডেন্ট ( ঢাকা মেডিকেলে পরে এখন) কিন্তু তার একটা মুদ্রাদোষ ছিলো, একটা পড়া বলার মাঝখানে স্যার… স্যার… বা ম্যাডাম… ম্যাডাম… বলতো অনেকবার। তো স্যার একজনকে পড়া ধরলেন আর অন্যজন হাসতে লাগলো দেখে স্যার ওই মেয়েকে বললেন, “এই মেয়ে, ও যে পড়া বলেছে ওটা সঠিক হয়েছে নাকি ভুল হয়েছে বল দেখি”। মেয়েটা বললো, “স্যার, পড়া ঠিকই ছিলো খালি মাঝখানে ১২ বার স্যার বলেছে, ওটুকু না বললে সম্পূর্ণ ঠিক হতো আরকি! :rollinglaugh:
একজন কড়া স্যারের কথা বলি। উনি যে অনেক বড় কিছু হয়ে যেতে পারতেন শুধু আমাদের দিকে তাকিয়ে এমন পঁচা চাকরী করছেন সেটা আমাদের বহুবার শোনা হয়ে গেছে। একদিন পড়ানোর মাঝখানে স্যার বোর্ডের দিকে যেতেই কয়েকজন গুনগুন করে কথা বলতে লাগলো।
স্যার বললেন, “কথা বলোনা, আমি সব দেখি। আমার মাথার পিছনে ২টা পুঞ্জাক্ষী আছে।” 😯
আমার চোখের সামনে অতি প্রিয়(?) প্রাণী ভেসে উঠলো। তাই আমি আস্তে করে বললাম, “তেলাপোকা” 😛
স্যার চলে গেলে আমার ফ্রেন্ড হেসে বললো, Periplaneta americana.আমি বললাম, না না periplaneta bangladeshi । :rollinglaugh:
সেই থেকে স্যারের নাম হয়ে গেলো P.B। :penguindance:
:rollinglaugh: :rollinglaugh:
জটিল জটিল। পুরাই অস্থির! 😆
থ্যাংকুস আপু :penguindance:
:cancer: =)) :babymonkey:
পুলাপান দারুণ খ্রাপ!
আজকাইলের পুলাপান তো! পুরাই :dhisya:
:rollinglaugh: =))
:penguindance:
মজা পেলুম =))
থ্যাংকু :penguindance:
:rollinglaugh:
পুরাই গুল্লি! :dhisya:
গুলি খায়া আনন্দিত 😀
চ্রম চ্রম !!!!
আমি এটার নাম দিসিলাম Periplaneta bangaliana !!!
ঠেংকু 🙂
হাহাপগে!! এইসব লিখা পড়লে আমারও লিখতে মুঞ্চায়!! কিন্তু লিখতে গেলে কলম ভাইঙ্গা ফালামু দেইখ্যা আর সাহস হয় না! 🙁
কলমের জন্য কোন টেনশন কৈরেন্না, কী-বোর্ড দিয়ে লিখে ফেলেন 😀
:rollinglaugh:
সবাই দেখি আমার মতোই বিটলা 😛
আপ্নে বিটলা কিনা তার প্রমাণ কৈ? পোস্ট দেন দেখি 😛
দিমুনে 😀
ওয়েটিং… 🙂
:rollinglaugh: :rollinglaugh:
🙂 🙂
মারাত্মক =))
থেংকুস 🙂
:rollinglaugh:
দুষ্টুমি করে না…………….. :p
তাহলে করবো টা কি? 😛
রম্যগুলো অনেক ফর্মাল মনে হলো। যাই হোক পরবর্তীতে আরো ভালো রম্য লেখা আশা করছি। ভালো থাকুন।
🙂
স্যারদের নিয়ে পোস্ট কতবার লিখে কতবার ডিলিট করেছি বলার মত না!
একটা ছোটখাট সিরিজ লিখে ফেলবো ভাবছি!
“মানুষ গড়ার কারিগর” কথাটা অনেক ভালো লাগে।
নিজের এক সময় ইচ্ছা ছিল শিক্ষক হওয়ার! 🙁
(সেটা হতে পারলে হয়তো ভালো লাগতো! 😐 )
লিখে ফেলেন আবার 🙂