ছেলেটা বদলে গেছে অনেক আজকাল।
প্রশ্ন করলে বিরক্ত হয়।
মেয়েটা বদলে গিয়েছে কি না রাতের আঁধার কি জানে সে কথা?
সে এখনও রাত জাগে।
কালি পরা চোখের নিচে মেয়ের অনেক না করা প্রশ্ন।
রাত তার ভাল লাগে।
নিস্তব্ধতায় নিরবতায় মৌনতার পরতে
নিজের খোলসটাকে পরিপাটি করে নেয়া যায় বলে।
মেয়েটা আজকাল বড্ড অভিনয় শিখে গিয়েছে।
অস্থিরতা লুকানোর, কান্না চাপানোর,
যতিচিহ্নের দাঁড়ির মত ঠোঁট দু’টোকে
অথবা প্রথম বন্ধনীর শুরুর বন্ধনীটাকে সমকোণে ঘুরিয়ে রাখার বদলে
সদ্য ওঠা চাঁদের মত আকার দেবার,
আর হ্যাঁ! প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার আবেগ দমন করার অভিনয়ও শিখছে সে।
আজকাল ফাল্গুনের শেষরাতের হালকা শীতল বাতাসে
ভেসে বেড়ানো কবিতার অক্ষর ছুঁয়ে যায় না মেয়ের হাতের রেখার ভাঁজ
অথবা চিবুকের কাছে জন্ম নেয়া অনাকাঙ্খিত বাদামী লোমগুচ্ছের ডগা।
ত্যাগ করা প্রতি নিঃশ্বাসে অজস্র অতৃপ্তি ঝরে আজকাল মেয়ের ছোট্ট ঘরের মেঝেতে।
সে যে ভেদ করতে চায় ছেলের গভীর চোখের রহস্য,
পাঁজর ঘিরে অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়ার নিষিদ্ধ লোভ,
কারো বাহু ঘিরে বৃষ্টির মত চুঁইয়ে পরার নেশা,
শেষরাতের বাতাস হয়ে তার ঘাড় ছুঁয়ে পুরুষালি গন্ধে মাখামাখি হওয়ার অব্যক্ত ইচ্ছে।
অথচ ছেলের সামনে যেন ধোঁয়াশার বহর।
মেয়ের কাছে যেন শেষরাত আর ভোরের দূরত্বটুকু
হঠাত্ করেই হাজার কোটি আলোক বর্ষের সমান হয়ে যায়।
বুঝলুম!
বোঝার জন্য ধন্যবাদ সামিরাপু! 😀
আমিও মনে হয় কিছুটা বুঝলুম
😛 😛
এত কষ্ট কেন ভালোবাসায়? 🙁
এইটাই তো ভালোবাসার রহস্য, আর এজন্যই ভালোবাসা এত্ত সুন্দর!
:love: