প্রশ্নমূখর চোখে, দূরত্বের খোলসে

ছেলেটা বদলে গেছে অনেক আজকাল।
প্রশ্ন করলে বিরক্ত হয়।
মেয়েটা বদলে গিয়েছে কি না রাতের আঁধার কি জানে সে কথা?

সে এখনও রাত জাগে।
কালি পরা চোখের নিচে মেয়ের অনেক না করা প্রশ্ন।
রাত তার ভাল লাগে।
নিস্তব্ধতায় নিরবতায় মৌনতার পরতে
নিজের খোলসটাকে পরিপাটি করে নেয়া যায় বলে।

মেয়েটা আজকাল বড্ড অভিনয় শিখে গিয়েছে।
অস্থিরতা লুকানোর, কান্না চাপানোর,
যতিচিহ্নের দাঁড়ির মত ঠোঁট দু’টোকে
অথবা প্রথম বন্ধনীর শুরুর বন্ধনীটাকে সমকোণে ঘুরিয়ে রাখার বদলে
সদ্য ওঠা চাঁদের মত আকার দেবার,
আর হ্যাঁ! প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার আবেগ দমন করার অভিনয়ও শিখছে সে।

আজকাল ফাল্গুনের শেষরাতের হালকা শীতল বাতাসে
ভেসে বেড়ানো কবিতার অক্ষর ছুঁয়ে যায় না মেয়ের হাতের রেখার ভাঁজ
অথবা চিবুকের কাছে জন্ম নেয়া অনাকাঙ্খিত বাদামী লোমগুচ্ছের ডগা।
ত্যাগ করা প্রতি নিঃশ্বাসে অজস্র অতৃপ্তি ঝরে আজকাল মেয়ের ছোট্ট ঘরের মেঝেতে।

সে যে ভেদ করতে চায় ছেলের গভীর চোখের রহস্য,
পাঁজর ঘিরে অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়ার নিষিদ্ধ লোভ,
কারো বাহু ঘিরে বৃষ্টির মত চুঁইয়ে পরার নেশা,
শেষরাতের বাতাস হয়ে তার ঘাড় ছুঁয়ে পুরুষালি গন্ধে মাখামাখি হওয়ার অব্যক্ত ইচ্ছে।

অথচ ছেলের সামনে যেন ধোঁয়াশার বহর।
মেয়ের কাছে যেন শেষরাত আর ভোরের দূরত্বটুকু
হঠাত্‍ করেই হাজার কোটি আলোক বর্ষের সমান হয়ে যায়।

অবন্তিকা সম্পর্কে

প্রচণ্ড আলসে আমিটা স্বপ্ন দেখতে খুব ভালবাসি। পড়াশুনার বিষ্যয়বস্তু তড়িৎ প্রকৌশল, কিন্তু রক্তের মাঝে ইলেক্ট্রনের বদলে যে প্রবাহটা পাই সেটা হল স্বপ্ন আর ভালবাসার। ঘরকূণো, চুপচাপ এই আমি বৃষ্টি নামাতেও খুব ভালবাসি। আমার চার প্রকোষ্ঠের ১৩/৯ সেন্টিমিটার জায়গাতেও তার প্রভাব পরে বেশ দারুনভাবে। এতকিছুর পরও কিভাবে কিভাবে যেন মাঝে মাঝে শিমুল তুলা অথবা আকন্দের বীজের মত ভাসতে থাকি কারো এক চাহনির উষ্ণতায়, অথবা অবহেলার উল্টোপিঠের মত অবচেতনে নির্গত গাঢ় নিঃশ্বাসের তোড়ের আভাসে। ...
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে কবিতা-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

7 Responses to প্রশ্নমূখর চোখে, দূরত্বের খোলসে

  1. সামিরা বলেছেনঃ

    বুঝলুম!

  2. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    আমিও মনে হয় কিছুটা বুঝলুম

  3. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    এত কষ্ট কেন ভালোবাসায়? 🙁

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।