যান্ত্রিক- শেষাংশ

এরপর প্রায় মাস খানেক পার হয়ে গেছে। অরিত্র হঠাৎ করে আবিষ্কার করে তার চারপাশটা আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়ে গেছে। ঢাকার আকাশও অতটা খারাপ না, খালি উঁচু উঁচু দালান কোঠাগুলো আকাশটাকে ঢেকে দিয়েছে। মানুষের সময় কই একটু চোখ মেলে আকাশটাকে দেখবে! অরিত্রকে সব কিছু প্রতিদিন নতুন করে দেখতে শেখাচ্ছে অধরা, ভালোবাসতে শেখাচ্ছে প্রাণ ভরে। বাবাকে আর আগের মত কাঠখোট্টা মনে হয় না কেন জানি তার আর, মাকে মনে হয় হঠাৎ করে খাঁচায় বন্দি হয়ে যাওয়া একটা পাখি যে আসলে তার জীবনটাকে এই খাঁচার বলেই মেনে নিয়েছে। অরিত্রর সময়গুলো খুব ভালো কাটছিল তখন। অধরার সাথে হুট হাট করে রাস্তায় বেড়িয়ে পরা, খালি পায়ে হেটে চলা। মাঝ রাস্তায় আকাশের মেঘ দেখে থমকে দাঁড়িয়ে যাওয়া, ঝুম বৃষ্টিতে মাতালের মত চিৎকার করতে করতে গান গাওয়া। একটা যান্ত্রিক জীবন হঠাৎ করেই যেন প্রাণ পেয়ে গিয়েছিল।

আর দশটা দিনের মতই সেদিন রাতে জামিল সাহেব অরিত্র আর অরিত্রের মায়ের সাথে খেতে বসেছে।
-বাবা
-হুম বল, অরিত্র।
-বাবা, একটা প্রশ্ন করি? উত্তর দিবে?
-হুম কর।
-বাবা, দাদু ভাইয়ের কথা তোমার কি মনে পড়ে? বা দাদু মনির কথা? তারা কেমন ছিল?
-হঠাৎ এই প্রশ্ন?
-আমি তো তাদের কখনও দেখি নি তাই জানতে ইচ্ছা করছে।
-হুম, মনে পড়ে। তোমার দাদু ভাই খুব উচ্চাভিলাষী একজন মানুষ ছিলেন। আমাকে দেখতে চেয়েছিলেন সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায়। এই যে আজকে আমার যে ইন্ডাস্ট্রি, আমার নাম, ফেম তা সব কিছুই তোমার দাদু ভাই এর জন্য।
-আর দাদু মনি।
-আম্মা ভালোই ছিলেন, আমাকে খুব স্নেহ করতেন।
-বাবা, দাদু ভাই যখন মারা গেল তুমি কি খুব কষ্ট পেয়েছিলে? তুমি কি দাদু ভাইকে ফিল করতে পারো। দাদু মনিকে? তোমার কি মনে হয় তুমি তোমার জীবনের অনেক বড় কিছু একটা হারিয়ে ফেলেছ? তোমার কি খুব কষ্ট হয় এই ভেবে যে আমি আমার বাবার সাথে আরও অনেকটা সময় কাটাতে পারতাম হয়ত? আমি হয়ত বাবার সাথে বসে গল্প করতে পারতাম, মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমাতে পারতাম?

জামিল সাহেব আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে থাকেন। কি বলছে এসব অরিত্র? ছেলেটার কি মাথা গিয়েছে?

-অরিত্র তুমি অতি মাত্রায় ইমোশোনাল হয়ে যাচ্ছ। তোমার মাঝে এগুলো কিভাবে এল জানি না। তবে তোমাকে বলি, আমার বাবার কাছ থেকে আমার যতটুকু নেওয়ার আমি নিয়েছি, বাবার প্রতি কর্তব্যও পালন করেছি। তারা শেষ বয়সে আরাম আয়েশেই মারা গিয়েছেন। মৃত্যু খুব স্বাভাবিক জিনিস। এটাকে মেনে নিতেই হয়। জীবন থেমে থাকে না। Life goes on. তুমি হয়ত আজকাল অনেক বেশি গল্প বা উপন্যাস টাইপ বই পড়ছ এর জন্যই তোমার মাথায় এসব এসেছে। জীবনে অনেক উঁচুতে উঠতে হবে উঁচুতে।

– বাবা, ইমোশোনাল হয়ে যাওয়া কি দোষের। বাবা তোমাকে ভালোবাসা কি দোষের কিছু হবে? তুমি যদি আমার পাশে না থাক তখন প্রতিটা মুহূর্তে তোমার কথা মনে করা কি দোষের কিছু হবে। জানি মৃত্যুকে মেনে নিতেই হবে কিন্তু তাই বলে একজন মানুষ এত তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাবে? এমন একজন যে কি না আজকের আমাকে জন্ম দিয়েছে?

-অরিত্র তুমি থাম এখন ! এসব কথাই অর্থহীন, এতে প্রোডাকটিভ কিছুই হচ্ছে না !  জামিল সাহেব ধমকে ওঠেন। .
-বাবা আমিও কি তোমার একটা প্রোডাক্ট যা সামনে তুমি চড়া দামে মার্কেটে বিক্রি করতে পারবে? তুমি আসলে একটা যন্ত্রমানব।- অরিত্রের চোখের কোণে জল চলে এসেছে, সে এই প্রথম বাসার রুলস ভেঙে খাবার ফেলে রেখে চলে গেল।

জামিল সাহেব তার ছেলের দিকে তাকিয়ে আছেন। “ও কি বলছে এসব? আমি কি আমার বাবাকে ভালোবাসি না? অবশ্যই বাসি। কিন্তু আমি তো তাকে ফিল করি না। কই আমার মাঝে তো বাবা কিংবা মায়ের জন্য তেমন কোন অনুভূতি নেই? আচ্ছা অরিত্র কি সত্যিই বলল? আমি কি যন্ত্রমানব হয়ে গেছি?”

রাতে জামিল সাহেব অরিত্রের রুমে ঢুকলেন। ছেলে এখনও জেগে আছে দেখে খুশিই হলেন তিনি।
-অরিত্র
-হুম বাবা।
-ওঠ। চল আমার সাথে।
-কোথায় বাবা।
-ছাদে যাবো, এস!
অরিত্র তার বাবা’র সাথে ছাদে চলে আসল। এই প্রথমবার, তার জীবনে প্রথমবার সে তার বাবা’র সাথে ছাদে এল।

জামিল সাহেব বলতে শুরু করলেন, “তোমার মায়ের সাথে আমার প্রথম দেখা হয়  বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন বরণের দিন। ওদের ফ্যাকাল্টি আর আমাদের ফ্যাকাল্টির নবীন বরণ ছিল একই দিনে। ঐ দিন ঝুম বৃষ্টি হচ্ছিল বাইরে, তোমার মা কাকভেজা হয়ে অডিটরিয়ামে উপস্থিত হয়। আশেপাশের সবাই তার দিকে তাকিয়ে ছিল। এত সুন্দর মানুষ কিভাবে হয়! ঐ দিনই চিন্তা করেছিলাম একে আমার চাই! জীবনে যা কিছুই চেয়েছি সেটা আমি অর্জন করে ছেড়েছি, তোমার মাকেও অর্জন করে নিয়েছিলাম। তোমার মা হয়ত ভেবেছিল তাকে বড্ড ভালোবাসি। কিন্তু আজ বুঝতে পারি আমি ওর সাথে কতটা প্রতারণা করেছি। ও ঘুরতে ভালোবাসত কখনও বাইরে নিয়ে যাই নি, ও গান গাইতে জানত আমার জীবনে এসে গান গাওয়াটাও ভুলে গেছে। তুমি হওয়ার পর ওকে বলেছিলাম তুমি যেন বিশাল কিছু একটা হও, প্রোডাক্টিভ কিছু কর তার জন্য যা করার দরকার করতে, আজও সে সেই কাজ করে যাচ্ছে। তোমার দাদু ভাই এর কথা জিজ্ঞাস করেছিলে। সে আমার মতই ছিলেন। আম্মা আজীবন একটা পুতুলের মত তার সংসারে ছিল। আমাকে দেখাশোনা করার জন্য। আব্বা-আম্মাকে একসাথে বসে কখনও গল্প করতে দেখি নি। শুধু পেতাম খাওয়ার সময়। আমি মিস করতাম তাদের কিন্তু আস্তে আস্তে এমন একটা সময় চলে আসল যে আমি তখন আর তাদেরকে মিস করতাম না। আর এই যে তাদের প্রতি টান ছিল না তাকেই আমি মেনে নিয়েছিলাম জীবন। আব্বা শেষ বয়সে এসে আমার সঙ্গ চাইত খুব কিন্তু আমি কখনই তার সাথে ছিলাম না তখন। আব্বা মারা যায় যখন তুমি জাহানারার পেটে। আমার খুব বেশি কষ্ট হয় নাই সেইদিন। মনে হয়েছে এমন একজন চলে গেছে যে কখনই ছিল না। কিন্তু এর মাস দুয়েক পর আম্মা মারা যাওয়ার পর কিছুটা কষ্ট পেয়েছিলাম কিন্তু কিসের কি? কষ্ট বেশি দিন করতে হয় নাই, একটার পর একটা টেন্ডার জিতে গেলাম। কাজ পেয়ে বসলাম অনেক। জীবন তো ঠিকই চলছিল আজ পর্যন্ত কিন্তু আজকে তোমার কথাগুলো কেন যেন খুব সত্য বলে মনে হচ্ছে। নিজেকে খুব খারাপ ভাবতে ইচ্ছা করছে। খুব অসহায় লাগছে। মনে হচ্ছে কিছু অর্জন করতে গিয়ে আমি আমার সব কিছু হারিয়ে ফেলেছি। জাহানারা, তুমি, আব্বা,আম্মা কেউই আমার না। আমি যেদিন চলে যাবো কেউ আমার জন্য একটিবার চোখের পানি ফেলবে না। ”, জামিল সাহেবের চোখ ভিজে আসছে।

অরিত্র বাবার হাত খুব শক্ত করে ধরে আছে। সে জানে তার বাবা কতটা কষ্ট পাচ্ছে। এমন একটা সময়ে এসে তার বাবার ভেতরের মানুষটাকে জাগিয়ে দিয়েছে সে। ঐ মানুষটা এখন বাঁচতে চাইছে।

-বাবা, আকাশের দিকে তাকাও। দেখ মেঘ করেছে। এখনি হয়ত বৃষ্টি নামবে। তোমাকে একটা কথা বলি রাখবে?
-হুম রাখব বাবা।
-মা কে নিয়ে এখনই রাস্তায় বেরিয়ে পড়। তার হাত ধরে হাঁটতে থাক। তার সাথে দাদু ভাইকে নিয়ে আলাপ কর, আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বল, বাহ জীবনটা কত সুন্দর! এরপর বৃষ্টি নামলে ঝুম বৃষ্টিতে ভেজ। কাক ভেজা সেই জাহানারার কথা মনে কর। প্লিজ বাবা, যাও। আমার কথাটা রাখ। প্লিয।
কিছুক্ষণ পর অরিত্র ছাঁদে দাঁড়িয়ে আছে। সত্যিই ঝুম বৃষ্টি নেমেছে। সে ছাঁদের কিনারায় দাঁড়িয়ে দুই মধ্যবয়ষী নারী-পুরুষের বৃষ্টি বিলাস দেখছে। অরিত্র জানে তার বাবা তাকে একটা মিথ্যা বলেছে। সে বলেছে সে নাকি তার মা কে ভালোবাসে না। কথাটা পুরোপুরি ভুল। সে জানে তার বাবা তার মাকে প্রচন্ড রকম ভালোবাসে। আগেও বাসত। তবে মাঝে ভালোবাসা শব্দটাই বাবা ভুলে গিয়েছিল। আজ আবার সে তাকে তা মনে করিয়ে দিয়েছে, আজ তার বাবা আবার আগের সেই জাহানারার প্রেমে পড়ে গিয়েছে। অরিত্র চোখ বন্ধ করার চেষ্টা করে, তার মনে হচ্ছে সে সেই পুকুর পাড়টার সামনে দাঁড়ানো। ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে আর অধরা তার হাত ধরে সেই বৃষ্টিতে ভিজছে। “অধরা, তুই শেষ পর্যন্ত একটা যন্ত্র মানবের যান্ত্রিক পরিবারকে মানুষের পরিবারে রূপান্তর করে দিলি, আমি কি শুধু এ জন্যই তোকে সহস্র বছর ভালোবাসতে পারি না?”

জামিল জাহানারার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। আজ বহু দিন পর তার মাঝের যন্ত্রমানবটা তাকে উক্তি দিয়েছে। আজ কিছুতেই সে জাহানারার হাত ছাড়বে না, যা হয় হোক।

পুনশ্চঃ যান্ত্রিক এই জীবনে আমরা সবাই কম বেশি যন্ত্র মানব। কোন এক অজানা কারণে আমরা হয়ত ভালোবাসতেই ভুলে যাই, যান্ত্রিক জীবনের পেছনে ছুটতেই থাকি। আর সেই সুযোগে কাছের মানুষগুলো হারিয়ে যেতে থাকে দূর থেকে দূরে। শুধু একটিবার কেউ যদি ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দেয় তাহলেই হয়ত সেই যন্ত্র মানবটা তার খোলস থেকে বেড়িয়ে আসত।

প্রথম পর্ব- http://shorob.com/?p=13492

অক্ষর সম্পর্কে

স্বপ্নবাজ মানুষ একজন। আশাবাদ আর নিরাশার দোলাচালে আশাকেই শেষ পর্যন্ত সঙ্গী করতে চাই। আর স্বপ্ন দেখি একদিন দেশের জন্য কিছু করার, স্বপ্ন দেখি ছোট্ট করে হলেও কিছু একটা করার যা একটা প্রজন্মের গতিপথ পরিবর্তন করবে এবং অবশ্যই সেটা যেন হয় ইতিবাচক কোন পরিবর্তন। এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে। গণনা যন্ত্রের উপর পড়াশোনা করছি ঠিকই কিন্তু যন্ত্র শব্দটাই আমার কাছে বিরক্তিকর। ফেসবুক লিঙ্ক- www.facebook.com/akkhar21
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে বিবিধ-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

16 Responses to যান্ত্রিক- শেষাংশ

  1. কানিজ আফরোজ তন্বী বলেছেনঃ

    :clappinghands:
    অনেক ভালো লাগলো পিচ্চি।

  2. নূহা চৌধুরী বলেছেনঃ

    :beshikhushi:

  3. অবন্তিকা বলেছেনঃ

    :love: :love: :love:

  4. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    (কাইল অফিস গিয়া দেখুম। আগের পর্বের লিঙ্ক যোগ করে দিস। সবার সুবিধা হবে। আর প্রথম পর্বে ২য় পর্বের লিঙ্ক যোগ করে দিস )

  5. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    আমার তো অনেক বেশি ভালো লাগছে!
    পাঁচটা তারা দাগিয়ে দিলুম! :love:

    যে ব্যক্তি রেটিং ২ দিয়েছিলেন তিনি তার খারাপ লাগার জায়গাগুলো মন্তব্যের মাধ্যমে ক্লিয়ার করলে ভালো হতো। পাঠকের সাথে লেখকের আত্মিক যোগাযোগ থাকা উচিত, তাতে একজন লেখক আরো ভালো লিখতে উৎসাহ বোধ করেন। কথাগুল কাকে বললাম জানি না, মনে হলো, তাই বললাম!

    একটা প্রশ্ন লেখকের কাছে।
    গল্পের নায়িকারা কেন সবসময় ডানাকাটা পরী হবে যে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে নায়ক হাবুডুবু খাবে আর ভাববে- ‘একে আমার চাই-ই’? :thinking:

    • অক্ষর বলেছেনঃ

      আপু গল্পের নায়িকা কিন্তু ডানাকাটা পরী না। আর “একে আমার চাই ই” এটা কিন্তু অনেকটা জামিল সাহেবের ব্যর্থতার দিকটা ফুটিয়ে তুলেছে। সে স্বীকার করেছে যে সে আসলে জাহানারাকে ভালোবাসত না। আমার মনে হয় পয়েন্টটা ক্লিয়ার হয়েছে। আমি এটাকে নেগেটিভলি দেখানোর চেষ্টা করেছি পজেটিভলি না। 🙂

      আর থ্যাঙ্কস, তোমার কমেন্টস পড়ার পর খুশি খুশি লাগছে। হয়ত কারো কাছে ভালো লাগে নাই তাই রেটিং বাজে করে গেছে ! সবার ভালো লাগতে হবে এমন তো না ! তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত গল্প-উপন্যাসগুলোতে রেটিং না রাখা একদিক থেকে ভালো। এতে করে লেখক কষ্ট পেতে পারে ! 😛

      • ফিনিক্স বলেছেনঃ

        রেটিং বাজে আসু, সমস্যা নাই কিন্তু কারণ দর্শালে আলো হয়- লেখকের জন্যেও, পাঠকের জন্যেও। এটাই বলছি। লেখক কষ্ট পাবে কেন? লেখক তো পাঠকের জন্যই লেখে। পাঠককে অবশ্যই মূল্যায়ন করা উচিত। তাছাড়া একজন লেখকের ধারাবাহিক সব লেখাই ভালো হয়- এমনও তো না।

        কিন্তু আসলে তো জামাল সাহেব তার স্ত্রীকে ভালোবাসেন- ছেলের ভাবনায় সেটাই ফুটে ওঠে। আগের আর পরের ব্যাপারগুলো কেমন যেন হয়ে গেলো না তাহলে? নাকি আগে প্রেম ছিল, ভালোবাসা ছিল না, সেটা পরে এসেছে? আমি প্যাঁচ লাগায়ে ফেলছি পুরাই! 🙁

  6. সাইব্রিয়ান সৌরভ বলেছেনঃ

    অক্ষার, তোর লেখা নিয়মিত চাই। Remember, U r special :beerdrink:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।