মন চায় শাহবাগে ছুটে যেতে: প্রধানমন্ত্রী। গত ৯ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা বলেছেন এই কথা। উল্লেখ্য এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরের পর। ৫ম দিনেই প্রধানমন্ত্রী এই রকম মন্তব্য করেন।
অন্য দিকে শহীদ রুমী স্কোয়াড এর আন্দোলন ও ৫ দিন অতিক্রম করেছে। প্রধানমন্ত্রী কিংবা সরকারের কেউ এই নিয়ে বিন্দুমাত্র সাড়া শব্দ করেন নি।
রাজধানীর শাহবাগে কাদের মোল্লাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে চলা প্রতিবাদ আর আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্দোলনরত তরুণ প্রজন্মকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে মনে হয়েছে এ এক অভূতপূর্ব গণজাগরণ। তিনি বলেন, ‘আমার মনও শাহবাগের আন্দোলনে ছুটে যেতে চায়।’
আজ রোববার জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি তরুণ প্রজন্মকে বলতে চাই, আমরাও তোমাদের সঙ্গে একমত। তোমাদের শপথ বাস্তবায়নে যা যা করা দরকার, আমরা করব। তরুণ প্রজন্ম জাতীয় সংসদে যে স্মারকলিপি দিয়েছে, তার প্রতিটি কথা যুক্তিসংগত।’
স্মারকলিপিতে ছিল
*অবিলম্বে কাদের মোল্লাসহ একাত্তরের ঘাতক দালাল সকল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রদান,
*কাদের মোল্লার বিচারের ব্যাপারে রায়ের প্রেক্ষিতে আন্তজার্তিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে বিবাদীপক্ষের মতো রাষ্ট্রপক্ষও যাতে সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য আপীল করতে পারে সে জন্য বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনী সংশোধনী আনা,
*মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী ও পাকবাহিনীর সহযোগী জামায়াত-শিবিরসহ ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা,
*দেশে গৃহযুদ্ধের হুমকি দিয়ে যে সব জামায়াত নেতাকর্মী রাষ্ট্রদ্রোহ কাজ করেছে তাদের সকলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া,
*যে সব রাজনৈতিক দল, শক্তি, প্রতিষ্ঠান, ব্যাক্তি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে,যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিরোধীতা করছে এবং তাদের সঙ্গে আঁতাত করছে অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তিপ্রদান, সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন যে সব যুদ্ধাপরাধী রাজাকারকে পঁচাত্তরের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদের সকলকে পুনরায় গ্রেফতার করে আন্তজার্তিক ট্রাইব্যুনালে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান হয়।
*যুদ্ধাপরাধীদের বিভিন্ন ব্যবসায়ীক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা, ফোকাস, রেটিনা কোচিং সেন্টারসহ এদের সকল প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ এবং জামায়াত শিবিরের দেশি-বিদেশি সকল প্রকার আয়ের উৎস খুঁজে বের করে তা বন্ধ করার দাবি জানান হয়।
সেই সব দাবি দাওয়ার অধিকাংশই পূরণ হয় নি যদিও! অন্য দিকে শহীদ রুমী স্কোয়াড এর দাবি খুব সহজ। জামাত শিবির নিষিদ্ধ করা। প্রধানমন্ত্রী এর আগের বার এই দাবির সাথে একমত হলেও এখন কেন যুক্তিসংগত বলছেন না? এখন কেন ছুটে আসতে চাচ্ছেন না?
রুমী স্কোয়াড এর নাম বঙ্গবন্ধু স্কোয়াড হলে কি আসতেন? একাত্মতা ঘোষণা করতেন?
যদিও গত ২২ ফেব্রুয়ারি আমরা শুনেছিলাম আগামী ২৬ মার্চের আগেই জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
আজ ৩১ মার্চ। ১০০ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে অনশনের। হাজার ঘণ্টা পার হয়ে গেছে বেলুন ওড়ানোর!
শহীদ রুমী স্কোয়াড এর কারও কিছু হলে জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না!
এই জাতি বড় ত্যাড়া জাতি। হয়ত দেরি হয়… কিন্তু তবু এদের ঘুম ভাঙে। এক রুমী ৭১ এ ছিল। ২০১৩ তে অন্তত ২১ জন রুমী আছে… বাকি রুমীরা অপেক্ষায়। রাস্তায়…
আপনাদের হুঁশ ফিরবে তো ঠিক সময়ে?
– অন্য কেউ
শিরোনাম পছন্দ হয় নাই।
কিন্তু পোস্ট এর মূল বক্তব্যের সাথে একমত 🙁
মিডিয়া কেন এতটা একপেশে আচরণ করছে?
মিডিয়ার আচার আচরন দেখে আমার মনে হচ্ছে মিডিয়া সব একত্রে হয়ে কোন অসৎ লক্ষ্য সাধনের চেষ্টা করছে 🙁
কোথাও কিছু একটার হিসেব মিলছে না, আমাদের বড়ো বড়ো ব্লগাররা, আমাদের সেলিব্রেটিরা কিছু বলছেন না এটা নিয়ে, তাই “আমরা” সবাইও অনেক বেশি কনফিউজড!! কী করতে হবে!! :wallbash:
sobkisu dekhte dekhte amader onuvuti vota hoye jache.ekhn kon ghotonar pichone ki lukiye ache ta nie amra confused hoye jachi.Sobsheshe Bangladesh dukhi e theke jache 🙁
অথেন্টিক খবর নির্দিষ্ট সময়ে আমরা কেন পাই না?
🙁