যখন খবরের চেয়েও খবরের ‘টার্গেট অডিয়েন্স’ অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেন!
বাংলার আম-পাবলিক পড়বেন বিডিনিউজ২৪ এর বাংলা ভার্সন পেইজটা। তাঁরা সাইটে গিয়েই দেখবেন স্পটলাইট:
“দেশ চলবে নবীজীর দেখানো পথে” – “মদিনা সনদে সব ধর্মীয় গোষ্ঠীর অধিকার যেভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছিল, তার আলোকে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”
প্রিয় নবীজীর কথা উঠে এসেছে! ভোটব্যাংক আনন্দিত—মিশন ভোট সাক্সেসফুল।
আবার, সুশীল সমাজ–প্রবাসীরা পড়বেন খবরের ইংরেজি ভার্সন:
“Hasina ‘committed to secular Bangladesh’” – “Prime Minister Sheikh Hasina has reiterated her government’s determination to make Bangladesh a secular country, free of war criminals, Razakars and all those opposed to the values of the Liberation War.”
সেক্যুলারিজমের কথা উঠে এসেছে! সুশীল সমাজ আনন্দিত—মিশন সুশীল-সাপোর্ট সাক্সেসফুল।
লক্ষ্যণীয়, বাংলা ভার্সনে একবারও সেক্যুলার শব্দটা আসেনি। মূল সংবাদের ক্ষেত্রেও বাংলায় মদীনা সনদের উপর যতটা ফোকাস করা হয়েছে ইংরেজিতে কিঞ্চিত কম করা হয়েছে। আর আসল ফোকাস তো নির্ধারণ করে দিয়েছে শিরোনাম আর সাবটাইটেলটা। সালমান এফ রহমানের পত্রিকা, এটুকু ‘কাণ্ডজ্ঞান’ তো আশা করাই যায় 😛
এখানে শুধু স্ক্রিনশট নির্ভর দুচারটা কথা লিখলাম, ঘটনা বুঝে নেয়ার দায়িত্ব পাঠকের। এটাকে হলুদ বলবেন নাকি নীল, তা আপনার সিদ্ধান্ত।
যেটা ভাবছি, ওগো তুমি কার?
কঠিন ধরা খেলো!
আমাদের মিডিয়া অবশ্য সবসময়ই এমন করেছে এবং করে!
নোয়াম চমস্কির লেখা এই জন্য বেশি পড়া দরকার
ট্যাগ – বাদামি সাংবাদিকতা =))
একটা এনসাইক্লোপিডিয়া বানানো যাবে মনে হয় খবরের কাগজগুলির মাহাত্ম্য বর্ণনা করে। আর আমরা তো যা পড়ি তাই বিশ্বাস করি। 🙁
সংবাদপত্রের উচিৎ নয়, এভাবে সংবাদকে দুই ভাবে উপস্থাপন করা। তবে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কথা আলাদা। এখানে কেন যেন বাছবিচার নেই।
এর ফলে দুটো ঘটনা ঘটছে। সাধারণ মানুষের কাছে সংবাদপত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। আর পত্রিকাগুলোও, পালটাপালটি প্রতিযোগিতায়,দুটি ভিন্ন মেরুর দিকে আলোর বেগে ধাবিত হচ্ছে। বস্তুনিষ্ঠতা সংবাদপত্রের একটা বড় শক্তি। এই শক্তি হারিয়ে গেলে, বাঁচার কোন উপায়ই আর থাকবে না যে!
আমজনতাঃ বিডিনিউজ, কীভাবে পারো?
বিডিনিউজঃ এতে অবাক হওয়ার কী আছে?
এতকিছু জীবনেও খেয়াল করি নাই!
একই মিডিয়ার বাংলা আর ইংরেজি ভার্সনের ম্যাসেজ আলাদা! 😯 😯
একটা সংবাদের জন্য এরপর থেকে কয়েকটা করে সাইটে ঘোরা লাগবে! 😳
ইহা হলুদ ও না নীল ও না ইহাকে বলে জন্ডিস সাংঘাতিকতা ! আর বিডি নিউজের থলের বিড়াল অনেক আগেই প্রকাশ হয়ে গেছে ।
:dhisya: ধ্বংস
এইটা কি দেখলাম ! ভাই থামেন ! ! ! !
বিডিনিউজের হলুদামিতে মেজাজ খারাপ হয়ে থাকে। মারাত্মক একটা কাজ করেছেন!! পত্র পত্রিকার হলদেপ্রিয়তা যেইভাবে বাড়ছে, খবর পড়াই এখন বাদ দিতে হবে।
রামধরা! ! ! 8)
কিছুই বলার নেই………… 🙁 🙁 🙁
এই রকম ফাতরামি হিপোক্রেসি অসহ্য লাগে।
কেউ কম্যুনিস্ট হলে সে সবার সামনে সেভাবেই নিজেরে প্রকাশ করুক,আবার কেউ ইসলামিস্ট হলেও সে ভাবধরা না হোক।
আমি যেরকম,আমাকে যেনো সবাই সেভাবেই চিনে।