রাত আট টার মতো বাজে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। মালিবাগের আফরোজ গার্মেন্টস ফ্যাক্ট্রির সেদিনের কাজকর্ম শেষ। সরু গেইট দিয়ে বেশ তরিঘরি করে বের হচ্ছে শীর্ণ শরীরের মেয়েগুলো। সবার মধ্যে ঘরে ফেরার তাড়া। ফ্যাক্ট্রি থেকে বের হয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে শেফালী। ওকে গার্মেন্টসের আর দশটা মেয়ের সাথে মেলানো যায় না।ভরাট শরীর,খানিকটা লম্বা ,বেশ সুন্দরও । গত মাসে ও এই ফ্যক্ট্রিতে কাজ নিয়েছে। ফ্যাক্ট্রি ছুটি হয়ে গেলে শফিক এসে ওকে নিয়ে যায় প্রতিদিন।আজ ও আসতে পারবে না। শফিকের কোথায় যেন একটা কাজ পাওয়ার কথা আজ। সন্ধ্যার পর দেখা করতে বলেছে। রামপুরায় একটা টানা টিনশেডের বাসায় ছোট্ট একটা রুম ভাড়া নিয়ে থাকে শফিক আর ও। পাঁচ বছর হয়ে গেল ওদের বিয়ের। তিন বছরের ফুটফুটে একটা মেয়ে আছে ওদের। মেয়েটা এখন শেফালীর মায়ের কাছে,গাইবান্ধায়। এই দুর্দিনের স্পর্শ মেয়েকে দিতে চায় না ওরা।
বাস চলে এসেছে। বাসের দরজাটায় প্রচুর ঠেলাঠেলি চলছে,কে কার আগে উঠবে এই নিয়ে। বাসের ভিতরের দিকে তাকায় শেফালী। একদম ভর্তি! দাঁড়ানোর জায়গাটুকুও নেই! ওর সাথের কয়েকটি মেয়ে জোর করে ঠেলা সামলিয়ে উঠে গেল কোনোমতো। বাস ছেড়ে দিল। বাসের পা রাখার জায়গাটাতে ঝুলে আছে ওরা। এদিকে বৃষ্টি বাড়তে শুরু করল। ওড়নার একপাশ মাথার উপর ধরে পাশের যাত্রী ছাউনিটার দিকে দৌড় দিল সে ।ইস! ভিজে গেল পুরো শরীরটা। যাত্রী ছাউনিতে মানুষ গিজগিজ করছে। তারই একপাশে ঠাঁই নিল সে। বৃষ্টির ছিটা এসে পায়ে পড়তে লাগল,সাথে রাস্তার ময়লাগুলোও। গা ঘিনঘিন করে উঠল শেফালীর। কিছু করার নেই,আর একটা বাসের জন্য রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া। বৃষ্টির তেজ বাড়তে বাড়তে কিছুটা কমে আবার বাড়ে। একটু দূরে তাকাতেই দেখল মিজু্ মিয়া ছাতা নিয়ে এদিকে আসছে। মিজু মিয়া ওদের ফ্যাক্ট্রির কেয়ারটেকার জাতীয় কিছু একটা। বেশ লম্বা চওড়া মানুষটা। মালিকের দূর সম্পর্কের আত্মীয় নাকি। শেফালীকে খুব খাতির করে। শেফালী আপা, শেফালী আপা করে ডাকে। যখন তখন কথা বলতে চায় ওর সাথে। দুপুরের ব্রেকের সময় জোড় করে চা খাওয়াতে চায়। শেফালী এই ফ্যাক্ট্রিতে নতুন। মিজু মিয়ার আবদারে সায় না নিয়ে উপায় নেই। তবে ওর সাথে যে মেয়েগুলো কাজ করে ওরা শেফালীকে মিজু মিয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে। তার চরিত্র নাকি ভালো না। শেফালীও কিছুটা আঁচ করতে পারে। মিজু মিয়া যখন শেফালীর সাথে কথা বলে প্রায়ই ওর বুকের দিকে তাকায়,চোখ সরাতে চায় না। শেফালী ওড়না দিয়ে বুকটা ভালো করে ঢাকার চেষ্টা করে। তখন মিজু মিয়ার টনক নড়ে। শেফালী এই ভেজা অবস্থায় মিজু মিয়ার সামনে পড়তে চায় না। ভীরের দিকে কিছুটা সড়ে এসে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে। সামনে দিয়ে চলে যায় মিজু মিয়া। শেফালীকে তার চোখে পড়ে না।
শফিক এখন বাসে। লোকাল বাস, গুলিস্তান টু মালিবাগ। বৃষ্টি আসার সাথে সাথে যাত্রীরা যার যার পাশের জানালা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু সব যাত্রী এই সুবিধা নিতে পারে নি কারণ বাসের মাঝের কয়েকটা জানালায় কাঁচ নেই। কে জানে হরতালের দিন হয়ত পিকেটারদের সামনে পড়েছিল বাসটি। এদিকে বৃষ্টির কোনো বাপ-মা নেই ,অঝোরে ঝড়ছে। রাস্তায় পানিও জমতে শুরু করেছে। ঢাকার রাস্তাগুলোও হয়েছে এমন। টানা ৩০-৪০ মিনিট বৃষ্টি হলেই গাড়ির চাকা তার গলা-পানিতে সাঁতরায়। আর ঘণ্টাখানেক বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। চাকারা তখন রীতিমত ডুবুরী। তবে রিক্সার চাকারা এ সময়ে অন্যদের চেয়ে মোটামুটি সচ্ছন্দ।
শফিক নিজেকে কিছুটা সৌভাগ্যবান মনে করছে। কারণ সে একটা বন্ধ জানালার পাশে বসেছে। বৃষ্টি তাকে ভিজিয়ে দিতে পারছে না। সে জানালার কাঁচের দিকে তাকিয়ে আছে। জানালার শরীর বেয়ে বৃষ্টির কণাগুলো এঁকে বেঁকে গড়িয়ে পড়ছে। একটি কণা আরেক কণার মিলছে আবার দ্রুত গড়িয়ে আরেকটি কণাকে স্পর্শ করছে। তারপর কণাগুলো জানালার নিচে জমা নেয়া পানির সাথে মিশে যায়। সেখানে আর শফিকের চোখ যায় না। শফিকের নিজেকে বৃষ্টির কণাগুলোর মতো মনে হয়। শফিক একসময় কবিতা লিখত। দারুন সব ছড়া লিখে মজা দিত ছোট ভাই-বোনদেরকে। এ জন্য হয়ত এই সূক্ষ্মবোধগুলো মাঝে মাঝে শফিককে স্পর্শ করে। সেই ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ার পর থেকে সে ঘরছাড়া। এরপর আশ্রয় করেছে কত মানুষকে শফিক মাঝে মাঝে তা গুণতে বসে। কোথাও সে স্থায়ী হতে পারে নি। কোথাও শিকড় গাড়তে পারে নি। হয়ত শিকড় গাড়ার মতো মানুষ নয় সে। কিন্তু সে কখনো থেমে যায় নি,চেষ্টা করেছে সবসময়। এখন সে শেফালীকে ঘিরে,তার মেয়েটিকে ঘিরে শিকড় ছড়াতে চায়। তবে ইদানিং তার ভয় হচ্ছে। এই অকালে,এই অভাবের সময়ে সে পারবে তো শেফালীকে ধরে রাখতে!ওদের বিয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে শেফালী কতবার যে ওর সাথে ঝগড়া বাঁধিয়ে মায়ের কাছে চলে গেছে হিসেব নেই। ঝগড়ার ঐ একটাই কারণ-অভাব।
গত বছর শফিক একসাথে দু দুটো কাজ যোগার করতে পেরেছিল। একটা পত্রিকা অফিসে অল্প মাইনের চাকরি আর একটা প্রকাশনা সংস্থায় প্রুফ রিডারের কাজ। দুটো কাজ মিলে মোটামুটি ভালোই ইনকাম হচ্ছিল। একটু সচ্ছল লাগছিল নিজেকে। শেফালী আর মেয়েটা তখন গ্রামে ছিল। বিয়ের সময় শফিক কথা দিয়েছিল ওকে নিয়ে ঢাকায় এসে থাকবে। শেফালীরও খুব শখ ঢাকায় এসে একটা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকার। আর বিয়ের সময় শফিক শেফালীকে আরো কত স্বপ্ন দেখিয়েছিল সেগুলো আজ মনে হলে খুব লজ্জা লাগে। নিজেকে পরাজিত মনে হয়। তবে এই শখটা সে পূরণ করতে পেরেছিল। শেফালীকে আর মেয়েটাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। হেমায়েতপুরে কম ভাড়ায় একটা বাসা পেয়ে যায়। ঠিক বাসা নয়,একটা রুমমাত্র। সাব-লেট। তবে সুবিধা হলো আলাদা বাথরুম আছে,রান্না-বান্নার ভালো ব্যবস্থা আছে। রুমটা পছন্দ হয়েছিল শফিকের। এর একটা বড়ো কারণ হলো এই রুমের জানালা দিয়ে সকাল বেলা রোদ আসত। সকাল বেলার কাঁচা রোদের প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে ওর। গ্রামে গেলে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এই রোদে শরীর তা দিত। কিন্তু ঢাকা শহর এই সুযোগ তাকে দেয় নি। এখানে বেশিরভাগ সময় থাকতে হয়েছে জানালাবিহীন রুমে। সেজন্য হেমায়েতপুরের ওই রুমটার কথা কখনো শফিক ভুলতে চায় না। সংসার করার সুখ জীবনে প্রথমবারের মত অনুভব করেছিল এই রুমে থাকতেই।। আজ জানালার পর্দা,কাল দুটো সিরামিক্সের চায়ের কাপ,পরশু চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরতে যাওয়া এভাবে দিনগুলো কাটছিল। ঘুরতে বেরোলেই শেফালী ফুচকা খাওয়ার আবদার করত। মেয়েটার চাওয়া ছিল ললিপপ আর আইসক্রিম। এগুলো কিনে দিতে কী যে ভালো লাগত ওর! ওদের খাওয়ার দৃশ্য দেখে মন ভরে যেত। নিজের মধ্যে এক ধরনের পূর্ণতা খুঁজে পেত সে। একটা সংসার-স্ত্রী,ছোট্ট ফুটফুটে একটা মেয়ে-আর কিছুই যেন তার চাওয়ার নাই। সংসার থেকে আজন্ম বিতারিত শফিকের তখন এমনই মনে হত।
কিন্তু শফিকের সুখের দিন ফুরিয়ে যায়। পত্রিকা অফিসের কর্মী ছাঁটাই হয়। সেও বাদ পরে। প্রুফ রিডারের কাজ থেকে যা পায় তা দিয়ে তিন বেলা ডাল ভাত জোটে,শখ-আহ্লাদ করা যায় না। শেফালীর হাতে কিছু জমানো টাকা ছিল। শেষ হয়ে যায় সেটুকুও। বাসা ভাড়া দিতে হাত পাততে হয় শফিকের ছোট ভাই কাজলের কাছে। ভাইদের মধ্যে সেই একটু খোঁজখবর রাখে। বিপদে-আপদে এগিয়ে আসে। অবস্থা বেগতিক দেখে কাজল শেফালীকে গার্মেন্টসে কাজ নিতে বলে। শফিক সায় দেয় না। শেফালী জোরাজুরি করে,বলে “তুমি একটা চাকরি পালেই আমি এটা ছাড়ি দেব।” একসময় রাজি হতে হয় শফিককে। মেয়েটাকে শেফালীর মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ওরা রামপুরায় চলে আসে। শেফালী কাজ পায় মালিবাগের আফরোজ গার্মেন্টস ফ্যাক্ট্রিতে। ফ্যাক্ট্রির কথা মনে পড়াতে শফিক দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। এখন তো ফ্যাক্ট্রি ছুটি হয়েছে। শেফালী কি বাসায় গিয়েছে? বাসায় যেয়ে খাবে কি? রান্না করবে কি? চাল-তরকারি কিছুই নেই বাসায়। আজকে সন্ধ্যায় বাজার করার কথা ছিল। করা হয় নি,হাতে টাকা পয়সা কিছু নেই। কাজলের কাছে যেতে হবে।
শেফালী বাসায় চলে এসেছে। প্রচণ্ড মাথা ধরেছে ওর। ভেজা কাপড়ে শীত শীত করছে। গায়ে হালকা পানি দিয়ে গোসলটা সেড়ে নেয় তারাতারি। রুমে এসে কাঁথা গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়ে। ও এখন ঘুমানোর চেষ্টা করবে। কারণ এই পেটভর্তি ক্ষুধা আর এই মাথাব্যাথা নিয়ে আর যাই হোক বসে থাকা সম্ভব না। শেফালী যেকোনো কষ্ট সহ্য করতে পারে কিন্তু পেটের ক্ষুধা সহ্য করতে পারে না। মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে বাসার পাশের ড্রেন থেকে আসা বিশ্রী গন্ধ। একটু বৃষ্টি হলেই এই বিশ্রী গন্ধটা মাথা খারাপ করে দেয়। শেফালীর রাগ বাড়তে থাকে। আজকে আসুক, চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে ছাড়বে। বউ পালতে পারে না, মরদ কিসের? ফুঁসতে থাকে শেফালী। একসময় মাথা ঝিম ধরে আসে। শেফালী কিছু চিন্তা করতে পারছে না। ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে ওর ।
শফিক বাসায় চলে আসে। হাতে বাজারের ব্যাগ। দুই কেজি চাল, ১ কেজি আলু, হাফ কেজি কচুর লতি আর ২০ টাকার শুটকি কিনেছে। রাত্রে কচুর লতি দিয়ে শুটকি রান্না হবে। সকালের জন্য পান্তা রাখা হবে। আলু ভর্তা দিয়ে সকালটা চালিয়ে নেয়া যাবে।
শফিক নিজেই স্টোভ ধরায়। রান্নার আয়োজন করে। ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ার একটা সুবিধা হলো রান্নাটা বাধ্যতামূলকভাবে শিখতে হয়। স্টোভে ভাতের পাতিল উঠিয়ে দিয়ে কচুর লতি কাটতে থাকে শফিক। রেডিওটার কথা মনে হয় ওর। বহু পুরাতন রেডিও। ঢাকায় আসার পর কত মানুষের সাথে মেসে থেকেছে। একটার পর একটা মেস বদল করেছে। এই উদ্বাস্তু জীবনে শান্তি দেওয়ার মত একমাত্র সঙ্গী ছিল এই রেডিও। এফএম রেডিও গুলো পরীক্ষামূলক সম্প্রচার করছে। দিনরাত বিচিত্র কিসিমের গান চলে সেখানে। লো ভলিউমে গান চালিয়ে দেয় শফিক। রান্না-বান্না শেষ করে শেফালীকে মৃদু স্বরে ডাকে। শেফালী ঘুম থেকে উঠে স্টোভের দিকে তাকায়। তারপর জগ নিয়ে দরজার সামনে যায়। হালকা পানিতে মুখ ধোয়। বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। দুজনে খেতে বসে। শফিক অনেক কথা বলতে চায়, কিন্তু বলে না। এই রাতে সে নতুন করে কোন ঝগড়া বাঁধাতে চায় না। শেফালী চুপচাপ খেয়ে প্লেট ধুয়ে আবার শুয়ে পড়ে। শফিকের খাওয়া শেষ হলে রান্নার জন্য তেল, নুন, মসলাপাতি সব মিটসেভের ভিতর ঢুকিয়ে রাখে। অবশিষ্ট ভাতে পানি ঢেলে সেও শুয়ে পড়ে। শরীরে ক্লান্তি লাগছে। ঘুমাতে হবে।
ফ্লোরে জাজিম পেতে ওদের বিছানা। দুজন ঘুমানোর মতই প্রশস্ত। শেফালী ওপাশ ফিরে শুয়েছে। চোখে অন্ধকার সয়ে গেলে মৃদুভাবে সবকিছু দেখা যায়। শেফালীকে দেখছে শফিক। শেফালীকে ছুঁতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু সাহস হচ্ছে না। শেফালীর মন ভালো থাকলে সব উজার করে দেয়। শফিকের তখন নিজেকে বড় ধনী মনে হয়। ধনী হওয়ার স্বাদ সে পেয়েছে বহুবার। কিন্তু শেফালীর রগচটা স্বভাব। রাগলে মাথা ঠিক থাকে না। মুখে যা আসে তাই বলে। শফিক রাগারাগি করতে পারে না। ঐ সময়গুলোতে সে মাথা নিচু করে থাকে। কেমন যেন গুঁটিয়ে যায়। আজ রাত শফিকের গুঁটিয়ে থাকার রাত। শেফালীকে ছুঁয়ে দেখার সাহস আজ তার হবে না। ঘুমিয়ে পড়ে শফিক। ঝমঝম শব্দে টিনের চালে আঘাত করে চলেছে অদম্য বৃষ্টি।
৬ মাস পর
শেফালী চুলায় রান্না চড়িয়েছে। চুলার আগুন জ্বলছে না। ধোঁয়ায় ভরে যাচ্ছে চুলার আশপাশ। একটা বাঁশের ফুকারি চুলার ভিতর ঢুকিয়ে সমস্ত নিঃশ্বাস ভরে ফু দিচ্ছে। আগুন জ্বলে উঠল। শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখের ঘাম মুছল সে। শেফালী এখন গাইবান্ধায়। পাশের গ্রামের এক বয়স্ক মুদি দোকানির সাথে তার নিকাহ হয়েছে। ৫ মাস হলো সে গ্রামে মায়ের কাছে ফিরে এসেছে। এর দু মাস পর ডিভোর্স হলো ওদের । শফিক ঢাকায়, এখনো একটা চাকরির সন্ধানে। মেয়েটা শেফালীর মায়ের কাছে।
নাগরিক জীবনের বিচিত্র টানাপোড়েন… 🙁
গল্পটা কি এখানেই শেষ ?
হ্যা, এখানেই শেষ। জীবন তার চলে কিন্তু গল্প শেষ হয়।
হ্যা, এখানেই শেষ। জীবন তার মত চলে কিন্তু গল্প শেষ হয়।
গল্পের শেষটা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল
🙁
হোক না একটু মন খারাপ!!!!