গত একবছর ধরে অন্ধের মত মোহাচ্ছন্ন হয়ে আছি যে লেখকের প্রতি তিনি পরিচিত শংকর নামে। পুরো নাম মণিশংকর মুখোপাধ্যায়।
জন্মঃ ৭ ডিসেম্বর ১৯৩৩, পথের পাঁচালীর দেশ বনগ্রামে, তদানীন্তন যশোহর জেলায়।
ঘটনার সুত্রপাত একবছর আগে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে। ব’পুর (বড় আপু) বাসায় এসে অলস সময় কাটাচ্ছিলাম, আর ব’পুর বাসার বইগুলা নেড়েচেড়ে দেখতেছিলাম। একটা বই হাতে নিলাম। “মুক্তির স্বাদ”-শংকর। লেখকের নাম এই প্রথম দেখলাম। বেশ আগ্রহ হলো। বেশি বই পড়ার চেয়ে বেশি লেখকের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বেশি কাজ করে। পড়া শুরু করলাম। এই লেখক সম্পর্কে আগে থেকে একেবারেই কোনো ধারণা নেই, নামও শুনি নি কখনো কার কাছে। তাই আনকোরা নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে পড়ছিলাম।
কিছুক্ষণ পর দুলাভাই দেখল আমি এই বই পড়ছি। দেখে কয়েক মুহূর্ত চুপ থেকে বলল-“এই বই পড়ছ! খুব ভালো বই”। ভাব খানা এমন আমি বিশাল কোনো এক জ্ঞানী বই হাতে নিসি আর তা দেখে উঁনি আপ্লুত।
যাই হোক, বইটা পড়লাম। পড়ে যে কী অনুভূতি হলো তা বুঝাতে পারব না, তবে যারা ব্লগ নিয়মিত পড়েন তারা এতোটুকু অবশ্যই বুঝবেন যে, একটা বই পড়ে কতটুকু মোহচ্ছন্ন হলে একজন সেটার রিভিউ লেখে।
কিছু পরিচিত মানুষ বলেছে, (আমারও তাই ধারণা) আমার কিছু ভালো লাগলে প্রশংসা আমি একটু বেশিই করে ফেলি। হয়ত শংকরের প্রতি আমার অন্ধ মোহও অনেকটা সেরকম। তবে যারা শংকরের বই পড়েছেন, শংকরের সাথে পরিচিত, তাদের সাথে কথা বলে দেখেছি, তারা সবাইই খানিকটা আমার মত।
“মুক্তির স্বাদ” পড়ে এতো অবাক হয়েছি! কীভাবে একজন এমন লেখে? এতো বাস্তববাদী মনে হয়েছে। পরবর্তীতে তাঁর যতগুলো বই পড়েছি সবগুলোই প্রচণ্ড রকমের বাস্তবমুখী মনে হয়েছে। আর “মুক্তির স্বাদ” পড়ে তো আমার আফসোসের শেষ ছিল না এই বই আমি এতো পরে কেন পড়লাম? ঢাকায় আসছি ততদিনে এক বছর হয়ে গিয়েছিল এবং এই এক বছরের অর্ধেক সময়ই ব’পুর বাসায় কাটিয়েছি। ক্লাস তো করতাম না, বসে বসে দিন গুনতাম কখন বুধবার আসবে আর আপুর বাসায় দৌড় দিব। (তখন সবে বাসা ছেড়ে হলে আসছি বলে কথা!!!)
এক দফা দুঃখ ছিল ঢাকায় থাকার এক বছর পর কেন ওই বই পড়লাম। এরপর ছুটিতে বাসায় যেয়ে আরেকটা ধাক্কা খেলাম। মেঝ’পুর বাসায় যেয়ে দেখি মেঝ দুলাভাই এর কাছে আরো এত্তোগুলো শংকরের বই। চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করল, আগে কেন দেখি নি, কেন পড়ি নি……
শুরু হল আমার শংকর অভিযান। পড়তাম আর প্রতি লাইনেই যেন অবাক হতাম। মধ্যবিত্ত জীবনের কঠোরতা, বেকারত্বের হতাশা, কর্ম-জীবন, দারিদ্র্য-এসব তাঁর লেখার মুল উপজীব্য বিষয়।
তারপরের পড়া বই ছিল-“ঘরের মধ্যে ঘর”। সেটাও আরেকটি বাস্তবমুখী উপন্যাস। একেকটা ঘটনা পড়ে মনে হয়েছিল- ঘটনাটা ঠিক এইভাবেই হবার কথা, এখানে এটাই হবার কথা, এটা ছাড়া অন্য কিছু বেমানান, মেকি হত। সত্যই বলি- ঘটনাগুলো হয়ত খুবই সাধারণ, আরো অনেক লেখকের লেখায়ই তা উঠে আসতে পারে, তবু হয়ত নিজের মোহর জন্যই কেমন যেন একটা আবেশ কাজ করত, অসাধারণ মনে হত। হুমায়ন আহমেদের লেখার মুল বিষয়ও অনেকটা এসব ছিল। হুমায়ন আহমেদের অন্ধ ভক্ত/অল্প ভক্ত কোনটাই না, তাই হয়ত ওভাবে ছুঁয়ে যায় নি। মোটামুটি বাস্তবমুখী লেখার জন্য শংকর আমার কাছে ব্যাপক ‘হিরো’ হয়ে উঠল দিন দিন।
যত বই পড়ছিলাম আর তত অবাক হচ্ছিলাম এটা ভেবে- এতো পরিণত লেখেন তবু তাঁর প্রসার এতো কম কেন? শুরু হলো আমার গবেষণা। পুরাতন অভ্যাস- কিছু ভালো লাগলে তাঁর আগা-গোড়া আতি পাতি খুঁজে বের করব। আর এখন তো ইন্টারনেট থাকতে কোনো সমস্যাই নাই। সারা দিন রাত নেটে শংকরকে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেছি। আর দুলাভাই যেহেতু শংকরের সময়কার পড়ুয়া, তাই উনিও শংকর সম্পর্কে জানতেন ভালো। উনার ভাষ্যমতে শংকরের লেখা এতো বাস্তবমুখী,লেখায় জীবনের এতো কঠোরতা উঠে আসার কারণ, তিনি নিজ জীবনে অনেক ভুক্তভোগী। তাই নিজ জীবন থেকে দেখে শিখেছেন। অনেক কষ্ট করে জীবনে উঠে এসেছেন আর তাঁর কঠিন বর্ণনাই উঠে এসেছে উপন্যাসগুলোতে নানা ভাবে।
তাঁর উপন্যাসের আরেকটা উপভোগ্য ব্যপার হচ্ছে তিনি উপন্যাসের শেষে মুখবন্ধ দেন কোথা থেকে কোন ঘটনা লিখেছেন। দেখা যায় উপন্যাস পড়ার সময় যেটা অতি নাটকীয় মনে হয়, অবিশ্বাস্য মনে হয়, মনে হয় এমন উপন্যাসেই হয়, বাস্তবে না-সেটা আসলে তিনি জীবনে কখনো না কখনো দেখেই লিখেছেন।
সবচেয়ে দুঃখ লেগেছে তাঁর অপরিচিতিতা দেখে। ওপার বাংলায় উঁনার প্রসার থাকলেও এপার বাংলায় বর্তমানে উনার প্রসার কম। দুলাভাইদের মত তখনকার সময় এর কিছু পড়ুয়া থাকার কল্যাণে তবু আমি শংকরকে জানতে পেরেছি, পড়তে পেরেছি। নিউমার্কেট-আজিজে শংকরের বই পাওয়া গেলেও নীলক্ষেতে শংকরের ফটোকপি বই পাওয়া না যাওয়াও বোধ করি অপ্রসারের একটা কারণ। কারণ নিউমার্কেট-আজিজে অরজিনাল বই এর যে পরিমান দাম, তাতে আমারও এখন পর্যন্ত সাধ্যে কুলায় নাই একটা বই কেনার। শংকরের বই জন্য ঢাকা-চট্টগ্রামের পুরাতন বই এর দোকান সব ঘুরে চষে ফেলেছি। দুঃখের বিষয় যেসব বই দুলাভাই এর কাছে আছে, সেসব বইই বই এর দোকানে পাই, আর যেসব বই নাই, সেগুলো পাইও না।
সবচেয়ে উপভোগ করেছি যেটা সেটা হলো শংকরের আনকোরা নতুন হওয়াটা। কোনো কিছু যখন কারো বলে দেয়া ছাড়া নিজেই আবিষ্কার করি তখন সেটার মজা বহুগুন বেশি এবং কারো কাছ থেকে আগে থেকেই শংকর খুব ভালো লেখেন, অমুক তমুক না শুনেই পড়া শুরু করেছিলাম বলেই হয়ত মোহের আরেকটা কারণ।
একটা উপন্যাস পড়েছিলাম-“জনঅরণ্য”। আগে বলেছি কিছু কিছু উপন্যাসের শেষে মুখবন্ধ থাকে। এই উপন্যাস শেষ করে মুখবন্ধ পড়ছিলাম। উপন্যাসে এমন ভাবে ডুবে ছিলাম যে মুখবন্ধ অনেক টুকু পড়ার পর বুঝতে পেরেছিলাম ওই উপন্যাস আসলে শেষ, আমি এখন মুখবন্ধ পড়ছি। “জনঅরণ্য” উপন্যাস শেষ হয়ে যাবার দুঃখ আমার আজও যায় নি।
“সীমাবদ্ধ” পড়ে যে ঘোরের মধ্যে ছিলাম তাতে আশেপাশের মানুষকে বিরক্ত করে ছাড়সি কাহিনী শুনায়ে।
আরেক উপন্যাস “কত অজানারে” এক মলাটের একটা বই এর ভেতরে যে এত কিছু বলে গেছেন তা আসলেই ‘কত অজানারে’ নামের সার্থক নামকরণ।
মুরুব্বিরা বলেন, মানুষ জীবনে তখনই উন্নতি করতে পারে যখন তাঁর মাঝে সম্মান, কৃতজ্ঞতা থাকে। ইংরেজ শেষ ব্যারিস্টার নোয়েল ফ্রেডরিক বারওয়েলের হাত ধরে তাঁর কর্মজীবনের শুরু, সাহিত্য জগতে প্রবেশ। তাঁর লেখার আষ্টেপৃষ্ঠে যেভাবে ফ্রেডরিক বারওয়েলকে জড়িয়ে রেখেছেন, তা থেকেই তাঁর শ্রদ্ধা বোঝা যায়।
ফ্রেডরিক বারওয়েলের প্রতি শ্রদ্ধা স্বরূপ ও তাঁর নাম উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে তিনি লিখতে শুরু করেন ‘কত অজানারে’ উপন্যাস। তাঁর স্মৃতির টুকরোগুলো নিয়ে লেখেন, লেখেন সাহেবের কথা, দুখিনী মায়ের কথা, মধ্যবিত্ত জীবনের কথা। ‘কত অজানারে’ যখন দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে ছাপা হতে থাকে তখন সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
পশ্চিম বাংলার হাওড়া এলাকায় তার বেড়ে উঠা। জীবনে অনেক সংগ্রাম, চরাই-উতরাই পার হয়ে তার উঠে আসা।১৯৪৭ সালে পিতৃদেবের অকালমৃত্যুর পরে মাতৃদেবী অভায়ারাণীর অভয়ারণ্যে কঠিন জীবনসংগ্রামের শুরু সংখ্যাহীন জীবিকার মাধ্যমে – কখনও পথের ফেরিওলা, কখনও টাইপরাইটার ক্লিনার, কখনও প্রাইভেট টিউশনি, কখনও হাওড়ার খ্যাতনামা বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনে শিক্ষকতা, কখনও অখ্যাত জুট ব্রোকারের কনিষ্ঠ কেরানি। কখনও টাইপিস্ট, কখনও স্টেনো এবং কোনো একসময় কলকাতার শেষ ইংরেজ ব্যারিস্টার নোয়েল ফ্রেডরিক বারওয়েলের ক্লার্ক হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টের আদালতী কর্মক্ষেত্রে পদার্পণ।তাই নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে জীবনের চরম সংগ্রাম ফুটে উঠে তার লিখায়।
সাহিত্যের জগতকে এক নতুন রুপ দিয়েছেন তিনি, সাধারন চিরাচরিত উপন্যাস থেকে সরে এসে জীবনমুখী, চরম বাস্তবতা তুলে ধরেন তিনি তার লেখায়। রবীন্দ্র-শরৎ এর পরবর্তী যুগে তিনি সর্বাধিক সার্থক এবং জনপ্রিয় ও আলোচিত উপন্যাসিক। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন কলকাতা হাই কোর্ট এর শেষ ব্যারিস্টার নোয়েল ফ্রেডেরিক বারওয়েল এর অধিনস্ত কর্মচারী। তার মৃত্যু শংকরকে জীবনের কঠিন সংকটের মুখামুখি করে। মুলত ফ্রেডেরিক বারওয়েল এর হাত ধরেই তার সাহিত্যের জগতে পদার্পণ। ফ্রেডেরিক বারওয়েল এর মৃত্যুর পর তার প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞটা স্বরূপ শংকর প্রথমে প্রতিকৃতি, পরবর্তীতে রাস্তা করতে চান।কিন্তু উভয় ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে সব শেষে কলম তুলে ধরেন।
একটানে পড়লাম।
মুগ্ধতা থেকে কত কথা লেখা যায় তাই না? আমি নিজেও আগে মোহ নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলাপ করতে পারতাম। এখন তেমন মোহিত হই না আর, বয়স হইছে তো! 🙁
দারুণ লিখছো। :fire: :fire:
তোমার সাথে তো আলাপ হইছেই শঙ্কর নিয়ে, তাই নতুন আর লিখলাম না কিছু। আমাকে পড়তে দিও, বিশিষ্ট ভক্ত!
ধন্যবাদ :guiter:
এখন তো অনেক দিন গেসে, তাই একটু ধাতস্থ হইসে, প্রথম প্রথম তো যাকে সামনে পাইসি তাকেই ধরে গল্প শুনানো শুরু করসি আর বোঝাইসি শংকর না পড়লে জীবনে তোমার কত কিছু বাদ থেকে গেলো…… 🙁
ধন্যবাদ আপু, সুন্দর রিভিউটির জন্য. আমি এ লেখকের নাম শুনিনি এর আগে কিন্তু রিভিউ পড়ে তো এক্ষুনি কিনে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছে. জীবনধর্মী লেখক বলছেন বলেই মূলত.
মুগ্ধতায় লেখা রিভিউ চলুক আরো, মুগ্ধতা নিয়ে পড়ার অপেক্ষায় রইলাম. :happy:
জীবনধর্মী ভালো লাগে? তাহলে অবশ্যই শংকরের লেখা ভালো লাগবে।
‘কত অজানারে’ দিয়ে শুরু করতে পারেন। একটা বই এ এতো এতো জীবন থেকে নেয়া ঘটনা বলে গেছেন যে পড়ে আমার ইচ্ছা করেছে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে কোর্ট বিল্ডিং এ কোনো চাকরি ধরি, তাহলে আমিও অনেক ঘটনা জানতে পারব।
ইনশাল্লাহ লিখব। শীঘ্রই লেখার ইচ্ছা আছে।
শঙ্কর এর কথা কলেজে প্রথম শুনেছিলাম, অনেক অপরিচিত লেগেছে…
আমি চৌরঙ্গী আর আরেকটা বই পড়েছি, নাম মনে পড়ছে না এই মুহূর্তে, এত্তো সাবলীল ভাবে তুলে ধরেন সব জীবনবোধ, মুগ্ধতার শুরু সেখানেই!!
কিন্তু দুঃখের বিষয়, শংকরের বই তেমন সহজ প্রাপ্য নয়……
চমৎকার লিখেছেন…… 🙂
ধন্যবাদ 🙂
“চৌরঙ্গী”র কথা আর নাই বা বললাম। ওটা একটা মাষ্টার পিস। শুধু “চৌরঙ্গী” নিয়েই একটা রিভিউ লেখার ইচ্ছা আছে (ছিল)। রিভিউ লিখব বলে “চৌরঙ্গী”র অনেক কিছু কোট করছিলাম। দুঃখের বিষয় সেই নোটটা হারিয়ে ফেলেছি। 🙁
দারুণ লিখেছো। এমন লেখা আরও চাই
আমি একটাই পড়ছি। চৌরঙ্গী। ভালো লাগছে।
আপনার আমাকে শংকরের বই দেয়ার কথা ছিল। আপনার কোন এক ফ্রেন্ডও আমার মত শংকর ফ্রিক বলসিলেন। কিন্তু বই দেন নাই। আমি কিন্তু ভুলি নাই। :dhisya:
তবে ধন্যবাদ 🙂
নামটা মনে হয় শুনেছিলাম তবে পড়া হয় নি কখনও। এখন তো পুরোই লোভ ধরিয়ে দিলে !! অনলাইনে কোন পিডিএফ লিংক পাওয়া যাবে ? খোঁজ জানলে দিও।
পিডিএফ পড়তে ভালো লাগে না। কিন্তু শংকরের জন্য আমি পিডিএফও পড়তে রাজি।
ভালো আইডিয়া! পিডিএফ পড়ি না বলে আগে এটা মাথায় আসে নি। এখন অবশ্যই খুঁজব। পেলেই জানাব। ধন্যবাদ আইডিয়ার জন্য :beshikhushi:
পিডিএফ পড়তে আমারও বিচ্ছিরি লাগে। ঠেকায় পড়ে বললাম আর কী, দেশের বাইরে আছি বলে।
http://boirboi.blogspot.com/search/label/Shankar
এখানে একটা ত্রয়ী উপন্যাস আছে। তাঁর মাঝে “জনঅরণ্য” আর “সীমাবদ্ধ” অসাধারণ। কিন্তু কথা হচ্ছে আমি ডাউনলোড করতে পারি নাই। মিডিয়াফায়ারে ফাইল unavailable দেখাচ্ছে।আপনি চেষ্টা করে দেখাত পারেন। 🙂
আমিও আগে ওনার নাম শুনিনাই, তবে কয়েকটা কোটেশনের বইতে তার কিছু কোটেশন পেয়েছিলা, ভালো লেগেছিল।
আপনার লেখা পড়ার পর তার লেখা বই আর জীবন সম্পর্কে আগ্রহ বেড়ে গেল।
আপনি কি শংকরের আশা আকাঙ্ক্ষা পড়েছেন। বইটি সম্পকে রিভিউ দরকার। যদি সাহায্য করতেন খুব উপকার হতো। ধন্যবাদ