১৬ বছর আগের আমাদের প্রথম পরিচয়ের গল্প!

তখন সবে মাত্র ক্লাস টু তে উঠেছি।পিচ্চি ছেলে!
ছেলে তাঁর কোন স্কুলে পড়বে না পড়বে তা নিয়ে আমার দরবেশ টাইপ বাবার কোনই মাথা ব্যাথা নেই।কিন্তু আমার আম্মু আমার চিন্তায় অস্থির!
আম্মুই আমার প্রথম টীচার(পুরা একদম ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত)।
উনার আইডিয়া,উনার ছেলে স্টুডেন্ট খারাপ না।তার ভালো কোন স্কুলে পড়া উচিত।

যেই চিন্তা সেই কাজ!সাদিয়া আপুর আম্মুর পরামর্শ অনুযায়ী আমাকে ভর্তি করে দেয়া হলো অনির্বাণ কোচিং সেন্টারে।

বাসায় আমার ছোট দুই ভাই ছিলো।তারা ছাড়া আর উপরের তলার বাড়িওয়ালার ছেলে বাবুকে ছাড়া আর কাউকে সেই বিশাল শহরে আমি চিনতাম না।এমনই সময়ে আমার যাওয়া শুরু হলো,অনির্বাণ কোচিং সেন্টারে।
সেখানে কোথায় যাচ্ছি আর কি জন্যই বাঁ যাচ্ছি,সে ব্যাপারে আমার কোনই আইডিয়া ছিলো না!

যতদূর মনে পড়ে ,কোন এক বিকেলে আম্মু আমাকে নিয়ে কোচিং এ হাজির হলেন।প্রিন্টের কাজ করা ছোট ছোট হলুদ ফুল আঁকানো কালো রঙয়ের শার্ট পরা এক স্যার আমার নামটা জিজ্ঞাস করেই ভাইবা নেয়া শুরু করলেন! আমি তো অবাক !
প্রথম প্রশ্ন, ১৯ এর উল্টা কত? আমি  নগদে উত্তর দিতে পারলাম। 
পরে উনি বলে,জিহবা চিন?বললাম,চিনি।
বলে,দেখাও তো।
মজা পেয়ে গেলাম।জিহবা বের করে দেখাতে গিয়ে হেসে দিলাম।
এখন ব্যাটা আমারে বলে,জিহবার ইংলিশ কি?!!
আমি বললাম,টাং।
এখন বলে বানান বলো!
ধীরে সুস্থে ঠিকঠাক বানানটাও বলে দিলাম।

ওরে আল্লাহ,এই কি মুসিবত!
সেই দিন এর পর থেকে শুরু হইলো আজাবের কঠিন অবস্থা!!ডেইলি কোচিং এ যাই,আম্মু যেইখানে বসায়ে দিয়ে যায়,চুপচাপ বসে এক গাদা কোয়েশ্চান পেপার সল্ভ করে দিয়ে আবারো চুপচাপ বসে থাকি।ক্লাস শেষ,আম্মু যেইখানে বসায়ে রেখে যায়,সেইখান থেকে তুলে নিয়ে আসে!অনেক দিন ক্লাস করা হয়ে গেছে,আমি ক্লাসমেটগুলার চেহারা চিনি,নামও জানি কিন্তু কথা বলি না আর আমার কাছেও ওরা আসে না।

এমন সময়ে আমার সাথে পরিচয় হয় আমার কলিজার দুইটা টুকরা মাসনুন আর পুষ্পর সাথে ।
আমার বিশ্বাস এই দুই গাধার খুব একটা মনে নাই,তাদের সাথে আমার পরিচয় কিভাবে হয়েছিলো।কিন্তু আমার বেশ ভালোই মনে আছে।আজকের ব্লগ হবে এদের সাথে আমার পরিচয়পর্ব নিয়ে।

*আমার কলিজার লেফট লোব,মাসনুনের সাথে আমার যেভাবে পরিচয়ঃ

একদিন জুমাবার বিকেলে আম্মু আমাকে নিয়ে আমাদের পরের গলির এক বাসায় বেড়াতে গেলেন।আমি ওই বাসার খালামনিকে চিনতে পারলাম।উনার ছেলে তো আমার সাথে পড়ে!কিন্তু নাম তো জানি না ওই ছেলের!আম্মু আর খালামনি বসে গল্প করছেন,আর আমি হাঁ করে বসে উনাদের শোকেসে রাখা একটা জলপাই রঙয়ের খেলনা ট্যাংক দেখছি!হঠাৎ বলে উঠলাম,এইটা কার?
খালামনি বললেন,মাসনুনের!
এই বুঝতে পারলাম,উনার ছেলের নাম মাসনুন।
একটা ব্রিক গেইমও দেখলাম।
খালামনি ভিতরে গেলে আম্মুকে বললাম,আম্মু এই ট্যাঙ্ক এর ড্রাইভার নাই?
আম্মু বলে,একটা চড় দিব!কিছু একটা দেখলেই তুই ড্রাইভার খুজোস!!(আমাকে তখন খেলনা কিনে দেয়া হত না!কিনে দিলেই সেইটার উপর আমি আমার মেধা ফলাতাম!আমার বিরাআআআট প্রশ্ন ছিলো,এই খেলনাটা চালায় কে!?তাই যেইদিন খেলনা কিনে দেয়া হইত,অই দিন বিকালেই আল্লায় দিলে খেলনার চৌদ্দটা!তা সেইটা যত দামিই হোক!)

ওই দিন মাসনুনরে বাসায় পাই নাই,কারন সে নাকি তার বাবার সাথে কই বাইরে গেছে।
পরের দিন কোচিং শেষে ওই খালামনির সাথে দেখা।দেখি উনার সাথে উনার ছেলে।

সন্ধ্যা হয়ে আসছে,তখন বাসায় চলে আসার পালা।আম্মু আর খালামনি দাঁড়িয়ে রিকশা দেখছে।আমরা রাস্তার পাশে এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম,যে জায়গাটা ছিলো একটা ভিডিও গেইমসের দোকানের সামনের অংশ।তখন শাহজানপুরে আমাদেরকে ভিডিও গেইমসের দোকানের সামনে দিয়ে আসতে যেতে উপদেশ দেয়া হত,এইখানে খারাপ ছেলেরা যায়।ভুলেও এইখানে যাবা না,ঐগুলা কি জিনিস দেখবা ও না,হেনতেন……!
তো উনারা রিকশা দেখতেসে,আর এই সুযোগে আমি আর মাসনুন ভিডিও গেইমস কি জিনিস দেখার জন্য উঁকি দিলাম,দোকানের ভিতরে।আর দিকে আম্মু আর খালামনি গল্প করতেসে আর রিকশা দেখতেসে,আর উনার মনে করতেসে আমরা উনাদের পিছনে দাঁড়ায়ে আছি।কিন্তু আমরা করে বসলাম অন্য কাহিনী।
দেখলাম,পিছনে পর্দাঢাকা গেইমসের দোকান।মাথায় আসলো কুবুদ্ধি,আমি প্রথমে ঢুকলাম,পরে আমার পিছনে পিছনে মাসনুনও!
আমি একটা মেশিনের জয়স্টিক নাড়াচাড়া করছি,দেখি সেও কাম শুরু করে দিসে!!
আমার সাথে তার প্রথম কথা ছিলো,’তোমার কাছে কি কোন কয়েন আছে??’
আমি হ্যাঁ বাঁ না বলার আগেই,আম্মু ডাক দিলো!!
ভয়ে ভয়ে দুই জন পর্দা সরিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসলাম!দেখি,আম্মু ভয়াবহ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে!আর মাসনুনের সে সময় কি অবস্থা হয়েছিলো,তা দেখার টাইম তখন আর আমার ছিলো না!! ;P

*আমার কলিজার রাইট লোব (এই লোবটা কিন্তু লেফটের চেয়ে অনেক বড়! ;P) ,পুষ্পর সাথে আমার যেভাবে পরিচয়ঃ

অনির্বাণের প্রথম যে স্টুডেন্টের সাথে আমার পরিচয় হয়,সে ছিল পুষ্প।
মজার জিনিস হলো,ওকে ও আমি ক্লাসে চিনতাম না।ক্লাসের বাইরেই ওর সাথে পরিচয়।

আজব ব্যাপার হলো,ক্লাসে যাদের চিনতাম,তাদের সাথে আমার চিনাটা ওই ক্লাসের বাইরে আর গড়ায় নি,আর ক্লাসের বাইরে যাদের চিনলাম,তারা শেষপর্যন্ত আমার রেঞ্জের বাইরে যেতে পারে নি,ইনশাআল্লাহ পারবেও না।

পুষ্পর সাথে প্রথম পরিচয়টা এখনো বেশ অদ্ভুত লাগে আমার কাছে।কোচিং এ ছেলেগুলার সাথেই ভালোভাবে কথা বলতাম না আর মেয়েরা তো দূরে থাকুক!
গ্রীষ্মের খুব গরমের কোন একদিন সন্ধ্যায়।কোচিং শেষ।আম্মুর হাত ধরে বাইরে বের হলাম।আম্মু রিকশা দেখতেসে,দেখি উনার সাথে এক খালামনিও।খালামনির সাথে উনার মেয়ে।মেয়েটাকে দেখলাম একবার,অপ্রস্তুত হয়ে চোখ অন্যদিকে ফিরিয়ে নিলাম।নাহ,এই মেয়েকে আমি চিনি না,আমার সাথে পড়ে না সে!একই ক্লাসে অনেকগুলা ব্যাচ যে থাকতে পারে তা আমার জানা ছিলো না।
গরমের দিন তাই রিকশাও রাস্তায় কম।তো বেশ কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে রিকশা পাওয়া গেলো একটা।এখন আম্মু বা খালামনি কেউ কাউকে রেখে যাবেন না।
কি আর করা?দুইজন উঠে পড়লেন এক রিকশায়,আর আমরা দুইজন উনাদের কোলে।
উনারা কি সব গল্প করলেন,মনে নাই।
রিকশা খিলগাঁও রেলগেইট ক্রস করে তিলপাপাড়ায় ঢুকলো।আমাদের বাসা ছিলো পুষ্পদের বাসার পরের গলিতে।আর পুষ্পদের বাসা ছিলো গলির সম্ভবত দ্বিতীয় বাসাটা।আম্মু খালামনিকে সেখানেই ড্রপ করতে চাইলেন কিন্তু খালামনি খুব নাছোড়বান্দা।উনি আমাদেরকে আজকেই তাঁর বাসায় নিয়ে যাবেন।কমপক্ষে আজকে বাসাটা তো চেনা হবে!
আসলেই কি শুধু বাসা চেনা?নাহ,শেষ পর্যন্ত রিকশা আমাদের বাসায় আসার বদলে উনাদের বাসার সামনে থামলো।
চার তলা এক বাড়ি।রঙ করা হয় নি,বারান্দায় গ্রীল দেয়া।
খালামনি এখন আর কথা রাখলেন না,উনি জোর করে রিকশা বিদায় দিয়ে আমাদেরকে উনার বাসায় নিয়ে ছাড়লেন! পুষ্পর সাথে এতোক্ষন পর্যন্ত আমার কোন কথা তো দূরে থাকুক,আমি দ্বিতীয়বার তাকাইও নি!
উনাদের বাসাটা ছিলো বিল্ডিং এর নিচতলায়।কলিং বেল চাপতেই বারান্দা দিয়ে চাবি দেয়া হলো কলাপসিবল গেইটের।উনাদের বাসাটা ঢুকেই হাতের বাঁ দিকে।যা মনে পড়ে,ডান দিকে ছিলো চেয়ার বানানোর এক ওয়ার্কশপ।আমি এইটা আগে কখনো দেখি নি।কিছু কালো রঙ এর চেয়ার,ফোম আর আইকার ঝাঁঝালো গন্ধে বুঝলাম এইটা একটা ওয়ার্কশপ।
তো উনাদের বাসায় ঢুকলাম।ড্রইংরুমে বসে আছি।আম্মুর আর খালামনি গল্প করছেন।পুষ্প বাসায় ঢুকেই ভিতরে চলে গেছে।একা বসে আছি আর উনাদের গল্প শুনছি দেখে খালামনি বললেন,বাবা তুমি ভিতরে গিয়ে ওদের সাথে গল্প করো।পুষ্প তো তোমার সাথেই পড়ে!
এই প্রথম টের পেলাম,এই মেয়ের নাম পুষ্প আর সে আমার ক্লাসমেট!
কি আর করা?খুব অপ্রস্তুতভাবে ড্রইংরুম ছেড়ে ভিতরে উঁকি দিলাম।দেখি পুষ্পর সাথে আরেকটা মেয়ে।ডাইনিং টেবিলের উপরে টিউবলাইট জ্বলছে আর টেবিলে কিছু একটা রেখে দুইজন মিলে কি যেনো করছে।জড়সড়ো হয়ে কিছুটা দূরে দূরে দাঁড়িয়ে রইলাম আর দেখতে থাকলাম ওরা কি করছে।
ওরা ফ্রিজ থেকে তখন আইস ট্রে টা খুলে তা থেকে বরফ বের করার চেষ্টা করছিলো।কিন্তু আইস হওয়ায় তারা ট্রে টাই ভালোভাবে ধরে রাখতে পারছিলো না।আমি তখনো কোন কথা না বলে দূরে দাঁড়িয়ে দেখছি।
কিছুক্ষন চেষ্টা করে ওদের হাত জমে গেলো।তখন পুষ্পই প্রথম বলে উঠলো,তুমি কি একটু বরফ খুলে দিতে পারবা?
আমি কোথায় জানি দেখেছিলাম,আইসট্রে তে একটু পানি দিলে একটু পরে সহজেই বরফ খুলে আসে।

আমি সংকোচে তখনো কোন কথা বলতে পারছিলাম না।তাই চুপচাপ ট্রে টা হাতে নিলাম।
ওরা দুই বোন একটু সময় তো এর মাঝে ট্রাই করেই ফেলেছে,তাই আমি টেবিলে রাখা একটা স্বচ্ছ প্লাস্টিকের জগ থেকে একটু পানি দিতেই বরফ খুলে আসলো।দুই বোন মহা খুশী হয়ে গেলো!পিয়া বলে ফেললো,তোমার কি হাতে ঠান্ডা লাগে নাই?

আমি মুখটা হাসি হাসি করে রইলাম।

এই হচ্ছে আমার মেমোরীতে থাকা আমার কলিজার টুকরাগুলার সাথে আমার প্রথম পরিচয়ের কিছু সাদাকালো স্মৃতির ডাটা।

** এই পোস্টের শেষ লাইন হচ্ছে,

‘I LOVE YOU BOTH TOO MUCH THAT YOU CANN’T IMAGINE’

(তবে পুষ্পরে একটু বেশী,ডোন্ট মাইন্ড মাসনুন!)

– একলা পথিক

অন্য স্বর সম্পর্কে

ননরেজিস্টার্ড সদস্যগণও যেন সরবে লিখতে পারেন সেই জন্য এই একাউন্ট। যোগাযোগ পাতায় কিছু লিখে জমা দিলে সরব এর মডারেটরগণ তা মূল্যায়ন করবেন। মনোনীত হলে এই একাউন্ট দিয়ে ছাপা হবে।
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে স্মৃতিচারণ-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

21 Responses to ১৬ বছর আগের আমাদের প্রথম পরিচয়ের গল্প!

  1. মজা লাগলো পড়ে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমার বাসাও শাহজাহানপুরে। আর আমার জীবনেরও প্রথম কোচিং এই অনির্বাণেই!!!!!

  2. শারমিন বলেছেনঃ

    ভালো লেগেছে 🙂

  3. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    কিছু কিছু স্মৃতি এত টগবগে হয়ে থাকে !! অনেক ভালো লাগল…
    নিয়মিত লিখার অনুরোধ থাকল। 🙂

    • একলা পথিক বলেছেনঃ

      অনেক ধন্যবাদ আপু !

      আমারও ইচ্ছা রেগুলার লেখার।
      এখন সরব সুযোগ দিবে তো?

      • মাধবীলতা বলেছেনঃ

        না দেয়ার তো কারণ দেখি না ! রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন… 😀

        • একলা পথিক বলেছেনঃ

          আসলেই তা,না দেয়ার কোন কারন নেই।
          রেজিস্ট্রেশন করা আছে আপু।
          কিন্তু সরব আমাকে আমার নিক এর কোন পাসওয়ার্ড এখনো দেয় নি।অপেক্ষায় আছি বেশ কিছুদিন থেকে।

      • সরব বলেছেনঃ

        আপনি রেজিস্ট্রেশন করে থাকলে আপনার ইউজারনেইম পাঠিয়ে দিন। অথবা রেজিস্ট্রেশন করুন

        • একলা পথিক বলেছেনঃ

          ইউজার নেইম কোথায় পাঠাবো?
          রেজিস্ট্রেশান করেছিলাম,পরে মেইল থেকে কনফার্মেশান লিঙ্কটা ও কনফার্ম করেছিলাম।

          কিন্তু আমাকে কোন পাসওয়ার্ড জানানো হয় নি।
          আমি কিভাবে তা পেতে পারি?

          • সরব বলেছেনঃ

            এইখানেই বলুন আপনি কোন ইউজারনেইম দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন

          • একলা পথিক বলেছেনঃ

            ভাই,সকালে মেইল চেক করলাম।
            সরব থেকে গতকাল আমাকে মেইল করে আমার আইডি আর পাসওয়ার্ড দিয়েছে।
            অনেক ধন্যবাদ ভাই।

            ব্লগিং শুরু,বিসমিল্লাহ…… :happy:

        • একলা পথিক বলেছেনঃ

          একটা সমস্যায় পড়লাম।আমি সরব থেকে আইডি,পাসওয়ার্ড পেয়ে গেছি।
          আজকে একটা পোস্ট দিলাম।কিন্তু তা পাবলিশ হচ্ছে না কেন,বুঝলাম না!
          আমি এই পোস্ট সেইভ করে,ড্রাফটে রেখেছি।কিন্তু পরে দেখি আমার সেইভ করা সেই ড্রাফট আর নেই।সমাধান কি এর??

  4. অনাবিল বলেছেনঃ

    মজা লাগলো অনেক পড়ে… কিছু বন্ধুত্ব যে কিভাবে কিভাবে হয়ে যায়…… কিভাবে যে একদম নিজেদের একটা অংশ হয়ে যায়…টেরই পাওয়া যায় না… 🙂

    ভালো থাকুন, নিয়মিত লিখুন… 🙂

    • একলা পথিক বলেছেনঃ

      ভাই,জীবনের বেশ অনেকটা পথই তো হাঁটলাম,অনেক বন্ধুত্বও হলো,অল্প কিছু বাদে বাকি গুলা সময় শেষে হারিয়ে গেলো।
      সম্পর্ক যত বেশী ছোটবেলার,তত বেশী মজবুত বন্ধন।

      এই দুইটার সাথে মাঝে আমি পাক্কা দশ বছর ডিসকানেক্টেড ছিলাম,পরে আমিই ওদের খুঁজে বের করি।
      কিন্তু আমাদের মাঝে যে একটা গ্যাপ হয়েছিলো,আমরা কেউই তা বুঝি নি !
      সত্যিকার বন্ধুত্ব তো এটাই !!

      আপনাকে ধন্যবাদ।লেখার কাজ চলবে ইনশাআল্লাহ।আপনিও ভালো থাকবেন।

  5. mashnoon বলেছেনঃ

    dost you made me cry dost!!! 🙁 the flashback!!! you remember every single thing about us. love you dost. Stay safe. 🙂 🙂 🙂

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।