সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন: মাইয়া মানুষের ‘দেহরক্ষা’

মাইয়া মানুষ যদি দেখাইতে চায় তাইলে পুরুষ মানুষ কি না তাকাইয়া পারে?

দেহরক্ষী সিনেমার পরিচিত এই ডায়লগটা আজকাল লোকমুখে খুব শুনতে পাই। না, দেহরক্ষীর কাটাছেঁড়া করা আমার এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। আমি বরং সরাসরি আমার আসল টপিকে চলে যাই।

ষাট থেকে সত্তরের দশকে নারীবাদীদের অভিধানে প্রথমবারের মত “সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন” নামে একটি শব্দ উঁকিঝুঁকি মারা শুরু করে যার সংজ্ঞা উঠে আসে ক্যাথেরিন ম্যাককিননের লেখা ‘টুয়ার্ড আ ফেমিনিস্ট থিওরি অব দ্য স্টেট’ বইতে। খটোমটো শব্দটাকে ভাঙলে যা বোঝা যায়-

সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন হলো কথা, চাহনি, ভাব, ক্ষমতার প্রয়োগ, মিথ, বাস্তবতা- যেকোন কিছুর মাধ্যমে একজন নারীকে বস্তু হিসেবে তুলে ধরা। বস্তুটা কিন্তু অবশ্যই সেক্সুয়াল বস্তু! অর্থাৎ মানুষ হিসেবে নারীকে তার ব্যক্তিত্ব ও অনুভূতির বাইরে এনে কেবলমাত্র ‘সেক্স অবজেক্ট’ হিসেবে অন্যের সামনে তুলে ধরা হবে এবং সেভাবেই তাকে মূল্যায়ন করা হবে!

তবে কীভাবে আমরা বুঝবো একজন নারীকে সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশনের শিকার হতে হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে অক্সিডেন্টাল কলেজের প্রফেসর ক্যারোলিন হেডম্যানের কাজ নিউ ইয়র্ক টাইমস, হাফিংটন পোস্ট, ডেইলি বিস্টের মত নামকরা পাবলিকেশনে প্রকাশিত হয় ও প্রশংসা কুড়ায়। তাঁর কাজের সূত্র ধরে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমি উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেশ অবাক হই, যখন দেখতে পাই আমাদের দেশেও আজকাল মেয়েদেরকে সেক্স অবজেক্ট হিসেবে গণ্য করার ব্যাপারটা শুরু হয়েছে!

বেশ সহজ কতগুলো প্রশ্নের সূত্র ধরে দেশীয় প্রেক্ষাপটে মেয়েদের অবস্থানকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি আমি এখানে-

প্রশ্ন ১. ছবিটা কি কোন সেক্সুয়ালাইজড ব্যক্তির শরীরের অল্প কিছু অংশ প্রকাশ করছে?

নারীকে সেক্স অবজেক্ট হিসেবে তুলে ধরার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, মানুষ হিসেবে মানুষের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত অঙ্গগুলোকে ছবি থেকে কেটে বাদ দেয়া, যেমন, চোখ, চেহারা। পেছন দিক থেকে একজন নারীর ছবি তোলা কিংবা চোখ-মুখ ঢেকে তোলা ছবিও সহজেই নারীকে সেক্স অবজেক্ট হিসেবে তুলে ধরতে পারে।

 

সূত্র: দুটি ছবিই দেশের প্রথম সারির পত্রিকায় প্রকাশিত

প্রশ্ন ২. সেক্সুয়ালাইজড ব্যক্তির ছবি কি কোন বস্তুর জন্যে/পক্ষে ব্যবহৃত হচ্ছে?

নিচের ছবিতে একজন নারীকে শাড়ি রাখার বস্তু হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, নারীকে সেক্সুয়ালাইজড করে এমনভাবেই একটি শাড়ির বিজ্ঞাপন দিয়েছে একটি প্রথিতযশা পোশাক কোম্পানি যাতে অবজেক্ট বা বস্তু হিসেবে শাড়ির পাশাপাশি নারীও স্থান পায়। ইনসেটের উপরের ছবিটি একটি বিখ্যাত দেশীয় ডিওডোরেন্ট কোম্পানির বিজ্ঞাপন যেখানে ডিওডোরেন্ট নামক বস্তুর জন্যেই নারীটি পুরুষ সঙ্গীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে বলে তুলে ধরা হয়েছে অর্থাৎ বস্তুর জন্যেই নারী, নারীর জন্য বস্তু নয়। ইনসেটের নিচের ছবিটি চুলে ব্যবহৃত একটি পরিচিত পণ্যের বিজ্ঞাপন। নারীর চোখ, মুখের অনেকখানি ঢেকে রেখে এখানে প্রকাশিত হয়েছে কেবল পণ্য আর চুলের জন্যই এই বিজ্ঞাপনে নারীটিকে প্রয়োজন ছিল, একজন ক্রেতা বা মানুষ হিসেবে নয়।

প্রশ্ন ৩. ছবিটি কি একজন সেক্সুয়ালাইজড ব্যক্তিকে বিনিময়যোগ্য হিসেবে তুলে ধরে?

বিনিময়যোগ্যতা মেয়েদেরকে বস্তু হিসেবে তুলে ধরার আরেকই সহজ উপায়। বস্তুর মত এখানে মেয়েদেরকে “যত বেশি তত ভালো” (মোর ইজ বেটার) এই ব্যবসায়িক সেন্টিমেন্টে বেঁধে দিলে মানুষ হিসেবে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য বা ইন্ডিভিজুয়ালিটি এগুলো খুব সহজেই মুছে ফেলা সম্ভব।

ছবিসূত্র: বাংলাদেশের প্রখ্যাত কয়েকটি বিউটি স্যালুন ও মেক-ওভার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন

প্রশ্ন ৪. ছবিটি কি প্রকাশ করে যে সেক্সুয়ালাইজড ব্যক্তিটি সহজলভ্য?

নিচের ছবি দুটি দেশের একটি নামকরা বুটিক হাউজের গত বছরের বৈশাখী কালেকশানের বিজ্ঞাপনের ছবি। ছবিতে শাড়ি পরা মেয়েটিকে এতটাই সহজলভ্য হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে যে ১০-১২ বছরের পথশিশু, বছর চল্লিশের দোকান কর্মচারী, এমনকি ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের সামনেও সে দেখার মত বস্তুতে পরিণত হয়েছে!

প্রশ্ন ৫. ছবিতে কি সেক্সুয়ালাইজড ব্যক্তির শরীরকে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে?

নিচের ছবি দুটি দেশের একজন বিখ্যাত মিডিয়া ফটোগ্রাফারের সাইট থেকে নেয়া যেখানে মেয়েদের শরীর ক্যানভাসের মত একটি বস্তু হিসেবে ফুটে উঠেছে, মানুষ হিসেবে মেয়েদের স্বাতন্ত্র্য, অস্তিত্ব এখানে অনুপস্থিত।

প্রশ্ন ৬. ছবিতে কি সেক্সুয়ালাইজড ব্যক্তির বাকস্বাধীনতার অনুপস্থিতি প্রকাশ পেয়েছে?

সেক্সুয়াল অব্জেক্টিফিকেশন অনেক সময় এমনই তুঙ্গে ওঠে যে সরাসরি মুখে কুলুপই এঁটে দেয়া হয় চিন্তাশক্তি বা বাকশক্তিহীন দেহসর্বস্ব নারীর। নিচের ছবিটি দেশের আরেকটি বুটিক হাউজ ও জুয়েলারি শপের বিজ্ঞাপন যেখানে নারীর কুলুপ আঁটা মুখ অবজেক্টকে ধরে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

নারীকে সেক্সুয়াল অবজেক্ট হিসেবে তুলে ধরছে কারা?

একজন নারী কীভাবে সেক্স্যুয়ালি অবজেক্টিফায়েড হচ্ছে সেটার বিশ্লেষণ উপরে করে ফেলার পর সাধারণভাবেই “কারা নারীকে বস্তু হিসেবে তুলে ধরছে” প্রশ্নের উত্তরটা বের করা কঠিন কিছু নয়। কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এই সহজ উত্তরটাই কিন্তু শতভাগ পূর্ণ নয়। নারীর বস্তুবাদিতাকে মিডিয়া অর্থাৎ দেশের প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া, চলচ্চিত্র মিডিয়া, টেলিভিশন মিডিয়া তুলে ধরলেও আজকাল এর সাথে যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, ফটোগ্রাফার, এমনকি আমি-আপনি-আমরাও!

শুরুতে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘দেহরক্ষী’ সিনেমার কথা বলছিলাম। শুধু এই একটা সিনেমা দিয়েই আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি কীভাবে আমরা সবাই মেয়েদের সেক্স্যুয়ালি অবজেক্টিফিকেশনের সাথে জড়িত। লক্ষ্য রাখবেন, প্রতিটি পয়েন্টেই প্রাধান্য পেয়েছে নায়িকা ববির সেক্সুয়ালাইজেশন এবং তাকে অবজেক্ট হিসেবে তুলে ধরার প্রক্রিয়া। এখানে কোন ক্ষেত্রেই তার মুখভঙ্গী, স্বাতন্ত্র্যতা, ডায়লগ ডেলিভারি কিংবা অভিনয়শৈলী মুখ্য ভূমিকা রাখে নি।

১. প্রিন্ট মিডিয়া

দেশের প্রধান দৈনিক আইটেম গানকে মেইনস্ট্রিম করে যখন খবর প্রকাশ করে তখন নারীদের সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন হয় বৈকি! উল্লেখ্য, খবরের শিরোনাম ছিল “ববি ও আইটেম গান”, সিনেমাটা কিন্তু নয়!

২. অনলাইন মিডিয়া

অনলাইন মিডিয়ার ভেতরে নিউজ মিডিয়া, ফেসবুক, ব্লগ ইত্যাদি অনেক কিছুই পড়ে। একটি অনলাইন নিউজ মিডিয়াতেও খবরের শিরোনাম ছিল “দেহরক্ষীর হট ববি”!

৩. চলচ্চিত্র, ভিডিওগ্রাফার, ফটোগ্রাফার

দেহরক্ষী লিখে গুগল ডট কম’এ সার্চ দিলে যে ছবিগুলো আসে তার একটা নমুনা এখানে দিলাম।

৪. মিউজিশিয়ান, শিল্পী, গীতিকার

দেহরক্ষী সিনেমার প্রধান আকর্ষণ যে আইটেম সঙ, যার সাথে মিলিয়ে নারীকে সেক্সুয়ালি অবজেক্টিফায়েড করা হয়েছে, সেই গানের লিরিকটা চলুন দেখে আসি-

জাদু এ দুটি চোখে
প্রেমের দোলা এ বুকে,
জাদু আমারই রূপে
নেশায় ডুবিয়ে রাখে
এ রাত এখনও বাকি
আমি সে রাতেরই পাখি…
খুঁজে নাও না আমায়
ভালবাসো আজ এ রাতে
দিওয়ানা কত দিওয়ানা
ঘুরে আগে পিছে হয়ে মাস্তানা
ছোঁও না আমায়, ছোঁও না
রাতের রানী আমি সোহানা…

৫. আপনি-আমি-আমরা

দেহরক্ষী দেখেছে কিংবা অচিরেই দেখবে এমন অনেকের কথোপকথন দেখেছি, পড়েছি, শুনেছি; ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সবার মুখে। পরিচয় গোপন রেখে কিছু উক্তি এখানে তুলে ধরছি (প্রতিটি লাইনে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের উক্তি তুলে দিলাম)-

– দোস্ত, দেহরক্ষী দেইখা আসলাম, বুবি আপা যা দেখাইছে তাতে মাথা নষ্ট!
– ববি আপা দেখি বুবি আপা হইয়া গেল!
– রাতের রানীর ফিদা হইয়া গেলাম রে!
– মুন্নি, শিলা, চামেলি দেখমু কেন? আমাগো দেশেই তো অহন সোহানা আছে!
– সানির চেয়ে ববির আইটেম হাজার গুন বেশি হট!
– আজকে থেকে আমার সবচেয়ে প্রিয় নায়িকা ববি! কেউ আপত্তি করলে এক্কেরে মুড়ি খাওয়ায়ে দিমু।
– কাইলকা সোহানার নাচ দেখতে যামু, তোরা কেউ যাবি?
– ৩০ টাকার সিডি দেইখা আসছি রে হলে!

কী ক্ষতি নারী সেক্সুয়ালি অবজেক্টিফায়েড হলে?

২০০৬ সালের দিকে প্রথম মিডিয়ার সামনে মেয়েদেরকে সেক্স অবজেক্ট হিসেবে তুলে ধরা নিয়ে মার্থা আর ল্যাঙটনের কাজ প্রশংসিত হয়। ফিজিওলজিক্যাল সায়েন্স নামের একটি জার্নালে ২০১০ সালে প্রকাশিত সেগেই’এর রিসার্চ এক অভূতপূর্ব বিষয় প্রকাশ করে। সেগেই পরীক্ষা করে দেখান যে, সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশনের শিকার নারীরা পুরুষদের তুলনায় কম কথা বলেন। রিসার্চে প্রমাণিত হয় যে পুরুষ সঙ্গীরা কথোপকথনের সময় নারীর ইন্টার‍্যাক্টিং অরগ্যান যেমন, চোখ, মুখের দিকে না তাকিয়ে শরীরের দিকে তাকালে তারা নিজেদের সেক্সুয়ালি অবজেক্টিফায়েড মনে করে এবং সাইকোলজিক্যালি তারা কথা বলতে অনাগ্রহী হন। অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েরা পুরো সময় জুড়ে কথা বলেন না, সময়ের অনেক আগেই তাদের কথা শেষ হয়ে যায়। অন্যদিকে পুরুষদের এমন কোন ঝামেলায় পড়তে হয় না। কথোপকথনের সময় নারী সঙ্গীটি তার দেহের যেকোন দিকে তাকিয়ে থাকলেও সে পুরো সময় জুড়ে কথা বলতে সক্ষম।

২০১৩ সালেই একই জার্নালে র‍্যাচেলের রিসার্চ প্রকাশিত হয় এবং সেখানেও সেক্সুয়ালি অবজেক্টিফায়েড মেয়েদের বাকস্বাধীনতা হ্রাস পাওয়ার তথ্য উঠে আসে।

জিন কিলবোর্ন নামের আমেরিকান নারীবাদী লেখক মেয়েদের সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন নিয়ে অনেকগুলো ডকুমেন্টারি তৈরি করেন যেখানে তিনি সেক্সুয়ালি অবজেক্টিফায়েড নারীদের শারীরিক, মানসিক, আচরণগত ও স্বাস্থ্যগত সমস্যার সম্মুখীন হবার কথা তুলে ধরেন।

সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন চেইন অব সাইকেলটা বেশ ভয়াবহ। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে চিন্তা করলে, আমরা একসময় ছেলেমেয়েরা কখনোই সেক্স অবজেক্ট হিসেবে প্রকাশিত কোন মেয়েকে নিয়ে নিজেদের মাঝে কথা বলতাম না। অথচ এখন সেক্স অবজেক্ট বলে পরিচিতি পাওয়া শিলা, চামেলি, মুন্নি, সানি লিওন, সোহানাকে নিয়ে হরহামেশা কথা হয় এবং সেটা পাবলকলিই হয়। ছেলেদের কথার মাঝে হয়তো মেয়েরাও দুষ্টুমি করে আসে। সব মিলিয়ে সেক্স অবজেক্ট হিসেবে মেয়েদের তুলে ধরাটাকে অপরাধ বা নেতিবাচক বলে মনে তো করা হয়ই না, বরং সেটা ইতিবাচকভাবেই ধীরে ধীরে আমাদের সমাজে পাকাপোক্ত আসন গেড়ে নিচ্ছে। আমরা জানিই না যে সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন একটা অসুস্থতার লক্ষণ; শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক অসুস্থতা। মেয়েরা যখনই সেক্স অবজেক্ট হিসেবে অধিক পরিচিতি পাবে তখন সেক্সুয়াল অ্যাবিউজের হার বেড়ে যাবে, বেড়ে যাবে ধর্ষণ, অল্প বয়সে প্রেগন্যান্সির মাত্রা, শিশু মৃত্যুহার, অল্প বয়সী মায়ের গর্ভকালীন জটিলতা ইত্যাদি; সাথে সাথে কমে যাবে ভালোবাসা, বিশ্বাস, মূল্যবোধের স্থান, নারীকে স্বতন্ত্র্য মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করার এবং স্বীকৃতি দেয়ার হার।

আমেরিকাতে আজকাল মেয়েদেরকে অবজেক্ট হিসেবে দেখার ফল ভোগ করছে শিশুরাও। তাদের মানসিক বিকাশ নিয়ন্ত্রণ করছে সেই দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আজকাল সেখানে দুই বছরের বাচ্চা মেয়ের জন্যে বাজারে রয়েছে হাই হিল, ৫-৬ বছরের মেয়েদের জন্য বিকিনি এবং কিশোরী হবার আগেই তাদেরকে পরিচিত করে দেয়া হচ্ছে ফিজিক্যাল রিলেশানের সাথে যেখানে ছেলেমেয়ে একে অন্যকে ভালো লাগা মাত্রই সম্পর্ক স্থাপনে জড়িয়ে পড়ে নিজেদের ভেতর কোনরকম ভালোবাসা তৈরি হবার আগেই।

আমরা চিন্তাও করতে পারি না, আশির দশকে আমাদের মিডিয়া জগতে আইটেম গান কিংবা পর্ন তারকার কোন প্রয়োজন বা কদর ছিল। অথচ আজ এই ২০১৩ সালে মেয়েদেরকে সেক্স অবজেক্ট হিসেবে দেখতে, ভাবতে, তুলে ধরতে, গল্প করতে ছেলেমেয়ে কেউই আমরা দ্বিধাবোধ করি না। আজ থেকে বিশ বছর পরে এই সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশনের ফলাফল কী হতে পারে তা আমরা একবারও চিন্তা করছি কি? ২০৩০ সালে সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার, মেয়েদের মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা এখনকার তুলনায় কয়েক গুন বেড়ে গেলে তার জন্যে আমরা কাকে দায়ী করব- মিডিয়াকে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নাকি আমাদেরকেই?  

বিশেষ দ্রষ্টব্য

  • এই লেখাটি কোন ব্যক্তি, মিডিয়া বা প্রতিষ্ঠানকে হেয় করার জন্য লেখা নয়। তারপরেও লেখার মাধ্যমে কেউ অনিচ্ছাকৃত আঘাত পেয়ে থাকলে লেখক হিসেবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
  • লেখার সাথে কোন ব্যক্তি নিজেকে মিলিয়ে কোন সাদৃশ্য খুঁজে পেলে তার দায়ভার সেই ব্যক্তির ওপর বর্তাবে, কোনভাবেই লেখকের ওপর নয়।
  • লেখার সাথে যুক্ত সবগুলো ছবিকে ঝাপসা করে ছবির মান ইচ্ছাকৃতভাবে কমিয়ে দেয়া হয়েছে। লেখক হিসেবে আমি চাই নি যে ছবির ব্যক্তিদের কেউ  আমার লেখনীর মাধ্যমে ছোট হোক বা সেক্সুয়ালি অবজেক্টিফায়েড হোক। ছবির প্রয়োজনে আমার এই লেখা নয়, বরং লেখার প্রয়োজনেই ছবিগুলো এসেছে।
  • লেখাটি পাঠকপ্রিয়তা পেলে অর্থাৎ পাঠক চাইলে এই বিষয় নিয়ে সিরিজ লেখার কথা চিন্তা করা হবে যেখানে আমাদের সমাজে সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশনের উপায়, কারণ, প্রভাব, করণীয় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উঠে আসবে। সম্পূর্ণটাই নির্ভর করছে পাঠকের চাওয়া ও ইচ্ছের ওপরে।

ফিনিক্স সম্পর্কে

"প্রিয় পতাকার লাগি // জটায়ুর মত রক্ত ঝরাতে // আমিও প্রহর জাগি..." https://www.facebook.com/phoenix.chhanda
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে ইতিবাচক, চলচ্চিত্র, চিন্তাভাবনা, বিবিধ, সচেতনতা-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , , , , , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

61 Responses to সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন: মাইয়া মানুষের ‘দেহরক্ষা’

  1. ছোটন বলেছেনঃ

    নারীর পণ্যায়নে মাইক্রো লেভেলে নারীর আত্মিক ক্ষতি যেমন হয়, তেমনি ম্যাক্রো লেভেলে নারীর প্রতি পুরো সমাজের সম্মান হ্রাস পাওয়ার ঘটনাও প্রকট। খুব ক্ষুদ্র উদাহরন: বাসে এখন মেয়েদের সীট ছেড়ে দেয়ার ঘটনা কদাচিৎ দেখি।

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      কথা সত্যি ভাইয়া। কিন্তু ম্যাক্রো আর মাইক্রো লেভেলে কাজে না নামলে গতি নাই। অন্তত চেষ্টা করি যতদূর সম্ভব।

  2. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    এর বিপরীতে দাঁড়ানোর শুরুটা মেয়েদের করা উচিত বলে মনে করি। আমরা অবজেক্ট/ জিনিস হবো না! আইটেম গার্ল হবো না! এই রকম আচরণ শো করলে অনেক দূর যাওয়া সম্ভব।
    আর মিডিয়াতে আসা উচিত বেশি বেশি কীভাবে মেয়েরা মানুষ থেকে মাল হয়ে উঠছে

    এই কীভাবে না জানলে বিপদ এই পড়তে হবে! (কে জানে হয়ত পড়ে গেছি এর মধ্যেই!)

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      সমাধান এই পোস্টে আমি দেই নাই!
      আপাতত রেখে দিছি যাতে মানুষ নিজেরা একটু ব্রেইন ওয়ার্ক করে। 😛

      পরে চাইলে অবশ্য সেটা নিয়ে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করা হবে, তবে অবশ্যই পাঠকের চাওয়ার ওপর নির্ভর করে সেটা। 🙂

    • ম্যানীফোল্ড বলেছেনঃ

      পুরোপুরি সহমত। নিজের ভালো নিজেই না বুঝলে কেউ পতন ঠেকাতে পারবে না।

  3. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    ব্যাপারটা সেটাই। মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা দরকার, কারিনা, ক্যাট্রিনাদের রোল মডেল ধরা বন্ধ করতে হবে। খুব দরকারি পোস্ট !

  4. সুবর্ণরেখা বলেছেনঃ

    এত চমৎকার একটা লেখার জন্য অপেক্ষা করছিলাম মনে মনে । তুমিই সেই কাজটা করে দিলা ! :love:
    আমার সবচেয়ে খারাপ লাগছে, যখন দেখছি, দেহরক্ষীর কথা মেয়েদের ও মুখে মুখে ! ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে কমপক্ষে দশ জন মেয়েকে আমি এইটা নিয়ে স্ট্যাটাস দিতে দেখছি ! সেক্সুয়ালাইজড হতে হতে আমরা যে কোথায় গেছি, আমরা হয়ত সেটা টেরও পাইনা আজকাল । 🙁

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      সিনেমা হিসেবে দেহরক্ষীর কথা আসতেই পারে, খারাপ কিছু দেখি না আমি এর মধ্যে। কিন্তু যখন ববির আইটেম নাচটাই মূল ফ্যাক্ট হয় এবং শিলা, চামেলি, সানিদের সাথে তুলনা করে একটা রেখায় অবজেক্টিফিকেশনের ব্যাপারটা চলে আসে, তখন সেটা খারাপ, একটু বেশিই খারাপ।

  5. Kaiser বলেছেনঃ

    Excellent post covering the social discrimination! The main thing is that we are imitating the controversial cultural/advertising stuffs from western world that are not matched in our moral & ethical value. But we don’t copy the good social/business aspect like nice social behavior, tricks of business, mutual respect, etc. which is existed in the western world. We the person are responsible for this. Then the main responsibility goes to print/electronic/social media as well as so called intellect who are promoting this things to be girls/women like a product. In a word, proper education & awareness can change this submissive attitude towards girls/women..

  6. সুহৃদ বলেছেনঃ

    আপু ! কাঁটা-ছেড়া করোনি- ঠিক, তবে বিশ্লেষণগুলো চুল-চেরা হয়েছে।

  7. বাঁটুল দি গ্রেট বলেছেনঃ

    মুদ্রার এক পিঠ এর বিশ্লেষণ হল… আরেক পিঠ এর কথা কি লেখক ভুলে গেলেন নাকি সচেতনভাবে এড়িয়ে গেলেন? আধুনিকতার নামে যেমন নারীকে পণ্যে পরিণত করা হচ্ছে তেমনি ধর্মের নামেও হচ্ছে। আমাদের দেশের বিখ্যাত অনেক আলেমগণের ভাষণ কিংবা ওয়াজ কয়েক মিনিট শুনলেই তার মধ্যে নারীকে কলা, মিষ্টি, চকলেট এসবের সাথে তুলনা করা হয়ে যায় বেশ কয়েকবার। আমেরিকার চার্চ কিংবা ভারতের ধর্মগুরুরাও কোন অংশে কম যায় না। এসবের ফিরিস্তি দিতে শুরু করলে শেষ করাও মুশকিল…

    নারীকে কাপড় খুলতে বললে ব্যাবসায়িরা খুশি হয়, প্যাকেট করে ঘরে রাখলে মৌলবাদীরা খুশি হয়। কিন্তু নারী ক্যারিয়ারিস্ট হলে, স্বাধীনচেতা হলে, কথার পিঠে পাল্টা জবাব দিলে, নেতৃত্বের জায়গায় গেলে, কেউই খুশি হয়না। এবং এটাই লড়াইয়ের আসল জায়গা।

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      লেখক কিছুই ভুলেন নাই ভাইয়া। লেখককে ভোলার চান্স তার পাঠকরা দিবেনও না আশা করি, যেমন আপনি দেন নি। একটা পোস্টে সবকিছু তুলে আনা খুব খুব কষ্টের ছিল লেখকের জন্য। শুধু দেহরক্ষীর পরের কনসেকোয়েন্স নিয়ে লেখতে গিয়ে লেখক দেখলেন যে যদি এইটা নিয়ে সরাসরি লেখা হয়, সেক্স অবজেক্টিফিকেশন কি বোঝানো ছাড়াই, তবে উগ্র মৌলবাদীরা চেপে বসবে। এক আমাকাপড়ের দোহাই দিয়ে সমাধান দাঁড় করাতে তখন দুই মিনিট সময়ও লাগবে না। লেখক চান নি যে তার লেখায় কোন ধরনের উগ্রবাদিরা আসন গেড়ে বসুক, লেখাকে মিসইউজ করুক। একই কথা উগ্র নাস্তিকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

      মেয়েদের কী করা উচিত, স্বাধীনচেতা হওয়া উচিত কী অনুচিত- এই বিষয়গুলো লেখায় আসে নি, একটাই কারণ, মানুষের একটুখানি ব্রেইনস্টর্মিং হোক। শুধু একটা পোস্টেই সব শেষ করে দেয়া গেলে লেখক খুশিই হতেন, ঝামেলা অনেক কমে যেত কিন্তু বিষয়টা এতটাই বিশাল এবং জটিল যে সবগুলো দিক নিয়ে একসাথে এক জায়গায় দাঁড় করানো সম্ভব হয়ে ওঠে নি লেখকের পক্ষে। এটাকে ব্যর্থতা বলেও স্বীকার করতে দ্বিধা নেই।

      পাঠক চাইলে পয়েন্ট বাই পয়েন্ট ধরে বিস্তারিত লেখা সামনে আসতে পারে, আর এজন্য আপনাদের সবার সাহায্য অবশ্যই দরকার।
      আশা করছি তখন আপনাদের পাশে পাবো।
      অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। 🙂

    • ম্যানীফোল্ড বলেছেনঃ

      আর কাপড় খুলতে বললে বেশিরভাগ ‘তথাকথিত’ ক্যারিয়ারিস্ট, স্বাধীনচেতারাই খুশি হয়। তাদের আচরণ সর্ষের ভেতর ভুতের ন্যায়।

      ধর্ম কখনোই প্যাকেট করে ঘরে রাখে না, বরং সম্মান রক্ষা করে অগ্রগামী হতেই প্ররণা দেয়। যেসব ধর্মগুরুর কথা বললেন তারা আদতে ধর্মগুরু নয়, ধর্মব্যবসায়ী বটে।

      আর গুটিকয়েক ধর্মব্যবসায়ীকে দিয়ে ধর্মকে বিচারকার করলে বিচারকের দুরভিসন্ধি নিয়েই প্রশ্ন জাগে। :thinking:

      • ফিনিক্স বলেছেনঃ

        ধর্ম ব্যবসায়ী আর ধার্মিক কিন্তু একই মানুষ নন, দুটো পুরো দুই মেরুর। কিছু ধর্ম ব্যবসায়ীর কারণে ধর্মীয় ম্যাসেজ মিস ইন্টারপ্রিটেশন হলে দোষ কিন্তু ধর্মের না, ঐ ধর্ম ব্যবসায়ীর।

        ম্যানীফোল্ডের কথাকে সরলীকরণ করে লিখলাম, এই সরলীকরণের সাথে আমি একমত।

      • Anik Samiur Rahman বলেছেনঃ

        উরি বাপ্রে, কান না টানতেই মাথা এসে হাজির, কান টানলে তো মনে হয় জনসভা এসে হলুদ কার্ড দেখিয়ে ফেলতো এতক্ষনে।:thinking:
        [শুধু দেহরক্ষীর পরের কনসেকোয়েন্স নিয়ে লেখতে গিয়ে লেখক দেখলেন যে যদি এইটা নিয়ে সরাসরি লেখা হয়, সেক্স অবজেক্টিফিকেশন কি বোঝানো ছাড়াই, তবে উগ্র মৌলবাদীরা চেপে বসবে।]

      • Anik Samiur Rahman বলেছেনঃ

        ভাই ওষুধে এত টক্সিক সাইড এফেক্ট, তারপরো সহিহ ওষুধের কোন দোষ নাই!??

      • Anik Samiur Rahman বলেছেনঃ

        কেবল কতিপয় ধর্ম ব্যাবসায়ী?
        এইগুলি একটু পড়ে জানাবেন কতিপয় ধর্মব্যাবসায়ীদের লিস্ট কত গভীর?
        বুখারি শরীফ; ভল্যুম৭, বই৬২, হাদিস ৩০-৩৩।
        আমি আরো দেখাতে পারি, যদি আপনি চান।

        • তারেক বলেছেনঃ

          “Evil omen is in the women, the house and the horse.”
          ভায়া !!! শীলা-মুন্নিরা কি আসলেই মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় ক্ষতির কারন নয় কি ??? তেমনি ভাবে জাগতিক মোহ ও তো একজন মুসলমানের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্নভাবে। সবচেয়ে বড় কথা , এই কথা গুলো একজন মুসলমানের জন্য প্রযোজ্য।

          যখন কোন অভিযোগ করেন, অন্ধের মত যেখানে সেখানে অভিযোগ না করে জায়গা মত অভিযোগ করেন, যেখানে আপনার অভিযোগের উত্তর কেউ দিবে। বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মানুষের ক্ষতি করবেন না।

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      *জামাকাপড়ের
      টাইপোর জন্য দুঃখিত।

  8. ম্যানীফোল্ড বলেছেনঃ

    সত্য কথা শুনতে তিতা, তারপরও আমি প্রথমে একটি কথা বলবো যেটা আপনি মিস করেছেন (একজন মেয়ে হিসেবে এটা আপনার মিস করাটা যুক্তিসঙ্গত)-

    ‘কেন এই সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন?’ঃ :thinking:
    “নারীকে সেক্সুয়ালি অবজেক্টিফায়েড করা হয়েছে… নারীকে সেক্সুয়ালি অবজেক্টিফায়েড করা হয়েছে… নারীকে সেক্সুয়ালি অবজেক্টিফায়েড করা হয়েছে… নারীকে সেক্সুয়ালি অবজেক্টিফায়েড করা হয়েছে… নারীকে সেক্সুয়ালি অবজেক্টিফায়েড করা হয়েছে… নারীকে সেক্সুয়ালি অবজেক্টিফায়েড করা হয়েছে…” … … …
    এ কথাটি বলতে বলতে গলা দিয়ে রক্ত উঠিয়ে ফেললেও আপনি কোনো প্রতিকার পাবেন না যতক্ষণ না আপনি রোগের কারণ উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হন। প্রতিটা পুরুষের অন্তরে সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন বিষয়টি থাকে, কেউ যদি এটা অস্বীকার করে, তবে সে হয় পাগল, অথবা মিথ্যা বলে। মেয়েদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে ছেলেদের চিন্তাধারা তাদের মত ‘নিষ্পাপ’ গোছের নয়। আপনি যদি এ ব্যাপারটি না বুঝেন, তবে মনে রাখবেন সমাজে কিছু খারাপ লোক থাকবেই যারা কোনোদিন সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন বিষয়টা থেকে আপনাকে মুক্তি পেতে দিবে না এবং আপনাকে এমনভাবে ব্যবহার করবে যেটা আপনি বুঝতেও পারবেন না। এ নিয়ে আমি একটা লেখা লিখেছিলাম, পড়ার অনুরোধ রইলো-
    http://shorob.com/2013/01/%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BF-%E2%80%9C%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%87/

    প্রতিকার কি?
    আমি বার বার বলবো এবং বলতেই থাকবো- আপনি যদি সত্যি এটা থেকে ‘সমূলে’ মুক্তি পেতে চান, তবে পুরুষদের অন্তর থেকে এটা দূর করতে হবে আপনাকে (আসলে দূর করা সম্ভব না, নিয়ন্ত্রন করতে শেখানো সম্ভব)। আর এটা কেবল তখনই সম্ভব যখন ধর্মীয় মূল্যবোধটা তার ভেতর কাজ করে। একটু ভালভাবে চিন্তা করলেই দেখা যায় পর্দার বিষয়টি মেইনটেইন করা ছেলেদের জন্য মেয়েদের চাইতে অনেক বেশি কষ্টের। কেননা মেয়েদের পর্দাটা যেমন পোষাকে, ছেলেদের তেমনি অন্তরে, দৃষ্টিতে। আফসোস, আমাদের সমাজের ছেলেমেয়েরা এটা বুঝতে চায় না। তারা শুধু পর্দা ভাবতে মেয়েদের বোরখা-হিজাবই চিনেছে কিন্ত ছেলেদের পর্দার বিষয়টি ভাবে না, যেটা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ, আর এজন্য দেখা যায় পর্দাকে তারা কেবল মৌলবাদী জনগোষ্ঠীর অভিধানে রাখতেই পছন্দ করে। :wallbash:
    মোদ্দাকথা, সেক্স্যুয়াল অবজেক্টিফিকেশন সমাজের একটি ক্যান্সার যার একমাত্র চিকিৎসা ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রতকরণ আর তার অনুশাসন। এটা না করতে পারলে আজীবনেও এটা বন্ধ করা সম্ভব না। অন্তত সভ্যতার ইতিহাসে নূন্যতম একটা জাতিও আপনি দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখাতে পারবেন না যারা কিনা ধর্মীয় অনুশাসন আর মূল্যবোধ ছাড়া এটা রোধ করতে এবং ‘খুব বেশিদিন’ সে অবস্থাটা ধরে রাখতে পেরেছে। চ্যালেঞ্জ রইলো।

    একটি বিশেষ মন্তব্যঃ
    আমার মনে হয় আপনার এ পোস্টটি অধুনা তথাকথিত নারীবাদীদের মুখোশ উন্মোচনে সক্ষম, যারা নারীদের নিয়ে অনেক বুলি ছড়ায়, কিন্ত এই ‘সেক্স্যুয়াল অবজেক্টিফিকেশন’-এর প্রশ্ন আসলে সেটাকেও ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে, নারী স্বাধীনতার নামে অপব্যাখ্যা প্রদান করে, অত্যন্ত সুকৌশলে নারীকেই নারীর সম্মানের বিরুদ্ধে দাঁড় করায়। :huzur:
    সুতরাং রোগ সারাবার ডাক্তার যারা, তাদেরই এটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে বলুন ‘সবার আগে’… পুনরাবৃত্তি করছি- ‘সবার আগে’ ‘সবার আগে’ ‘সবার আগে’ ‘সবার আগে’ ‘সবার আগে’

    অনেক অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি সামনে আনার জন্য। :beshikhushi:

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      ১. এক পোস্টে সবকিছু আনা সম্ভব হয় নাই।
      ২. শুধু ধর্মীয় না; ধর্মীয়, সামাজিক ও শিক্ষাগত অনুশাসন দরকার।
      ৩. আইনের প্রয়োগের বাস্তবায়ন দরকার।
      ৪. মার্কেটিং যারা পড়ে তাদের পড়ানোই হয় সেক্সুয়ালাইজড টুলস ব্যবহার করা নিয়ে। শিক্ষা সিস্টেমের একটা চেইন লিংক ঠিক করা দরকার।

      সমাধান আসলে আরো অনেক আছে, সম্ভব হলে আর পাঠক চাইলে একতা একটা করে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে। কতদূর পারব জানি না, তবে চেষ্টা করে দেখব।

      ইয়া লম্বা পোস্ট পড়ে লম্বা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। 🙂

      • ম্যানীফোল্ড বলেছেনঃ

        সমাজের জন্য করালগ্রাসী একটা সমস্যার মূলে কুঠারাঘাত করেছেন। চেষ্টা না, অনুরোধ রইলো, অবশ্যই লিখবেন।

        ধন্যবাদটা আপনারই প্রাপ্য। অনেক ধন্যবাদ। অনেক… :beshikhushi:

        • ফিনিক্স বলেছেনঃ

          সাভারের ঘটনা শোনার পর আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে হয়েছে। মনটা ঠিক নেই আসলে। সব কেমন এলোমেলো লাগছে।

    • Anik Samiur Rahman বলেছেনঃ

      “মেয়েদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে ছেলেদের চিন্তাধারা তাদের মত ‘নিষ্পাপ’ গোছের নয়।”
      Wow! মেয়েদের চিন্তধারা নিষ্পাপ গোছের??? ম্যানিফোল্ড সাহেব মানুষের সেক্সুয়াল আচরনের পিছনের বায়োলজি আর বিবর্তনগত ব্যাখ্যাগুলি একটু জানার চেষ্টা করবেন। এটুকু মনে রাখবেন যে আমাদের উৎপত্তি এমন জীব থেকে গ্রুপ সেক্স ছিলো যাদের স্বাভাবিক সেক্সুয়াল আচরণ।
      আপনাকে কি বলবো? বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করা পাব্লিকেরাই যখন এইসব ধরার মধ্যে না নিয়ে না বোঝা, অর্ধেক বোঝা অর্থনীতি আর সমাজবিজ্ঞান নিয়ে খামাখা টানাটানি করে! মনে রাখা দরকার আমাদের সভ্য সমাজের বয়স দশ হাজার বছর থেকেও অনেক কম। কিন্তু স্রেফ মর্ডান মানুষের উৎপত্তির হিসাব ধরলেও তার আগের ২০ লাখ বছরের বিবর্তন বহু আগেই আমাদের আচরণ ঠিক করে ফেলেছে।

      • ম্যানীফোল্ড বলেছেনঃ

        দুঃখজনক যে আপনি বিবর্তিত হয়ে দশ হাজার বছর আগে ফিরে যেতে চাইছেন।

      • আতাই রাব্বী বলেছেনঃ

        ভাই অনিক বিবর্তন বিষয়টা এখানে না টেনে আনাই ভাল । আমি evolutionary biology নিয়ে কাজ করছি ২০০৭ থেকে । এটা দিয়ে এখোনো মানুষের psychological & behavioural দিক গুলি ব্যাখ্যা করা যায়না । আরেকটু সময় দাও evolutionary scientist দের ।

  9. গ্রিফিন বলেছেনঃ

    আমরা চিন্তাও করতে পারি না, আশির দশকে আমাদের মিডিয়া জগতে আইটেম গান কিংবা পর্ন তারকার কোন প্রয়োজন বা কদর ছিল।

    আপনার জানায় হয়তো ভুল রইছে। সত্তর আশির দশকে আইটেম গান চালু হয়তো আছিলোনা কিন্তু নারীর প্রতি যৌন ইঙ্গীতবাহী অনেক গানই চালু আছিলো। যেমন এই মুহুর্তে যেই গানটা আমার মাথায় আসতেছে সেইটা হইতেছে “রুপে আমার আগুন জ্বলে যৌবন ভরা অঙ্গে” ইত্যাদি ইত্যাদি………

    কিছু দ্বিমত থাকলেও লেখার সাথে মোটামুটি সহমত।

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      আপনি আমার ঐ বাক্যটির অর্থ একটু ভুলভাবে ইন্টারপ্রেট করেছেন। অবজেক্টিফিকেশন আগে থেকেই ছিল এদেশে কিন্তু এতটা খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে সেটাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টাটা ছিল না। যদিও নিজেদের অজান্তেই ব্যাপারটা সমাজে আসন গেঁড়ে বসছে।

      এখানে সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছি মাত্র।

  10. আতাই রাব্বী বলেছেনঃ

    লেখাটা পড়ে ভাল লাগল । কতগুলি বিষয় চলে আসে এর সাথে যেমন পাশ্চাত্যকরণ , আধুনিকরণ – থাক সেই প্রসঙ্গে না যাই । কেউ হইতো বলবে মেয়েদের সচেতন হওয়া উচিত, কেউ বলবে মিডিয়ার এগিয়ে আসা উচিত আবার কেউ বলবে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত । এগুলো সব থিউরিটিক্যাল কথা । বাস্তবতা হলো ভিন্ন । সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন রোধ করা সম্ভব নয় (Sorry to say) তার কারণ

    ১. নারীর পণ্যায়নে যারা সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখতে পারে সেই মিডিয়াই সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার করে নারীর শরীর ।
    ২. মেয়েদের থেকে ছেলেদের সেক্স রেসপন্স রেট অনেক বেশি তাই মেয়েদের সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন করে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া যায় বা ছড়িয়ে দেয়া যায় । উদাহরণ হিসেবে আমি বলতে পারি ফেবুতে ১৮+ পেজগুলি জনপ্রিয় হয় রাতারাতি; এই পেজগুলি বোধহয় অবজেক্টিফিকেশনের সবচেয়ে প্রয়োগ করে ।
    ৩. মিডিয়া বলি , সিনেমা বলি আর বিজ্ঞাপণ বলি কথা একটাই, এদের সবার জন্য সর্টকাট হলো মেয়েদের অবজেক্ট হিসেবে ব্যাবহার । এতে সেন্সর বোর্ডটাও রক্ষা হয় আর কাজের কাজটাও হয় ।

    নিজের একটা মতামত দেই, জানিনা ঠিক হবে কিনা : একবার এক ছোটভাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল পর্দা বা হিজাব করা নিয়ে পশ্চিমাদের এত মাথাব্যাথা কেন আর অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠানেরই এত মাথাব্যাথা কেন তাদের তো আরো অনেক প্রায়োরিটি আছে ।
    আমি মৃদু হেসে তাকে বললাম মেয়েদের পর্দা করা একটি আন্তর্জাতিক বিধান হলে বিশ্বময় কত টাকার ক্ষতি হবে বলে তুমি মনে কর ?
    সে বলল কত আর ? খুব বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে না ।
    আমি বললাম : এভাবে চিন্তা কর পর্দা করা যদি আইন হয় আর না করা যদি বেআইনী হয় তবে বিশ্বের সকল বিজ্ঞাপন ইন্ডাস্ট্রী হুমকির মুখে পড়বে । প্লেবয় এর মতো বড় বড় ম্যাগাজিনগুলি বন্ধ হয়ে যাবে । হলিউডের মতো, বলিউডের মতো ইন্ডাস্ট্রীগুলি ধংস হবে ( সোজা কথা আমি ইরানী মুভি দেখার চাইতে ইংরেজী মুভি দেখার পক্ষপাতি) । পর্নো ইন্ডাস্ট্রী বন্ধ হয়ে যাবে । অনেক টিভি চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাবে , বড় বড় বিলবোর্ড গুলি রাস্তায় ফাঁকা পড়ে থাকবে । অনেক ম্যাগাজিনই চলবেনা, পোস্টার বা কার্ডের বিজনেস গুলি বন্ধ হয়ে যাবে ।
    এইবার চিন্তা কর নারীর সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন রোধ করে দিলে কত লক্ষ হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি হবে সারা বিশ্বে আর কতজন ধনকুবের পথে বসবে ।

    আমি অন্তত এটুকু বুঝি আমি যদি ঐ ধনকুবের দের মধ্যে একজন হতাম তবে কিছুতেই এ হতে দিতামনা । লেলিয়ে দিতাম আমার পোষা লেখকদের, মিডিয়াদের, মানবাধিকার, সমঅধিকার ও অন্যান্য কর্মীদের । আইন করে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করতাম, সমকামীতা ও ওপেন সেক্স আইনসম্মত করতাম । নো অফেন্স কিন্তু আমি যদি ঐসব ধনকুবেরদের একজন হতাম তবে এটাই করতাম -কারণ এটাই সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পদ্ধতি সমাজে মেয়েদের ইচ্ছেমত ব্যবহার টিকিয়ে রাখার জন্য !

    ———————————————————————
    যা হোক আপু তোমাকে অনেক সাধুবাদ জানাই এমন একটা সাহসী লেখা লেখার জন্য । পরবর্তী লেখাটার অপেক্ষায় রইলাম ।

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      যুক্তি ঠিক আছে ভাইয়া, কিন্তু নারীরা পর্দা করলেই কি সব সমস্যার সমাধান সম্ভব? আমার তো মনে হয় না। পুরুষেরও সাহায্যের দরকার অনেক। অবশ্য মিডিয়ার সাথে যারা জড়িত তারা সাহায্য করবে না, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সাধারণ যারা আছে, তারা যদি একটু সচেতন হতো!

      তবে ১৮+ পেইজ নিয়ে আর কী বলব? আমি পুরাই ফেডআপ! 🙁

      • আতাই রাব্বী বলেছেনঃ

        উহু আমি পর্দা করার বিষয় বলিনি, আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছি বিষয়টার সাথে কি পরিমাণ বৈষয়িক ইনভেস্টমেন্ট জড়িত (Multi Billion Dollar Industry) । কেউ ধর্ম মানুক আর এমনি পর্দা করুক অথবা নারীর ব্যাবহার প্রতিহত করার চেষ্টা করুক – মোদ্দা কথা হলো এই সমস্যার মূলে আছে ব্যাবসায়ীরা । আর তারা কিছুতেই চাইবেনা নারীর পণ্যায়ন কোন ভাবেই প্রতিহত হোক বা কোথাও প্রতিরোধ গড়ে উঠুক (সচেতনতা গড়ে উঠুক ) । সত্য কথা হলো এরা যে পরিমান উপার্জন করে এখান থেকে তার ১ ভাগ ব্যায় করলেও এসব সামাজিক সচেতনতাকে ধুলিস্যাৎ করে দেওয়া সম্ভব । এটা খুব সহজেই করা যায় – Just এতটুকু বলতে হবে যে আমরা মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছি, নারীর সমঅধিকার দেওয়া হচ্ছে না, ছেলেরা পারলে মেয়েরা পারবেনা কেন- ব্লা ব্লা ব্লা । এমন নয় যে কথাগুলো ভাল উদ্দেশ্যে ব্যবহারই হয়না – কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সুক্ষভাবে এই কথা গুলো কে ব্যাবহার করা হয় শুধুমা্ত্র নারীর পণ্যায়নে । তাই আমরা শুধু ব্লগ, বই আর ফেসবুকে বলতেই থাকবো ওরা কান পাতবেনা ।
        আর যদি বলো ছেলেদের কথা : তাহলে বলব ছেলেরা প্রকৃতিগত ভাবেই খুব দ্রুত সোজা বাংলায় যাকে বলে গরম হয় (this is completely natural and hormone controlled) ফলে তাদের কে কনভিন্স করা খুবই সহজ অন্তত অধিকাংশ কে Just using some hot shots in Movies or Magazines or Advertisements। Sorry, অনেকেই হইতো আমার কথায় প্রতিবাদ জানাবে বলবে কি সব যা তা বকছেন কিন্তু ইহাই সত্য । তাই শুধু সচেতনতা দিয়ে হবেনা । আইন করে At least একটা পর্যায় পর্যন্ত এটা রেসট্রিক্ট করা উচিত ।

    • ম্যানীফোল্ড বলেছেনঃ

      18+ কনটেন্ট প্রচারের বিষয়টা অনেকটা মদ ও সিগারেটের মত ঠেকে। আইন করে নিষিদ্ধ করা উচিত আর অপরাধীদের শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা থাকা উচিত। আর নয়তো নির্বিকার চেয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করা সম্ভব নয়।

      • ফিনিক্স বলেছেনঃ

        ১৮+ অনেকগুলো পেইজে রিপোর্ট করে কোনই ফল পাই নি। একটা পেইজ বন্ধ হবার আগে আরো ৫টা খুলে যায় এবং হাজারে হাজারে লাইক পড়তে থাকে!

        ভীষণ অসহায় লাগে নিজেকে এই পেইজগুলোর সামনে! 🙁

        • আনোয়ার বলেছেনঃ

          আপনার সাথে একটু দ্বিমত পোষন করছি।

          পর্দা সমাধান হতে পারে অবশ্যই। আর পর্দা মানে শুধুই বোরকা পরা নয়। আর ছেলেদেরও কিন্তু পর্দা করতে হয়।

          আমার মন্তব্য গুলো খুবই সংক্ষেপিত। কিন্তু সময় পেলে বিস্তারিত লিখার চেষ্টা থাকবে।

          ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টার উপর লেখার জন্য।

    • Anik Samiur Rahman বলেছেনঃ

      ভাই কন্ট্রাডিকট করার জন্যে আবারো ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু আপনিই বলেন তো পর্দা প্রথা আবশ্যক করে দিয়েও সৌদি কি পারছে ~২৩% শিশুর আত্মীয়কতৃক ধর্ষণ ঠেকাইতে? ইরান কি পারছে জেলের ভিতরে বন্দী নারী কর্মীদের ধর্ষনের হাত থেকে বাঁচাইতে? বরং পর্ণ ইন্ডাস্ট্রির ভোক্তাদের মধ্যে এই দেশগুলির অবস্থানতো অনেক উঁচুতে(Top Ten). ছন্দার লেখাটা এইগুলি নিয়ে ছিলো না, ছিলো বিষয়টার সামান্য বিশ্লেষণ। কিন্তু নাহ, টুঁ শব্দটি করতেই কাছের মানুষদের ভিতর থেকে অনুভুতির জোয়ার বইতে লাগলো।

      • ম্যানীফোল্ড বলেছেনঃ

        ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই। মতের অমিল থাকতেই পারে। কাইন্ডলি পরিষ্কার করে বলবেন কি আপনি সেক্স্যুয়াল অবজেক্টিভিশন বন্ধ হোক- এটা চান নাকি না চান? পোস্টের দাবি একটাই, কিভাবে এটি বন্ধ করা যায়। পর্ণ সাপ্লাই বন্ধের জন্য বলা হচ্ছে, এতে আপনার অসুবিধা কোথায় সেটা বলুন!

  11. শান্ত বলেছেনঃ

    সেক্সুয়াল অব্জক্টিফিকেশানের কথা বললে আরেকটা দিক আসা উচিৎ। আপনি শুধু একটা দিক কাভার করেছেন। ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে মেয়েদের কীভাবে সেক্সুয়াল অব্জেক্টিফিকেশান সেইটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়। সমস্যা হল এই সোজা ব্যপারটা আমরা বুঝলেও ধর্মীয়ভাবে সেক্সুয়াল অব্জেক্টিফিকেশানের ব্যপারটা অনেকেরই মাথায় ঢোকে না।

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      উপরে বাঁটুল দি গ্রেট এর মন্তব্যের উত্তরে যা লিখেছি, একই কথা আপনার মন্তব্যের উত্তরেও প্রযোজ্য। কষ্ট করে দেখে নেবার অনুরোধ রইলো। 🙂

    • ম্যানীফোল্ড বলেছেনঃ

      ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে মেয়েদের কীভাবে সেক্সুয়াল অব্জেক্টিফিকেশান… >> হুমম… কোন ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এবং কিভাবে? বলুন?

      গুটিকয়েক ধর্মব্যবসায়ীকে দিয়ে ধর্মকে বিচার করলে বিচারকের দুরভিসন্ধি নিয়েই প্রশ্ন জাগে। :thinking:

  12. Nabil বলেছেনঃ

    ধন্যবাদ লেখক কে।
    আমার মতে এর দায় আমাদের উপরই পড়ে । প্রতিকার কখনো স্বাভাবিক বিকাশ বন্ধ করেও হবে না। ঘরে আটকে রেখে কিংবা পশ্চিমাদের দোষ দিয়ে যারা সমাধান খোঁজেন তাঁরা ভুল করেন। সমাজের গোঁড়ায় যখন পচন ধরে তখনই এসব লক্ষণ প্রকাশ পায়।
    সমাজ যেদিন সামনে যাবার পথ খুঁজে পাবে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও বদলে যাবে । এ জন্য দরকার তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ। পাশাপাশি নিজের চারপাশ থেকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। মেয়েদের সম্মান করতে শেখা। মানুষ হিসেবে দেখা। সমাজের আমূল পরিবর্তন আসার আগ পর্যন্ত এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কখনো লিখে , কখনো বন্ধুদের জানিয়ে, কখনো সংগঠিত করে। আমাদের মা , বোন, বান্ধবি আর যাদের আমরা ভালবাসি তাদের জন্য।
    একটা কথা প্রায়ই দেখি সবাই বলেন- ছেলেরা ওরকমই । নির্লজ্জ। সামনে গেলে পর্দা ছাড়া অরকম করবেই। এতে যেমন বাজে চরিত্র ধারণকারীদের আড়াল করা হয়, তেমনি সব দোষ নারীর ঘাড়ে চাপানো হয়। আমি অশ্লীলতার পক্ষে বলছি না। কিন্তু আমার বোন বা বান্ধবী রাস্তা দিয়ে আসার সময় বাজে আচরণের মুখে পরবে কেন? কথা গুলো প্রাসংগিক। কেননা আমাদের সমাজে তরুণদের এসবে মাতিয়ে রাখতে চান কেউ না কেউ। এতে যেমন টাকা আসে তেমনি এই তরুণরা সহজে কোন উদ্যোগ বা প্রতিবাদ করার পরিস্থিথিতে থাকে না। এতে সমাজের কি ক্ষতি আর মেয়েদের কি হল তাতে তাদের কিছু যায় আসে না।তাহলে কি বদলাবে না?কে দাঁড়াবে প্রতিবাদ করতে? আমাদের যাদের যায় আসে তাদেরই দাঁড়াতে হবে এই অসুস্থতার বিরুদ্ধে।
    লেখার মাধ্যমে প্রতিবাদ ভাবনাও ছড়িয়ে যাক।

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      আপাতত আমার শক্তি শুধুই কী-বোর্ড, তাই এভাবেই চেষ্টা করছি। এত এত দুরাশার মাঝেও একজন মানুষ বদলালেই আমি সার্থক মনে করব নিজেকে। দেখা যাক, কতদূর যেতে পারি।

      মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

    • ম্যানীফোল্ড বলেছেনঃ

      এটার মূল কারণ আমাদের পর্দার কনসেপ্টটাই ভুল। ছেলেদের পর্দা তাদের চোখে আর অন্তরে, যেটা কখনোই আলোচনায় আসে না।

      অশালীনভাবে চললে কার্যত প্রতিটা মেয়ে নিজেই নিজের দোষে সেক্স্যুয়াল অবজেক্টিভিশনের শিকার হয়, এই সহজ ব্যাপারটাই আমাদের মাথায় আসে না।

      আবার ছেলেদের ঠিকমতো নৈতিক শিক্ষা দেয়া গেলে যে তারাও তাদের ফোকাস অন্য দিকে নিতে সক্ষম হয়, সেটাও আমরা হরহামেশা অস্বীকার করি এই বলে- ঠিক যেমনটি আপনি বললেন যে সবাই বলে- “ছেলেরা ওরকমই । নির্লজ্জ। সামনে গেলে পর্দা ছাড়া অরকম করবেই। “

  13. জ্ঞানচোর বলেছেনঃ

    পোস্টের শিরোনাম
    অবজেক্টিফিকেশন এর প্রতিবাদ করার মাধ্যমে অবজেক্টিফিকেশন হতে পারে। নচিকেতার এক লেখায় পড়েছিলাম, তাঁর ধারনা, বৃদ্ধাশ্রম গানটার পর নাকি, বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা বেড়ে গ্যাছে পশ্চিমবঙ্গে।
    পোস্টটা দারূণ হয়েছে। কিন্তু, যখন পোস্টের শিরোনামের দিকে চোখ যায়, কেমন যেন অবজেক্ট অবজেক্ট গন্ধ আসে। খুব সহজ কথা হলো, যদি পোস্টের নামের মধ্যে কিছুটা ফুসলানো না হতো, তাহলে লেখা যত ভাল হোক না কেন, এত লোকে পড়ত কি? সমস্যাটা তো ঠিক মিডিয়াতেও না । সমস্যাটা ঠিক ছেলে মেয়েদের মগজে।

    আমাদের সিনেমা ও গান
    আইটেম সং কালচারটা একটা প্রমোশনাল বিজনেজ। এ ছাড়া একটা ছবি ব্যবসা সফল হওয়া ও উপমহাদেশে প্রায় অসম্ভব। আর এ গানের দৃশ্যায়নে সুন্দরী নৃত্যশিল্পীদের দেহপ্রদর্শনী ভারতীয় মিডিয়া মতে বাধ্যতামূলক। ট্রেইলারেই পয়সা উসুল দেখিয়ে ছবি বিক্রি, ব্যবসায়িক অস্তিত্ব রক্ষায় দরকার।
    প্রায় অর্ধশতক ধরে চলে আসা এ সংস্কৃতির এমন খোলা বিরোধীতা করা যায় কি করে?

    মানুষ আর জীববিজ্ঞান
    মানুষের জন্মের পর থেকে বয়:সন্ধি পর্যন্ত সে শিশু। আকর্ষণ বিচারে তার সক্ষমতাই তাকে তরুণ করে তোলে। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি টান ঠেকানোটা বোকামী। তাহলে নারী স্বাধীনতার অবস্থান কোথায় , যেখানে সামান্য ছবিতেই এত পণ্যায়ন ধরছি আমরা?

    • ম্যানীফোল্ড বলেছেনঃ

      সমস্যাটা ঠিক ছেলে মেয়েদের মগজে- সহমত।

      প্রায় অর্ধশতক ধরে চলে আসা এ সংস্কৃতির এমন খোলা বিরোধীতা করা যায় কি করে?- সহমত নই।

      সবকথার শেষকথা- নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টির বিকল্প নেই। আর মানব সভ্যতার ইতিহাস থেকে জানা যায় যে নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয় কেবল ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ থেকেই।

    • ফিনিক্স বলেছেনঃ

      ১. শিরোনাম
      শিরোনামে ‘সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন’ শব্দটার অর্থকে বাঙাল মৌখিক ভাষায় সরলীকরণ করতে গিয়ে পরের বাক্যটা এসেছে। তারপরেও যদি আপনার মনে হয় যে শিরোনাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অবজেক্টিফিকেশন করার জন্যই লেখা হয়েছে তাও একজন নারী লেখকের দ্বারা তবে পোস্টের শেষে থাকা ‘বিশেষ দ্রষ্টব্য’ অংশটা পড়ে নেবার অনুরোধ রইল।

      ২. সিনেমার গান
      খোলা বিরোধিতার প্রশ্ন এখানে আসে নি। এসেছে আমাদের নিজেদের খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে ইস্যুটাকে গেড়ে দেয়ার কথা। অবজেক্টিফিকেশন সিনেমা জগতে আরো আগে থেকেই ছিল, পার্থক্য একটা জায়গাতেই- সানি লিওন, ববিদের অবজেক্টিফিকেশন তখন শিক্ষিত মাস পিপলের মুখে মুখে হতো না, ওপেনলি তো না-ই। আমরা নিজেদের বন্ধুদের (একই লিঙ্গের) সাথে এইসব নিয়ে সীমিত কথা বলতাম আমার স্কুল-কলেজ লাইফে, কিন্তু এখনকার আলোচনা অব্জেক্টিফিকেশনকে সমাজে পাকাপোক্ত আসন দিতে ভূমিকা পালন করছে। আমার প্রশ্নটা এখানেই ছিল।

      ৩. মানুষ ও জীববিজ্ঞান
      আমার কাছে সবসময় মনে হয় যে সৃষ্টিকর্তা মানুষের মাঝে ‘ফিল্টারিং’ নামের একটা প্রক্রিয়া সেঁটে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন যাতে ভালো-মন্দ-সীমারেখা জাস্টিফায়েড হয়। মাথা ব্যথায় ওষুধ লাগানোই মোক্ষম, মাথা কেটে ফেলা তো যাবে না। তাই ফিল্টারিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করাই আমার ইচ্ছা। আমি পণ্যায়ন ঠেকাতে পারব না, ব্যবসাও না। কিন্তু আকর্ষণ আর আকর্ষণের উগ্রতা এই দুটোকে নিয়ে সামনে এগোতে পারব আমার কী-বোর্ড দিয়ে, কথা দিয়ে, আচরণ দিয়ে। আপাতত সেই চেষ্টাই করছি। জানি না, কতটুকু সফলতা পাব। তবুও চেষ্টা করি, বসে তো অনেকদিনই থাকলাম আসলে।

  14. Anik Samiur Rahman বলেছেনঃ

    ৭০ লাখ বছর আগে যখন শিম্পাঞ্জি আর আমরা আলাদা হইনি, তখন আমরা নির্দ্বিধায় গাছের ডালে ডালে চড়ে গ্রুপ সেক্স করে যেতাম। কিন্তু মাটিতে নেমে আসা কষ্টের শিকারী জীবনতো আর এভাবে চলে না। তাই শুরু হল মোনোগ্যামির দিকে যাত্রা। কিন্তু না সত্তুর লক্ষ্য বছর কেটে গেলো, মোনোগ্যামিতো ঠিক মত আসলোই না, বরং মেয়েমানুষের অধিকার নিয়ে পুরুষালী ইগো এসে গেলো ষোল আনা।
    এরকম স্পর্ষকাতর জিনিস নিয়ে লেখার জন্যে অনেক থ্যাঙ্কস। বিঃ দ্রঃ টা নিচে না দিলেও বড়ো কোন ক্ষতি হত না, তবু সেই বিনয়ের জন্যে আরেকটা ধন্যবাদ।

  15. এখনও শিশু বলেছেনঃ

    লেখাটা চমৎকার ও গবেষণাধর্মী … বুঝা যায় অনেক খেটে লেখা। এমন একটা লেখা পড়তে আমি সবসময়ই ভীষণ পছন্দ করি, তাও আবার ফিনিক্সের স্টাইলে হলে তো কথাই নাই ! দারুণ, দারুণ। :happy:

  16. তূর্য রায় বলেছেনঃ

    🙁 চমৎকার বিশ্লেষণ!

  17. আসাদুল হাবিব বলেছেনঃ

    দারুন লেখা। দারুন বিশ্লেষণ।তবে একপাক্ষিক।আমি শুধু কয়েকটা জিনিস যোগ করতে চাই।

    লেখিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে যে তিনি “নারীর সেক্সুয়াল অব্জেক্টিফিকেশন”-এ ধর্মের অবদান(!) সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছেন। ব্যাপারটা আসলেই পীড়াদায়ক। অস্বীকার করার কোন উপায় নেই “ধর্ম”-ই নারীর সেক্সুয়াল অব্জেক্টিফিকেশন-এর সূতিকাগার। মিডিয়া বা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান-এর অনেক আগেই ধর্মগ্রন্থে নারীকে “শস্যক্ষেত্র” এর সাথে তুলনা করাটা এর একটা সহজ উদাহরন। খুজলে অনেক পাওয়া যাবে।

    আরেকটা ব্যাপার, যারা বলছেন পর্দা প্রথা’ই হতে পারে এই সমস্যার সমাধান তারা আসলে “সেক্সুয়াল” অব্জেক্টিফিকেশন থেকে বের হতে পারলেও “অব্জেক্টিফিকেশন” এর চক্রের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছেন।

  18. আবদুল্লাহ বলেছেনঃ

    সিরিজের দ্বিতীয় লেখা কই?রেসপন্স তো ভালোই ছিল

  19. নদী বলেছেনঃ

    সুবিশাল বক্তব্যের পাদটীকায় ছোট কিছু প্রশ্ন আপনার,তার চেয়ে ছোট এক কথায় তার উত্তর আমি দিয়ে দিচ্ছি।ইসলাম এবং শুধুই ইসলাম তার নির্ধারিত নিতিমালা দিয়ে পারে নারীকে উপযুক্ত সম্মানিত আসন দিতে।আর কিছুইনা।বাকি সব বাকোয়াজ।

    • তাসলিমা পপি বলেছেনঃ

      হুম….একমাত্র ইসলামই পারে নারীকে উপযুক্ত সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করতে। উপরে অনেকের মন্তব্যেই বলা হয়েছে যে,পর্দাই কি একমাত্র সমাধান? আমি বলবো,হ্যাঁ,পর্দাই সমাধান।কারণ পর্দা বলতে শুধুমাত্র মেয়েদেরই বোরকা পরা ‍বুঝায় না,বরং ছেলেদের দৃষ্টি সংযত করা ও পর্দার অন্তভুক্ত।

  20. Towhid Shakeel বলেছেনঃ

    দৃষ্টি তোমার সামলে রেখো, স্বভাবটারেও তাই
    26 August 2014 at 08:35

    এ কি রকম চাহনিতে দেখছ তুমি চেয়ে?
    পাপের বোঝা নিচ্ছ সেধে সহজ সুযোগ পেয়ে!
    নিষেধ, তবু না মেনে তা দিচ্ছ চোখের ছোঁয়া,
    জ্বাল্ছো আগুন দেহের তাপে উড়ছে পাপের ধোঁয়া!

    চোখের জিউভা লম্বা কত কে রাখে তার খোঁজ?
    ওপরওয়ালা জানেন সবই দেখছেন হররোজ।

    পুরুষ, তুমি পর্দা কর মনের মাঝে যেয়ে।
    দৃষ্টি তোমার সামলে রেখো যখন দেখ মেয়ে।
    তাই না শুধু, স্বভাবটারেও সামলে রাখা চাই।
    পাচ্ছ সুযোগ। কামের-প্রেমের ফাঁদ পেত না তাই।

    পুরুষ, তুমি ঠিক হয়ে যাও, তোমার কথাই আগে।
    কোরান খুলে দেখতে পারো, যদি প্রমাণ লাগে। (২৪:৩০-৩১)
    একক কোনো ভূমিকা নেই পর্দা করার মাঝে।
    পুরুষ-নারী সজাগ থেকো সমান ভয় আর লাজে।


    এ কি রকম পর্দা তোমার পর্দানশিন মেয়ে?
    পর্দা কি যে গোপন করে দেখে সবাই চেয়ে?
    জানো তুমি এই পোশাকে করছ কি যে ভুল?
    জানো কেন পর্দা এলো? পর্দা করার মূল?

    সৌন্দর্যের হিসেব কষে মাথায় দিলে হিজাব,
    অঙ্গ জুড়ে সাপের খোলস আনছে লোকের কি পাপ?
    সেই খবরটা নিয়েছ কি কেমন আনে ক্ষতি?
    এমন পাপে কত লোকের নিভে জীবন জ্যোতি?

    তোমার কেন টোপ ফেলে ওই দৃষ্টি কাড়া চাই?
    তোমারও চোখ সামলে রেখো, স্বভাবটারেও তাই।

    কপট সাধু লোকে জানি বলবে নানান কথা।
    চোখে ধূলোর যুক্তি ওসব, নেই তো বাস্তবতা।
    বলবে জানি, পোশাকে কি পর্দা করা হয়?
    সংস্কৃতিটা তেমন হলে থাকে না সংশয়।

    মানব মনের পর্দা করা অত সহজ নয়।
    ষড়-রিপুর নিয়ন্ত্রণটা রপ্ত করতে হয়।

    তৌহিদ শাকীল
    লন্ডন । ২৬ অগাস্ট ২০১৪

  21. Md. Towhidul Islam Rumy বলেছেনঃ

    পাঠক’ই লেখক, লেখক’ই পাঠক….. লিখেছেন অনেকে, লিখতে চেষ্টা করেনও অনেকে, আবার লেখার পিঠে লিখে থাকেনও অনেকে, সব ধরনের স্বভাবের লোক পাওয়া যায় সমাজে। প্রকাশের আগে ভাবেন হাজার জন, তবে লিখে থাকেন একজন। প্রথমেই আমি সাধুবাদ জানাই যারা এমন কাজের শুরু করে থাকেন তাদের, সেই সাথে যার পরামর্শ-বিরোধিতা-সমালোচনা যারা করেন তাদের কেও বাদ দেই না। কারন তাদের কারনে লেখা আরও স্থায়িত্ব ও গ্রহনযোগ্য হয়। দেবার মত কিছুই নেই শুভেচ্ছাটুকই গ্রহন করুন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।