সাভারে গত ২৪ শে এপ্রিল, বুধবার রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩০০ র কাছাকাছি, আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এত বড় মানবীয় বিপর্যয়, এত মানুষের জীবনহানি- এক কথায় ভয়ঙ্কর।শোকে বুক পাথর হয়ে আছে আমাদের।এ ঘটনার জন্য রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা এবং ঐ ভবনে যাদের ফ্যাক্ট্রি চলছিল সেই মালিকদেরকে দায়ী করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।তদন্ত হচ্ছে যদিও সাধারণ মানুষের কাছে তদন্ত, মামলা- এইসব আমলাতান্ত্রিক শব্দগুলোর কোন অর্থ নেই। তারা এগুলো আর বিশ্বাস করে না। এই অবিশ্বাসের পিছনে রয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের এক প্রহসনের ইতিহাস।সরকারগুলো তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বারবার রক্ষাকবজ হয়েছে দায়ী ব্যক্তিদের। দায়ী ব্যক্তিদের অস্বীকার এবং দোষারোপের রাজনীতি তো আছেই।
বুর্জোয়া স্বার্থের আড়ালে অপরাজনীতির চর্চা
আমাদের দেশের সরকারগুলো দলীয় অবস্থান থেকে বের হয়ে দেশের সকল জনগণের সরকার হয়ে উঠতে পারে না।দল চালানোর জন্য, রাজনীতি করার জন্য তারা অনেকটাই বুর্জোয়া (ব্যবসায়ী, আমলা,উকিল ইত্যাদি) নির্ভর।তাই বুর্জোয়াদের স্বার্থ রক্ষা করলে তাদেরই স্বার্থ রক্ষা হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারগুলো তাদের অনুগত বুর্জোয়া তৈরি করে। যেমন রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার কথাই ধরা যাক।পত্রিকা মারফত জানা যাচ্ছে যে, সোহেল রানা সাভার এলাকার যুবলীগ নেতা।সে সাংসদ তৌহিদ জং মুরাদের বিশ্বস্ত এবং তার বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে যুক্ত। সোহেল রানা সাংসদ মুরাদের হয়ে জনসংযোগ করে, বিভিন্ন সভা-সমাবেশে জনসমাগম ঘটাতে ভূমিকা রাখে। ভোটের সময় ব্যালট বাক্স পূর্ণ করার ক্ষেত্রেও হয়ত সে কাজ করে। এর বিনিময়ে তাকে দেয়া হয় প্রচুর অর্থকড়ি, বিশাল সম্পদের মালিক হয় সে, অন্তর্ভুক্ত হয় বুর্জোয়া গোষ্ঠীতে।কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় এই সুবিধাগুলো তাকে দেয়া হয় প্রশ্নটা সেখানেই। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে, প্রসাশনকে হাতের মুঠোয় কব্জা করে, দেশের আইন-কানুনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সোহেল রানারা বিশাল সম্পদ হস্তগত করে।
এর অনেক ক্ষতিকর দিক আছে। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় তিনটি দিক হলো-
এক, সাধারণ বুর্জ়োয়ারা অনেক পরিশ্রম, পেশাগত জ্ঞান এবং দক্ষতা বিনিয়োগ করে বুর্জোয়া হয়। অন্যদিকে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে যারা বুর্জোয়া হয় তাদের সেই পরিশ্রম, পেশাগত জ্ঞান এবং দক্ষতা কোনটাই থাকে না।তখন বুর্জোয়াগোষ্ঠীর মধ্যেও তৈরি হয় ভারসাম্যহীনতা।যেমনঃ দু চারজন গার্মেন্টস মালিকের কারণে পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।সাধারণ বুর্জোয়াদেরকেও জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। রাষ্ট্র তখন পড়িণত হয় অবিচারের আখড়ায়।
দুই, বুর্জ়োয়া মাত্রই সম্পদের মালিক হবেন।সাথে সাথে সেই সম্পদ ধারণ এবং রক্ষা করার মত প্রোফেশনালিজম ও ম্যানেজিং ক্যাপাবিলিটি তার তৈরি হবে। একটা নয়তলা ভবনের মালিকের অবশ্যই সেই ভবন রক্ষণাবেক্ষণ করার মত ম্যানেজিং ক্যাপাবিলিটি থাকবে। তার প্রয়োজনীয় প্রকৌশলী, সিকিউরিটি, ইউটীলিটি সরবরাহ এই সব ব্যাপারে তার ন্যূনতম স্পর্শকাতরতা থাকবে। কিন্তু সোহেল রানার মত যারা রাজনীতিকে কব্জা করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়, ঐ গার্মেণ্টস মালিকদের মত যারা রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে বিশাল সম্পদের মালিক হন তাদের এই সামর্থ্য তৈরি হয় না, হওয়ার কথা নয়। সম্পদ অর্জনের যে পরিশ্রম এবং সাধনা সেই প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে তাদেরকে যেতে হয় না। সেকারণেই আমরা দেখি সোহেল রানা ভবনে ফাটল ধরা পড়া সত্ত্বেও সেটাকে অগ্রাহ্য করে। বিজিএমইএ এর পরামর্শ অগ্রাহ্য করে গার্মেন্টস মালিকরা। আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি সোহেল রানা বা গার্মেন্টস মালিক কেউই এত বড় ক্ষতি চান নি। এটা পরিকল্পিত নয়। তার প্রমাণ, সোহেল রানা নিজেও ধ্বসে পড়া ভবনে আটকা পড়ে। ভবনের নিরাপত্তার ব্যাপারে যে পরিমাণ স্পর্শকাতরতা এবং পেশাগত জ্ঞান থাকলে সেখানে শ্রমিকদেরকে কাজ করতে বাধ্য করা হত না সেই পরিমাণ স্পর্শকাতরতা এবং পেশাগত জ্ঞান সোহেল রানা বা গার্মেন্টস মালিক কারোরই ছিল না বা তারা সেটার তোয়াক্কা করেন নি।এই তোয়াক্কা না করার মানসিকতার উদ্ভব রাজনৈতিক ক্ষমতা আর অহমবোধ। আর এ কারণেই আমাদেরকে এতগুলো মানুষের মৃত্যু দেখতে হলো।
তিন, একজন খাঁটি শিল্পপতি তার শ্রমিকদের ঘামের মূল্য বুঝবেন, তাদের পরিশ্রমের গুরুত্ব মানবেন, জীবনের রক্ষাকর্তা হবেন। স্যামসন এইচ চৌধুরিকে দেখলে আমরা খাঁটি শিল্পপতি কেমন হবেন সেটা বুঝতে পারি। আর আমাদের অনেক গার্মেন্টসের মালিকের কার্যক্রম অনেকটা ট্রেডারের মত। তারা বিদেশী রিটেইল চেইন এর সাথে ট্রেডটুকু ভালো বোঝেন কিন্তু সেই পোশাক যারা উৎপাদন করছেন তাদের ব্যাপারে ন্যূনতম স্পর্শকাতরতা তাদের মধ্য দেখা যায় না।কত কম মজুরি দিয়ে নিজের লাভের হিস্যা বাড়ানো যায় সেদিকেই তাদের খেয়াল বেশি।তাদের দীর্ঘমেয়াদী কোন চিন্তা নেই।যথাসম্ভব কম সময়ে মুনাফা তুলে আনাকেই তারা ক্রেডিট মনে করেন।আর একারণেই একটা ভবনে ফাঁটল ধরা সত্ত্বেও শ্রমিকদেরকে সেখানে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।আমাদেরকে দেখতে হয় এক ভয়াবহ মানবীয় বিপর্যয়।
আপোসকামী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতিঃ
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোয় পুঁজিবাদী সমাজের বিকাশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে সেই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।পুঁজিবাদী সমাজের বৈশিষ্ট্যই হলো মানুষ নিজের সম্পদ বৃদ্ধি করতে সবসময় ব্যস্ত থাকবে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো সম্পদ বৃদ্ধির প্রক্রিয়ার একটা গন্ডি বেঁধে দেয়া।কেউ এই গণ্ডি অতিক্রম করে কিছু করছে কিনা সেটা দেখভাল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় এই সব প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানগুলো যখন কোন কারণে বিন্দুমাত্র আপোস করে তখনই পুঁজি তার ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে হাজির হয়।রানা প্লাজা নির্মাণের সময় কোন বিল্ডিং কোড মানা হয় নি, নিম্নমানের ইনপুট সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।এর সাথে জড়িত রাজউক, পৌরসভা, স্থানীয় প্রশাস্ন, ঠিকাদার এবং প্রকৌশলী। সবাই তাদের দায়িত্বে আপোস করেছেন।দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। রানা প্লাজা নির্মিত হয়েছে, ধ্বস আর আর শত শত শ্রমিকের মৃত্যু যার স্বাভাবিক পরিণতি ছিল। এর দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
অস্বীকার এবং দোষারোপের সংস্কৃতি ঃ
সোহেল রানা যে যুবলীগের নেতা সেটা প্রধানমন্ত্রী অস্বীকার করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমানবিক এবং হাস্যকরভাবে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছেন মৌলবাদী এবং বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর উপর। রাজউক এর কর্মকর্তা দোষ দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনকে । গার্মেন্টস মালিকরা দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছেন ভবন মালিক সোহেল রানার উপর। কতটা নির্মম এবং হাস্যকর এই ঘটনাগুলো। এতগুলো মানুষের মৃত্যুর দায় সবাই কৌশলে এড়াতে চায়।প্রকৃতপক্ষে এরা সবাই দায়ী। যারা দায় অস্বীকার করলেন তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন যে তারা তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেছেন। মানে যে ব্যবস্থার কারণে এতবড় ক্ষতি হলো সেই ব্যবস্থাকে পরোক্ষভাবে ডিফেন্স করার চেষ্টা করেছেন। এই ডিফেন্স করার প্রবণতা আত্মঘাতী। কারণ, এতে সাময়িকভাবে নিজেকে, নিজের স্বার্থকে, নিজের দলের স্বার্থকে রক্ষা করা যায়। কিন্তু একি সাথে সমাজে যে বার্তাটি পৌঁছে যায় তার পরিণতি হয় ভয়াবহ।কেউ সেই ব্যবস্থা পরিবর্তনে, মানসিকতা পরিবর্তনে উদ্যোগী হয় না।রাষ্ট্রে বিরাজ করে একধরনের স্থবিরতা যা অবিচার , নির্মমতা এবং এরকম ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি করে। স্পেক্ট্রাম, তাজরীন, রানা প্লাজা সেই ভয়ঙ্কর পরিণতির কয়েকটি উদাহরণ মাত্র।
সবশেষে বলব, রানা প্লাজা ধ্বসের কারণে যে অপূরণীয় ক্ষতি সেটা চলমান রাজনৈতিক কুসংস্কৃতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় সীমাহীন আপোসকামিতারই পরিণাম।গণমুখী, সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ এবং জনগনের অধিকার এবং ইনসাফের ব্যাপারে আপোষহীন রাষ্ট্রকাঠামো তৈরি করতে না পারলে এরকম আরো অনেক বড়ো ক্ষতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমাদেরকে তৈরি থাকতে হবে।
ভালো লাগছে কিছু দ্বিমত আছে।
ঠাণ্ডায় তাকাইতে পারতেছি না। বিস্তারিত মন্তব্য দিমু খাড়াও
একতরফা অপরাজনীতি আর পুঁজিবাদের গায়ে দোষ চাপানোর কারণে, অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়তো বাকি থেকে যাবে। মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানীগুলো কোন ক্রমেই এই গার্মেন্টস গুলোর সমপরিমাণ এফিসিয়েন্সি দেখাতে সক্ষম নয়। তাই পুঁজি তৈরীর যে সুবিধা, তা অগ্রাহ্য করবেন কি করে?
ঘটনা ঘটেছে দুটো,
১. তৈরীর পাঁচ বছরের মাথায় একটা ভবন ধসে পড়েছে।
২. নিরীহ হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক সেখানে চাপা পড়েছে।
১. সাধারণভাবে, প্রকৌশলীদের সাহায্য না নিয়ে বাড়ি তৈরীর যে চর্চা এ দেশে আছে, তা অজ্ঞতা কিংবা অদূরদর্শীতার কারণে, তার বিশেষ অবদান রয়েছে এতে। প্রকৌশলী ব্যবহারে খরচ বেশী, তাই কর্তৃপক্ষকে টাকা খাইয়ে বাড়ির নকশা অনুমোদন করা। আবার, প্রকৌশলী সতর্ক করার পরও, তার মতামতকে, তথাকথিত মুরুব্বির কথা মনে করে গুরুত্ব না দেয়া ফল এ দুর্ঘটনা।
গণনিরাপত্তা নিয়ে আমাদের কোন শক্ত নীতিমালা নেই। কেতাবী কিছু রুল থাকলেও, সেগুলো এমনকি, প্রকৌশলী কিংবা পুঁজিপতিরাও জানেন না। এ ব্যপারে সবাইকে সচেতন করার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব কিন্তু সরকারের।
২. শ্রমিকরা শ্রমিক হিসাবে মানবিকতার যে দাবী রাখেন, সেটুকু নিশ্চিত করা খুবই জরুরী। কর্পোরেট চাকরী যারা করেন, তারা কোম্পানী থেকেই লাইফ ইন্স্যুরেন্স সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু, এই গরিবদের নামের লিস্ট পর্যন্ত থাকে না। আর, একেবারে কর্মক্ষেত্রে যদি প্রাণ হারান, কিংবা আহত হন, (অনেক শ্রমিক ভারী যন্ত্রপাতিতে পঙ্গু হয়ে যান), বিশেষ সহায়তার কোন নজির নেই। মৃত শ্রমিকদের ২০’০০০ টাকা দেয়া হচ্ছে। অথচ, কোম্পানীগুলো কোটি টাকা ইন্স্যুরেন্স নেবে। গার্মেন্টস মালিকের দায়িত্ব গার্মেন্টসের পরিবেশ সংরক্ষণ করা, বিজিএমইয়ের দায়িত্ব তা মনিটরিং করা। আর, সরকারের দায়িত্ব, শ্রমিক নিরাপত্তায় শক্ত আইন করা, ও প্রয়োগ করা, যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে মালিক পক্ষকে মোটা দাগে জরিমানা করে, ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা করা যায়।
দুটো পয়েন্টে যেটা বললাম, সেটা হলো, পুঁজির প্রয়োজন আছে, প্রাইভেটাইজেশনও কোন সমস্যা নয়, সমস্যা হলো, একেবারে সাধারণ মানুষের নিরপত্তা/গুরুত্ব নিয়ে কোন কালচার না থাকা।
[আন্দোলনরত শিক্ষকদেরকে শহীদ মিনারেও পিপার স্প্রে করে তাড়ানোর ঘটনা চোখ খুলে দেয়]
আমার লেখায় একতরফাভাবে পুঁজিবাদের গায়ে দোষ চাপানোর কোন চেষ্টা নাই। আমি বলেছি রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হলে পুঁজির ভয়ঙ্কর রূপ বেড়িয়ে আসে। আপনার পয়েন্ট দুটিও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রথম পয়েন্টের কথাগুলো আমি ভিন্নভাবে এই লেখায় বলেছি। তবে এর বাইরেও অনেক কারণ আছে। আমি শুধু রাজনীতি আর রাষ্ট্রকাঠামো তথা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা নিয়ে বলেছি। এর বাইরে অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক বিষয়ও জড়িত। সেগুলো নিয়েও ভাবার প্রয়োজন আছে। ধন্যবাদ।
অপরাজনীতি, গুরুত্বহীনতার পেছনেও আরও আরও কুটকৌশল গেঁথে আছে।
“আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি সোহেল রানা বা গার্মেন্টস মালিক কেউই এত বড় ক্ষতি চান নি।”
নাহ ভাইয়া আমি এইটা কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারি না। স্পেক্ট্রাম, তাজরীন, গরীব এন্ড গরীব সহ বারবার আগুন লাগা, ধ্বসে যাওয়ার ঘটনা ঘটে চলেছে, তারপরেও ওরা সচেতন হয় নি কেন ? ওদের কী আর ক্ষতি হইছে ভাই বলেন, ইন্সুরেন্স তো পাবেই আর এদিকে বিশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার জঘন্যতম কালচার বানিয়ে রেখেছে !! সরকার, বিল্ডিং মালিক, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হয় নাই ভাইয়া, উলটা লাভ পাচ্ছে। ব্র্যাক ব্যাংক তো ঠিকই বন্ধ রাখা হয়েছিল আর ওদিকে জোর করে মৃত্যুপুরীতে ঢোকানো হয়েছে শ্রমিকদের। ওরা শ্রমিক, মানুষ না ! এইটা হত্যাকাণ্ড ছাড়া আর কিছু না।
তবে ধন্যবাদ সময়োপযোগি পোস্টটির জন্য।
“স্পেক্ট্রাম, তাজরীন, গরীব এন্ড গরীব সহ বারবার আগুন লাগা, ধ্বসে যাওয়ার ঘটনা ঘটে চলেছে, তারপরেও ওরা সচেতন হয় নি কেন ?”
তারা সচেতন ছিলেন না, তারা এই ক্ষতির ব্যাপারে স্পর্শকাতর ছিলেন না। এটা স্বীকার করেও আমি বলব এই ঘটনা তাদের পরিকল্পিত নয়। তারা এটা চান নি। চাইতে পারেন না।
জুলফিকার ইসলাম ভাই, আপনার লেখাটি মোটের ওপরে ভালো লেগেছে। চিন্তা-ভাবনা করে লেখা, ভালো লাগলো পড়ে।
ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।