“আমাকে পেলে ওরা মেরে ফেলবে। ধোলাই দিয়েই মেরে ফেলবে। পাবলিক এখন মারাত্মক খেইপ্যা আছে… প্লিজ হেলিকপ্টার এর ব্যবস্থা করেন।”
হয়ত রানা প্লাজার মালিক যুবলীগ এর নেতা সোহেল রানা এই ফোন কল করে নি কিংবা করেছে।
রানাকে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় যেভাবে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসা হলো সেভাবে যদি সাভার গণহত্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সাহায্য যেত… এই আফসোস অনেকেরই!
ফেইসবুকে একটি পেইজে পেলাম
রানাপ্লাজার নিচে চাপা পড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা যাওয়া প্রতিটা লাশ এখন হাসছে, তাদের উদ্ধার করতে যন্ত্রপাতি আসতে ২দিন লাগে কিন্তু রানাকে ঠিকই হেলিকপ্টার চড়িয়ে আনা হয়.
নতুনবার্তায় এসেছে
সাভার ট্রাজেডির মূল হোতা রানা প্লাজার মালিক যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে গ্রেফতারের পর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়েছে। যশোর থেকে রানাকে নিয়ে বিকেল পাঁচটায় হেলিকপ্টার তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর তাকে গাড়িতে করে উত্তরায় র্যাবের হেড কোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এবারে আসল কথা। এই রকম ঘটনা যেন আর না ঘটে সেই জন্য কঠোর শাস্তির দরকার ছিল। কিন্তু যা হবে…!!
বণিক বার্তা থেকে
ভবনমালিকের ছেলে ও যুবলীগ নেতা সোহেল রানা দুর্ঘটনার আগের দিন শ্রমিক ও গার্মেন্টমালিকদের জানিয়েছিলেন, সামান্য প্লাস্টার খসে পড়েছে, ভবনের কোনো সমস্যা নেই। আর ঘটনার দিন সকালে সোহেল রানা ও গার্মেন্টমালিকদের লোকজন শ্রমিকদের জোরপূর্বক কাজে যেতে বাধ্য করেন।
মামলায় দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে সোহেল রানাকে। প্রথম আসামি করা হয়েছে তার বাবা আবদুল খালেককে। এর পরই আসামি করা হয়েছে কারখানামালিকদের।
দণ্ডবিধি ৩৩৭/৩৩৮/৩০৪-ক ও ৩৪ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বখতিয়ার রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মামলার এজাহার ত্রুটিপূর্ণ, দুর্বল এবং এর সব ধারা জামিনযোগ্য অপরাধ। এ মামলায় ৩০৪ ধারা প্রযোজ্য ছিল। মূল মামলার অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে এর প্রতিকার কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়।
দণ্ডবিধি ৩৩৭ ধারায় অপরাধের জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা এবং ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। ৩৩৮ ধারায় অপরাধের জন্য শাস্তি হিসেবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও দুই বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে আসামি। ৩০৪-ক ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা বা উভয় দণ্ডের কথা বলা হয়েছে। আর দণ্ডবিধি ৩৪-এ বলা হয়েছে, অনেক ব্যক্তি দ্বারা অপরাধ সংগঠিত হলে এজন্য প্রত্যেকেই সমান দায়ী থাকবে।
ইমারত নির্মাণ আইনের ৩ক ও ৩গ ধারায় সোহেল রানা ও তার বাবা আবদুল খালেককে আসামি করে অন্য মামলাটি করেছেন রাজউক কর্মকর্তা হেলাল আহমেদ। অপরাধ প্রমাণ হলে এ মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
আরও অনেক নূপুর এভাবেই বন্ধ হয়ে যাবে… কারণ রানারা রাজনৈতিক কারণে সব সময় বেঁচে যাবে… আর আপনার আমার মতো কিছু মানুষ হয়ত জল ফেলবে আর ভাববে নূপুর পরা পায়ের মেয়েটির কথা তার মা/বাবা/ স্বামী /আত্মীয়র কথা…
”
নিউজপেপার পড়ে আমিও এমনটি আইডিয়া করেছিলাম, অভিযোগ গঠন ঠিকমতো হয়নি। অভিযোগ গঠনের কায়দা ঠিক না হলে এবং দন্ডবিধির সঠিক ধারায় অভিযোগ উপস্থাপন করা না গেলে গুরু পাপে লঘু দন্ড হয়ে যাবে।
ইয়ে সন্মানিত মডুগণ। এনোনিমাস লোকদের নিচে এনোনিমাস বা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিতে অনুরোধ করি।
পোস্টদাতাকে ধন্যবাদ।
আসলেই তো এইভাবেই তো এরা রক্ষা পায়
উদ্ধার কাজে আসলে হেলিকপ্টারের প্রয়োজনীয়তাটা কি ছিল একটু ব্যাখ্যা করলে ভালো হয়! ওইসময় যেই উদ্ধার পেয়েছেন, সামনে এম্বুলেন্স ছিল, এবং একেবারেই কাছে এনাম মেডিক্যাল। হেলিকপ্টারটা কেন লাগতো! যারা সাহায্য নিয়ে গেসে, কয়জনের জন্যে হেলিকপ্টার ব্যবস্থা করা যেতো??!! কিভাবে??!! তখন সুবিধাবাদীদের পাওয়া যেতো বেশি, মানুষ হেলিকপ্টারে চড়বার লোভে আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই করতো! এমনিতেই দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছে। আর্মি ব্যাটেলিয়ানকে হেলিকপ্টারে আনতো??!! তারা তো আগেই একবারে উপস্থিত ছিল! তাদের জন্যে হেলিকপ্টার লাগবে কেন? উল্টো, হেলিকপ্টার মাটিতে নামালে মাটিতে যেই ভাইব্রেশন সৃষ্টি হতো তা মাটির নিচে আটকা পড়া মানুষদের জন্যে অসুবিধের সৃষ্টি হতো! তখন সিরিয়াস আহতদের মারা যাবার সম্ভাবনা বেশি থাকতো! সবসময় না বুঝে সমালোচনা করার আগে একটু ভাবা দরকার! 🙂
লেখক এর পয়েন্ট হয়তবা দ্রুততা ইস্যুতে ছিলো।
আর্মি ব্যাটেলিয়ানকে হেলিকপ্টারে আনতো??!! তারা তো আগেই একবারে উপস্থিত ছিল
সেটা আপনি কীভাবে জানলেন? শুনেছিলাম তো ৩য় দিন গিয়েই তারা সব উলটে দিয়েছিল!
উল্টো, হেলিকপ্টার মাটিতে নামালে মাটিতে যেই ভাইব্রেশন সৃষ্টি হতো তা মাটির নিচে আটকা পড়া মানুষদের জন্যে অসুবিধের সৃষ্টি হতো!
তাই নাকি?! এটা আরেকটূ ব্যাখ্যা করলে ভালো হয়!
Brother বোহেমিয়ান, I appreciate your deepest feeling for the sufferers at Savar Crisis. Yet, I have some different argument regarding helicopter. It is not a land vehicle so that you can park it anywhere you want. Uneven surface might cause ground resonance there which would not be favorable for the situation. And moreover, Army and Air Force have tried there level best to help out though they are not formed for such activities. This is a silly argument, so we should stop it and should find some effective solution of it. Like: 1. Where mobile operator company spend huge amount for advertising and grab a large amount of our economy every year, then why they are not effective here. 2. No mercy should be acceptable for the accused “Rana” and otheres. 3. People sheltering such accused should be under penalty, who ever it is. 4. Policy and Law should be established and followed toe-toe to avoid such accident further. –Thank you // Accept my apology if I am wrong //
The use of helicopters or any aerial vehicle would have been hard in this case – common sense dictates that. I believe in addition to the vibration, the massive air flow might have made it difficult for those alive and trapped inside to breath at times.
And the Army was there all along. Savar Cantonment is about 10 minutes away from the scene and I know for a fact that the army had arrived there. I was in Savar myself.
আমাদের সমস্যা হলো আমরা নতুন কোন ইস্যু পেলে পুরানো ইস্যু গুলো ভুলে যাই। এরকম আরো অনেক রানা, শুধুমাত্র সরকারের মদদ পুষ্ট বলে, পার পেয়ে গিয়েছে। এক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানই ২১ জন সন্ত্রাসী ফাঁসির আসামীকে বেকসুর খালাস (দন্ড কমানো নয়, একেবারে মাফ) করে দিয়েছেন বলে শুনি। বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের কোন শাস্তির বিধান হয়েছে বলে জানি না।
এই যখন ইতিহাস, তখন, উল্লিখিত ৬-৭ বছর সাজাও হয় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে।
সেই হিসাবে, রানা সাহেবের যে সংশয়, তাকে পেলে পিটিয়ে মেরে ফেলবে সাধারণ মানুষ, তা অমূলক নয়। একটা সমাজে যখন বিচার ব্যবস্থার উপর কোন আস্থা থাকে না, তখন, ‘গণবিচার’-ই মানুষের কাছে অধিক যুক্তিযুক্ত মনে হবে।
[caption id="" align="aligncenter" width="747" caption="বাংলাদেশ পুলিশের এই মহান উদ্যেগে অভিভূত"][/caption]