একদিন রাত আনুমানিক ১১ টার মতন হবে। এক সাংবাদিক বন্ধুর সাথে বাসায় ফিরছিলাম। রিকশায় বসে দুজন একটা MUM Mineral Drinking Water ভাগাভাগি করে খাচ্ছিলাম। পানি খাওয়া শেষ করে আমার সাংবাদিক বন্ধু পানির বোতলটা রাস্তায় জমিদারি কায়দায় ছুড়ে ফেললেন। দেখে বললাম, তুমি সাংবাদিক মানুষ যদি এরকম অসচেতনভাবে রাস্তায় বোতল ফেল তাহলে অন্যরা কি করবে। আর বোতল তো বার বার ব্যবহারযোগ্য একটা জিনিস।
সে বলল, আরে ধুর, পুরা রাস্তায়ই তো ময়লায় ভরপুর। আমি একটা বোতল না ফেললে কি এমন পরিবর্তন হবে?
আমি বললাম, সবাই যার যার জায়গা থেকে সচেতন না হলে পরিবর্তন হবে কি করে? কথাটা বলে একটূ দম নিলাম। ভাবলাম কথাটা বোধহয় Talk Show type হয়ে গেল। আমার বন্ধু চুপ করে আছে। বুঝলাম আর কিছু বললে বেচারা অপমানিত বোধ করবে। যদিও কারো সামনে বলছিনা কিন্তু নিজের দোষ নিয়ে কেউ বারবার কথা বললে গায়ে লাগে। আমারও লাগে। আমি কিছুক্ষন চুপ করে রইলাম।
যাক, আমার বন্ধুকে হেয় করা আমার উদ্দেশ্য নয়। যে কথাটা আসলে জোর দিয়ে বলতে চাই তা হল, দেশপ্রেমের সঙ্গা মনে হয় পরিবর্তন হওয়া দরকার। এটার বিহিঃপ্রকাশেরও পরিবর্তন দরকার। আমি বলছি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। আমাদের দেশে দেশপ্রেম মানে শহিদ মিনারে, স্মৃতিসৌধে ফুল দেয়া। গাড়িতে পতাকা উড়ানো। ছোট ছোট কাগজের পতাকা দিয়ে ঘরবাড়ি, রাস্তা, দোকান ইত্যাদি সাজানো। বিভিন্ন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা। পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়া, রঙচঙে সাজসজ্জা করা ইত্যাদি।
আমি বিশ্বাস করি দেশপ্রেম মানে সদাসর্বদা ভালো কাজ করা। পৃথিবীর যে প্রান্তে যেখানেই থাকি না কেন। রাস্তার ময়লা অপসারণ থেকে শুরু করে অসহায় মানুষের আশ্রয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা পর্যন্ত যেকোন প্রকার কল্যানকর কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখাটাই দেশপ্রেম। আমি সবাইকে একথা বোঝাতে চাই যে দেশপ্রেম মানে পহেলা বৈশাখে পান্তা ভাত খাওয়া না, দেশপ্রেম মানে অফিসে ঘুষ না খাওয়া। এখন দেশপ্রেমকে এই মাপকাঠিতে যাচাই করলে জানা যাবে এদেশে কতজন দেশপ্রেমিক আছে।
উল্লেখ্য, আমি কখনো কোথাও বোতল ফেলি না। আপনাদেরও অনুরোধ করব রাস্তায় বোতল ফেলবেন না। এই ছোট একটা কাজ থেকেই শুরু করুন আপনার দেশপ্রেম চর্চা। দেখবেন আস্তে আস্তে আমাদের ময়লা আবর্জনা কমে আসবে।
সুন্দর বলেছেন। সবাই যদি এত সুন্দর করে ভাবতো… আর জীবনে অনুশীলন করতো তবে কত পরিচ্ছন্নই না হতো আমাদের পৃথিবী।
রাস্তায় বোতল বা ময়লা ফেলাটা আমার ভীষণ খারাপ লাগে তাই দেখা যায় আশেপাশের কোন ডাস্টবিন না পেলে বাসায় নিয়ে এসে ফেলি। এইরকম করে যদি আমরা সবাই চেষ্টা করি যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলার। তাহলে দেখা যাবে যে রাস্তা ময়লা আবর্জনা কমে আসবে।
“আমি বিশ্বাস করি দেশপ্রেম মানে সদাসর্বদা ভালো কাজ করা। পৃথিবীর যে প্রান্তে যেখানেই থাকি না কেন। রাস্তার ময়লা অপসারণ থেকে শুরু করে অসহায় মানুষের আশ্রয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা পর্যন্ত যেকোন প্রকার কল্যানকর কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখাটাই দেশপ্রেম। আমি সবাইকে একথা বোঝাতে চাই যে দেশপ্রেম মানে পহেলা বৈশাখে পান্তা ভাত খাওয়া না, দেশপ্রেম মানে অফিসে ঘুষ না খাওয়া। এখন দেশপ্রেমকে এই মাপকাঠিতে যাচাই করলে জানা যাবে এদেশে কতজন দেশপ্রেমিক আছে।”
ভাল লাগলো পড়ে। আপনার মত অনেক মানুষ আছে। এরকম সুন্দর চিন্তাকে স্বাগতম জানাই।
একসময় দেখবেন একজন দুজন করে ভাল কাজের অনুশীলন করতে করতে সবার মাঝে ছড়িয়ে গেছে। আমি আশাবাদী 🙂
আনুষ্ঠানিকতা থাকবেই, কিন্তু আন্তরিকতা যেন তাকে ছাপিয়ে ওঠা সেটাই আশা করি আমরা।
সচেতন মানুষ দিনকে দিন বাড়বে ইনশাআল্লাহ্।
আমি বিশ্বাস করি আমাদের বিবেকটাই দেশপ্রেম। নিজের দ্বায়িত্বগুলো সততা আর নিষ্ঠার সাথে পালন করাই দেশপ্রেম।